পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১১:৪৯ এএম
ছবি: সংগৃহীত
পাবনায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে আপন চাচাতো ভাইদের মধ্যে সংঘর্ষে টেঁটাবিদ্ধ হয়ে আবু বকর মন্ডল (৪০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আব্দুল আজিজ মন্ডল নামে আরও একজনকে গুরুতর আহতাবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নের তারাবাড়িয়ার চকপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আবু বকর চকপাড়া গ্রামের লবু মণ্ডলের ছেলে। তিনি ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। আহত আব্দুল আজিজ একই এলাকার কবির মন্ডল ওরফে কবু মন্ডলের ছেলে। তিনিও ইটভাটার শ্রমিকের কাজ করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত আবু বকর মন্ডল ও আহত আজিজ মন্ডলের মধ্যে বসতভিটার জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।
এরই জের ধরে শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাদের দুই পক্ষের মধ্যে ঝগড়া হয়।
একপর্যায়ে তারা টেঁটা ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় আপন চাচতো ভাই আবু কবর টেঁটাবিদ্ধ হন। আর আব্দুল আজিজ মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন।
এ সময় আবু বকর ও আব্দুল আজিজকে উদ্ধার করে সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক আবু বকরকে মৃত ঘোষণা করেন। আব্দুল আজিজের শারীরিক অবস্থা গুরুতর হওয়ায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে
পাঠানো হয়। এছাড়াও এ ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
তাদেরে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
চরতারাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রশিদ বলেন, পারিবারিক জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। দুপুরের দিকেও একবার সংঘর্ষ হয়েছে। রাতে তারাতাড়িয়া বাজারে বসে আছি। এমন সময় জানতে
পারি সেখানে সংঘর্ষ হয়েছে। দুইজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। হাসপাতালে গিয়ে দেখি আবু বকর মারা গেছে। পরে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় নিহতের চাচাতো ভাই আব্দুল আজিজকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। উভয়পক্ষই দরিদ্র। তারা শ্রমিকের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আপন চাচাতো ভাইদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। একজন নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশের ফোর্স পাঠানো হয়েছে।
মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশ কাজ করছে। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
ভোরের আকাশ/মো.আ.