ভোরের আকাশ ডেস্ক
প্রকাশ : ০৮ জুন ২০২৫ ১২:২৭ পিএম
ঈদের দ্বিতীয় দিনেও চলছে পশু কোরবানি
ঈদের দ্বিতীয় দিনেও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পশু কোরবানি করতে দেখা গেছে। ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী, ঈদের দিনসহ পরবর্তী দুদিন পর্যন্ত কোরবানি করা যায়। অনেকেই পেশাদার কসাইয়ের সংকটের কারণে ঈদের দিন কোরবানি না করে দ্বিতীয় দিন তা সম্পন্ন করছেন। রোববার (৮ জুন) সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পশু কোরবানি দিতে দেখা গেছে।
জানা গেছে, কসাইয়ের সংকট, ও হাট থেকে গরু বাড়িতে পৌঁছাতে দেরি হওয়াসহ নানা ব্যস্ততায় অনেকেই গতকাল শনিবার ঈদের দিন পশু কোরবানি করতে পারেননি। তারা আজ রোববার কোরবানি করছেন।
রামপুরার বাসিন্দা মাহমুদুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, ঢাকার বেশিরভাগ মানুষ ঈদের দিন কোরবানি দেন। এতে কসাইদের অনেক ব্যস্ততা থাকে। দেখা দেয় কসাই সংকট। তাই আমরা আগে থেকেই ঠিক করেছি দ্বিতীয় দিনে কোরবানি করবো। আজ খুব নিরিবিলি পরিবেশে কোরবানি দিতে পারছি। ফজরের নামাজের পরে হুজুর এসে গরু জবাই দিয়ে গেছেন। কসাইরা মাংস বানানোর কাজ শুরু করে দিয়েছেন।
খিলগাঁওয়ে বাসিন্দা মো. হাসান বলেন, ঈদের দিন এবং পরের দুদিন পশু কোরবানি দেওয়া যায়। কোরবানি দেওয়া জন্য এই তিনদিনই সমান। কোনদিন সওয়াব বেশি কম হওয়ায় সুযোগ নেই। গতকাল শনিবার যারা কোরবানি দিয়েছেন তাদের উদ্দেশ্য ছিলো আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন, আজ আমরা যারা কোরবানি দিচ্ছি তাদের উদ্দেশ্যও আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন।
তিনি বলেন, কোরবানির মাংস তিনভাগ করতে হয়। আমরা ধর্মীয় বিধান মেনে মাংস তিনভাগ করে, যার যা অংশ বুঝিয়ে দেবো। এখন কবুল করার মালিক আল্লাহ।
দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের তথ্য অনুযায়ী, ঈদের দিন ৭৫টি ওয়ার্ডে এক লাখ ৩৩ হাজার ৩১৭টি পশু কোরবানি করা হয়। প্রতিটি ওয়ার্ডে নাগরিকদের কোরবানির বর্জ্য সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশনে স্থানান্তর করা হয় এবং সেখান থেকে তা মাতুয়াইল স্যানিটারি ল্যান্ডফিলে চূড়ান্তভাবে ফেলা হচ্ছে।
এ পর্যন্ত ৩০ হাজার টন লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে প্রায় ১২ হাজার টন বর্জ্য মাতুয়াইল ল্যান্ডফিলে ডাম্প করা হয়েছে। এ কাজে ঢাকা দক্ষিণ সিটির ১০ হাজারের বেশি জনবল অংশ নিয়েছে। মাঠে আছে ২০৭টি ডাম্প ট্রাক, ৪৪টি কম্পেক্টর, ৩৯টি কন্টেইনার ক্যারিয়ার, ১৬টি পে-লোডারসহ মোট ২০৭৯টি যানবাহন। ৭৫টি ওয়ার্ডেই এসব যানবাহন নিয়োজিত রয়েছে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ