ছবি-ভোরের আকাশ
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার ২০২৪-২৫অর্থ বছরে উৎপাদন বৃদ্ধি লক্ষ্যে কৃষি পূর্নবাসন প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিনামূল্যে ১৪০টি তাল গাছের চারা ও উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকাল ১১টায় উপজেলা কৃষি অফিস চত্বরে উপজেলা ইউএনও তাপস পালের সভাপতিত্বে এ চারা বিতরণ করা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষি বিদ মোঃ সিফাত আল মারুফ, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মোঃ হাবিবুর রহমান, উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসার মোঃ হাফিজুর রহমান, সমাজসেবা অফিসার মোঃ সোহেল পারভেজসহ উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকবৃন্দ।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ সিফাত আল মারুফ বলেন, উপজেলা ৭টি ইউনিয়নে ৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২০টি করে মোট ১৪০টি তাল গাছের চারা ও উপকরণ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো ত্রিপল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সন্তোষপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বড়বাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মুক্ত বাংলা চারিপল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, করাতদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শৈলদাহ এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, চরবানিয়ারী নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসা।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
কুষ্টিয়ায় পদযাত্রার পথসভায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)র আহবায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, সারারাত ধরে সন্ত্রাসী ফ্যাসিবাদ বিরোধী লড়াইয়ে আবরার ফাহাদ মাইলফলক ছিলেন। আবরারের মৃত্যু ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, আবরারের মৃত্যুর প্রতিবাদে মিছিলে ‘দিল্লি না ঢাকা’ স্লোগান দেওয়া হয়েছিল। সেই স্লোগানই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জুলাইয়ে আবারও দেওয়া হয়। বাংলাদেশ পন্থী পথ দেখিয়ে গেছেন আবরার ফাহাদ। সেই পথেই জাতীয় নাগরিক পার্টি রাজনীতি করছে। সেই পথ ধরেই জুলাই গণঅভ্যুথান সংগঠিত হয়েছিল। আবরার ফাহাদ থেকে আবু সাঈদ সকল শহীদকে আমরা স্মরণ করি। তারা যেই বাংলাদেশ দেখতে চেয়েছিল পদযাত্রার মাধ্যমে আমরা সেই বাংলাদেশ গড়তে দেশবাসীকে আহবান জানাচ্ছি।বিকেল সাড়ে তিনটায় কুষ্টিয়া শহরের ৫ রাস্তার মোড়ে সংক্ষিপ্ত পথসভায় নাহিদ ইসলাম এসব কথা বলেন। এসময় এনসিপির মুখ্য সম্বনয়কারী নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, উত্তর অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিন অঞ্চলের মূখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ ছাড়াও নুসরাত তাবাস্সুম, ডাক্তার তাসনিম জারাসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে বেলা ১টায় কুমারখালী উপজেলার রায়ডাঙা গ্রামে বুয়েটে নিহত শহীদ আবরার ফাহাদের কবর জিয়ারত করেন এনসিপির নেতারা। এরপর ৮ম দিনের মত জুলাই পদযাত্রা শুরু করেন তারা। বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে অনেক দেরিতে শুরু হয় এই পদযাত্রা। আবরার ফাহাদের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ শেষে সড়ক পথে কুষ্টিয়া শহর অভিমুখে পদযাত্রার শুরুতে কুমারখালীর আলাউদ্দিন মোড়ে পথসভা করেন। পরে বিকেল সাড়ে তিনটায় কুষ্টিয়া শহরের ৫ রাস্তার মোড়ে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সংক্ষিপ্ত এই পথসভা থেকে কুষ্টিয়ার পথযাত্রা শেষ হয়। এরপর পদযাত্রা মেহেরপুর জেলার দিকে যায়। উল্লেখ্য, গত ১লা জুলাই রংপুর থেকে এ পদযাত্রা শুরু হয়।ভোরের আকাশ/আজাসা
কক্সবাজারের উখিয়ায় নিখোঁজের পর কামাল হোসেন নামে এক ইউপি মেম্বারের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের মনখালী খাল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উখিয়া ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) দুর্জয় সরকার।কামাল হোসেন ওই এলাকার সিদ্দিক আহমদের ছেলে এবং রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য।নিহতের পরিবারের সদস্যদের বরাতে দুর্জয় সরকার জানান, সোমবার রাত ১১ টার পর বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ ছিলেন কামাল হোসেন। মঙ্গলবার দুপুরে মনখালী খালে মরদেহ দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। পরে স্বজনরা এসে মরদেহটি কামাল হোসেনের বলে শনাক্ত করেন।কারা, কীভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে এব্যাপারে তদন্ত চলছে জানিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হচ্ছে।ভোরের আকাশ/আজাসা
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) আয়োজনে গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন মঙ্গলবার দুপুরে কেএমপির সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। কেএমপি কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দার সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যম কর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।এসময় পুলিশ কমিশনার জানান, বিগত ১০ মাসে মেট্রোপলিটন এলাকায় ২৬টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এর মধ্যে দুটি লাশ নদীতে ভেসে আসায় ওই দুটি হত্যার মামলা নৌপুলিশ তদন্ত করছে। বাকি ২৪ টির মধ্যে ২২টি হত্যার পেছনের ঘটনা মেট্রোপলিটন পুলিশ তদন্তের মাধ্যমে উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে ও আসামীদের আটক করা হয়েছে। বাকি দুইটি মামলা তদন্তাধীন রয়েছে, তবে তদন্ত কাজে অগ্রগতি আছে।তিনি জানান, মাদকের কারণে আমাদের তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যৎ নষ্ট হচ্ছে। মাদকের বিক্রেতা, বাহক ও যারা খুলনার বাইরে থেকে মাদক নিয়ে আসে তাদের ওপর পুলিশের নজরদারি অব্যাহত আছে। গত সপ্তাহে হরিণটানা থানা এলাকা থেকে ১৯ হাজার পিস ইয়াবা আটক করা হয়েছে। এ ছাড়াও নিয়মিত অভিযানে মাদকদ্রব্য উদ্ধার হচ্ছে। স্কুল-কলেজ পড়ুয়া আমাদের সন্তানদের সন্ধ্যায় পড়ার টেবিলে ফিরিয়ে আনতে হবে। তারা যেন সন্ধ্যার পরে ঘরের বাইরে অযথা আড্ডা না দেয়, সেদিকে অভিভাবক-সহ সকলকে নজর দিতে হবে।পুলিশ কমিশনার আরও জানান, খুলনা শহরে প্রায় ২০ থেকে ২২ হাজার ইজিবাইক চলাচল করে। ধারণা করা হয় এর প্রায় ৬০ শতাংশ প্রতিদিন বাইরে থেকে শহরে প্রবেশ করে। ইজিবাইক চালকরা ট্রাফিক আইন সম্পর্কে সচেতন না হওয়ায় যানজটের কারণ হয়ে ওঠে। কেএমপির উদ্যোগে এ পর্যন্ত ৬ হাজার ৫০০ ইজিবাইক চালককে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। বাকিদের তিন থেকে চার মাসের মধ্যে প্রশিক্ষণ দেয়া সম্ভব হবে। এছাড়া খুলনার সব ইজিবাইককে দুই রঙে বিভক্ত করে রঙ অনুযায়ী একদিন বাদে একদিন চলাচলের ব্যবস্থা করা বিষয়ে ভেবে দেখা যেতে পারে।সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মোহাম্মদ রাশিদুল ইসলাম খান, উপপুলিশ কমিশনার (উত্তর) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, উপপুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মো. আবু তারেক, উপপুলিশ কমিশনার (সিটিএসবি) আবুল বাশার মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) সুদর্শন কুমার রায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/আজাসা
ছারছীনা দরবার শরীফের পীর ছাহেব আলহাজ হযরত মাওলানা শাহ্ আবু নছর নেছারুদ্দীন আহমাদ হুসাইন বলেছেন, আমরা জীবন দিয়ে হলেও আক্বীদা ও আদর্শের ব্যাপরে কখনো আপোষ করবো না। তিনি বলেন, মুসলমানদের ইসলামী দিবসসমূহের মধ্যে পবিত্র ইয়াওমে আশুরা একটি স্মরণীয় দিন। এ দিনটিকে আমরা বিভিন্নভাবে স্মরণে রাখি। তেমনিভাবে আমাদের প্রাণপ্রিয় শায়খ বাহরে শরীয়ত, মুজাদ্দিদে জামান শাহ্ মোহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহ (রহঃ) গত বছর এদিনেই আমাদের মায়ার বাঁধন ছিন্ন করে সকলকে এতিম করে চিরতরে বিদায় নিলেন। তাই এদিনটি আমাদের কাছে আরও বেশি স্মরণীয় হয়ে থাকবে। মরহুম হুজুরকে আমাদের মাঝে আর ফিরে পাবনা কিন্তু তাঁর আদর্শ, তা’লীম, নসীহত আমরা যদি অনুসরণ অনুকরণ করি তাহলেই আমাদের জীবন হবে সফল ও সার্থক।পবিত্র ইয়াওমে আশুরা ও ছারছীনা শরীফের মরহুম পীর ছাহেব কেবলা বাহরে শরীয়ত, মুজাদ্দিদে জামান শাহ্ মোহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহ (রহঃ) এর প্রথম ওফাত দিবস উপলক্ষে ৭ জুলাই সোমবার বাদ এশা ছারছীনা শরীফে আয়োজিত খাছ তা’লিমী জলসায় আখেরী মুনাজাতের পূর্বে তিনি এসব কথা বলেন।হযরত পীর ছাহেব কেবলা বলেন, মরহুম হযরত পীর ছাহেব কেবলা শরীয়তের ব্যাপারে অত্যন্ত কঠোর ছিলেন। শরীয়তের খেলাফ কোন কাজ তিনি বরদাশত করতেন না। মরহুম পীর ছাহেব কেবলা আক্বীদা ও আদর্শের ব্যাপারে অত্যন্ত কঠোর ছিলেন, আমরা জীবন দিয়ে হলেও আক্বীদা ও আদর্শের ব্যাপরে কখনো আপোষ করবে না। তিনি সুন্নাতের পরিপূর্ণ পাবন্দ ছিলেন। মরহুম হযরত পীর ছাহেব কেবলার জীবনের শেষ নসিহত ছিল আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে কখনো ছাড়বে না এবং সাহাবায়ে কেরামদের পথ ও মত মেনে আমাদের জীবন পরিচালিত করতে হবে। হযরত পীর ছাহেব কেবলা পীর ভাই, মুহিব্বীনদের উদ্দেশ্যে করে বলেন, এ দরবার আমাদের সকলের। আমরা এ দরবারের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করার জন্য সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে কাজ করে যাব। আলিয়া মাদ্রাসার সিলেবাসে আওলিয়ায়ে কেরামদের ইতিহাস নিয়ে বর্তমানে বিভিন্ন পাঁয়তারা চলছে, এটা নিয়ে ষড়যন্ত্র করলে তাদেরকে অবাঞ্চিত করা হবে। ছারছীনা দরবার শরীফকে নিয়ে একদল লোক সমাজে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চক্রান্ত করছে। তাদেরকে হুশিয়ার করে তিনি বলেন- আল্লাহ যদি সহায় থাকেন তাহলে তাদের সকল ধরণের ষড়যন্ত্র ধুলিস্যাৎ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এ. বি. এম মোশাররফ হোসেন, বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের মহাসচিব অধ্যক্ষ শিব্বির আহমদ মোমতাজী, পিরোজপুরের পুলিশ সুপার খাঁন মুহাম্মদ আবু নাসের, পিরোজপুর জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির আহবায়ক অধ্যক্ষ মোঃ আলমগীর, এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যরিষ্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ ভূঁইয়া প্রমূখ।ভোরের আকাশ/জাআ