ঢাকার মাঠ ও পার্কসমূহের ব্যবস্থাপনায় ক্লাবভিত্তিক মডেল থেকে সরে এসে কমিউনিটিভিত্তিক ব্যবস্থাপনার দিকে অগ্রসর হচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) গুলশানের নগর ভবনে অনুষ্ঠিত ডিএনসিসির অষ্টম কর্পোরেশন সভায় এ তথ্য জানান প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, ঢাকার মাঠ ও পার্কসমূহের ব্যবস্থাপনায় ক্লাবভিত্তিক মডেল থেকে বেরিয়ে কমিউনিটিভিত্তিক মডেলের দিকে এগোচ্ছে ডিএনসিসি।তিনি বলেন, ঢাকার পাবলিক পার্কগুলোতে সর্বসাধারণের প্রবেশ একটি অধিকার। এই অধিকার নিশ্চিত করার জন্য ক্লাবভিত্তিক মডেল থেকে সরে এসে কমিউনিটিভিত্তিকভাবে পার্কগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। আমরা নতুন করে আর কোনো ক্লাবকে মাঠের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দিচ্ছি না। তিনি আরও বলেন, আমাদের মূল উদ্দেশ্যই হলো মাঠ এবং পার্কগুলো সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া। আমরা ক্লাবভিত্তিক মাঠ ব্যবস্থাপনা থেকে বেরিয়ে কমিউনিটিভিত্তিক ব্যবস্থাপনার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।ডিএনসিসি প্রশাসক জানান, আমরা কোনো মাঠ বা পার্ক ইজারা দেবো না। এগুলো কমিউনিটির মাধ্যমে কমিটি করে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হবে, যেন মাঠ ও পার্কগুলো সবসময় সবার জন্য উন্মুক্ত রাখা যায়।পর্যায়ক্রমে ঢাকার সব মাঠ ও পার্ক ডিএনসিসির উদ্যোগে এলাকাবাসীর সমন্বয়ে কমিটি গঠন করে সংশ্লিষ্ট কমিটিকে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হবে। এর ফলে মাঠ ও পার্কগুলোতে নাগরিক মালিকানার ধারণা তৈরি করা যাবে। এরই অংশ হিসেবে আজকের কর্পোরেশন সভায় গুলশানের বিচারপতি শাহাবুদ্দীন আহমেদ পার্ক এবং ডা. ফজলে রাব্বি পার্কের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব গুলশান সোসাইটিকে দেওয়া হয়েছে।ডিএনসিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়, গুলশানের শহিদ তাজউদ্দীন আহমেদ স্মৃতি পার্কসহ যেসব মাঠ ও পার্ক পূর্বে সম্পন্ন চুক্তির ভিত্তিতে ক্লাবের মাধ্যমে রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে, সেগুলোর কার্যক্রম মনিটরের জন্য আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তার সভাপতিত্বে স্থানীয় জনগণের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করা হবে। এ কমিটির মাধ্যমে পার্ক ও খেলার মাঠ কেন্দ্রিক জনগণের অধিকার রক্ষার নিশ্চয়তা প্রদান করা হবে। এছাড়া যথাযথ নিয়মে পার্ক ও মাঠ পরিচালিত হচ্ছে কিনা সেটি এ কমিটি সার্বক্ষণিক মনিটর করবে। চলমান চুক্তির মেয়াদ শেষে, পরবর্তীতে ক্লাবভিত্তিক মডেলে আর পার্ক ও মাঠ ব্যবস্থাপনা করা হবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১২ ঘন্টা আগে
রাজধানী ঢাকার ফার্মগেট এলাকায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিসি) দোতলা একটি বাস এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের র্যাম্পের নিচে ঢুকে গেছে। সেখানে একটি পিলারের সঙ্গে ধাক্কা খায় বাসটি।মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে বাসের ওপরের অংশ বিধ্বস্ত হয়েছে। একজন সামান্য আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ধাক্কার ফলে বাসটির সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া ধাক্কা লাগায় পিলারও কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।পুলিশের তেজগাঁও অঞ্চলের সহকারী কমিশনার (ট্রাফিক) অনীশ কীর্ত্তনীয়া গণমাধ্যমকে বলেন, একটি বাস এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের র্যাম্পে লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।বাসটি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের র্যাম্পের নিচে ঢুকে গেছে এমন একাধিক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১ দিন আগে
রাজধানীর গুলশানে সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদা দাবি করার অভিযোগে আটক ৫ যুবকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।শনিবার (২৬ জুলাই) রাতে তাদের আটক করে পুলিশ। এর কিছুক্ষণ পরই ভুক্তভোগীর স্বামী বাদী হয়ে গুলশান থানায় তাদের বিরুদ্ধে একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন। রোববার (২৭ জুলাই) গুলশান থানার ডিউটি অফিসার আঞ্জুমান আরা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।আঞ্জুমান আরা বলেন, চাঁদাবাজির অভিযোগে ৫ সমন্বয়কের নামে মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। এ মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।গ্রেফতাররা হলেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক ইব্রাহিম হোসেন মুন্না, সদস্য মো. সাকাদাউন ও সাদাব, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ সংগঠক ও কেন্দ্রীয় ক্রীড়া সেলের সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান ওরফে রিয়াদ এবং আমিনুল ইসলাম।জানা গেছে, সম্প্রতি রাজধানীর গুলশানে সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের পাঁচ নেতা। শাম্মী পলাতক থাকায় তার স্বামীর কাছে এ চাঁদা দাবি করা হয়। কয়েক দিন আগে তারা ওই বাসায় গিয়ে ১০ লাখ টাকা নিয়ে আসেন। গতকাল শনিবার (২৬ জুলাই) রাতে আবারও ওই বাসায় গিয়ে ৪০ লাখ টাকা আনতে যান এই পাঁচ যুবক। পরে পুলিশে খবর দিলে তাদের আটক করে গুলশান থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
৩ দিন আগে
রাজধানীতে বসবাসকারীদের প্রতিদিনই নানা প্রয়োজনে কোনো না কোনো মার্কেট কিংবা শপিংমলে যেতে হয়। কিন্তু কোথাও গিয়ে দেখলেন, সেখানকার সব মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধ। তখন কাজ তো হলোই না বরং সময় নষ্ট, সেই সঙ্গে মনও খারাপ হবে। তাই বাইরে বের হওয়ার আগে দেখে নিন রোববার (২৭ জুলাই) রাজধানীর কোন কোন এলাকার মার্কেট, দোকান ও দর্শনীয় স্থান বন্ধ।বন্ধ থাকবে যেসব মার্কেটবিসিএস কম্পিউটার সিটি (আইডিবি), পল্লবী সুপার মার্কেট, মিরপুর বেনারসি পল্লি, ইব্রাহীমপুর বাজার, রজনীগন্ধা মার্কেট, ইউএই মৈত্রী কমপ্লেক্স, বনানী সুপার মার্কেট, ডিসিসি মার্কেট গুলশান-১ এবং ২, গুলশান পিংক সিটি, মোল্লা টাওয়ার, আল-আমিন সুপার মার্কেট, রামপুরা সুপার মার্কেট, মালিবাগ সুপার মার্কেট, তালতলা সিটি করপোরেশন মার্কেট, কমলাপুর স্টেডিয়াম মার্কেট, গোরান বাজার, আবেদিন টাওয়ার, ঢাকা শপিং সেন্টার, আয়েশা মোশারফ শপিং কমপ্লেক্স, মিতালি অ্যান্ড ফ্রেন্ড সুপার মার্কেট।বন্ধ থাকবে যেসব এলাকার দোকানপাট আগারগাঁও, তালতলা, শেরেবাংলা নগর, শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, পল্লবী, মিরপুর-১০, মিরপুর-১১, মিরপুর-১২, মিরপুর-১৩, মিরপুর-১৪, ইব্রাহীমপুর, কচুক্ষেত, কাফরুল, মহাখালী, নিউ ডিওএইচএস, ওল্ড ডিওএইচএস, কাকলী, তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দর এলাকা, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ক্যান্টনমেন্ট, গুলশান-১, ২, বনানী, মহাখালী কমার্শিয়াল এরিয়া, নাখালপাড়া, মহাখালী ইন্টার সিটি বাস টার্মিনাল এরিয়া, রামপুরা, বনশ্রী, খিলগাঁও, গোড়ান, মালিবাগের একাংশ, বাসাবো, ধলপুর, সায়েদাবাদ, মাদারটেক, মুগদা, কমলাপুরের একাংশ, যাত্রাবাড়ী একাংশ, শনির আখড়া, দনিয়া, রায়েরবাগ, সানারপাড়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
৩ দিন আগে