ভোরের আকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১২ জুন ২০২৫ ০৮:০৯ পিএম
ফাইল ছবি
ঈদুল আজহার ষষ্ঠদিন আজ। ছুটি প্রায় শেষের পথে। তাই এ ছুটিতে মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানায় ভিড় করেছেন সব বয়সী মানুষ। কেউ এসেছেন পরিবারের সঙ্গে। কেউ বা বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে। কেউ এসেছেন ছায়াঘেরা বিনোদনকেন্দ্রটিতে গরমে একটু প্রশান্তির খোঁজে। গাছের ছায়ায় ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী ও পাখি দেখছেন তারা। বৃহস্পতিবার দুপুরে মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা যায়।
সরেজমিন চিড়িয়াখানার বাইরে দেখা যায়, পরিবারের সদস্যদের নিয়ে চিড়িয়াখানায় এসেছে অনেকে। ঢাকার বাইরে থেকেও এসেছেন দর্শনার্থীরা। অনেকে আবার চিড়িয়াখানার বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা হকারদের কাছ থেকে কিনছেন বাঁশি, ময়ূরের পালক ও ফুলসহ নানা রকম খেলনা।
ঈদের ছুটিতে যানজটমুক্ত রাজধানীতে দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছাতে পেরে স্বস্তি নগরবাসীর। শিশু-কিশোরদের আবদার মেটাতে জাতীয় চিড়িয়াখানায় ঘুরতে আসছেন অনেকে। নানা প্রজাতির প্রাণীর দেখা পাওয়ার পাশাপাশি স্বস্তি মিলছে গাছের ছায়ায় প্রাকৃতিক পরিবেশে। সাভার নবীনগর থেকে ৯ বছরের ছেলে তামিমকে নিয়ে এসেছেন হামিদ-রোজিনা দম্পতি।
হামিদ হোসেন বলেন, আমার ভাইয়ের বাসা আদাবরে। চিড়িয়াখানায় আসার পরিকল্পনা করেই আজ ঢাকায় এসেছি। আজকে চিড়িয়াখানায় এলাম। বাচ্চাকে পশু-পাখি দেখাতে। রাতে আবার ফিরে যাব।
গাজীপুর থেকে আসা দর্শনার্থী সিরাজুল মিয়া বলেন, মেয়েকে চিড়িয়াখানা দেখাতে কাপাসিয়া থেকে এসেছি। অনেক পশুপাখি আছে, মেয়েকে সেগুলোর নামের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া যাবে।
প্রচণ্ড রোদে খানিকটা অসুবিধার কথা জানালেন এক দর্শনার্থী। দুই বছর বয়সী ছেলেকে নিয়ে আসা ওই দর্শনার্থী বলেন, ছেলের আবদার মেটাতে তাকে বানর-হাতি-বাঘ দেখতে চিড়িয়াখানায় এসেছি। কিন্তু প্রচণ্ড রোদে খুব একটা ঘুরতে পারিনি। কয়েকটি খাঁচা ঘুরে বের হয়ে এসেছি।
দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা ও সুযোগ-সুবিধার বিষেয়ে নানা পদক্ষেপের কথা জানান জাতীয় চিড়িয়াখানার পরিচালক ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম তালুকদার।
তিনি বলেন, দর্শনার্থীদের যাতে সুন্দর ও নিরাপদে চিড়িয়াখানা পরিদর্শন করতে পারেন সেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমাদের নিরাপত্তা কর্মীর পাশাপাশি পুলিশ রয়েছে। দর্শনার্থীরা ১৮টি ছাউনির নিচে আশ্রয় নিতে পারছেন। পর্যাপ্ত সুপেয় পানির ব্যবস্থা রয়েছে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ