ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভোক্তা অধিকারের অভিযান।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চালের বাজার তদারকি কার্যক্রম ও অভিযান পরিচালনা করেছে। বৃহস্পতিবার (২৬জুন) দুপুর ১২টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের অনন্দবাজার এলাকায় বিভিন্ন চালের পাইকারী দোকানে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল আলম রিজভী।ভোরের আকাশকে জানান, "অভিযানকালে মেসার্স আলহাজ্জ শামীম ট্রেডার্স এবং মোশারফ ট্রডার্স নামক চাউলের প্রতিষ্ঠানে বর্ধিত মূল্যে চাউল বিক্রয়, ক্রয়, সংগ্রহের প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি। কী পরিমা চাল কতদিন মজুদ, ক্রয় বিক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ না করাসহ বিভিন্ন অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়।
এ প্রেক্ষিতে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ অনুযায়ী অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান মেসার্স আলহাজ্জ শামীম ট্রেডার্সকে ৩০,০০০/- এবং মোশারফ ট্রডার্সকে ২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাকা আর্থিক জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয় এবং সতর্ক করা হয়।"
এসময় ব্যবসায়িদের ন্যায্যমূল্যে চাল ক্রয়-বিক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ, মূল্য তালিকা প্রদর্শনসহ সরকারের প্রচলিত আইন মেনে ব্যবসা করার বিষয়ে সতর্ক করা হয়। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ভোরের আকাশ/আজাসা
সংশ্লিষ্ট
বরিশালে মাদকদ্রব্য অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকাল ১১ টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন ও জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কর্যালয় বরিশাল এর আয়োজনে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক বরিশাল মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন। সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরিশাল সুফল চন্দ্র গোলদার।বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার বরিশাল মোঃ শরিফ উদ্দীন, অতিরিক্ত পরিচালক মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বিভাগীয় কার্যালয় বরিশাল পরিতোষ কুমার কুন্ডুসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা বৃন্দ।শুরুতে বর্ণাঢ্য এক র্যালি বের হয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় গিয়ে শেষ হয়। পরে সংক্ষিপ্ত এক আলোচনা শেষে অতিথিরা মাদকদ্রব্যর অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার প্রতিরোধ বিষয়ের উপর বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকালে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন।ভোরের আকাশ/জাআ
টঙ্গী বাটা গেটের সামনে বিআরটি উড়াল সড়কের ফাঁক দিয়ে নিচে পড়ে গুরুতর আহত হয়েছেন রাজু (৪০) নামের এক ব্যক্তি। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে টঙ্গী হাসপাতাল থেকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ভুল ডিজাইনের বিআরটি সড়কের দৈন্যদশায় প্রতিদিনই রাস্তা পারাপার হতে গিয়ে যাত্রী পথচারী দুর্ঘটনার কবলে পড়ে হতাহত হচ্ছেন। এয়ারপোর্ট-টঙ্গী-গাজীপুর বিআরটি সড়কটি চালুর পর থেকেই এক মহা মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।তারা আরো জানায়, গত রাতে দিকে দুর্ঘটনার শিকার রাজু ঢাকা থেকে বাসযোগে উড়ালসড়কের টঙ্গীর বাটা গেট এলাকার স্টেশনে নামেন। পরে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামার সময় সিড়ির উড়াল সড়কের ফাঁক দিয়ে নিচে পড়ে গুরুতর আহত হন তিনি।স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নেয়।অবস্থা গুরুতর থাকায় চিকিৎসকগণ তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করেন। আহত রাজু গাজীপুর মহানগরের টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন আউচপাড়া খাঁ পাড়া এলাকার নূর হোসেনের ছেলে।ভোরের আকাশ/জাআ
টঙ্গীতে ছাত্রদলের উদ্যোগে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে বিশুদ্ধ পানি, স্যালাইন, মাক্স, কলম ও ফাইল বিতরণ করা হয়েছে।বুধবার (২৬ জুন) সকাল থেকে টঙ্গী সরকারি কলেজে পরীক্ষার কেন্দ্রের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে এসব বিতরণ করেন কলেজ শাখা ছাত্রদল। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি এইচ এম আবু জাফর। বিশেষ অতিথি ছিলেন গাজীপুর মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মিরণ। টঙ্গী সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি পদপ্রার্থী এইচ এম আরিফ, ফজলে রাব্বি রাফসানসহ থানা ও কলেজ শাখা ছাত্রদলের নেতা কর্মীরা।এ সময় বক্তারা বলেন, ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা পরীক্ষার হলের গেটে তাঁদের আদরের সন্তানের জন্য পরিক্ষার কেন্দ্রের বাহিরে প্রচন্ড গরমে দাঁড়িয়ে দীর্ঘ তিন ঘন্টা অপেক্ষা করেন।এদিকে অভিভাবদের ক্লান্তভাব আর অস্থিরতার মধ্যে অপেক্ষায় কাটে সন্তানদের পরীক্ষার খাতা জমা দেওয়ার আগ পর্যন্ত। এ সময় তাদের মাঝে বিশুদ্ধ পানি, স্যালাইন, কলম ও জরুরি চিকিৎসা সেবা কার্যক্রমে অনেকটাই স্বস্থি ফিরে পাচ্ছেন ছাত্রদলের এ কার্যক্রমে।ভোরের আকাশ/জাআ
হিজরা সম্প্রদায়ের জীবন মান উন্নয়নে এ্যাকসেস টু সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ফর দ্য হিজরা কমিউনিটি শীর্ষক কিক-অফ মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে।বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকাল ১০টায় পিরোজপুর সদর উপজেলা পরিষদের সভা কক্ষে আত্ম-সহায়তা কর্মসূচি'র আয়োজনে এ মিটিং অনুষ্ঠিত হয়।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন পিরোজপুর জেলা পুলিশ সুপার খান মোহাম্মদ আবু নাসের। সভাপতিত্ব করেন এসএইচপির নির্বাহী পরিচালক হাসনে আরা হক।অনুষ্ঠানে বক্তারা হিজড়া জনগোষ্ঠীর টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা এবং তাদেরকে সমাজের মূলধারায় সম্পৃক্ত করার দাবি জানান।তারা বলেন, এই ধরনের উদ্যোগ সমাজে বৈষম্য দূর করতে এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল হাই, জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মনিকা আক্তার, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ শাকিল সরোয়ার, প্রকল্প সমন্বয়ক বিপ্লব রায়, রাজনীতিবিদ জাকির হোসেন, প্রকল্পের একাউটেন্টে কর্মকর্তা বাহাউদ্দিন আহমেদ, প্রকল্প কর্মকর্তা রবিন চাক।অরো উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক ইমরান সিকদার সালাউদ্দিন, শাওন খান, মুসফিক সৌরভ, সৈয়দ মেহেদী হাসান, ফসিউল ইসলাম বাচ্চু প্রমুখ।অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন এসএইচপি'র প্রোজেক্ট ম্যানেজার মর্তুজা জুয়েল। এছাড়া হিজড়া প্রতিনিধিবৃন্দ, ধর্মীয় নেতা, মানবধিকার কর্মী, আইনজীবী সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।আত্ম-সহায়তা কর্মসূচি প্রকল্পের আওতায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ফ্রি প্রেস আনলিমিটেড এর সহায়তায় এবং ARTICLE 19-এর তত্ত্বাবধানে এ কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে।ভোরের আকাশ/জাআ