ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ঈশ্বরবা এলাকায় শ্যালো ইঞ্জিন চালিত আলমসাধুর সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে রুহুল আমিন (২২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। এ সময় মোটরসাইকেলে থাকা লালচান নামে আরেক আরোহী আহত হয়েছে।বুধবার (২৩ জুলাই) সকালে কালীগঞ্জ-কোটচাঁদপুর সড়কের ঈশ্বরবা মাঠপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।নিহত রুহুল আমিন কোটচাঁদপুর উপজেলার শিশারকুণ্ডু গ্রামের হামিদুল ইসলামের ছেলে।প্রত্যক্ষদর্শী সামিউল ইসলাম জানান, সকালে কোটচাঁদপুরের দিক থেকে একটি মোটরসাইকেল দ্রুতগতিতে কালীগঞ্জ শহরের দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে ঈশ্বরবা এলাকায় পৌঁছালে একটি নসিমনকে ওভারটেক করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কোটচাঁদপুরগামী আলমসাধুর সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।এ সময় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে রাস্তার উপর পড়ে রুহুল আমিন। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এসময় মোটরসাইকেলে থাকা অপর আরোহীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।কালীগঞ্জ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, শ্যালো ইঞ্জিন চালিত আলমসাধুর সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে যুবক নিহত হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
২৩ জুলাই ২০২৫ ০১:১০ পিএম
নাটোরে ট্রাক-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত ৬
নাটোরে বনপাড়া হাটিকুমরুল মহাসড়কে ট্রাক মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে মাইক্রোবাসের যাত্রী ৫নারীসহ ৬ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ঘটনাস্থলে ৫ জন এবং আহত দুজনকে বড়াইগ্রাম উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে একজন মারা যায়। বুধবার (২৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বনপাড়া হাটিকুমরুল মহাসড়কের জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার আইড়মারী ব্রীজ এলাকায় এই দূর্ঘটনা ঘটে।ছবি : ভোরের আকাশপ্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বনপাড়া হাটিকুমরুল মহাসড়কের জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার আইড়মারী ব্রীজ এলাকায় ঢাকা গামী যাত্রীবাহী সাদা মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্রো চ ১৩-৯৭৯২) সাথে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মাল বোঝাই ট্রাকের (ঢাকা মেট্রো ট ২৪-৪৮৬৪) সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ট্রাক চাপায় ঘটনা স্থালে মাইক্রোবাসের যাত্রী চার নারীসহ ৫জন নিহত হয়। পরে আহতদের বড়াইগ্রাম উপজেলা হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে আরেক নারী মারা যায়। হতাহতদের তাৎক্ষনিত পরিচয় না পাওয়া গেলেও তারা সকলে একই পরিবারের লোকজন বলে ধারণা করা হচ্ছে।বনপাড়া হাইওয়ে থানার ওসি ইসমাইল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে শুধু মাইক্রোবাসের চালকের নাম জানা গেছে। তাঁর নাম রুবেল হোসেন (৩২)। বাড়ি মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায়। হতাহত ব্যক্তিরা দুর্ঘটনাকবলিত মাইক্রোবাসের আরোহী।বনপাড়া হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সকাল সাড়ে ১০ দিকে আইড়মারী এলাকায় মেহেরপুর থেকে ঢাকাগামী একটি মাইক্রোবাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা সিমেন্টবোঝাই একটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় মাইক্রোবাসটি দুমড়েমুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই চালক রুবেল হোসেনসহ পাঁচজন নিহত হন। গুরুতর আহত দুজনকে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে আরও একজনের মৃত্যু হয়। অন্য আহত ব্যক্তিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মিজানুর রহমান নামের একজন বলেন, মাইক্রোবাসটি অন্য একটি গাড়িকে অতিক্রম করছিল। তখন বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাকের সঙ্গে মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ হয়। নিহত ছয়জনের মধ্যে চারজন নারী ও দুজন পুরুষ।হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন জানান, হতাহত ব্যক্তিরা মাইক্রোবাসের আরোহী ছিলেন। তাঁদের সবার পরিচয় জানা যায়নি। দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাকটি আটক করা হয়েছে, তবে চালক পালিয়ে গেছেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
২৩ জুলাই ২০২৫ ১১:৫৬ এএম
তদন্তের প্রয়োজনে লাশ উত্তোলন করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
গোপালগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের ময়নাতদন্তের প্রয়োজনে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।শনিবার (১৯ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ কথা জানান।জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, গোপালগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনায় ৫ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে ঢাকায় যে মারা গেছেন, তার ময়নাতদন্ত হচ্ছে। গোপালগঞ্জে যারা মারা গেছেন, তাদের কায়েকজনের লাশ পরিবার নিয়ে গেছেন। তাদের ময়নাতদন্ত কীভাবে হবে? যদি দরকার হয় আবার ময়নাতদন্ত করা হবে।গোপালগঞ্জে ঘটনার দায় কাকে দেবেন এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এ বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি নির্ধারণ করবে এ দায় কার, আপনারা জানতে পারবেন।টার্মিনাল উদ্বোধনের বিষয়ে তিনি বলেন, খুব তাড়াতাড়ি থার্ড টার্মিনালটি উদ্বোধন করা হবে। তারিখ নির্ধারিত হলে গণমাধ্যমকে জানানো হবে।ইমিগ্রেশন বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ইমিগ্রেশনে কী পরিমাণ জনবল প্রয়োজন হবে তা বুঝতে হবে। এটার অপারেশন ক্যাপাবিলিটি অনেক অনেক বেশি। তৃতীয় টার্মিনালের কাজ প্রায় ৯৮ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১৯ জুলাই ২০২৫ ০২:০১ পিএম
থমথমে গোপালগঞ্জ, চলছে কারফিউ
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হওয়ায় গোপালগঞ্জে কারফিউ চলছে। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই কারফিউ বলবৎ থাকবে।আজ সকাল থেকে রাস্তায় খুব একটা গাড়ি দেখা যায়নি। অফিসগামী মানুষ ছাড়া তেমন কেউ ঘর থেকে বেরও হয়নি। রাস্তায় কোথাও পুলিশ চোখে না পড়লেও কয়েকটি জায়গায় আনসার সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে।বুধবার (১৬ জুলাই) সকালে গোপালগঞ্জ শহরে ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ নামে পদযাত্রা কর্মসূচির আয়োজন করে এনসিপি। তবে সকাল ৯টার পর থেকে শহরের বিভিন্ন এলাকায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এনসিপি নেতাকর্মীদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মিছিল ও সমাবেশে বাধা দিয়ে হামলা চালান।সদর উপজেলার কংশুরে পুলিশের গাড়ি, ইউএনওর বহর, পৌর পার্কের সমাবেশস্থল, জেলা প্রশাসকের বাসভবন, এমনকি জেলা কারাগারের চারপাশে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।দুপুর ২টার কিছু পর এনসিপির শীর্ষ নেতারা সমাবেশস্থলে পৌঁছান। সমাবেশ শেষে ফেরার সময় তাদের ওপর আবার হামলা হয়। একপর্যায়ে তারা জেলা পুলিশের কার্যালয়ে আশ্রয় নেন।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী, র্যাব ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়। সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যান ব্যবহার করে সন্ধ্যায় এনসিপি নেতাদের গোপালগঞ্জ থেকে খুলনায় নেওয়া হয়।এদিকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জুলাই পদযাত্রা ঘিরে গতকাল দিনভর দফায় দফায় হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এ হামলা চালিয়েছেন। হামলাকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষে ৪ জন নিহত এবং অন্তত ৯ জন গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন।এনসিপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, হামলাকারীরা বিভিন্ন মসজিদে ঢুকে মাইক ব্যবহার করে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। তারা স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের নির্লিপ্ত ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকার শাহবাগসহ রাজধানী ও বিভিন্ন জেলায় সড়ক অবরোধ করে এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। পদ্মা সেতুর টোল প্লাজা এলাকাতেও বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে।ঘটনার নিন্দা জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অপরাধীদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।এদিকে, রাতের পরিস্থিতি বিবেচনায় গোপালগঞ্জে অতিরিক্ত দেড় হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তরের একটি সূত্র। তবে শহরে প্রবেশের পথে গাছ ফেলে সড়ক অবরোধ করায় অনেক পুলিশ সদস্য ঢুকতে পারেননি বলে জানানো হয়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১৭ জুলাই ২০২৫ ১০:০০ এএম
গোপালগঞ্জে হামলা-সংঘর্ষে নিহত ৪
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আয়োজিত পদযাত্রা ও সমাবেশে হামলার জেরে ছাত্রলীগ ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন।বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে হাসপাতাল ও নিহতের পরিবার সূত্রের এ তথ্য জানা গেছে। এর মধ্যে দুজন হলেন গোপালগঞ্জ শহরের উদয়ন রোডের বাসিন্দা সন্তোষ সাহার ছেলে দীপ্ত সাহা (২৫) ও কোটালীপাড়ার রমজান কাজী (১৮।গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জীবিতেষ বিশ্বাস বলেন, বিকেলে তিনজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তারা গুলিবিদ্ধ ছিলেন। এছাড়া আরও ৯ জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তাদের অস্ত্রোপচার চলছে।এরআগে, আজ বুধবার দুপুরে গোপালগঞ্জ শহরের পৌরপার্ক এলাকায় এনসিপির পদযাত্রা শেষে সমাবেশ চলাকালীন হঠাৎ করে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিতে দিতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ এনসিপির। হামলাকারীরা সমাবেশস্থলে ঢুকে মঞ্চ ভাঙচুর করে, সাউন্ড সিস্টেম ও চেয়ার-টেবিল ছুড়ে ফেলে দেয় এবং নেতাকর্মীদের মারধর করে।এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে, ফলে মুহূর্তেই এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। সংঘর্ষ চলাকালে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা এনসিপির গাড়িবহরের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে।এ ঘটনায় গোটা গোপালগঞ্জ শহরে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্থানীয় প্রশাসন শহরে ১৪৪ ধারা জারি করেছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১৬ জুলাই ২০২৫ ০৭:২৩ পিএম
আমতলীতে রাস্তা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০
বরগুনার আমতলীর কুকুয়া ইউনিয়নের সাহেববাড়ী স্ট্যান্ড এলাকায় বাইপাস রাস্তা সংস্কারকে কেন্দ্র করে দুই প্রতিবেশী পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (৭ জুলাই) রাত ১১টার দিকে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হন। এদের মধ্যে আটজনকে গুরুতর অবস্থায় পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আমড়াগাছিয়া গ্রামের গুদির খালে স্লুইস গেট নির্মাণ চলমান থাকায় ঠিকাদার বাদশা মিয়া স্থানীয়দের চলাচলের জন্য একটি কাঁচা বাইপাস সড়ক তৈরি করে দেন। কিন্তু টানা বৃষ্টির কারণে রাস্তার অবস্থা বেহাল হয়ে পড়ে। রাস্তা সংস্কারে বিলম্ব হওয়ায় স্থানীয় ওমর আলী চৌকিদার ও মনির প্যাদার মধ্যে শনিবার প্রথম উত্তেজনা দেখা দেয়।এরই জেরে সোমবার রাতে শালিস বৈঠকের কথা থাকলেও তার আগেই দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে আহত হন কালাম দফাদার, মোসাদ্দেক হোসেন, হাবিবুল্লাহ, মাহবুব, ওমর আলী চৌকিদার, সুজন প্যাদা, সোহাগ প্যাদা ও মনির প্যাদা। এদের উদ্ধার করে রাতেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এছাড়া আব্বাস মৃধা ও আবু বকর স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাস্তা সংস্কার নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মনির প্যাদার লোকজন প্রথমে কালাম দফাদারের ওপর হামলা করে। তখন দুই পক্ষ দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।গ্রাম পুলিশ আবু কালাম বলেন, “আমার ভাইকে মারধরের ঘটনায় শালিস বৈঠকের কথা ছিল। কিন্তু মনির প্যাদা ও তার ছেলেরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমার পক্ষের সাতজন গুরুতর জখম হয়েছে।”অন্যদিকে মনির প্যাদা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “উল্টো ওমর আলী চৌকিদারের লোকজন আমার ছেলেদের মারধর করেছে। এতে আমরা আহত হয়েছি।”পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ আবু বকর জানান, “গুরুতর আহতদের যথাযথ চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।”এ বিষয়ে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, “ঘটনার বিষয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”ভোরের আকাশ/আজাসা
০৮ জুলাই ২০২৫ ১১:১০ পিএম
মঠবাড়িয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৫
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় সদস্য নবায়ন, যাচাই-বাছাইকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৫ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে গুরুতর তিনজনকে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি তিনজন মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি।আহতরা হলেন, স্থানীয় ধানীসাফা ইউনিয়নের সাবেক ছাত্রদল সভাপতি মো. সজিব হাওলাদার, আমড়াগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপি কর্মী মো. ছগির হোসেন (৪৫), সাবেক পৌর ছাত্রদল নেতা ইসতিহাক আহম্মেদ মিশাত, গুলিসাখালী ইউনিয়ন বিএনপি কর্মী নেতা মো. সোহাগ তালুকদার (৪০) ও টিকিকাটা ইউনিয়ন বিএনপি কর্মী মো. ইউসুফ খান ।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সোমবার (৩০ জুন ) রাতে মঠবাড়িয়া পৌর শহরের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে সদস্য নবায়ন ও যাচাই-বাছাই চলছিলো। এসময় পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিগত দিনে যারা আওয়ামী লীগের সাথে সম্পৃক্তদের সদস্য ফর্ম পূরণ করানোর অভিযোগ ওঠে বহিস্কৃত রুহুল আমিন দুলাল ও পৌর বিএনপি আহ্বায়ক হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে। তালিকায় অনিয়মের বাধা দিলে বহিস্কৃত বিএনপি নেতা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক রুহুল আমীন দুলালের ছোট ভাই মনিরুজ্জামান ছোট্টোর সাথে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শামীম মিয়া মৃধার ভাগ্নে মিশাত মিশুর সাথে তর্ক-বিতর্কের একপর্যায়ে সংঘর্ষ বেধে যায়।পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মো. হুমায়ূন কবীর বলেন, কিছু সদস্য ফরম নিয়ে মতবিরোধকে কেন্দ্র করে বিবাদ সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। আমি দেখি উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শামীম মৃধার ভাগ্নে মিশাতকে উপস্থিত জনতা মারছেন। আমি গিয়ে ছাড়িয়ে দেই। আমি নিবৃত না করলে জনতার পায়ের নিচে পরে মারা যেতেন। বিষয়টি দলীয়ভাবে সমাধানের চেষ্টা চলছে।মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, বিএনপির দুইগ্রুপের সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ বিষয়ে কোনো পক্ষ অভিযোগ করেননি।ভোরের আকাশ/আজাসা
০১ জুলাই ২০২৫ ০৩:২১ পিএম
মাগুরায় প্রাইভেটকার ও ভ্যানগাড়ি মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১
মাগুরা সদরের আলোমখালি এলাকায় প্রাইভেটকার ও ব্যাটারী চালিত ভ্যানগাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে তৈয়ব আলী (৬০) নামের এক ভ্যানযাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন তার স্ত্রী নবীরন নেছা ও ভ্যানচালক জিয়াউর রহমান।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে তৈয়ব আলী ও তার স্ত্রী নবীরন নেছা কিনা-কাটা করার উদ্দেশ্য ভ্যানে করে গোপালপুর বাজারে যাচ্ছিলেন এসময় আলোমখালি বাজার পৌঁছালে ঝিনাইদহগামী একটি প্রাইভেট কারের সঙ্গে ব্যাটারী চালিত ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে ভ্যানের যাত্রী রাস্তার উপর ছিটকে পড়েন।স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করে দ্রুত মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ অনুপ তৈয়ব আলীকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় নবীরন নেছা ও ভ্যানচালক জিয়াউর রহমানকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।মাগুরা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবির জানান, খবর পেয়ে আমাদের একটি টিম হাসপাতাল পরিদর্শন করেছে। নিহতের মরদেহ হাসপাতালের অস্থায়ী মর্গে রাখা হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।ভোরের আকাশ/জাআ
২৮ জুন ২০২৫ ০৯:০০ পিএম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফুল ছেঁড়া নিয়ে সংঘর্ষ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফুল ছেঁড়া নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৭ পুলিশ সদস্যসহ ৩০ জন আহত হয়। মঙ্গলবার (২৪ জুন) রাতে আশুগঞ্জ উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।সংঘর্ষে দোকানপাট, বাড়িঘর ভাঙচুর ও একটি বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বুধবার (২৫ জুন) সকাল থেকে ফের সংঘর্ষ এড়াতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, প্রায় ১০/১২ দিন আগে মহাজন বাড়ি ও সরকার বাড়ির মধ্যে ফুটবল খেলা নিয়ে ঝগড়া হলে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়। মঙ্গলবার বিকেলে বাহাদুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ওই দুই গোষ্ঠীর ছেলেদের মধ্যে আবারো ফুটবল খেলা চলছিল। এসময় স্থানীয় মহাজন বাড়ির নরুল হকের ছেলে ইয়াছিন পাশের একটি কবরস্থান থেকে ফুল ছিঁড়ে নিয়ে আসে। এরপর সরকার বাড়ির ফাইজুর রহমানের ছেলে আসিফ স্কুলের আঙিনা থেকে একটি ফুল ছিঁড়ে। এসময় ফুল ছেঁড়া নিয়ে উভয়ের মধ্যে তর্কবিতর্কের সময় হাতাহাতি হয়।পরববর্তীতে এই বিষয়টি গ্রামের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় মহাজন বাড়ির পক্ষে মোল্লা বাড়ি, আছিরের বাড়ি ও সরকার বাড়ির পক্ষে জাকির মিয়ার বাড়ি সংঘর্ষে অংশ নেন। পরে রাতে দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে ৭ জন পুলিশসহ উভয় পক্ষের অত্যন্ত ৩০ জন আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনার চেষ্টা করলে ইটপাটকেলের আঘাতে তাদের ব্যবহৃত সরকারি গাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খাইরুল আলম জানান, খবর পেয়ে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ফের সংঘর্ষ এড়াতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।ভোরের আকাশ/আজাসা
২৫ জুন ২০২৫ ০৬:৫৭ পিএম
কুষ্টিয়ায় অ্যাম্বুলেন্স-ট্রলি সংঘর্ষে হেলপার নিহত
কুষ্টিয়ার মিরপুরে অ্যাম্বুলেন্স ও ইট বোঝায় ট্রলির সংঘর্ষে এম্বুলেন্সের হেলপার অনিক (১৮) এর মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২ জন। আহতদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার (১৪ জুন) সকাল ৮ টার দিকে কুষ্টিয়া-মেহেরপুর সড়কের মিরপুর উপজেলার সদরপুর ইউনিয়নের সদরপুর সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদ্রাসার সামনে এ দূর্ঘটনা ঘটে।নিহত অনিক মিরপুর উপজেলার তালবাড়িয়া ইউনিয়নের চারুলিয়া এলাকার হাফিজুর রহমানের ছেলে। সে কুষ্টিয়ার একটি বেসরকারী এ্যাম্বুলেন্সের এর হেলপার হিসাবে কাজ করতো। এই ঘটনায় আহত এ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার শিহাব (২২) একই উপজেলার চারুলিয়া গ্রামের শহিদ হোসেনের ছেলে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আহত অন্য একজনের নাম পরিচয় সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে কুষ্টিয়া থেকে মেহেরপুরগামী একটি এ্যাম্বুলেন্স এর সামনের চাকা ফেটে বিপরীত দিক থেকে আসা ইট বোঝায় ট্রলিকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই অনিকের মৃত্যু হয়। এসময় এ্যাম্বুলেন্স চালাচ্ছিল হেলপার, চালক ভেতরে ঘুমিয়ে ছিলো বলে জানা যায়।মিরপুর থানা পুলিশের ওসি তদন্ত আব্দুল আজীজ বলেন, ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। আহত আরও দুইজনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলীত গাড়ী দুটিকেও উদ্ধার করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/আজাসা
১৪ জুন ২০২৫ ০৪:১২ পিএম
সিরাজগঞ্জে দুই মহল্লায় সংঘর্ষ: যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ১৭
আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার ভাঙাবাড়ি ও দিয়ার ধানগড়া মহল্লাবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে আন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। এসময় বেশ কয়েকটি বাড়িঘরে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। টানা তিন দিন ধরে দফায় দফায় এই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে পুরো এলাকা জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।শুক্রবার (১৩ জুন) বিকেল থেকে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে অভিযান চালায় যৌথবাহিনী। অভিযানে দেশীয় অস্ত্রসহ ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে যৌথবাহিনী।অভিযানে নেতৃত্ব দেয় সেনাবাহিনীর ১১ পদাতিক ডিভিশন। সঙ্গে ছিল পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট ও অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা। অভিযানের সময় ভাঙাবাড়ি ও দিয়ার ধানগড়ার গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো ঘিরে ফেলে যৌথবাহিনী এবং তল্লাশি চালানো হয় একাধিক বাড়িতে।অভিযানকালে গ্রেপ্তার ১৭ জনের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র, হেলমেট ও লাঠিশোঠা। এসব অস্ত্র সংঘর্ষে ব্যবহৃত হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়াও পরবর্তী সংঘর্ষের জন্য ব্যবহার করার পরিকল্পনা ছিলো বলে জানা গেছে।স্থানীয় এলাকাবাসী সংঘর্ষের কারণে গত কয়েকদিন ধরে গভীর উদ্বেগ ও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছিলেন। দোকানপাট বন্ধ, রাস্তাঘাট ফাঁকা ও রাতে চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। যৌথবাহিনীর এই হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে দুই এলাকার পরিবেশ।সেনাবাহিনীর ১১ পদাতিক ডিভিশন জানিয়েছে, পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে এবং সংঘর্ষে জড়িত অন্যদের শনাক্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ