মব সৃষ্টির সুযোগ দেওয়া হবে না: রমনা ডিসি
দেশে ‘মব জাস্টিস’ হ্রাস পেলেও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। সাধারণ মানুষের মনে রয়ে গেছে মব আতঙ্ক। গত মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে একটি বাসা ঘেরাওয়ের ঘটনায় মোহাম্মদপুরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কসহ তিনজনকে আটকের পর ছেড়ে দেওয়াকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। তবে মব সৃষ্টির সুযোগ দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের দোসরদের ধরিয়ে দেওয়ার নামে কোনো ধরনের মব সৃষ্টি করতে দেওয়া হবে না। কারো বিষয়ে তথ্য থাকলে পুলিশকে জানাবেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব, কাউকে সেই ভূমিকা নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে না। গতকাল বুধবার দুপুরে রাজধানী মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।
ধানমন্ডিতে সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদা না পেয়ে রাতে বাড়ি ঘেরাও করা হয়েছিল এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে রমনা বিভাগের ডিসি মাসুদ আলম বলেন, চাঁদা দাবির বিষয়টি আমাদের জানা নেই। ভুক্তভোগী আমাদের কাছে অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেব।
তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্টের পর বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের ঊর্ধ্বতনদের নির্দেশ, মব সৃষ্টি করে কাউকে যেন কিছু না করা হয়। গত মঙ্গলবার রাতে যা দেখেছেন এখন থেকে তেমনটাই হবে। কোনো বাড়ি ঘেরাও বা কাউকে ধরিয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই। আওয়ামী লীগের বড় পদ বা তাদের সহযোগী কারো বিষয় তথ্য থাকলে আমাদের জানাতে পারেন। আমরা যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেব। কিন্তু এভাবে বাড়ি ঘেরাও করার সুযোগ নেই। আমার কাউকে বিশৃঙ্খলা করতে দেব না।
হান্নান মাসুদের হস্তক্ষেপের বিষয়ে জানতে চাইলে ডিসি বলেন, হস্তক্ষেপ না। আসলে ঘটনা ঘটার আগেই যেহেতু তাদের আটক করা হয়েছে। এবং তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি। তাই আমরা মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দিয়েছি।
মুচলেকায় বলা হয়েছে, এটাই শেষবার। এরপরে এমন কিছু করার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, যদি কেউ অপরাধ করে, তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। কিন্তু এভাবে কেউ নিজের হাতে আইন তুলে নিতে পারে না।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
দেশে ‘মব জাস্টিস’ হ্রাস পেলেও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। সাধারণ মানুষের মনে রয়ে গেছে মব আতঙ্ক। গত মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে একটি বাসা ঘেরাওয়ের ঘটনায় মোহাম্মদপুরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কসহ তিনজনকে আটকের পর ছেড়ে দেওয়াকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। তবে মব সৃষ্টির সুযোগ দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম।তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের দোসরদের ধরিয়ে দেওয়ার নামে কোনো ধরনের মব সৃষ্টি করতে দেওয়া হবে না। কারো বিষয়ে তথ্য থাকলে পুলিশকে জানাবেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব, কাউকে সেই ভূমিকা নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে না। গতকাল বুধবার দুপুরে রাজধানী মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।ধানমন্ডিতে সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদা না পেয়ে রাতে বাড়ি ঘেরাও করা হয়েছিল এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে রমনা বিভাগের ডিসি মাসুদ আলম বলেন, চাঁদা দাবির বিষয়টি আমাদের জানা নেই। ভুক্তভোগী আমাদের কাছে অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেব।তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্টের পর বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের ঊর্ধ্বতনদের নির্দেশ, মব সৃষ্টি করে কাউকে যেন কিছু না করা হয়। গত মঙ্গলবার রাতে যা দেখেছেন এখন থেকে তেমনটাই হবে। কোনো বাড়ি ঘেরাও বা কাউকে ধরিয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই। আওয়ামী লীগের বড় পদ বা তাদের সহযোগী কারো বিষয় তথ্য থাকলে আমাদের জানাতে পারেন। আমরা যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেব। কিন্তু এভাবে বাড়ি ঘেরাও করার সুযোগ নেই। আমার কাউকে বিশৃঙ্খলা করতে দেব না।হান্নান মাসুদের হস্তক্ষেপের বিষয়ে জানতে চাইলে ডিসি বলেন, হস্তক্ষেপ না। আসলে ঘটনা ঘটার আগেই যেহেতু তাদের আটক করা হয়েছে। এবং তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি। তাই আমরা মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দিয়েছি।মুচলেকায় বলা হয়েছে, এটাই শেষবার। এরপরে এমন কিছু করার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।তিনি আরও বলেন, যদি কেউ অপরাধ করে, তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। কিন্তু এভাবে কেউ নিজের হাতে আইন তুলে নিতে পারে না।ভোরের আকাশ/এসএইচ
পছন্দের ঠিকাদার কাজ না পাওয়ায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নগর ভবনের সামনে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছেন বলে জানিয়েছে ডিএনসিসি। গতকাল বুধবার ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা ফারজানা ববির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।এতে বলা হয়, গত ১৮ মে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক তার পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ দেওয়ার জন্য ডিএনসিসির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুর রহমানকে মোবাইল ফোনে কল করেন। অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী তাকে আইনের বাইরে গিয়ে কোনো কিছু করার সুযোগ নেই বলে জানান ও বোঝানোর চেষ্টা করেন।কিন্তু নুরুল হক তার কোনো কথা না শুনে তাকে কাজ দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন।একই সঙ্গে ডিএনসিসি অফিসে তালা লাগানোর হুমকি দেন তিনি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে গুলশান-২-এর নগর ভবনের সামনে কিছু লোক নিয়ে গণ অধিকার পরিষদের ব্যানারে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও ডিএনসিসি প্রশাসকের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে বলে অভিযোগ করে ডিএনসিসি। যাতে ডিএনসিসির স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়।উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ ও গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ। দাবি বাস্তবায়িত না হলে আগামী শনিবার প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা ঘেরাও করার ঘোষণা দিয়েছে দলটি।সমাবেশে ফারুক হাসান বলেন, ‘২০১৮ সাল পর্যন্ত ডিএনসিসি প্রশাসক এজাজ নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের সক্রিয় নেতা ছিলেন। শুধু নেতা বললে ভুল হবে, প্রথম সারির নেতা ছিলেন। হিযবুত তাহরীর করার কারণে একাধিকবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এরপর আওয়ামী লীগের সঙ্গে যোগসাজশ করে কারাগার থেকে বেরিয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ২০২৩ সাল পর্যন্ত তিনি আওয়ামী লীগ করেছেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজধানীর শাহবাগ ও ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রদল।ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাম্য হত্যাকাণ্ডে জড়িত মূল আসামিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার, সুষ্ঠু বিচার এবং নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে এই কর্মসূচি পালন করা হবে। অবস্থান কর্মসূচি শুরু হবে সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে এবং চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।এর আগে বুধবার, শাহরিয়ার সাম্য হত্যার ঘটনায় তদন্তে গাফিলতি এবং প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে ছাত্রদলের একদল শিক্ষার্থী।এদিকে ‘সন্ত্রাসবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে ছাত্রদল ও বামপন্থী বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরাও একই দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে। ক্যাম্পাসে টানা নয় মাসে দুই শিক্ষার্থী হত্যার ঘটনায় নিরাপত্তার অভাব ও প্রশাসনের ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করেন তারা।অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা ‘আর চাই না এনএসআইয়ের প্রক্টর’, ‘ক্যাম্পাসে লাশ ঝুলে, প্রক্টর কী করে’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘বিচার চাই, সাম্য হত্যার বিচার চাই’—এই ধরনের স্লোগান দেন।এছাড়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের দাবিতে তিন দফা দাবি উত্থাপন করে আমরণ অনশনে বসেছেন ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা। বুধবার দুপুর ২টা থেকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে শুরু হওয়া এই অনশনে তিনি বলেন, “সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ও সময়সীমা ঘোষণা না করা পর্যন্ত এই অনশন চলবে।”তার তিন দফা দাবি:১. শাহরিয়ার সাম্য হত্যার বিচার ও দায়ীদের গ্রেপ্তার,২. ডাকসু নির্বাচনের জন্য কমিশন গঠন ও রোডম্যাপ ঘোষণা,৩. বিশ্ববিদ্যালয় ও আশপাশের এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন।ইয়ামিন অভিযোগ করেন, প্রশাসনের মধ্যেই এক গোষ্ঠী ডাকসু নির্বাচন নিয়ে অনীহা প্রকাশ করছে এবং অচলাবস্থার সৃষ্টি করছে।এদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বুধবার উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সঙ্গে দেখা করেন সাম্যর পিতা মো. ফকরুল আলম। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাম্য হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে আরও তিনজনকে ২০ মে রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপরাধীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে।উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিরপেক্ষভাবে এ ঘটনার বিচার নিশ্চিত করতে কাজ করছে। আমরা কোনো রাজনৈতিক প্রভাব ছাড়াই অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে চাই।”ভোরের আকাশ//হ.র
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণার দাবিতে কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন তার সমর্থকরা। মঙ্গলবার (২০ মে) সকাল ১০ টায় শুরু ষষ্ঠ দিনের কর্মসূচি হিসেবে নগর ভবনের সামনে ফের ইশরাকের সমর্থনদের অবস্থান ও বিক্ষোভ শুরু হয়। বিকাল ৫ টা পর্যন্ত চলবে এ কর্মসূচি। ‘ঢাকাবাসীর’ ব্যানারে আয়োজিত কর্মসূচিতে অংশ নেন ইশরাক হোসেনের কর্মী সমর্থক ও দক্ষিণ সিটির কর্পোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক কাউন্সিলর, বিএনপি, যুবদল,মহিলা দল, ছাত্রদল, শ্রমিক দল ও অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মীরা।আন্দোলন কর্মসূচির শুরুর দিন থেকেই নগর ভবনে মূল ফটকে তালা দেওয়াসহ প্রতিটি রুম ও লিফট বন্ধ করে দেওয়া হয়। বন্ধ রাখা হয়েছে ডিএসসিসির সকল সেবা প্রতিষ্ঠান। ফলে দূরদূরান্ত থেকে সেবাপ্রত্যাশীরা এসে ফিরে যাচ্ছেন।শতশত বিক্ষোভকারী নগর ভবনের সামনের মূল সড়কে বসে স্লোগানে স্লোগানে বিক্ষোভ করছেন। বিক্ষোকারীদের অবস্থনের ফলে গুলিস্তান, ফুলবাড়িয়া ও বঙ্গমার্কেটের সামনে শতশত অফিসগামী গাড়ী আটকা পড়ছে। ভোগান্তিতে,সিএনজি, রিকশা চালক ও পথচারীরা।ভোরের আকাশ/আজাসা