ইভ্যালির সাইট হ্যাকড, চুরি ৮ লাখ গ্রাহকের তথ্য
বাংলাদেশের জনপ্রিয় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ইভ্যালি সাইবার হামলার শিকার হয়েছে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করলে সেখানে “Hacked, I have all customer data, Evaly please contact 00watch@proton.me” — এই বার্তাটি দৃশ্যমান হচ্ছে।
সাইবার হামলার পর ডার্ক ওয়েবে একটি পোস্টে হ্যাকাররা দাবি করেছে, তারা ইভ্যালির সার্ভার থেকে প্রায় ৮ লাখ গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে। এই ডেটার বিনিময়ে হ্যাকাররা ৫০০ মার্কিন ডলার মুক্তিপণ দাবি করেছে। দাবি পূরণ না হলে তথ্যগুলো পাবলিকলি প্রকাশ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে তারা।
হ্যাকারদের দাবিকৃত ডেটার মধ্যে রয়েছে গ্রাহকদের নাম, ইমেইল ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, অর্ডার সম্পর্কিত তথ্য এবং মার্চেন্টদের তথ্য।
এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ইভ্যালির পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেলকে একাধিকবার ফোন ও হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
সাইবার সুরক্ষা বিষয়ক নিউজ পোর্টাল ‘ইনফোসেক বুলেটিন’ জানিয়েছে, ইভ্যালির গ্রাহকদের এই পরিস্থিতিতে ফিশিং অ্যাটাক, প্রতারণামূলক বার্তা ও অন্যান্য সাইবার ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। পাশাপাশি যেসব অ্যাকাউন্টে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা হয়েছে, তা দ্রুত পরিবর্তন করার পরামর্শ দিয়েছে তারা।
এই ঘটনার ফলে ই-কমার্স গ্রাহকদের তথ্য সুরক্ষা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে, বিশেষ করে বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে।
ভোরের আকাশ//হ.র
সংশ্লিষ্ট
বাংলাদেশের জনপ্রিয় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ইভ্যালি সাইবার হামলার শিকার হয়েছে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করলে সেখানে “Hacked, I have all customer data, Evaly please contact 00watch@proton.me” — এই বার্তাটি দৃশ্যমান হচ্ছে।সাইবার হামলার পর ডার্ক ওয়েবে একটি পোস্টে হ্যাকাররা দাবি করেছে, তারা ইভ্যালির সার্ভার থেকে প্রায় ৮ লাখ গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে। এই ডেটার বিনিময়ে হ্যাকাররা ৫০০ মার্কিন ডলার মুক্তিপণ দাবি করেছে। দাবি পূরণ না হলে তথ্যগুলো পাবলিকলি প্রকাশ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে তারা।হ্যাকারদের দাবিকৃত ডেটার মধ্যে রয়েছে গ্রাহকদের নাম, ইমেইল ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, অর্ডার সম্পর্কিত তথ্য এবং মার্চেন্টদের তথ্য।এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ইভ্যালির পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেলকে একাধিকবার ফোন ও হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।সাইবার সুরক্ষা বিষয়ক নিউজ পোর্টাল ‘ইনফোসেক বুলেটিন’ জানিয়েছে, ইভ্যালির গ্রাহকদের এই পরিস্থিতিতে ফিশিং অ্যাটাক, প্রতারণামূলক বার্তা ও অন্যান্য সাইবার ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। পাশাপাশি যেসব অ্যাকাউন্টে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা হয়েছে, তা দ্রুত পরিবর্তন করার পরামর্শ দিয়েছে তারা।এই ঘটনার ফলে ই-কমার্স গ্রাহকদের তথ্য সুরক্ষা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে, বিশেষ করে বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে।ভোরের আকাশ//হ.র
বর্তমানে স্মার্টফোন আমাদের নিত্যদিনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলা এখন অনেকের দৈনন্দিন অভ্যাস। তবে অনেকেই জানেন না- ফোনে কথা বলার সময় কোন কানে ফোন ধরা উচিত, কিংবা দুই কানে পালাক্রমে ব্যবহার করা কি আদৌ প্রয়োজন?বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘক্ষণ একই কানে ফোন ব্যবহার করলে শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, সেইসঙ্গে মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট অংশে অতিরিক্ত চাপ পড়তে পারে।বাম নাকি ডান কান— কোনটা ভালো?বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, বেশিরভাগ ডানহাতি মানুষ স্বাভাবিকভাবেই ডান কানে ফোন ধরে। তবে কিছু বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা বলছে, ফোন ব্যবহারে বাম কানের তুলনায় ডান কান অপেক্ষাকৃত নিরাপদ।গবেষণা কী বলছে? হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের গবেষণায় বলা হয়েছে, মস্তিষ্কের ডান দিক ও বাম দিকের কার্যকারিতা ভিন্ন।বাম কানে ফোন ব্যবহার করলে সরাসরি মস্তিষ্কের ডান অংশের ওপর রেডিয়েশনের প্রভাব পড়ে, যা দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিকর হতে পারে বলে মত দিয়েছেন কিছু গবেষক।ফোন থেকে নির্গত ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ওয়েভ (ঊগঋ) কিছু গবেষণায় মাইল্ড স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে বলেও দাবি করা হয়েছে, যদিও বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো বিতর্কিত।চিকিৎসকদের পরামর্শ ঢাকার একজন ইএনটি বিশেষজ্ঞ ডা. রাকিব হাসান বলেন, ‘প্রথমত, দীর্ঘক্ষণ ফোনে কথা বললে শ্রবণশক্তির ওপর চাপ পড়ে। তাই একটানা অনেকক্ষণ ফোনে কথা বলা থেকে বিরত থাকতে হবে। আর একই কানে বারবার ফোন ব্যবহার না করে পালাক্রমে দুই কানে পরিবর্তন করা উচিত।’বিকল্প সমাধান হ্যান্ডসফ্রি বা ব্লুটুথ হেডসেট ব্যবহার করা ভালো।স্পিকারে কথা বললে রেডিয়েশনের সরাসরি প্রভাব কম হয়।ফোনে কথা বলার সময় যদি সম্ভব হয়, ডান কানে বেশি ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে দীর্ঘসময় হলে অবশ্যই দুই কানে পরিবর্তন করে কথা বলা উত্তম।চিকিৎসকদের মতে, কোন কানে ফোন ধরবেন সেটা আপনার ব্যক্তিগত অভ্যাসের ওপর নির্ভর করলেও, দীর্ঘ সময় এক কানে ব্যবহার করলে সেটা স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াতে পারে। তাই সচেতনভাবে দুই কানে পালাক্রমে ব্যবহার এবং বিকল্প প্রযুক্তি ব্যবহার করাই সবচেয়ে ভালো।ভোরের আকাশ/আজাসা
আমি প্রবাসী প্ল্যাটফর্ম চালু করেছে, মেশিন লার্নিং চ্যাটবটভিত্তিক সিভি বিল্ডার। এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে দ্রুত ও সহজেই তৈরি করা যাচ্ছে পেশাদার সিভি।মঙ্গলবার (১৩ মে) প্রবাসীদের নিয়ে কাজ করা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম আমি প্রবাসী এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত প্রায় এক লাখ মানুষ এই সিভি বিল্ডার ফিচার ব্যবহার করেছেন। এর মধ্যে ৩ হাজার ৫১২ জনের স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি রয়েছে, ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সী ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩১ হাজার ৩৮৯ জন এবং প্রকৌশলীর সংখ্যা ১ হাজার ৩৩৫ জন।আমি প্রবাসীর নতুন এই ফিচারে রয়েছে বাংলা মেশিন লার্নিং চ্যাটবট, যা সহজ প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর কাছ থেকে তার যাবতীয় তথ্য যেমন- দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও শিক্ষাগত যোগ্যতা ইত্যাদি জেনে নেয়। মাত্র ৫-৭ মিনিটে প্রয়োজনীয় তথ্য গ্রহণ শেষ করে একটি পেশাদার সিভি তৈরি করে দিতে সক্ষম এই ফিচার। সিভি প্রস্তুত হয়ে গেলে পিডিএফ ফরমেটে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন ব্যবহারকারীরা; যা তারা তাৎক্ষণিক শেয়ার করতে পারবেন আবার চাইলে ভবিষ্যতে ব্যবহারের জন্য সংরক্ষণ করতে পারবেন বলে দাবি কারে আমি প্রবাসীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক ই হক।আমি প্রবাসী অ্যাপে প্রবেশ করে নতুন ফিচারটি বিনামূল্যে ব্যবহার করা যাবে। যাদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা কম, তারাও এটি ব্যবহার করে সহজেই দ্রুত মানসম্পন্ন পেশাদার সিভি তৈরি করতে পারবেন, যা চাকরিক্ষেত্রে তাদের সুযোগ বৃদ্ধি করবে।আমি প্রবাসীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক ই হক বলেন, অনেক মানুষ বিশেষ করে যারা প্রযুক্তি ব্যবহারে অভ্যস্ত নয়, তারা জানেই না সিভি কী সেখানে সিভি তৈরি করা তো দূরের কথা। আমাদের সিভি বিল্ডার ফিচার যে কোনো ব্যক্তির জন্য সিভি তৈরি এখন অনেক সহজ করে দিয়েছে। বাংলায় মেশিন লার্নিং চ্যাটবটের সঙ্গে চ্যাট করে যে কেউ এখন সিভি বানাতে পারবেন। বেকারত্বের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইয়ে এটি একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ এবং আরও বেশি মানুষকে ভালো চাকরির সুযোগ করে দিতে বর্তমানে এটি সহায়ক একটি ফিচার।এছাড়াও, আগামীতে সিভি বিল্ডার ফিচারে এসএমএসের মাধ্যমে সিভি শেয়ার এবং তাৎক্ষণিক সিভি ডাউনলোডের জন্য কিউআর কোড অপশন যোগ করা হবে। ভোরের আকাশ/এসআই
এক সময় মানুষ আকাশের দিকে তাকিয়ে রাতের আকাশে দেখা বস্তুর প্রকৃতি সম্পর্কে ভেবেছে। বিংশ শতাব্দীতে রকেটের বিকাশ এবং ইলেকট্রনিক্স এবং অন্যান্য প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে সাথে, যন্ত্র, প্রাণী এবং তারপর পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের উপরে মানুষকে মহাকাশে পাঠানো সম্ভব হয়েছিল। তবে প্রযুক্তি এই অর্জনগুলিকে সম্ভব করার অনেক আগেই, মহাকাশ অনুসন্ধান ইতিমধ্যেই অনেক মানুষের মন কেড়ে নিয়েছিল। কিন্ত থেমে নেই মহাকাশ অনুসন্ধান। তারই ধারাবাহিকতায় এবার, এক জোড়া যমজ বাদামি বামন তারাকে প্রদক্ষিণ করা বিরল এক গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, নতুন খোঁজ পাওয়া এই গ্রহের নাম ২এম১৫১০(এবি)বি। ভিন্ন ধরনের গ্রহটি যমজ বাদামি বামন নক্ষত্রের চারপাশে ৯০ ডিগ্রি কোণে প্রদক্ষিণ করছে। নতুন এই গ্রহের খোঁজ মহাবিশ্বে গ্রহ কীভাবে তৈরি হয় ও কক্ষপথে আবর্তন করে, তার সম্পর্কে দীর্ঘদিনের ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করেছে। গ্রহটি যে যমজ বামন তারার চারপাশে ঘুরছে, সেগুলো বাইনারি হিসেবে পরিচিত। এসব তারা একে অপরকে এমনভাবে প্রদক্ষিণ করছে, যা পৃথিবী থেকে মনে হয় একে অপরের সামনে দিয়ে যাচ্ছে। গ্রহটির কক্ষপথ তার নক্ষত্রের কক্ষপথের সমান লম্বা। এই বিরল গ্রহটিই প্রথম গ্রহ, যা একটি মেরু কক্ষপথ অনুসরণ করছে।এই দুটি বাদামি বামনের ওজন প্রায় সমান। প্রতিটির ওজন সূর্যের ভরের মাত্র ৩ শতাংশ। কক্ষপথে আবর্তন করতে প্রায় ২১ দিন সময় নেয়। এই জোড়া বামন আরেকটি তৃতীয় বাদামি বামন থেকে প্রায় ২৫০ জ্যোতির্বিদ্যা ইউনিট দূরে অবস্থিত। দুটি বাদামি বামন তারার নাম ২এমএসএস জে১৫১০৪৭৮৬-২৮১৮১৭৪। ২০১৮ সালে বামন তারাগুলো আবিষ্কার করেন বিজ্ঞানীরা।বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, তিন বামনের উপস্থিতির জন্য পুরো অবস্থা সেখানে বেশ জটিল। সিস্টেমটি আরগাস মুভিং গ্রুপের অন্তর্গত, প্রায় ৪ কোটি ৫০ লাখ বছর পুরোনো তরুণ নক্ষত্রের একটি কাঠামো। বাদামি বামন সিস্টেম বিজ্ঞানীদের নতুন বস্তুর বিবর্তনের মডেল পরীক্ষা করতে অনেক তথ্য দিচ্ছে।আমরা লক্ষ করেছি যে দুটি বাদামি বামনের কক্ষপথ একে অপরের চারপাশে সূক্ষ্মভাবে প্রভাবিত করছে। সাধারণত গ্রহ তাদের হোস্ট নক্ষত্রের মতো প্রায় একই সমতলে প্রদক্ষিণ করে। ১৬টি পরিচিত সার্কামবাইনারি ধরনের গ্রহের বেশির ভাগই দুটি নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করে। অন্যদিকে নতুন গ্রহটি তারার কক্ষপথ খাঁড়াভাবে প্রদক্ষিণ করছে। বললেন বিজ্ঞানী ললিতা সাইরাম।সূত্র: দ্য ব্রাইটার সাইড ভোরের আকাশ/এসআই