ছবি: ভোরের আকাশ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের মতো অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে সরকারী স্বাস্থ্যসেবাদানকারী চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও সংশ্লিষ্টদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৩ দিনব্যাপী এনসিডিসি (নন কমিউনিকেবল ডিজিস কন্ট্রোল) প্রশিক্ষণ কর্মশালা। ৭-৯ জুলাই ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় এ কর্মশালার আয়োজন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিভিল সার্জন অফিস।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৮টি উপজেলার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করছেন। সোমবার সকাল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে শুরু হওয়া কর্মশালায় প্রতি উপজেলা থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, ৩ জন মেডিকেল অফিসার, ৪ জন স্বাস্থ্যসেবিকা, স্টোরকিপার, পরিসংখ্যানবিদ ও ২ জন স্যাকমো (সাব এ্যাসিস্টেন্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার) - সর্বমোট ১০৪ জন অংশ নিচ্ছেন।
কর্মশালার উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা: মো: নোমান মিয়া। প্রধান প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির এডিশনাল প্রোগ্রাম ডাইরেক্টর ডা: মাহফুজুর রহমান ভূঁইয়া। বিশেষ প্রশিক্ষক সার্ভিলেন্স মেডিকেল অফিসার ডা: দেব দুলাল দে পরাগ ও ডিভিশনাল প্রোগ্রাম অফিসার মো: সাজ্জাদ হোসেন এবং ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ এর অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ লাইন ডাইরেক্টরেট এবং ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের যৌথ অংশীদারিত্বে পরিচালিত এই কর্মসূচি বর্তমানে দেশের ৩১০টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৬ পর্যন্ত একযোগে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
কর্মসূচির আওতায় উপজেলায় এনসিডিসি কর্নার স্থাপন, প্রশিক্ষিত জনবল তৈরি, ডিজিটাল রোগী নিবন্ধন এবং বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহের মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রোগীদের টেকসই ও মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হচ্ছে।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ও বিভিন্ন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে, এমনটি আশা ব্যক্ত করেন আয়োজক ও প্রশিক্ষকগণ।
আয়োজকদের দাবি, সরকারের অগ্রাধিকারভুক্ত এ কর্মসূচি দেশের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে; যার ফলে কমে আসছে এ সংক্রান্ত জটিলতা ও অকাল মৃত্যুর হার।
ভোরের আকাশ/আজাসা
সংশ্লিষ্ট
পিরোজপুরের কাউখালীতে অনুমোদন ছাড়াই বিএসটিআই লোগো ব্যবহার, ক্ষতিকর রং ব্যবহার ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বেকারি পরিচালনার দায়ে এবং রামিন বেকারির মালিককে না পাওয়ায় বেকারি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।সোমবার (৭ জুলাই) দুপুরে কাউখালীর উজিয়ালখান এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুদীপ্ত দেবনাথ ।সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, উজিয়ালখান এলাকায় রামিন বেকারীতে অব্যবস্থাপনা, বিএসটিআই অনুমোদন ব্যতীত লোগো ব্যবহার ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন আইনে ওই বেকারির মালিক কে না পাওয়ায় বেকারি বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুদীপ্ত দেবনাথ দৈনিক ভোরের আকাশকে জানান, জনস্বার্থে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে।এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএসটিআই বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের ফিল্ড অফিসার ইয়াছির আরাফাত, পরিদর্শক আল আমিন সরকার। আইন শৃঙ্খলায় সহায়তা করে কাউখালী থানা পুলিশ।এর আগে দক্ষিণ বাজারে মাপে কম দেয়ার অভিযোগে আম বিক্রেতা প্রদীপ কুন্ডুকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।ভোরের আকাশ/জাআ
টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে বাস ও সিএনজি সংঘর্ষে দুই নারীসহ ৩ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় সিএনজি চালকসহ ২ জন আহত হয়েছে।সোমবার দুপুর ২ টার দিকে টাঙ্গাইল জামালপুর মহাসড়কের বাঘিল এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। হতাহতদের মধ্যে ২ জনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন, ময়মনসিংহ জেলার কোতয়ালী থানা এলাকার বাসন্তী (৫০) ও সূর্য এর স্ত্রী নিহত ফুলকুমারী (৩৫)।পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বিনিময় পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস ঢাকা থেকে ধনবাড়ী যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে টাঙ্গাইল জামালপুর মহাসড়কের ধনবাড়ী উপজেলার বাঘিল এলাকায় বিপরীতমুখী সিএনজি চালিত অটোরিক্সার মুখোমুখী সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় আহত ৫ জনকে উদ্ধার স্থানীয়রা ধনবাড়ী ও মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ৩ জনকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। এ ঘটনায় আহত দুই জন মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধী রয়েছে।ভোরের আকাশ/আজাসা
গাইবান্ধার সাঘাটায় অবৈধ বালু উত্তোলনের দায়ে ড্রেজার মেশিনসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী। এসময় ৫টি ড্রেজার মেশিন জব্দ করা হয়।সোমবার (৭ জুলাই) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাঘাটা থানার ওসি বাদশা আলম।এর আগে রবিবার বিকাল ৪ টায় থেকে দিবাগত রাত ৮টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে উপজেলার কচুয়া ইউনিয়ন সতিতলা এলাকা থেকে ওইসব ড্রেজার জব্দসহ তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, সাঘাটা উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নের সতিতলা এলাকার কবির হোসেনের ছেলে বাবলু মিয়া (৪২), একই এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে মঞ্জুর আলম (৪১), একই ইউনিয়নের হাপানিয়া এলাকার সোলেমান হোসেনের ছেলে বুলু মিয়া (৫১), গজারি এলাকার জাফর হোসেনের ছেলে হান্নান মিয়া (৪৯), উল্লাসোনাতলা এলাকার ওহতুল মন্ডলের ছেলে আলী হোসেন (৩৮) ও পবনতাইড় এলাকার কালু ব্যাপারির ছেলে বকুল মিয়া (৩৯)।সেনাবাহিনী সূত্র জানায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ওই এলাকার বাঙালি নদীতে অভিযান চালানো হয়। এসময় অবৈধ বালু উত্তোলনের দায়ে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেই সঙ্গে বালু উত্তোলনের ৫টি ড্রেজার মেশিন জব্দসহ জড়িত ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে জব্দকৃত সরঞ্জামাদিসহ জড়িতদেরকে সাঘাটা থানায় হস্তান্তর করা হয়।সাঘাটা থানার ওসি বাদশা আলম বলেন, আসামীদেরকে আজ সোমবার সকালে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/জাআ
পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার মাটিভাংঙ্গা ইউনিয়নের পশ্চিম বানিয়ারি গ্রামে সড়কের ওপর গাছের সাঁকো নির্মাণ করে জনসাধারণের চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সড়কটি যুগের পর যুগ ধরে বেহাল অবস্থায় থাকলেও সংস্কারের কোনো উদ্যোগ না থাকায় স্থানীয়রা গাছের ডালপালা ও গাছ দিয়ে অস্থায়ী সাঁকো তৈরি করেছেন। এই মাটির সড়কটি বানিয়ারি গ্রাম হয়ে পাশ্ববর্তী উপজেলার কালিগন্জ সহ ৫/৭ টি গ্রামের সঙ্গে সংযোগ হয়েছে। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন গ্রামের হাজারও মানুষ চলাচল করে। বর্ষা মৌসুমে এই সড়কে হাজারও মানুষের জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কাঁচা মাটির সড়কটিতে দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় সমতল ভূমির সঙ্গে মিশে গেছে। এখন সড়কটি খানা-খন্দে ভরে গেছে। বর্ষা মৌসুমে পানি আর কাদায় রাস্তাটি চলাচলের একেবারে অযোগ্য হয়ে পড়ে। বাধ্য হয়ে গ্রামবাসীরা নিজেরাই গাছ দিয়ে সাঁকো তৈরি করে চলাচলের ব্যবস্থা করেছেন।বানিয়ারি গ্রামের বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বলেন, রাস্তাটির এমন করুণ অবস্থা দেখে আমরা আর চুপ থাকতে পারিনি। বাধ্য হয়ে নিজেরাই সাঁকো বানিয়েছি, না হলে গ্রামের মানুষ, বিশেষ করে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রী ও রোগীরা কষ্ট পেত।জুয়েল মিয়া বলেন, বর্ষা আসলেই আমাদের চিন্তার কোন শেষ থাকে না! দিনের পর দিন চিন্তা ও হতাশার মধ্যে কাটাতে হয় আমাদের। চলার কোন উপায় মিলাতে না পেরে সর্বশেষ গ্রামবাসী সবাই মিলে রাস্তার উপরে বাঁশ দিয়ে সাঁকো তৈরি করে জরুরী কাজে ঘরের বাহিরে বের হচ্ছি।এ বিষয়ে মাটিভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জাহিদুল ইসলাম বলেন, বানিয়ারি থেকে কালীগঞ্জ বাজার পর্যন্ত রাস্তাটি খুবই খারাপ অবস্থা। বেশ কয়েকবার এলজিইডিতে এই প্রকল্পটি দেওয়া হয়েছে এখন পর্যন্ত পাস হয়নি।আশা করছি প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তব হতে যাচ্ছে।স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত সড়কটি সংস্কার করে স্থায়ী সমাধান না করলে ভবিষ্যতে এই সড়কে জনদুর্ভোগ আরও বেড়ে যাবে।নাজিরপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা খোকন চন্দ্র দাস বলেন, রাস্তাটি আমি পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। কাদায় চলাচলে দুর্ভোগ হওয়ায় জনসাধারণ রাস্তার উপর বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করছে। বর্তমানে এস বি পি প্রকল্পে রাস্তাটি আমাদের অধিদপ্তরে পরবর্তী টেন্ডারের জন্য আবেদন করছি। আমি আশা করছি এই ২৫-২৬ অর্থবছরে আমার কাজটি টেন্ডারে যাবে।ভোরের আকাশ/আজাসা