সাবেক এমপি জেবুন্নেসা আফরোজ গ্রেপ্তার
বরিশাল-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) জেবুননেসা আফরোজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার (১৭ মে) ডিবির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম গ্রেফতরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ডিবির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গতকাল রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি ডিবি হেফাজতে আছেন।
প্রসঙ্গত, জেবুন্নেসা আফরোজের স্বামী শওকত হোসেন হিরন ২০১৪ সালের ৯ এপ্রিল মারা যাওয়ার পর তার নির্বাচনি আসন শূন্য হয়ে যায়। পরে এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
রাজধানীর মতিঝিলে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের পাশে একটি তিনতলা ভবনে লাগা আগুন ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিটের পৌনে এক ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে এসেছে। শনিবার (১৭ মে) সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।ফায়ার সার্ভিস থেকে জানানো হয়, মতিঝিলে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের পাশে ৩ তলা ভবনের তৃতীয় তলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যা ৬টা ১৭ মিনিটে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ৬টা ২৮ মিনিটে। পরে আরও ৩টি ইউনিট পাঠানো হয়।সিদ্দিক বাজার ফায়ার স্টেশনের মোট ৪টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। এরপর ৭টা ১৪ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত বা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ধানমন্ডির পুরাতন ২৭ নম্বর রোডে সড়ককে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ‘ফারহান ফাইয়াজ’ এর নামে নামকরণ করে সড়কের ফলক উন্মোচন করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।শনিবার (১৭ মে) নামফলকটি উদ্বোধন করেন ডিএসসিসির প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া। এ সময় শহীদ ফারহান ফাইয়াজের বাবা আলহাজ্ব শহীদুল ইসলাম ভূঁইয়া এবং তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ১৮ জুলাই ধানমন্ডির পুরাতন ২৭ নম্বর রোডে রাপা প্লাজা এবং জেনেটিক প্লাজার মাঝামাঝি স্থানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সামনের সারিতে থাকা ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র মোহাম্মদ ফারহানুল ইসলাম ভূঁইয়া (ফারহান ফাইয়াজ) বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন।ফলক উন্মোচন শেষে সিটি করপোরেশনের প্রশাসক শাহজাহান বলেন, ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের মেধাবী ছাত্র শহীদ ফারহান ফাইয়াজ জুলাই গণঅভ্যুত্থানে এখানে শহীদ হন। বৈষম্যবিরোধী বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যেসব ছাত্র-জনতা শাহাদত বরণ করেছেন ফারহান ফাইয়াজ তাদের মধ্যে অন্যতম। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ধানমন্ডির পুরাতন ২৭ নম্বর সড়কটির নাম পরিবর্তন করে আজ শহীদ ফারহান ফাইয়াজের নামে নামকৃত ফলক উন্মোচন করা হয়েছে।তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদরা বৈষম্যবিরোধী একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার যে মহৎ উদ্দেশ্যে জীবন দিয়েছেন, সে মহৎ উদ্দেশ্য যতদিন না বাস্তবায়ন হয় ততদিন আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শহীদ ফারহান ফাইয়াজের বাবা আলহাজ্ব শহীদুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, বৈষম্যেবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে একমাত্র ছেলে শহীদ হওয়ায় আমার যে ক্ষতি হয়েছে তা অপূরণীয়। ফাইয়াজের নামে এই সড়কটি নামকরণ করায় আমি অন্তর্বর্তী সরকার ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। দেশকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করতে যারা ভূমিকা রেখেছেন পর্যায়ক্রমে তাদের সবাইকে স্মরণীয় করে রাখা হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ভোরের আকাশ /জাআ
বরিশাল-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) জেবুননেসা আফরোজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার (১৭ মে) ডিবির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম গ্রেফতরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।ডিবির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গতকাল রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি ডিবি হেফাজতে আছেন।প্রসঙ্গত, জেবুন্নেসা আফরোজের স্বামী শওকত হোসেন হিরন ২০১৪ সালের ৯ এপ্রিল মারা যাওয়ার পর তার নির্বাচনি আসন শূন্য হয়ে যায়। পরে এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন রাজধানীর বাসিন্দারা। অবস্থা এমন যে, শুধু রাতে নয় দিনেও কয়েল জ্বালিয়ে বা মশারির মধ্যে থাকতে হচ্ছে নগরবাসীকে। ঘরে-বাইরে মশার কামড়ে দিশেহারা রাজধানীবাসী। মশা নিধনে দুই সিটি করপোরেশনের চলমান কার্যক্রম কোনো কাজে আসছে না বলে অভিযোগ নগরবাসীর। ফলে দিন দিন মশা বাড়ছে বলে দাবি তাদের। বর্ষা শুরুর আগেই মশা নিধনে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা না নিলে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব পুনরায় বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে শঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। মশারি, কয়েল ও স্প্রের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দাম বৃদ্ধির অভিযোগ নগরবাসীদের।রাজধানীর মগবাজার এলাকার দিলুরোডের বাসিন্দা জয়নাল মিয়া বলেন, ছয়তলায় একটি ফ্লাটে স্ত্রী ও দুই ছেলে-মেয়ে নিয়ে থাকি। মশার উৎপাত এতই বেশি যে সন্ধ্যার পর ছেলে-মেয়েকে মশারির মধ্যে রাখতে হয়। মশার যন্ত্রণায় বাসায় কোথাও একটানা বসে থাকা যায় না। মশার কামড়ে স্বাভাবিক কাজ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। কিন্তু মশা মারতে করপোরেশনের লোকজন স্প্রে করে গেলেও তা কোনো কাজে দিচ্ছে না।নগরীর পূর্ব রাজাবাজার এলাকার বাসিন্দা ইয়াসমিন আক্তার জানান, দিনেও ঘরের মধ্যে মশার যন্ত্রণায় থাকা যায় না। কয়েল জ্বালালেও মশা যায় না। সন্ধ্যার পর তো এই অবস্থা আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করে। মনে হয় যেন মশা উড়িয়ে নিয়ে যাবে। ২৪ ঘণ্টা ঘরে কয়েল জ্বালিয়ে রাখতে হয়। বাচ্চাদের তো মশারির মধ্যেই রাখতে হয়।রাজধানীর ফার্মগেটের তেজকুনিপাড়ার বাসিন্দা ফয়সাল আহমেদ বলেন, ‘বর্ষা মৌসুম শুরু হয়ে গেছে, আর বৃষ্টিতে এডিস মশা বৃদ্ধি পায়। তাতে ডেঙ্গুর প্রকোপও বৃদ্ধির আশঙ্কা থাকে। সাধারণত বর্ষার সময়ে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেশি। এ সময়কে ডেঙ্গুর মৌসুম বলা হয়। তবে সিটি করপোরেশন যে ওষুধ ছিটাচ্ছে, তা মশা মারতে কতটা কার্যকর পরীক্ষা করে দেখা দরকার।’ শুধু এই কয়েকটা এলাকা নয়, পুরো রাজধানীজুড়ে চলছে মশার উৎপাত।কার্যকর মশক নিধন ও জনসচেতনতার বিকল্প নেই : জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাবাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের সাবেক ডিন ইমিরেটাস অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ ভোরের আকাশকে বলেন, ‘আমাদের মশা মারার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। কিন্তু মশা মারার সঠিক পদ্ধতি ও ব্যবস্থাপনা এখনো গ্রহণ করা হয়নি। বৈজ্ঞানিক ও কারিগরি পদ্ধতি প্রয়োগ করে ধাপে ধাপে মশা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কারণ এখনই হাসপাতালগুলোতে রোগী বাড়ছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে সামনে বিপদ। তাই রোগী যাতে আর না বাড়ে সেজন্য পদক্ষেপ নিতে হবে। মশার নিয়ন্ত্রণ ছাড়া এটার সমাধান সম্ভব না। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার পর অন্য রোগব্যাধিতেও আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। যে কারণে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে।কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সারোয়ার ভোরের আকাশকে বলেন, শত্রুর সঙ্গে তো আপনি ভোঁতা অস্ত্র দিয়ে লড়াই করতে পারবেন না। আবার এই লড়াইয়ের জন্য আপনার পর্যাপ্ত সামরিক জ্ঞান থাকতে হবে। তা না হলে আপনার গুলি শত্রুর গায়ে না লেগে নিজের গায়েও লাগতে পারে। আমরা তো শত্রু চিনি। এডিস মশা। কিন্তু দেশে মশা মারার সঠিক ব্যবস্থাপনা তো নেই। ওষুধের প্রয়োগ, সঠিক সময় ও প্রশিক্ষিত জনবল- এই তিনটি ব্যবস্থা বৈজ্ঞানিক ও কারিগরি ব্যবস্থাপনায় থাকতে হবে। কিন্তু আমরা কী সেটা করতে পারছি? ফলে যা হওয়ার তাই হচ্ছে, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) সাবেক উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন ভোরের আকাশকে বলেন, বিক্ষিপ্তভাবে কিছু কীটনাশক ছিটানো ছাড়া তো সংঘবদ্ধভাবে কোনো কাজ নেই। কীটততত্ত্ববিদ দিয়ে দল গঠন করে এডিস মশার প্রজননস্থল খোঁজা হচ্ছে না, মশার লার্ভা ধ্বংস করা হচ্ছে না। ফলে ডেঙ্গুও নিয়ন্ত্রণে আসছে না।জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. বেনজির আহমেদ বলেন, দেশের সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের মানসম্মত ব্যবস্থাপনার (স্ট্যান্ডার্ড ম্যানেজমেন্ট) মধ্য দিয়ে সেবা দিতে হবে। ডেঙ্গু চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় গাইডলাইন প্রণয়ন করা হয়েছে। গাইডলাইন মেনে সেবা দিলে মৃত্যুহার কমে আসবে। ডেঙ্গু আক্রান্ত ও ভর্তির তথ্যর মধ্যে অনেক পার্থক্য থাকে। রোগীর সংখ্যা ঠিক না থাকায় ব্যবস্থাপনায় মুশকিল হয়।জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কীটতত্ত্ববিদ ড. কবিরুল বাশার বলেন, দেশে ডেঙ্গুজ্বরে মৃত রোগীর হার অনেক বেশি। মৃত্যুর কারণ পর্যালোচনা করলে সমস্যাগুলো শনাক্ত করা যাবে এবং সমাধানে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া যাবে। হাসপাতাল থেকে ডেঙ্গুর ক্রস ট্রান্সমিশন হচ্ছে। হাসপাতালে রোগী দেখতে এসে অনেকে আক্রান্ত হচ্ছেন।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান বলেন, দেশের হাসপাতালগুলোতে শয্যার তুলনায় কয়েক গুণ বেশি রোগী ভর্তি থাকে। জনবল কম থাকায় পরিচ্ছন্ন রাখা খুব কঠিন হয়ে পড়ে। তারপরেও আমরা ডেঙ্গু ওয়ার্ডের রোগীদের মশারির ভিতরে রাখার চেষ্টা করি। হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে সিটি করপোরেশন সহযোগিতা করলে সমন্বিতভাবে কাজ করা সম্ভব। এভাবে ক্রসট্রান্সমিশনের ঝুঁকি কমানো যাবে।ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী বলেন, ক্রসট্রান্সমিশন ঠেকাতে আমরা হাসপাতালগুলোতে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম নিচ্ছি। ডিএনসিসির উদ্যোগে প্রতিটি ওয়ার্ডে বিনামূল্যে ডেঙ্গু টেস্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মশক নিধনে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে।জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. এম এইচ চৌধুরী বলেন, ডেঙ্গুর প্রকোপ কমার কোনো উদ্যোগই নেয়া হয়নি। মশা মারা হচ্ছে না, ডেঙ্গুর ভাইরাস নিয়ে গবেষণা হচ্ছে না এবং মশা মারার জন্য পরিকল্পনাও নেই। অবশ্য এ পরিস্থিতির জন্য জলবায়ু পরিবর্তনও অনেকাংশে দায়ী। তার আশঙ্কা, কার্যকর উদ্যোগ না থাকায় ডিসেম্বরেও ভোগাতে পারে ডেঙ্গুর প্রকোপ।মশক নিধন ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে সেনাবাহিনী : ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেছেন, ‘বিভিন্ন উচ্চপর্যায়ের পরিবর্তন হয় কিন্তু মাঠপর্যায়ের তেমন কোনো কর্মী পরিবর্তন হয় না। আমরা প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করে থাকি তবে থার্ড পার্টিরা মূলত ব্যবসা করার জন্য আসে। তাই মশক নিধন ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব থার্ড পার্টি থেকে সরিয়ে সেনাবাহিনীকে দেওয়া হচ্ছে।’ সম্প্রতি রাজধানীর গুলশান-২ নম্বরে ডিএনসিসি নগর ভবনের হল রুমে ‘ডেঙ্গু মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুতি ও করণীয়’ শীর্ষক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন খাল পরিষ্কার ও মশক নিধনের জন্য মাঠপর্যায়ের কর্মীদের মাসে জনপ্রতি বিল দেওয়া হয় ১৭ থেকে ১৮ হাজার টাকা। কিন্তু এই কর্মীরা আসলে হাতে পান ৬ থেকে ৮ হাজার টাকা। প্রায় ১০ হাজার টাকা নাই। এক হাজার লোকের ১০ হাজার টাকা নাই মানে কোটি টাকার বাণিজ্য। আমরা মাঠপর্যায়ের কর্মীদের সরাসরি বিল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’মশারি, কয়েল ও স্প্রের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দাম বৃদ্ধির অভিযোগ : দেশে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এ থেকে বাঁচতে মানুষ মশারি, কয়েল, অ্যারোসল স্প্রে ও র্যাকেটের মতো মশাবিরোধী পণ্যের দিকে ঝুঁকছেন। এমন পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীরা এসব পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।রাজধানীর মিরপুর, ফার্মগেট ও কলাবাগান এলাকার বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় মশানিরোধক পণ্যের বিক্রি বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। ক্রেতাদের অভিযোগ- চাহিদা বাড়ার সুযোগ নিয়ে খুচরা বিক্রেতারা মশারি, কয়েল, স্প্রে ও র্যাকেটের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন।মিরপুরের বাসিন্দা ইশরাত জাহান বলেন, ‘ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে দিন-রাত কয়েল জ্বালিয়ে রাখছি।’ তার দাবি, চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় খুচরা বিক্রেতারা এখন ক্রেতাদের কাছ থেকে মশার কয়েল ও স্প্রের দাম ১০ থেকে ৩০ টাকা বেশি রাখছেন।রাজধানীর দিলু রোডের বাসিন্দা আব্দুল্লাহ মো. আব্বাস বলেন, ‘এর আগে কখনো মশা নিয়ে সতর্ক ছিলাম না। ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবের পর মশারি ও কয়েল কিনতে বাধ্য হয়েছি।’তিনি আরও বলেন, ‘গত কয়েক মাসের তুলনায় মশা মারার সরঞ্জামের দাম কিছুটা বেড়ে যাওয়া খুবই হতাশাজনক।’রাজধানীর পল্লবীর খুচরা বিক্রেতা নুরুল আলম সিকদার বলেন, ‘ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় আগের সময়ের তুলনায় এখন মশা মারার পণ্য বেশি বিক্রি হচ্ছে।’ বর্তমানে প্রতি সপ্তাহে ১৮ থেকে ২০ ক্যান মশার স্প্রে বিক্রি হয়। স্বাভাবিক সময়ে এটি ৬ ক্যান ছিল। এছাড়া এখন প্রতি ২ দিনে ১২ প্যাকেট মশার কয়েল বিক্রি হচ্ছে। আগে এই পরিমাণ কয়েল বিক্রি করতে ১ সপ্তাহ লাগতো।কারওয়ান বাজার সুপার মার্কেটের রাফি ইলেকট্রনিক্সের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ রনি বলেন, স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন ১০-১২টি মশা মারার র্যাকেট বিক্রি হতো।‘প্রতিটি মশা মারার র্যাকেট ৪২০ থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে’ জানিয়ে তিনি দাবি করেন, ‘র্যাকেটের বিক্রি বাড়লেও দাম বাড়েনি।’একই এলাকায় মশারি বিক্রেতা মোহাম্মদ রাসেল শেখ বলেন, ‘আগে প্রতি দিন ২ থেকে ৩ হাজার টাকার পণ্য বিক্রি করতাম। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এখন প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ হাজার টাকার মশারি বিক্রি করছি।’তিনি আরও বলেন, ‘আগে কেউ যদি ১ ক্যান অ্যারোসল বা রেপেলেন্ট স্প্রে কিনতেন, এখন তারা ২ ক্যান কিনছেন। অনেকে এর চেয়ে বেশি কিনছেন।’ভোরের আকাশ/এসএইচ