নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ মে ২০২৫ ১২:৩৯ এএম
বাড্ডায় গ্যাস বিস্ফোরণে একই পরিবারের চারজনের মৃত্যু, চিকিৎসাধীন এক শিশু
রাজধানীর বাড্ডার দক্ষিণ আনন্দনগরে গ্যাস লিকেজ থেকে সৃষ্ট বিস্ফোরণে একই পরিবারের আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ নিহত শিশু মিথিলা (৭)। শুক্রবার (২৩ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এর আগে একই ঘটনায় প্রাণ হারান মিথিলার বোন তানজিলা (৯), মা মনজুরা বেগম (৩৫) ও বাবা তোফাজ্জল হোসেন (৪০)। এ নিয়ে পাঁচ সদস্যের পরিবারটির চারজনই প্রাণ হারালেন। পরিবারের একমাত্র জীবিত সদস্য ১১ বছরের শিশু তানিশা এখনো আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান বলেন, “গত শুক্রবার (১৭ মে) রাত সাড়ে ১২টার দিকে দগ্ধ অবস্থায় একই পরিবারের পাঁচজনকে জরুরি বিভাগে আনা হয়। মিথিলার শরীরের ৬০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। তার অবস্থাও ছিল অত্যন্ত সংকটজনক।”
তিনি আরও জানান, রোববার (১৯ মে) বিকালে মারা যায় তানজিলা (৬৬% দগ্ধ) এবং একই রাতে প্রাণ হারান মা মনজুরা (৬৭% দগ্ধ)। পরে বুধবার (২১ মে) সকালে মৃত্যু হয় বাবা তোফাজ্জল হোসেনের (৮০% দগ্ধ)। এখনো হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে তানিশাকে, যার শরীরের ৩০ শতাংশ পুড়ে গেছে।
ঘটনাস্থলে থাকা প্রতিবেশীরা জানান, পরিবারের বাসাটি ছিল বাড্ডা থানার দক্ষিণ আনন্দনগরের আনসার ক্যাম্প বাজারসংলগ্ন একটি ভবনের নিচতলায়। মূলত রান্নাঘরের গ্যাস লাইন থেকে লিকেজের মাধ্যমে গ্যাস জমে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
নিহত তোফাজ্জলের বাড়ি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চিলা রং গ্রামে। জীবিকার তাগিদে তিনি পরিবারসহ রাজধানীতে বসবাস করতেন।
এই মর্মান্তিক ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, পুরনো ও অব্যবস্থাপনার কারণে ওই এলাকায় গ্যাস লাইনজনিত দুর্ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে। প্রশাসনের দ্রুত তদন্ত ও প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
ভোরের আকাশ/হ.র