চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতুর ওপর পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা বুকে মুছে গেছে। এতে কয়েকজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে, তবে হতাহতের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।বৃহস্পতিবার (৫ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সেতুর বোয়ালখালী অংশে এই দুর্ঘটনা ঘটে।স্থানীয়রা জানিয়েছে, কক্সবাজার থেকে আসা পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনটি চট্টগ্রাম শহরের দিকে যাচ্ছিল। ট্রেনটি কালুরঘাট সেতু অতিক্রম করার সময় সিগন্যাল চালু ছিল। ওই সময় একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা সিগন্যাল অমান্য করে সেতুর ওপর উঠে গেলে ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটে।কালুরঘাট ফায়ার স্টেশনের ফায়ার ফাইটার আমিনুল ইসলাম বলেন, রাত পৌনে ১১টার দিকে খবর পেয়ে আমরা দুটি ইউনিট ও অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছি। হতাহতদের উদ্ধারে কাজ চলছে। ভোরের আকাশ/হ.র
০৬ জুন ২০২৫ ১২:২৫ এএম
কারখানার ছাদ থেকে লাফ দিয়ে মৃত্যু, বিচার দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
গাজীপুরের শ্রীপুরে কারখানার আটতলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকের উপর পুলিশের লাঠিচার্জ, টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে।এসময় পুলিশ ও সেনা সদস্যরা বিক্ষুব্ধ শ্রমিকের উপর ব্যাপক লাঠিচার্জ করে। হামলা পাল্টা হামলায় শতাধিক শ্রমিক ও ১১ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা শিল্প পুলিশের একটি এপিসি গাড়ি ভাংচুর করে। পুলিশ টিয়ারগ্যাস ও লাঠিচার্জের বিষয়টি নিশ্চিত করলে ও গুলির বিষয়টি অস্বীকার করেন।পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।মঙ্গলবার (৩ জুন) সকালে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ধনুয়া গ্রামের নতুন বাজার এলাকার জিন্নাত নীটওয়্যার লিমিটেড নামক কারখানায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মো. জাকির হোসেন (২৫) নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলার বাদেচিরাম গ্রামের মোক্তার উদ্দিনের ছেলে। তিনি শ্রীপুর জিন্নাত নীটওয়্যার লিমিটেড নামক কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন।কারখানার কয়েকজন শ্রমিক বলেন, গতকাল সন্ধ্যার দিকে আমাদের কারখানার শ্রমিক জাকির হোসেন অসুস্থতার জন্য একদিনের ছুটি নেয়। এরপর ছুটি শেষে কারখানার উর্ধতন কতৃপক্ষ তাকে সকল শ্রমিকের সামনে কান ধরে উঠবস করান। এই অপমানে সে কারখানার আটতলা ভবন থেকে লাফ দিয়ে আত্নহত্যা করে।এর প্রতিবাদে আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন শুরু করলে পুলিশ প্রথমে আমাদের উপর লাঠিচার্জ শুরু করে। এরপর আমাদের লক্ষ্য করে টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে। একপর্যায়ে গুলি চালায় এতে আমাদের শতাধিক শ্রমিক আহত হয়। সীমানা প্রাচীর টপকে পালিয়ে যাওয়ার সময় অনেক শ্রমিক আহত হয়।তারা আরো জানান, পুলিশের টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপের পর অনেক শ্রমিক আহত হয়। আহত শ্রমিকদের উপর অমানুষিক নির্যাতন চালায়। অনেক শ্রমিক আশপাশের বাসাবাড়িতে আশ্রয় নিলে ওখানেও হামলা চালায়। আমাদের অর্ধশতাধিক শ্রমিক পিটিয়ে আহত করে আটক করে। ওদের নির্যাতনের মাত্রা জংলী জানোয়ারের চেয়ে ভয়াবহ।কারখানার মানবসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা জুবায়ের এম বাশার বলেন, একজন শ্রমিক আত্নহত্যা করছে এটাই জানি। এর জেরে তারা কারখানা ব্যাপক ভাংচুর শুরু করে। খুবই উত্তেজনা চলছে পরে কথা বলবো।শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মহম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, সকাল থেকেই পুলিশ ও শ্রমিকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।এ সময় পুলিশ টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে। ১১ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। তবে কোন গুলির ঘটনা ঘটেনি। এই মুহুর্তে কতজন শ্রমিক আটক করা হয়েছে তা বলা সম্ভব না। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা শিল্প পুলিশের একটি এপিসি গাড়ি ভাংচুর করেছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
০৩ জুন ২০২৫ ০২:২৬ পিএম
চক্ষু ইনস্টিটিউটে জুলাইয়ের আহতদের সঙ্গে কর্মচারীদের সংঘর্ষ
ঢাকার জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে জুলাই আন্দোলনে আহত এবং চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজনদের সঙ্গে হাসপাতালের কর্মচারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় চিকিৎসক, কর্মচারীদের অনেকে আহত হয়েছেন বলে হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক চিকিৎসক জানে আলম জানিয়েছেন।বুধবার (২৮ মে) সকাল ১০টার পর থেকে সংঘর্ষ শুরু হলে রোগীর স্বজনরাও তাতে যোগ দেন। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও কোস্টগার্ড সদস্যদের ডাকা হয়।হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. খায়ের আহমেদ চৌধুরী বলেন, হাসপাতালের অবস্থা খুবই বাজে। কর্মচারীরা ইনসিকিউরড ফিল করায় কর্মবিরতি পালন করছে। আন্দোলনকারীরা তাদের ওপর হামলা করেছে, আবাসিক কোয়ার্টার ভাঙচুর করেছে।জুলাই আহতদের একজন হিল্লোল বলেন, স্টাফরা আমাদের ও পাবলিকের ওপর হামলা করেছে। আমি ছেলেপেলেদের ঠেকাতে ব্যস্ত।ঘটনার জেরে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীদের অনেকেই নিরাপত্তার অভাবে আত্মগোপনে চলে গেছেন বলে জানান এক চিকিৎসক।ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (তেজগাঁও) আলমগীর কবির বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।এর আগে মঙ্গলবার ইনস্টিটিউট পরিচালকের কক্ষে ঢুকে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন আন্দোলনে আহত চারজন। প্রায় দেড় ঘণ্টা পরিচালককে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পরে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সুইসাইড অ্যাটেম্পটকারীদের মধ্যে একজন পেট্রল নিয়ে আসায় নিরাপত্তা শঙ্কা আরও বাড়ে।হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, বিষপানকারী চারজন বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং তারা শঙ্কামুক্ত।ভোরের আকাশ/এসএইচ
২৯ মে ২০২৫ ০১:০১ এএম
ঢাকা কলেজ-সিটি কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া
রাজধানীর সায়েন্সল্যাব মোড়ে ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে সংঘর্ষ এবং ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার সূত্রপাত হয়।এ সময় উভয় কলেজের শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে দেখা যায়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে সংঘর্ষের কারণ জানা যায়নি।ঘটনাস্থলে দেখা গেছে, সিটি কলেজে শিক্ষার্থীরা সায়েন্সল্যাব ফুটওভার ব্রিজের নিচে এবং ঢাকা কলেজে শিক্ষার্থীরা সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। উভয়পক্ষ ইটপাটকেল নিক্ষেপ করছে। এতে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এদিকে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় ওই এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। উভয় গ্রুপকে ছত্রভঙ্গ করতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি, ধানমন্ডি জোন) জিসানুল হক বলেন, আমরা দুইপক্ষে থামানোর চেষ্টা করছি। আমাদের পুলিশের সদস্যরা দুই পাশেই অবস্থান করছে। তাদের মধ্যে এখনও উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে কী কারণ এ সংঘর্ষ বেঁধেছে আমরাও এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি।ভোরের আকাশ/এসএইচ