ছবি: সংগৃহীত
বিদেশি বিনিয়োগের প্রলোভন দেখিয়ে শতাধিক মানুষের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎকারী একটি আন্তর্জাতিক প্রতারক চক্রের তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১)।
রোববার (৬ জুলাই) রাতে ও সোমবার দিনে পৃথক অভিযান চালিয়ে ২ জন নাইজেরিয়ান নাগরিক ও একজন বাংলাদেশি নারী সদস্যকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১। গ্রেপ্তার নাইজেরিয়ান নাগরিকরা হলেন- ফ্রাঙ্ক কোকো ও ইমানুয়েল। এছাড়া গ্রেপ্তার বাংলাদেশি নারীর নাম সুইটি আক্তার। তাদের কাছে দুটি ল্যাপটপ, ১০টি মোবাইল, একটি ট্যাব ও একটি হার্ড ড্রাইভ পাওয়া গেছে।
সোমবার (৭ জুলাই) রাতে ঢাকার কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে জাহিদুল করিম বলেন, এসব ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন বিদেশি নম্বর ব্যবহার করতেন। বিনিয়োগের প্রলোভন দেখিয়ে ক্ষুদ্র থেকে মধ্যম মানের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চক্রটি বিভিন্ন দফায় অর্থ আত্মসাৎ করেছে। ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করে চক্রটি প্রতারণার ফাঁদও তৈরি করত।তিনি বলেন, ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে বিভিন্ন বিদেশি হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রাম নম্বর ধরে অনুসন্ধান চালিয়ে চক্রটিতে নাইজেরিয়ার কিছু নাগরিকের জড়িত থাকার বিষয়টি ‘নিশ্চিত’ হওয়া যায়।
র্যাব বলছে, চক্রের সদস্যরা মেয়েদের ব্যবহার করে আড়ালে থেকে মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্ট নম্বরে সরাসরি ‘ক্যাশ ইন’ ‘ক্যাশ আউটের’ মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিশ্বাস অর্জনের জন্য এদের মধ্যে থেকে একজন বিত্তবান বিদেশি নাগরিক সাজেন। ফেইসবুকে বিভিন্ন ধরনের বিনিয়োগ, বিমানবন্দরের কার্গো সেকশনে ডলারের প্যাকেজ পাঠানো অথবা কাস্টম ক্লিয়ারেন্সে বিদেশ থেকে পাঠানো দামি পণ্য নিষ্পত্তি করার জন্য নির্ধারিত চার্জ দাবি করে তারা প্রতারণা করে।
ভোরের আকাম/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
বিদেশি বিনিয়োগের প্রলোভন দেখিয়ে শতাধিক মানুষের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎকারী একটি আন্তর্জাতিক প্রতারক চক্রের তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১)।রোববার (৬ জুলাই) রাতে ও সোমবার দিনে পৃথক অভিযান চালিয়ে ২ জন নাইজেরিয়ান নাগরিক ও একজন বাংলাদেশি নারী সদস্যকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১। গ্রেপ্তার নাইজেরিয়ান নাগরিকরা হলেন- ফ্রাঙ্ক কোকো ও ইমানুয়েল। এছাড়া গ্রেপ্তার বাংলাদেশি নারীর নাম সুইটি আক্তার। তাদের কাছে দুটি ল্যাপটপ, ১০টি মোবাইল, একটি ট্যাব ও একটি হার্ড ড্রাইভ পাওয়া গেছে।সোমবার (৭ জুলাই) রাতে ঢাকার কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে জাহিদুল করিম বলেন, এসব ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন বিদেশি নম্বর ব্যবহার করতেন। বিনিয়োগের প্রলোভন দেখিয়ে ক্ষুদ্র থেকে মধ্যম মানের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চক্রটি বিভিন্ন দফায় অর্থ আত্মসাৎ করেছে। ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করে চক্রটি প্রতারণার ফাঁদও তৈরি করত।তিনি বলেন, ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে বিভিন্ন বিদেশি হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রাম নম্বর ধরে অনুসন্ধান চালিয়ে চক্রটিতে নাইজেরিয়ার কিছু নাগরিকের জড়িত থাকার বিষয়টি ‘নিশ্চিত’ হওয়া যায়।র্যাব বলছে, চক্রের সদস্যরা মেয়েদের ব্যবহার করে আড়ালে থেকে মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্ট নম্বরে সরাসরি ‘ক্যাশ ইন’ ‘ক্যাশ আউটের’ মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিশ্বাস অর্জনের জন্য এদের মধ্যে থেকে একজন বিত্তবান বিদেশি নাগরিক সাজেন। ফেইসবুকে বিভিন্ন ধরনের বিনিয়োগ, বিমানবন্দরের কার্গো সেকশনে ডলারের প্যাকেজ পাঠানো অথবা কাস্টম ক্লিয়ারেন্সে বিদেশ থেকে পাঠানো দামি পণ্য নিষ্পত্তি করার জন্য নির্ধারিত চার্জ দাবি করে তারা প্রতারণা করে।ভোরের আকাম/এসএইচ
রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (৭ জুলাই) রাতে ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য জানান।এর আগে সোমবার ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটের দিকে শ্যামপুর থানার জুরাইন সালাহউদ্দিন পেট্রোল পাম্পের সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন—মো. নাইমুর রহমান (২২), হারুন (২৪) ও আলামিন মোল্লা (২০)।এ বিষয়ে ডিসি মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, সোমবার ভোরে জুরাইন সালাহউদ্দিন পেট্রোল পাম্পের সামনে মাওয়া-ঢাকাগামী এক্সপ্রেসওয়ের ফ্লাইওভারে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের ২৫ থেকে ৩০ জন লোক সরকারবিরোধী মিছিল করছিলেন। খবর পেয়ে রাত্রিকালীন হোন্ডা মোবাইল ও স্পেশাল ডিউটিতে নিয়োজিত অফিসার ও ফোর্স তাৎক্ষণিক সেখানে পৌঁছায়। তিনি জানান, ঘটনাস্থল থেকে নাইমুর, হারুন ও আলামিন নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে তাদের সঙ্গে থাকা অন্যরা দৌড়ে পালিয়ে যান। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন ও পলাতকদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।ভোরের আকাশ/জাআ
রাজধানীর ওয়ারী থেকে সাজাপ্রাপ্ত প্রতারক হামিদুর রহমান পিন্টুকে (৫০) গ্রেফতার করেছে র্যাব। ওই প্রতারক দীর্ঘদিন থেকে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ব্যবসার কথা বলে সর্বস্ব হাতিয়ে নিয়ে গা-ঢাকা দিয়েছিলেন। ঢাকার নবাবগঞ্জ ও কেরাণীগঞ্জ এলাকায় ব্যবসায় বিনিয়োগ করার নাম করে বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। র্যাব জানায়, গত শনিবার গভীর রাতে রাজধানীর ওয়ারীর লালমোহন সাহা স্টীট বাজার এলাকা থেকে র্যাব-১০ এর অভিযানিক দল ওই প্রতারককে গ্রেফতার করে ঢাকার নবাবগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে।নবাবগঞ্জ থানার ওসি মো. মমিনুল ইসলাম বলেন, তার বিরুদ্ধে ২০২০ সালে ঢাকার নবাবগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে এনআই অ্যাক্টে (চেক ডিজঅনার) মামলা করেন কেরানীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা ব্যবসায়ী মো. নূর আলম। বিচার কার্যক্রম শেষে ঢাকার যুগ্ম দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের প্রতারণা বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে ১ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১ কোটি ৯১ লাখ ৬ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন। পলাতক থাকায় আসামি হামিদুর রহমান পিন্টুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। র্যাব-১০ অভিযান চালিয়ে গত শনিবার রাতে তাকে গ্রেফতার করেছে।ভোরের আকাশ/জাআ
বিশ্বব্যাপী চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ থেকে খাদ্য রপ্তানির ব্যাপক সম্ভাবনা ও সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। তবে সর্বক্ষেত্রে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে না পারার কারণে খাদ্য রপ্তানির সুযোগ পুরোপুরি কাজে লাগছে না বলে জানান তিনি।সোমবার (৭ জুলাই) রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ আয়োজিত ‘মর্ডান ফুড সেফটি সিস্টেম ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা জানান।উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার লক্ষ্যে অগ্রসর হচ্ছে এবং আমাদের জনকল্যাণের মৌলিক স্তম্ভগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নিরাপদ খাদ্য। অনেক ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করে থাকলেও, নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করার অনেক সুযোগ আছে। আধুনিক নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থা বিনির্মাণে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা একান্ত প্রয়োজন।আলী ইমাম মজুমদার বলেন, আমরা যদি নিরাপদ খাদ্য ও গুণমান নিশ্চিত করতে পারি, তাহলে আন্তর্জাতিক খাদ্য বাজারে আমাদের প্রবেশাধিকার বাড়বে এবং খাদ্য ও কৃষি খাতে রপ্তানি আয় অনেক গুণ বৃদ্ধি পাবে।তিনি বলেন, আধুনিক নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থা অর্জনের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ এবং আন্তর্জাতিক মানের স্বীকৃত পরীক্ষাগার প্রয়োজন। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে এবং জাপান সরকারের আন্তরিক সহযোগিতায় একটি ঋণ চুক্তির মাধ্যমে ঢাকায় একটি আধুনিক নিরাপদ খাদ্য পরীক্ষাগার নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, যা বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের জাতীয় রেফারেন্স পরীক্ষাগার হিসেবে কাজ করবে, এর পাশাপাশি একটি কার্যালয় ভবন এবং কর্মকর্তা ও খাদ্য ব্যবসায়ীদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য একটি বিশেষ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে । চট্টগ্রাম ও খুলনায় বিভাগীয় নিরাপদ খাদ্য পরীক্ষাগার ও কার্যালয় ভবন নির্মাণ করে দেশব্যাপী খাদ্য পরীক্ষণ ও বিচারিক কার্যক্রম সুদৃঢ় করা হবে।সেমিনারের সভাপতিত্ব করেন খাদ্য সচিব মো. মাসুদুল হাসান।ভোরের আকাশ/এসএইচ