ছবি-ভোরের আকাশ
ব্রিটিশ আমল থেকে যুগের পর যুগ ধরে অবহেলার শিকার হয়ে দিনাজপুর রেলওয়ে থানা একটি বন্দি অবস্থার মধ্যে রয়েছে। অফিসের অভ্যন্তরে পুলিশ ভ্যান, মোটরসাইকেলসহ কোনও সুষ্ঠু যাতায়াত ও গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থা নেই। বাধ্য হয়ে পুলিশ কর্মকর্তাসহ সদস্যদের রেলওয়ে স্টেশনের ওপর দিয়ে অতি কষ্টে দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে।
দিনাজপুর রেলওয়ে থানার সীমানা পার্বতীপুর আউটার থেকে পঞ্চগড়, আবার রাধিকাপুর থেকে দিনাজপুর রেলওয়ে স্টেশন প্রায় ১৫০কিলোমিটার এলাকায় ডিউটি করতে হয় তাদের। দুর্ঘটনায় ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা নেয়াতেও করুণ দশায় পড়তে হয় পুলিশ সদস্যদের। রেল যাত্রী সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যায় মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়তে হয় জিআরপি পুলিশ সদস্যদের। দিনাজপুর ষষ্ঠী তলার মোড় থেকে রেললাইনের ধার দিয়ে কাদা পানি পাথরের উপর দিয়েই যাতায়াত করতে হয় জিআরপি পুলিশ সদস্যদের শুধু কি তাই কোন প্রকার রাস্তা না থাকার বিষয়ে জনসাধারণ না জানায় বিভিন্ন সময় বিতর্কের মধ্য পড়তে হয় পুলিশ সদস্যদের।
দিনাজপুর রেলওয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান এই বিষয়ে বলেন, আমাদের থানার যে পরিকাঠামো এবং যাতায়াত ব্যবস্থার অভাব, তা দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। থানার গাড়ি চলাচলের কোনও ব্যবস্থা না থাকায় প্রয়োজনীয় কাজ করতে যথেষ্ট সমস্যা হয়।
তিনি আরও জানান, থানায় যাতায়াত ও গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিদিন বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
স্থানীয় প্রশাসন এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রতি বিষয়টি সমাধানের অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, দিনাজপুর রেলওয়ে থানার আধুনিকীকরণ, পার্কিং এবং সুষ্ঠু যাতায়াত ব্যবস্থার ব্যবস্থা করা হলে পুলিশ সদস্যদের দায়িত্ব পালনে কার্যকারিতা বাড়বে এবং এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও উন্নত হবে।
উল্লেখ্য, দিনাজপুর রেলওয়ে থানা যুগের পর যুগ ধরে এই সংকটের মধ্যে রয়েছে। তবে এই সমস্যার সমাধানে এখনো কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। দ্রুত এই সমস্যার সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন থানার পুলিশ কর্মকর্তারা। এই সমস্যা দূরীকরণে স্থানীয় জনগণ বাংলাদেশ রেলওয়ে উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
নওগাঁর আত্রাইয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু নিয়ে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। এটি হত্যা না আত্নহত্যা এ নিয়ে চলছে জনমনে ব্যাপক জল্পনা কল্পনা। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার নবাবেরতাম্বু গ্রামে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই গ্রামের নূরুল ইসলাম (৭২) ওই রাতে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত ১ টার দিকে তার গলায় দড়ি ও দড়িটি জানালার সাথে বাঁধা অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।এদিকে বেশ কিছুদিন থেকে নূরুল ইসলামের সাথে তার তার বড় ছেলে আব্দুল আজিজ বাবুর দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এ জন্য অনেকেরই সন্দেহের তীর বড় ছেলে বাবুর দিকে। তিনি তাকে হত্যা করে গলায় দড়ি বেঁধে ঝুলিয়ে রেখেছেন- এমনটাই সন্দেহ এলাকায়।সংবাদ পেয়ে আত্রাই থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ মর্গে প্রেরণ করেছে। আত্রাই থানার ওসি আব্দুল মান্নান বলেন, ঘটানর মোটিভ উদঘাটনে আমরা তৎপর রয়েছি। এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের চার ছেলে ও দুই মেয়েকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে এবং জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে। ভোরের আকাশ/আজাসা
গাজীপুরের কালীগঞ্জে একটি হাফেজিয়া মাদ্রাসায় ৮ বছর বয়সী এক ছাত্রকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় অভিযুক্ত শিক্ষক হাফেজ মো. জাকারিয়া শেখকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রোববার (২৯ জুন) দুপুরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে গাজীপুর আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলাউদ্দিন।শনিবার (২৮ জুন) রাতে নির্যাতিত ছাত্রের বাবা মো. মোশারফ শেখ বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় শিশু আইন ২০১৩-এর ৭০ ধারায় মামলা (নং: ১৭(০৬)২৫) দায়ের করেন। মামলার একমাত্র অভিযুক্ত মাদ্রাসার শিক্ষক জাকারিয়া শেখ (২৯) কালীগঞ্জ উপজেলার মোক্তারপুর ইউনিয়নের সাওরাইদ গ্রামের মৃত তোতা মিয়ার ছেলে।মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের ফুলদী গ্রামে অবস্থিত ‘নূরে মদিনা হাফেজিয়া মাদ্রাসা’র নূরানী বিভাগে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক (৮) ওই মাদ্রাসার একমাত্র শিক্ষক জাকারিয়া শেখের অধীনে পড়াশোনা করতেন।গত শুক্রবার (২৭ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ছুটি চাওয়াকে কেন্দ্র করে শিক্ষক জাকারিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে শিশু আবু বক্করকে বেধড়ক মারধর করেন। এরপর রাত সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত তাকে একটি প্লাস্টিকের বস্তায় ঢুকিয়ে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।এ ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী ও অভিভাবকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। রাতেই প্রায় ১৫০-২০০ জন স্থানীয় লোকজন মাদ্রাসা ঘেরাও করলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।পরদিন শনিবার (২৮ জুন) তিনজন মাদ্রাসা ছাত্র নির্যাতিত শিশুকে ফেরত নিতে তার বাড়িতে গেলে, তার মা ফরিদা বেগম ছেলেকে বুঝিয়ে দিয়ে শিক্ষকের কাছে অনুরোধ করেন যেন আর নির্যাতন না করা হয়। কিন্তু শিক্ষক সেই অনুরোধ উপেক্ষা করে শিশুটিকে মাদ্রাসার দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে আটকে রাখেন।এ ঘটনায় ছাত্রের পরিবার পুনরায় থানায় অভিযোগ জানায়। এছাড়া, মাদ্রাসার দুই ছাত্র হৃদয় (১৮) ও সাহাদ সাদ (১৭) ওই কক্ষে গিয়ে আবু বক্করকে দেখতে চাইলে শিক্ষক তাদেরও বাধা দেন।কালীগঞ্জ থানার ওসি মো. আলাউদ্দিন বলেন, "ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পর অভিযুক্ত শিক্ষক জাকারিয়া শেখকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। শিশুটির নিরাপত্তা ও মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।"ভোরের আকাশ/আজাসা
এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কমপ্লিট শাটডাউনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বন্দরের এই অচলাবস্থার কারণে রোববার (২৯ জুন) নতুন করে কোনো পণ্য আনেনি ব্যবসায়ীরা। বন্দরের ব্যবসায়ীরা জানায়, রাজস্ব কর্মকর্তারা শনিবার থেকে কমপ্লিট শাটডাউনের বিষয়ে আগে থেকেই ব্যবসায়ীদের অবগত করেছিলেন। যে কারণে ব্যবসায়ীরা এই বন্দর দিয়ে পণ্য রপ্তানির জন্য কোনো মালামাল আনেননি। এতে করে রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এই কারণে ব্যবসায়ীদের আর্থিক ক্ষতিও হচ্ছে। আখাউড়া স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তারা ক্যামেরার সামনে কথা বলতে না চাইলেও জানিয়েছেন, কর্মসূচির আওতামুক্ত হওয়ায় যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে। এর আগে শনিবার সারাদেশে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্মীদের ডাকে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ চললেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরের রপ্তানিতে কোনো প্রভাব পড়েনি।আখাউড়া স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম ভোরের আকাশকে জানান, শনিবার যথারীতি ভারতে পণ্য রপ্তানি হয়েছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ২৩টি ট্রাকে করে ১৬০ টন মাছ এবং ৩টি ট্রাকে ৯০ টন ময়দা ভারতে রপ্তানি হয়েছে। স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী নেসার আহমেদ ভূঁইয়া জানান, শাটডাউনের কারণে যেসব পণ্যের কাগজপত্র শুক্রবার সম্পন্ন ছিল, সেগুলোই শনিবার রপ্তানি করা হয়েছিল।ভোরের আকাশ/আজাসা
পটুয়াখালীর বাউফলে এইচএসসি পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের মাঝে কলম, স্কেল, মাস্ক, বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করেছেন ছাত্রদল।বরিবার (২৯জুন) সকালে উপজেলার বগা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরীক্ষাকেন্দ্রে এ শিক্ষা উপকরণ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা মাস্ক বিতরণ করেন উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মূনঈমূল ইসলাম মিরাজ।পরীক্ষাকেন্দ্রের বাহিরে অস্থায়ী সহায়তা কেন্দ্র স্থাপণ করা হয়। এতে পরীক্ষার্থীদের সাথে আসা অভিভাবকরা অবস্থান করেন। তাদের মাঝে পানি ও খাবার সেলাইন বিতরণ করা হয়।ছাত্রদল নেতা মূনঈমূল ইসলাম মিরাজ বলেন, কেন্দ্রীয় সংসদের নির্দেশ মোতাবেক আমরা বাউফল উপজেলা ছাত্রদল পরীক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছি। পরীক্ষার বাকি দিন গুলোতে এমন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।এসময় উপস্থিত ছিলেন- বাউফল সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আপেল মাহমুদ মুন্না, কনকদিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. কাজী মাসুদ, কনকদিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক খলিল হোসেন, বগা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাসুম হাওলাদার, নওমালা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি রাকিব হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল হোসেন, সূর্যমনি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল বাসার, বগা কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রাব্বি মৃধা, সিনিয়র সহ সভাপতি কাওসার ।ভোরের আকাশ/আজাসা