আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৮ জুলাই ২০২৫ ০৫:১০ পিএম
আমতলীতে রাস্তা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০
বরগুনার আমতলীর কুকুয়া ইউনিয়নের সাহেববাড়ী স্ট্যান্ড এলাকায় বাইপাস রাস্তা সংস্কারকে কেন্দ্র করে দুই প্রতিবেশী পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (৭ জুলাই) রাত ১১টার দিকে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হন। এদের মধ্যে আটজনকে গুরুতর অবস্থায় পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আমড়াগাছিয়া গ্রামের গুদির খালে স্লুইস গেট নির্মাণ চলমান থাকায় ঠিকাদার বাদশা মিয়া স্থানীয়দের চলাচলের জন্য একটি কাঁচা বাইপাস সড়ক তৈরি করে দেন। কিন্তু টানা বৃষ্টির কারণে রাস্তার অবস্থা বেহাল হয়ে পড়ে। রাস্তা সংস্কারে বিলম্ব হওয়ায় স্থানীয় ওমর আলী চৌকিদার ও মনির প্যাদার মধ্যে শনিবার প্রথম উত্তেজনা দেখা দেয়।
এরই জেরে সোমবার রাতে শালিস বৈঠকের কথা থাকলেও তার আগেই দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে আহত হন কালাম দফাদার, মোসাদ্দেক হোসেন, হাবিবুল্লাহ, মাহবুব, ওমর আলী চৌকিদার, সুজন প্যাদা, সোহাগ প্যাদা ও মনির প্যাদা। এদের উদ্ধার করে রাতেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এছাড়া আব্বাস মৃধা ও আবু বকর স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাস্তা সংস্কার নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মনির প্যাদার লোকজন প্রথমে কালাম দফাদারের ওপর হামলা করে। তখন দুই পক্ষ দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
গ্রাম পুলিশ আবু কালাম বলেন, “আমার ভাইকে মারধরের ঘটনায় শালিস বৈঠকের কথা ছিল। কিন্তু মনির প্যাদা ও তার ছেলেরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমার পক্ষের সাতজন গুরুতর জখম হয়েছে।”
অন্যদিকে মনির প্যাদা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “উল্টো ওমর আলী চৌকিদারের লোকজন আমার ছেলেদের মারধর করেছে। এতে আমরা আহত হয়েছি।”
পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ আবু বকর জানান, “গুরুতর আহতদের যথাযথ চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।”
এ বিষয়ে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, “ঘটনার বিষয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ভোরের আকাশ/আজাসা