ছবি-ভোরের আকাশ
ফুলবাড়ীতে পাষণ্ড পুত্রের হাতে পিতা-মাতা নির্যাতনের শিকার। নিরাপত্তা ও বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার বেদদিঘী ইউনিয়নের খন্ডখুইগ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগে জানা যায়, ওই গ্রামের বুলবুল ইসলাম (৩৬) তার বৃদ্ধ পিতা মোখলেছার রহমান ও বৃদ্ধ মাতা সুলতানা বেগমকে কারণে-অকারণে প্রায় সময় মারপিট করে নির্যাতন চালিয়ে আসছে। বিষয়টি নিয়ে জনপ্রতিনিধি ও সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ইউনিয়ন পরিষদে বসলে বুলবুল বিচার অমান্য করে তার দাদা আলহাজ্ব মোজাফফর হোসেনের গালে চড় থাপ্পড় মারে।
এ পরিস্থিতিতে সোমবার (৭ জুলাই) দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধি দলীয় নেতৃবৃন্দ সহ ফুলবাড়ী থানায় সালিশের জন্য বসা হয়। সেখানেও বুলবুল ও তার সঙ্ঘবদ্ধ লোকজন পুলিশের সামনে তার পিতা -মাতা ও সাক্ষীদের প্রাণনাশের হুমকি প্রদর্শন করে। উত্তেজিত পরিস্থিতিতে ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে সালিশটি ভেস্তে যায়।
বুলবুল তার সঙ্ঘবদ্ধ লোকজন নিয়ে থানা থেকে চলে যাওয়ার সময় তার মায়ের কাছে প্রকাশ করে, তোমার স্বামীকে নিয়ে থানা থেকে বের হয়ে বাড়িতে গেলে তোমাদের হাত-পা ভেঙ্গে দিব। এ পরিস্থিতিতে মোখলেছার রহমান ও সুলতানা বেগম চরম নিরাপত্তাহীনতায় বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।
প্রসঙ্গত, নিরাপত্তা ও বিচারের আশায় তাদের সারাদিন রাত পর্যন্ত থানায় অবস্থান করতে দেখা যায়।
এ বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম খন্দকার মুহিব্বুল বলেন, আমি সোমবার জেলায় মাসিক কল্যাণসভা ও আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে ছিলাম। সংশ্লিষ্ট অফিসারকে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
বাগেরহাটের লবনাক্ত মাটিতে এবার নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলেছেন এডভোকেট জাকির হোসেন। ২০১৯ সালে ইউটিউব দেখে সখের বসে শুরু করেছিলেন সৌদি খেজুরের চাষ। সেই সখ আজ তাকে সফল উদ্যোক্তায় নিয়ে দাঁড়িয়েছেন। রামপাল উপজেলার সন্ন্যাসীর হাজীপাড়া এলাকায় গড়ে তুলেছেন রামপাল সৌদি খেজুর বাগান । ৩০ বিঘা জমির মৎস্য ঘেরের খামারের বেড়িবাঁধে সৌদি খেজুরগাছ চাষ করছেন। এখন তার খেজুর বাগানে গাছের সংখ্যা ৪০০ প্রায়। প্রথমে এলাকাবাসী উপহাস করলেও গত ২ বছর ধরে খেজুরের ফলন দেখে অবাক। তার বাগানে ঝুলছে আজোয়া, মরিয়ম, আম্বার, বারিহীসহ অন্তত পাঁচটি জাতের খেজুর।স্থানীয় বাসিন্দা সুমন তরফদার বলেন, জাকির ভাই আমাদের সবার পরিচিত ব্যক্তি তিনি ভালো মনের মানুষ। তার এই সৌদি খেজুরের সারি সারি গাছ দেখে অবাক হয়েছি। মরুর দেশে জন্ম নেওয়া যে ফসল, সেই খেজুর আমাদের এই অঞ্চলে চাষ হচ্ছে ভাবতেই খুব ভালো লাগছে। গাছগুলোকে এত সুন্দর ও পরিপাটি ভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে মন ভরে গেছে। জাকির ভাই আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা। যাত্রাপুর থেকে নার্সারি দেখতে আসা বাদশা বলেন, আমার বাড়ি যাত্রাপুর আমি রামপাল এসেছি জাকির হোসেনের সৌদি খেজুরের বাগানটি নিজের চোখে দেখতে। মরুভূমির সৌদি আরবের খেজুর আমাদের দেশে চাষ হচ্ছে এটা সত্যিই অবাক করার মতো। গাছগুলো ঘুরে দেখলাম, ফলনও বেশ ভালো হয়েছে।খামার দেখাশোনা করেন রেজাউল তরকদার বলেন, খেজুর গাছের পরিচর্যা নিয়ে অনেকেই হতাশ। তবে এই খেজুর গাছের পরিচর্যা তেমন কিছু নয়। জৈব সার প্রয়োগ করি এবং মাসে একবার গাছগুলোতে স্প্রে করে দেই। তবে গন্ডার পোকা নামে একটি পোকা আছে যা গাছের মূলে খেয়ে ফেলে। তখন গাছটি মারা যায়। এই পোকার ওষুধ পাওয়া গেলে গাছের ফলন আরো ভালো হবে।তাই গাছগুলো যেন রোগমুক্ত থাকে, সেজন্য সময়মতো ঔষধ ব্যবহার করতে হয়। খেজুরের ফুল ফোটা থেকে শুরু করে ফল পাকার প্রতিটি ধাপেই আলাদা মনোযোগ দিতে হয় যেমন ধরুন গাছের গোড়ায় আগাছা পরিষ্কার করা, পাখি, ইঁদুর , পোকামাকড় খেয়ে ফেলে খেজুর গুলো এছাড়া বৃষ্টির সময় পেপার দিয়ে ঢেকে দিতে হয় কারন তা না হলে বৃষ্টির পানি লেগে খেজুর নষ্ট হয়ে যায়। গাছে কলম বাঁধতে হয় ।এই খেজুর গাছের সব চেয়ে বেশি ক্ষতিকর হচ্ছে কটা পোকা এইটা ধরলে গাছ মারা যায়। আর এই খেজুর পাকা শুরু করলে একটা গন্ধ ভেসে বেড়ায় আর এই গন্ধে পাখি আসে এসে খেজুর নষ্ট করে ফেলে।সফল উদ্যোক্তা এডভোকেট জাকির হোসেন বলেন, ২০১৪ সালে ৩০বিঘা জমিতে ৯টি পুকুর খনন করে মাছ চাষ শুরু করি। পুকুরের পাড়জুড়ে বিভিন্ন ফলজ গাছও রোপণ করি। কিন্তু লোনা পানির জন্য এসব ফসলে লাভ হচ্ছিল না। অন্য দিকে অতিরিক্ত লোনা পানির কারণে ঘেরে গলদা চিংড়ি বা কার্পজাতীয় মাছ ভালো হয় না। তারপর কয়েক বছরে বাগদা চিংড়িতেও লোকসানে পড়ি। পরে হতাশা কাটিয়ে উঠতে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ‘রামপাল সৌদি খেজুর বাগান’ নাম দিয়ে এই খেজুর চাষ শুরু করি।প্রথম দিকে লোকজন আমাকে বলছে নোনা পানি আর মাটি ও নোনা এতো টাকার চারা রোপণ করলে কি বাঁচবে। কিন্তু আমি তাদের কথা না শুনে শুরু করি আমার পথ চলা।ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে ৬০টি সৌদি খেজুরের চারা এনে রোপণ করি। বর্তমানে আমার বাগানে আজোয়, মরিয়ম, সুকারি, আম্বার ও বারহি ,এই পাঁচ জাতের ৪০০ টি ছোট বড় মিলিয়ে খেজুর গাছ রয়েছে। বর্তমানে ৮০টি গাছে ফলন হলেও আগামী এক বছরের মধ্যে বাগানের অন্তত ২০০ থেকে ৩০০ গাছে খেজুর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী বছর থেকে বাণিজ্যিক উপায়ে আরো খেজুর ও চারা বিক্রি করতে পারবো।তিনি আরও বলেন, যারা নতুন এই চাষের পরিকল্পনা করছেন তাদের অবশ্যই একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে কলম ও বীজ দুভাবেই সৌদি খেজুরের চারা তৈরি হয়। এই বীজের চারার বেশির ভাগ পুরুষ হয়ে যায়। ফলে ফল আসে না। তাই নতুন যারা শুরু করবে, তাদের কলমের (অপ শুট) চারা কেনার জন্য পরামর্শ দেন তিনি। আমার এখানে এখন সার্বক্ষণিক তিনজন কর্মচারী রয়েছে। ভবিষ্যতে এই নার্সারিতে আরও অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মো. মোতাহার হোসেন বলেন, সৌদি খেজুর মরুভূমির ফসল। লোনা পানির জমিতে এই ফসল চাষের খবর শুনে প্রথমে একটু অবাকই হয়েছিলাম। পরে খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারি এডভোকেট জাকির হোসেন নামের এক ব্যক্তি খেজুর চাষে সফলতা পেয়েছেন। এখন যদি খেজুরের স্বাদ, পুষ্টিগুণ ও উৎপাদনের পরিমাণ ঠিক থাকে, তাহলে লোনা পানির এলাকার জন্য এটি একটি নতুন দৃষ্টান্ত হবে। সৌদি খেজুর চাষের এই উদ্যোগকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও কারিগরি সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে বলে জানান এই কর্মকর্তা। ভোরের আকাশ/আজাসা
বগুড়ার আদমদীঘিতে নাশকতার মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা হযরত আলীকে (৫৪) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার হযরত আলী উপজেলার সান্তাহার ইউনিয়নের কায়েতপাড়া গ্রামের ইব্রাহিম সরদারের ছেলে। তিনি সান্তাহার ইউপির দুই নম্বর ওয়ার্র্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক। মঙ্গলবার সকালে তার নিজ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশ।পুলিশ জানায়, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট আদমদীঘি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত বিএনপি অফিসে ককটেল নিক্ষেপ, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গত বছরের ২৫ আগস্ট থানায় বিশেষ ক্ষমতা ও বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা দায়ের হয়। এ মামলায় নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতপরিচয়সহ প্রায় পাঁচ শতাধিক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের আসামী করা হয়েছে। সেই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়।আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম মোস্তাফিজুর রহমান জানান, হযরত আলীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ মামলার অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলমান রয়েছে।ভোরের আকাশ/আজাসা
কুষ্টিয়ায় পদযাত্রার পথসভায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)র আহবায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, সারারাত ধরে সন্ত্রাসী ফ্যাসিবাদ বিরোধী লড়াইয়ে আবরার ফাহাদ মাইলফলক ছিলেন। আবরারের মৃত্যু ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, আবরারের মৃত্যুর প্রতিবাদে মিছিলে ‘দিল্লি না ঢাকা’ স্লোগান দেওয়া হয়েছিল। সেই স্লোগানই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জুলাইয়ে আবারও দেওয়া হয়। বাংলাদেশ পন্থী পথ দেখিয়ে গেছেন আবরার ফাহাদ। সেই পথেই জাতীয় নাগরিক পার্টি রাজনীতি করছে। সেই পথ ধরেই জুলাই গণঅভ্যুথান সংগঠিত হয়েছিল। আবরার ফাহাদ থেকে আবু সাঈদ সকল শহীদকে আমরা স্মরণ করি। তারা যেই বাংলাদেশ দেখতে চেয়েছিল পদযাত্রার মাধ্যমে আমরা সেই বাংলাদেশ গড়তে দেশবাসীকে আহবান জানাচ্ছি।বিকেল সাড়ে তিনটায় কুষ্টিয়া শহরের ৫ রাস্তার মোড়ে সংক্ষিপ্ত পথসভায় নাহিদ ইসলাম এসব কথা বলেন। এসময় এনসিপির মুখ্য সম্বনয়কারী নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, উত্তর অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিন অঞ্চলের মূখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ ছাড়াও নুসরাত তাবাস্সুম, ডাক্তার তাসনিম জারাসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে বেলা ১টায় কুমারখালী উপজেলার রায়ডাঙা গ্রামে বুয়েটে নিহত শহীদ আবরার ফাহাদের কবর জিয়ারত করেন এনসিপির নেতারা। এরপর ৮ম দিনের মত জুলাই পদযাত্রা শুরু করেন তারা। বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে অনেক দেরিতে শুরু হয় এই পদযাত্রা। আবরার ফাহাদের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ শেষে সড়ক পথে কুষ্টিয়া শহর অভিমুখে পদযাত্রার শুরুতে কুমারখালীর আলাউদ্দিন মোড়ে পথসভা করেন। পরে বিকেল সাড়ে তিনটায় কুষ্টিয়া শহরের ৫ রাস্তার মোড়ে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সংক্ষিপ্ত এই পথসভা থেকে কুষ্টিয়ার পথযাত্রা শেষ হয়। এরপর পদযাত্রা মেহেরপুর জেলার দিকে যায়। উল্লেখ্য, গত ১লা জুলাই রংপুর থেকে এ পদযাত্রা শুরু হয়।ভোরের আকাশ/আজাসা
কক্সবাজারের উখিয়ায় নিখোঁজের পর কামাল হোসেন নামে এক ইউপি মেম্বারের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের মনখালী খাল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উখিয়া ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) দুর্জয় সরকার।কামাল হোসেন ওই এলাকার সিদ্দিক আহমদের ছেলে এবং রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য।নিহতের পরিবারের সদস্যদের বরাতে দুর্জয় সরকার জানান, সোমবার রাত ১১ টার পর বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ ছিলেন কামাল হোসেন। মঙ্গলবার দুপুরে মনখালী খালে মরদেহ দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। পরে স্বজনরা এসে মরদেহটি কামাল হোসেনের বলে শনাক্ত করেন।কারা, কীভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে এব্যাপারে তদন্ত চলছে জানিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হচ্ছে।ভোরের আকাশ/আজাসা