পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের উদ্যোগে বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে ‘ট্যুরিজম অ্যান্ড সাসটেইনেবল ট্রান্সফরমেশন’ শিরোনামে সেমিনার শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত হয়েছে।এসময় সকাল ১১টায় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। এতে বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ অন্যান্য অতিথিরা অংশগ্রহণ করেন। র্যালি শেষে কেক কাটা হয়। কেক কাটা শেষে বিভাগেআলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. হাসিবুর রহমান। স্পিকার ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শোয়েবুর রহমান।আরও উপস্থিত ছিলেন ‘ইনস্টিটিউট অব অন্ট্রাপ্রেনারশিপ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’র পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আমিরুল ইসলাম এবং ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. রাশেদুল হক।সভাপতিত্ব করেন বিভাগের চেয়ারম্যান মো. আশিকুর রহমান অভি। উপ-উপাচার্য ড. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, জানতে ও শিখতে হলে আমাদের দেশ-বিদেশ ঘুরতে হবে। প্রকৃতিকে সংরক্ষণ করতে হবে। দেখা হতে অনেক কিছু যায়। রিসোর্সকে ব্যবহার করা এবং পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সংরক্ষণ করতে হবে। দর্শনীয় স্থানে পরিদর্শন করার মাধ্যমে সেখানকার সংস্কৃতি সম্পর্কেও ভালো ধারণা গ্রহণ করতে হবে।ভোরের আকাশ/জাআ
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৫:৫৫ পিএম
পাবনায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আজ
পাবনা-১ ও পাবনা-২ আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে পাবনার বেড়া উপজেলা। এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটি আজ রোববার উপজেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল এবং সড়ক ও নৌপথ অবরোধের কর্মসূচিও ঘোষণা দিয়েছে।এর আগে শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বেড়া পৌরসভার ফকির রাইস মিল প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক জরুরি সভায় এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক ও বেড়া পৌর বিএনপির সভাপতি ফজলুর রহমান ফকির।এর আগে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় বেড়া পৌরসভা, উপজেলার চার ইউনিয়নের রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধি ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ একত্র হয়ে ‘৬৮ পাবনা-১ সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটি’ গঠন করেন। তারা নির্বাচন কমিশনের সাম্প্রতিক সীমানা পুনর্বিন্যাসের সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানান।কমিটির নেতারা জানান, স্বাধীনতার পর থেকে পাবনা-১ আসনটি গঠিত ছিল পুরো সাঁথিয়া উপজেলা, বেড়া পৌরসভা ও বেড়ার চারটি ইউনিয়ন নিয়ে। অন্যদিকে, পাবনা-২ আসনে ছিল বেড়ার বাকি পাঁচটি ইউনিয়ন ও পুরো সুজানগর উপজেলা। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পাবনা-১ আসন হবে শুধু সাঁথিয়া উপজেলা, আর বেড়া ও সুজানগর উপজেলা মিলিয়ে গঠিত হবে পাবনা-২ আসন।এ সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন বেড়াবাসী। তারা অভিযোগ করছেন, এতে তাদের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে।প্রসঙ্গত, গত ৪ আগস্ট ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ৩০০ আসনের চূড়ান্ত সীমানার প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন। এরপর থেকেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বেড়াবাসী।ভোরের আকাশ/তা.কা
পাবনা-১ সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বহালের দাবিতে বেড়া উপজেলার বাসিন্দারা ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ করেছে। এতে বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের শত শত নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখা হয়েছে।অবরোধকারীরা টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে নিজেরাই নানা স্লোগান দেন, যেমন— “সীমানা বদল নয়, জনগণের অধিকার চাই”, “পাবনা-১ এর সীমানা কারো একক সম্পদ নয়”, “জনগণের কণ্ঠস্বর দমিয়ে রাখা যাবে না” এবং “গণদাবি অমান্য হলে গণআন্দোলন”।অবরোধকারীরা অভিযোগ করেছেন, বেড়া উপজেলাকে অন্যভাবে ভাগ করে পাবনা-১ আসনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে, যা তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য ও জনজীবনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।অবরোধের নেতৃত্ব দেন বেড়া পৌর বিএনপির সভাপতি ফজলুর রহমান ফকির, সিনিয়র সহ-সভাপতি সাজেদুল ইসলাম বিপু, সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন ইকবাল ও সাংগঠনিক সম্পাদক আকশেদ আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মইন উদ্দিন খাজা প্রমুখ।বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম হাবিবুল ইসলাম জানিয়েছেন, “সীমানা পুনর্বহালের দাবিতে অবরোধ চলছে। পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত।”ভোরের আকাশ/মো.আ.
০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০১:১২ পিএম
পাবনায় চাচাতো ভাইয়ের হাতে যুবক খুন
পাবনায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে আপন চাচাতো ভাইদের মধ্যে সংঘর্ষে টেঁটাবিদ্ধ হয়ে আবু বকর মন্ডল (৪০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আব্দুল আজিজ মন্ডল নামে আরও একজনকে গুরুতর আহতাবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নের তারাবাড়িয়ার চকপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।নিহত আবু বকর চকপাড়া গ্রামের লবু মণ্ডলের ছেলে। তিনি ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। আহত আব্দুল আজিজ একই এলাকার কবির মন্ডল ওরফে কবু মন্ডলের ছেলে। তিনিও ইটভাটার শ্রমিকের কাজ করেন।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত আবু বকর মন্ডল ও আহত আজিজ মন্ডলের মধ্যে বসতভিটার জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।এরই জের ধরে শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাদের দুই পক্ষের মধ্যে ঝগড়া হয়।একপর্যায়ে তারা টেঁটা ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় আপন চাচতো ভাই আবু কবর টেঁটাবিদ্ধ হন। আর আব্দুল আজিজ মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন।এ সময় আবু বকর ও আব্দুল আজিজকে উদ্ধার করে সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক আবু বকরকে মৃত ঘোষণা করেন। আব্দুল আজিজের শারীরিক অবস্থা গুরুতর হওয়ায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালেপাঠানো হয়। এছাড়াও এ ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।তাদেরে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। চরতারাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রশিদ বলেন, পারিবারিক জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। দুপুরের দিকেও একবার সংঘর্ষ হয়েছে। রাতে তারাতাড়িয়া বাজারে বসে আছি। এমন সময় জানতেপারি সেখানে সংঘর্ষ হয়েছে। দুইজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। হাসপাতালে গিয়ে দেখি আবু বকর মারা গেছে। পরে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের চাচাতো ভাই আব্দুল আজিজকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। উভয়পক্ষই দরিদ্র। তারা শ্রমিকের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন।পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আপন চাচাতো ভাইদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। একজন নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশের ফোর্স পাঠানো হয়েছে।মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশ কাজ করছে। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১১:৪৯ এএম
শীর্ষ ইসলামী আলেমদের ফাঁসি দিয়ে হত্যা করেছে ফ্যাসিবাদী সরকার
পাবনা জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি অধ্যাপক আব্দুল গাফফার খান বলেছেন, এখনো কুচক্রি মহল জনগণকে ইসলাম থেকে দূরে রাখার ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। ইসলামী রাষ্ট্র ছাড়া এদেশের মানুষের অধিকার আদায় হবে না। জনগণের প্রকৃত শান্তি ফিরে আসবে না। অসংখ্য আলেমদের আয়নাঘরে বন্দী রেখে ইসলাম ত্যাগ করাতে জুলুম নির্যাতন করেছিল। ফাঁসির মঞ্চে শীর্ষ আলেমদের অন্যায়ভাবে হত্যা করেছে ফ্যসিবাদী হাসিনা সরকার।শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টার পাবনার সুজানগর উপজেলা উলামা মাখায়েখ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, এদেশের সব আলেমদের সেরা আলেম ছিলেন আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী। জেলের মধ্যে তাকে সীমাহীন জুলুম নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে। তার জনপ্রিয়তা ভয় পেয়ে হাসিনা সরকার বিষ প্রয়োগে হত্যা করেছে। এর প্রতিশোধ বাংলার জনগণ একদিন নিবে। এদেশে ইসলাম কায়েমের মাধ্যমে তার হত্যার বদলা নেওয়া হবে। রাজপথে রক্ত ঢেলে দিয়ে মানবরচিত আইন কবর দিতে হবে। এদেশের মানুষের জন্য আলেমদের ভূমিকা অনেক রয়েছে। আলেমদের থেকে মানুষের চাওয়া পাওয়া অনেক বেশি।তিনি আরও বলেন, এদেশে চাঁদাবাজ, দখলবাজ ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আগামীতে জনগণ রায় দিবেন। দাঁড়িপাল্লার বিজয়ের মাধ্যমে এদেশের মানুষের মুক্তি মিলবে। ৫৪ বছরেও এ জাতি প্রকৃত প্রকৃত উন্নয়ন দেখতে পায়নি। দুর্নীতি ও লুটপাট করে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে টাকা পাচার করেছে। বিদেশে শতশত বাড়িগাড়ী করেছে। দেশকে তলাবিহীন ঝুঁড়িতে পরিনত করেছে।আপনাদের এলাকার বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ অধ্যাপক হেসাব উদ্দিনকে ভোট দিয়ে বিজয় করতে হবে। তিনি সংসদে গিয়ে কোরআনের কথা বলবেন। সন্ত্রাস ও চাঁদবাজমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে দাঁড়িপাল্লায় ভোট দিতে হবে।জেলা উলামা মাখায়েখ পরিষদের সদস্য মাওলানা মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে ও সুজানগর উলামা মাশায়েখের সভাপতি মাওলানা মো: রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, সুজানগর উপজেলা জামায়াতের আমীর ও পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অধ্যাপক কেএম হেসাব উদ্দিন।এ সময় আরও বক্তব্য দেন মাওলানা মাসুম খান, মোহাম্মদীয়া দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা মাহতাব উদ্দিন, মাওলানা শফিউল্লাহ প্রমুখ। এছাড়াও সুজানগর উপজেলা উলামা মাশায়েখ পরিষদের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।ভোরের আকাশ/এসএইচ
০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১১:০৩ এএম
পাবনায় ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে মা-মেয়ে নিহত
পাবনার ফরিদপুরে ট্রাকের সাথে সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী মা ও মেয়ে নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন বাবা।মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার ডেমরা চকচকিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।নিহতরা হলেন, চাটমোহর উপজেলার চরপাড়া গ্রামের সোহেল রানার স্ত্রী আউলিয়া খাতুন (২৫) ও তার মেয়ে সুমাইয়া (৭)। আহত সোহেল রানাকে (২৮) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ফরিদপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) হাসনাত জামান জানান, সকালে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর থেকে মোটরসাইকেলে সোহেল রানা তার স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে চাটমোহরে বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পথে ফরিদপুর উপজেলার ডেমরা চকচকিয়া এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।এতে ঘটনাস্থলেই মা ও মেয়ে নিহত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় সোহেল রানাকে প্রথমে ফরিদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করে স্থানীয়রা। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করেন চিকিৎসক।ওসি আরও জানান, খবর পেয়ে দুর্ঘটনাস্থল থেকে নিহত মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশী হেফাজতে নেওয়া হয়। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তাদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ভোরের আকাশ/মো.আ.
০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০২:৩৩ পিএম
পাবনায় পুত্রবধূর বটির কোপে প্রাণ গেল শ্বশুরের!
পাবনার সাঁথিয়ায় মানসিক রোগী পুত্রবধূর ধারালো বটির কোপে মোজাম হোসেন (৭০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।রোববার (৩১ আগস্ট) দিবাগত রাত ৮টার দিকে সাঁথিয়া পৌর সদরের কলেজপাড়া মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে।নিহত মোজামের বাড়ি উপজেলার নাড়িয়া গদাই গ্রামে হলেও তিনি দীর্ঘ বছর ধরে পৌর সদরের কলেজপাড়া এলাকায় বসবাস করতেন।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাঁথিয়া পৌরসভার কলেজপাড়া মহল্লার মোজামের ছেলে মিঠুর সাথে ৫ বছর আগে আফরা গ্রামের আব্দুস সালামের মেয়ে রুমি খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে রুমি মানসিক রোগী ছিল বলে জানায় তার পরিবার। তিনি ঢাকাস্থ মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শফিকুলের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন।রোববার রাত ৮টার দিকে হঠাৎ রুমির মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। শেষে হাতের কাছে থাকা ধারালো বটি দিয়ে তার সামনে থাকা শ্বশুর মোজামের পেটে ও পিঠে কোপ দেয়। এসময় তার পেটের ভুঁড়ি বের হয়ে যায়। নিজেই নিজেকে আঘাত করেন পুত্রবধূ রমি।পরে গুরুতর আহত অবস্থায় শ্বশুর মোজামকে প্রথমে সাঁথিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পর সোমবার ভোররাত তিনটার দিকে তার মৃত্যু হয়।সাঁথিয়া থানার ওসি আনিছুর রহমান বলেন, ‘পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কেউ অভিযোগ দেয়নি। আর অভিযুক্ত পলাতক রয়েছে। তাকে আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’ভোরের আকাশ/মো.আ.
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০১:১৯ পিএম
সাঁকো পার হতে গিয়ে ডোবায় প্রাণ গেল দুই শিশুর
পাবনার ফরিদপুরে সাঁকো পার হতে গিয়ে ডোবার পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।রোববার (৩১ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে বাড়ির পাশে একটি ডোবা থেকে তাদের মধ্যে উদ্ধার করা হয়।মৃত দুই শিশু হলো, উপজেলার খাগড়বাড়িয়া গ্রামের রজব মন্ডল এর ছেলে জিয়ারুল (৩) ও একই গ্রামের মাকসুদুল ইসলামের মেয়ে জমিরন (২)। সম্পর্কে তারা আপন চাচাতো ভাইবোন।ফরিদপুর সদর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জমিন উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।খাগরবাড়িয়া গ্রামের ব্যবসায়ী রাজু আহমেদ সরকার জানান, গ্রামের মধ্য দিয়ে একটি ছোট ডোবা আছে। দুপুরের কোনো এক সময় বাড়ির পাশে ওই ডোবার উপর থাকা সাঁকো পার হওয়ার সময় দুই ভাইবোন পানিতে পড়ে যায়।অনেক খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে দুপুর আড়াইটার দিকে দুই শিশুর মরদেহ ভেসে উঠলে তাদের উদ্ধার করে স্বজন ও স্থানীয়রা। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।ফরিদপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসনাত জামান বলেন, ছোট ছোট ছেলেমেয়ে। সাঁতার জানে না। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পরিবারের অসচেতনতায় এমন দুর্ঘটনা। তাই যাদের বাড়িতে ছোট শিশু আছে তাদের আরো সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি।ভোরের আকাশ/জাআ
৩১ আগস্ট ২০২৫ ০৮:৪৮ পিএম
পাবনায় ছাগলে গাছ খাওয়াকে কেন্দ্র করে মা-ছেলেকে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত
পাবনার বেড়া উপজেলার আমিনপুরে ছাগলে গাছ খাওয়াকে কেন্দ্র করে মা ও ছেলেকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। এসময় ব্যাপক ভাঙচুর- হামলা চালিয়ে নগদ অর্থ ও গোয়ালঘর থেকে একটি গরু লুটপাট করে নেওয়া হয়।শনিবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে আমিনপুর থানায় বাদী হয়ে লিখিত ইজাহার দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী মাহফুজুর রহমান। এর আগে বৃহস্পতিবার, শুক্রবার (২৮-২৯ আগস্ট) আমিনপুর থানার জাতসাখিনী ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের গাংপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।অভিযুক্তারা হলেন- সৈয়দপুর গ্রামের গাংপাড়া গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে ফারুক শেখ ও আব্দুর রশিদের ছেলে ইলিয়াস শেখ। ভুক্তভোগীরা হলেন- ওই এলাকার আব্দুল বারেক শেখের ছেলে মাহফুজুর রহমান (২৩) ও বারেক শেখের স্ত্রী মাবিয়া খাতুন (৪২)।অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সৈয়দপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। কিছুদিন আগে ছাগলে গাছ খাওয়াকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়।এরই জেরে গত বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট( রাত ৮ টার দিকে ফারুক শেখ ও ইলিয়াসের নেতৃত্বে আমিনপুর বাজারে হাইস্কুলের গেটের সামনে ফোনে কথা বলার সময় মাহফুজুর রহমানকে বেধড়ক মারপিট করে হাত ভেঙে দেওয়া হয়। এসময় তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। এসময় তাকে উদ্ধার করে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্যকম্প্লেক্সো ভর্তি করে। ঘটনার রেস কাটতে না কাটতেই শুক্রবার (২৯ আগস্ট) সকালে আবারো মাহফুজুর রহমানের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। এসময় বারেক শেখের স্ত্রী মাবিয়া খাতুনকে মারপিট করে গুরুতর আহত করা হয়। এছাড়াও গোয়ালে থাকা একটি গরুও লুটতরাজ করা হয়।পরিবারের দাবি অনুযায়ী কিস্তির নগদ ৬০,০০০/টাকা ও বাড়ির দলিলপত্র জোরপূর্বকভাবে লুটপাট করে। একটি গরু লুটপাট করে নিয়ে যাওয়া হয়। যার আনুমানিক মূল্য ৫০,০০০/-টাকা।এ ঘটনার পর থেকে পরিবারটি ব্যাপক নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। মামলা না করতে বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। মামলা করলে দেশ ছাড়ার হুমকি দেওয়া হয়। পরিবারটি এখন বাড়িতে থাকতে পারছে না। সন্ত্রাসীদের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। প্রশাসনের নিকট সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন পরিবারটি।ভুক্তভোগী মাহফুজুর রহমান বলেন, বাজার থেকে অতর্কিত হামলা করে আমার হাত ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বাড়িতে হামলা করে সবকিছু নিয়ে গেছে। আমার মাকেও মারধর করে গুরুতর আহত করা হয়। আমাদের এখন নানাভাবে হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে। প্রাণে মেরে ফেলানোর কথা বলতেছে। নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। মামলা করার পর বাড়ির উপর এসে গালিগালাজ বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। আইনের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেন তিনি।এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে ফারুক শেখ ও ইলিয়াসের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাদের পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করা হলেও ফোন রিসিভ করেননি। এজন্য বক্তব্য পাওয়া যায়নি।এ বিষয়ে আমিনপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
৩১ আগস্ট ২০২৫ ০৯:৪২ এএম
পাবনায় অস্ত্র তৈরির আস্তানায় পুলিশের অভিযান, আটক ২
পাবনার আতাইকুলা এলাকায় অস্ত্র তৈরির আস্তানায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। ওই কারখানা থেকে রিভলবারসহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় দুই জনকে আটক করা হয়েছে।মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) ভোররাতে আতাইকুলা থানার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের চতরা বিলের ডিপটিউবয়েলের ঘরে ময়েজ বাহিনীর আস্তানায় এই অভিযান চালানো হয়।আটককৃতরা হলো পাবনা সদর থানার নিয়ামতপুর গ্রামের মোস্তফার ছেলে মনির হোসেন (৪০) ও একই থানার খোদাইপুর গ্রামের দিরাজের ছেলে রেজাউল করিম (৪২)।পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে চতরা বিল এলাকার ময়েজ বাহিনী বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আতাইকুলা থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান চালায়। বিলের মধ্যে আস্তানা থেকে একটি রিভলভার, তিনটি গুলিসহ ওয়ানশুটারগান তৈরির ব্যাট, ব্যারেল, ছাঁচ, কাটিং মেশিন, ড্রিল মেশিন, ওয়েলডিং মেশিন, লোহার পাত, গানপাউডারের মতো উপকরণসহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।স্থানীয়রা জানান, চতরা বিলের দুর্গম চরাঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরেই ময়েজ বাহিনীর তৎপরতা চলছিল। দিনের বেলায় তেমন দেখা না গেলেও রাতে তারা অস্ত্রসহ মহড়া দিত। এতে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছিল।আতাইকুলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম হাবিবুল ইসলাম জানান, ময়েজ বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে চতরা বিলকে ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে। তারা সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ডাকাতির মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে রেখেছিল। ময়েজের নামে একাধিক অস্ত্র মামলা রয়েছে। অস্ত্র তৈরির কারখানা ধ্বংস করা হয়েছে এবং আটককৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অন্যদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
১৯ আগস্ট ২০২৫ ০৩:৪৩ পিএম
ঈশ্বরদীতে ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত ১
পাবনার ঈশ্বরদীতে ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে সেলিম হোসেন (৫০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।সোমবার (১৮ আগস্ট) সকাল ৯ টার দিকে ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনের দক্ষিণ পাশে সরকারি নাজিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে রেল লাইনে এ ঘটনা ঘটে।নিহত সেলিম হোসেন ঈশ্বরদী পৌর শহরের পূর্ব টেংরী ঈদগাহ রোড এলাকার মৃত রমজাম আলীর ছেলে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সেলিম ঈশ্বরদী জংশন স্টেশন থেকে ১০০ গজ দক্ষিণে রেললাইন পার হচ্ছিল। এসময় রাজশাহী-ঈশ্বরদী-ঢাকা রুটে চলাচলকারী মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা লেগে হাত ও পা দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে ১৫ মিনিট চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকার পর সে মারা যায়।ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক হাবিবা খাতুন বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় সেলিম হোসেন নামে ট্রেনে কাটা একজনকে হাসপাতালে আনা হয়। এখানে চিকিৎসাধীন ১৫ মিনিট পর সে মারা যায়।ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমান জানান, নিহত সেলিম কানে কম শুনতেন। তিনি রেললাইন পার হওয়ার সময় মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে সেখানেচিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।ভোরের আকাশ/মো.আ.