ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৮ জুলাই ২০২৫ ১১:৫৭ এএম
ছবি-ভোরের আকাশ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের মতো অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে সরকারী স্বাস্থ্যসেবাদানকারী চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও সংশ্লিষ্টদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৩ দিনব্যাপী এনসিডিসি (নন কমিউনিকেবল ডিজিস কন্ট্রোল) প্রশিক্ষণ কর্মশালা। ৭-৯ জুলাই ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় এ কর্মশালার আয়োজন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিভিল সার্জন অফিস।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৮টি উপজেলার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করছেন। গতকাল সোমবার সকাল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে শুরু হওয়া কর্মশালায় মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকালে গিয়ে দেখা যায় প্রতি উপজেলা থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, ৩ জন মেডিকেল অফিসার, ৪ জন স্বাস্থ্যসেবিকা, স্টোরকিপার, পরিসংখ্যানবিদ ও ২ জন স্যাকমো (সাব এ্যাসিস্টেন্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার) সহ সর্বমোট- ১০৪ জন অংশ নিচ্ছেন।
এর আগে, শুরুতে কর্মশালার উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিভিল সার্জন ডা: মো: নোমান মিয়া। প্রধান প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির এডিশনাল প্রোগ্রাম ডাইরেক্টর ডা: মাহফুজুর রহমান ভূঁইয়া। বিশেষ প্রশিক্ষক সার্ভিলেন্স মেডিকেল অফিসার ডা: দেব দুলাল দে পরাগ ও ডিভিশনাল প্রোগ্রাম অফিসার মো: সাজ্জাদ হোসেন এবং ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ এর অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ লাইন ডাইরেক্টরেট এবং ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের যৌথ অংশীদারিত্বে পরিচালিত এই কর্মসূচি বর্তমানে দেশের ৩১০টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৬ পর্যন্ত একযোগে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
কর্মসূচির আওতায় উপজেলায় এনসিডিসি কর্নার স্থাপন, প্রশিক্ষিত জনবল তৈরি, ডিজিটাল রোগী নিবন্ধন এবং বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহের মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রোগীদের টেকসই ও মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হচ্ছে।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ও বিভিন্ন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত রয়েছেন। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে, এমনটি আশা ব্যক্ত করেন আয়োজক ও প্রশিক্ষকগণ।
আয়োজকদের দাবি, সরকারের অগ্রাধিকারভুক্ত এ কর্মসূচি দেশের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে; যার ফলে কমে আসছে এ সংক্রান্ত জটিলতা ও অকাল মৃত্যুর হার।
ভোরের আকাশ/এসএইচ