× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

ইরানের ‘ফ্রেন্ডলি’ প্রতিশোধ এবং তিন পক্ষের বিজয়!

শফিকুল ইসলাম

প্রকাশ : ২৬ জুন ২০২৫ ০৮:১১ পিএম

ইরানের ‘ফ্রেন্ডলি’ প্রতিশোধ এবং তিন পক্ষের বিজয়!

ইরানের ‘ফ্রেন্ডলি’ প্রতিশোধ এবং তিন পক্ষের বিজয়!

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পৃথিবীতে মোটামুটি শান্তি ফিরে এসেছিল। কিন্তু কিছু দেশ, কিছু অঞ্চলে সংঘাত-সহিংসতা যেন শেষ হওয়ার নয়।  উদাহরণ হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যের কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। সেখানে যুদ্ধ-বিগ্রহ লেগে আছে যুগ যুগ ধরে।  এর নেপথ্যে আছে সন্ত্রাসী ইসরায়েল এবং যুদ্ধবাজ আমেরিকা।  বিধ্বংসী অস্ত্রের ধোঁয়া তুলে ইরাক আক্রমণ করেছিল আমেরিকা এবং তাদের মিত্ররা। কয়েক লাখ মানুষ হত্যার পর অবশ্য সেখানে বিধ্বংসী অস্ত্র পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে আমেরিকা এবং তার মিত্ররা সমালোচনার মুখে পড়লেও তাদের শাস্তি পেতে হয়নি।

তালেবান সরকার উৎখাতের জন্য আফগানিস্তানে আমেরিকা এবং তাদের মিত্ররা কত মানুষ হত্যা করেছে, তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই।  লিবিয়ায় মোয়াম্মার গাদ্দাফিকে উৎখাত করতে যে গৃহযুদ্ধ হয়েছিল, তাতে আমেরিকার মদত ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। এ অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দেওয়ার নয়।  সিরিয়ায় বাশার আল আসাদ সরকার হটানোর নেপথ্যেও এই আমেরিকার হাত রয়েছে এতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই।  কেননা, সিরিয়ায় বহু বছর ধরেই বহুপক্ষীয় লড়াই চলছিল।  এর মধ্যে মার্কিন সেনা, রুশ সেনা, তুর্কি সেনা এবং ইরান সমর্থিত মিলিশিয়া ছিল। অর্থাৎ একটি স্বাধীন দেশে বহু আধিপত্যবাদী দেশ সেনা মোতায়েন করেছিল।  সভ্যতার জন্য এটা ছিল বিশাল ক্ষত।  এছাড়া আসাদ সরকারের সেনা এবং তাদের বিদ্রোহীরা তো ছিলই।  এ কারণে বছরে পর বছর অগ্নিগর্ভ ছিল সিরিয়া।  আসাদ সরকার ক্ষমতায় থাকতেই গোলান মালভূমি দখল করে নেয় ইসরায়েল।  এছাড়া মাঝেমধ্যেই দেশটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করতো সিরিয়ায়।  এই ইসরায়েলের কারণেই তাদের প্রতিবেশীরা সব সময় তটস্থ থাকে।  গাজায় তারা প্রতিনিয়ত মানুষ মারছে। কিছুদিন আগেও তারা লেবাননে হামলা করেছে।  ইয়েমেনেও তারা হামলা করছে।  কেবল জর্ডান ছাড়া প্রতিবেশী সব দেশকেই তারা শত্রু মনে করে এবং হামলা চালায়।

ইসরায়েল এতকাল ইরানকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছিল।  অবশেষে ১৩ জুন রাতে তারা দেশটিতে হামলা চালায়। পাল্টা জবাব দেয় ইরান।  ইসরায়েলের পক্ষ নিয়ে তেহরানে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র।  প্রতিশোধ হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যের চার দেশে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালায় তেহরান।  কিন্তু এই হামলাকে ফ্রেন্ডলি হামলা বলা চলে।  কেননা, হামলা করার আগেই ইরান সতর্ক করেছিল। ফলে মার্কিন ঘাঁটিগুলোতে তেমন ক্ষয়-ক্ষতি হয়নি।  অবশ্য মার্কিন হামলায় ইরানেরও তেমন ক্ষতি হয়নি।  দুই বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে যুক্তরাষ্ট্র কেবল ইরানে কয়েকটি গর্ত খুঁড়েছে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে দাবি করা হয়েছে।

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে ১২ দিনের সংঘর্ষের অবসান ঘটিয়ে ২৪ জুন যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে।  ২৩ জুন রাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ঘোষণা দেন।  এই যুদ্ধবিরতি বিশ্বকে স্বস্তি দিয়েছে।  এই যুদ্ধবিরতি এখন যুক্তরাষ্ট্র, ইরান ও ইসরায়েল তিন পক্ষকেই বিজয়ের দাবি করার সুযোগ এনে দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র বলতে পারবে যে তারা ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা দুর্বল করে দিয়েছে।  ইসরায়েল দাবি করতে পারে তারা তেহরানকে যথেষ্টভাবে দুর্বল করেছে; আর ইরান গর্ব করে বলতে পারে তারা বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে এবং পিছু হটেনি।  আধুনিক যুদ্ধে দেশের ভেতরের জনমত গঠন একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।  আর এই তিন দেশই এখন জনগণকে বোঝানোর চেষ্টা করছে জয় তাদেরই হয়েছে।

ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের ইরানবিষয়ক পরিচালক আলী ভায়েজ বলেন, এখন প্রতিটি পক্ষই নিজ নিজ বিজয়ের গল্প তৈরি করে নিয়েছে এবং একই সঙ্গে একটি বৃহত্তর যুদ্ধের ঝুঁকি এড়িয়ে গেছে।  এর মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারত পুরো অঞ্চলে, এমনকি বিশ্বব্যাপী।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্জনকৌশলগত : অনেক দিন ধরে কূটনৈতিক সমাধানের পক্ষে কথা বলা যুক্তরাষ্ট্র হঠাৎ কৌশল বদলায় গত শনিবার।  ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে ‘মধ্যপ্রাচ্যের দস্যু’ বলে আখ্যা দিয়ে হুঁশিয়ারি দেন।  তিনি বলেন, যদি তেহরান শান্তির পথে না আসে, তবে পরবর্তী হামলা হবে আরও ভয়াবহ।  ট্রাম্প দাবি করেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।  তবে ওয়াশিংটন জানত, সংঘাত কোনো স্থায়ী সমাধান নয়।
ট্রাম্প বুঝতে পারেন, তেহরানের এমন একটা পথ দরকার, যাতে তারা উত্তেজনার পথ থেকে সরে আসতে পারে, আবার দেশের অভ্যন্তরীণ জনসমর্থনও না হারায়।  এ কারণেই ইরান কাতারে যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটিতে হামলা চালানোর পর ট্রাম্প পাল্টা হামলা না চালানোর সিদ্ধান্ত নেন।  তিনি ইরানকে আগাম সতর্কতার জন্য ধন্যবাদ দেন।

যুদ্ধের মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে নিজ দেশেই বোমা হামলার সমালোচনার মুখে পড়া ট্রাম্প এখন নিজেকে শান্তিদূতের ভূমিকায় তুলে ধরতে পারছেন।  এ সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র কোনো সেনা হারায়নি, নিজেদের সামরিক শক্তি দেখিয়েছে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার কৃতিত্বও দাবি করতে পারছে।  এ যেন ট্রাম্পের জন্য কৃতিত্ব দাবির মোক্ষম সময় হয়ে উঠেছে।

ইসরায়েলের আত্মগর্ব : যুক্তরাষ্ট্রের নিখুঁত বিমান হামলার আগের সপ্তাহেই ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে আকাশে নিজের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়।  তারা ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় হামলা চালায় এবং তেহরানের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে নিষ্ক্রিয় করে ফেলে।  ইসরায়েলি বাহিনী ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের গুরুত্বপূর্ণ কিছু ব্যক্তি ও পরমাণুবিজ্ঞানীদের হত্যা করেছে।  ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় অর্জন যুক্তরাষ্ট্রের এই সংঘাতে আনুষ্ঠানিকভাবে জড়িয়ে পড়া।  যুক্তরাষ্ট্রের ইরানে চালানো বিমান হামলা শুধু তেহরান নয়, পুরো বিশ্বকে এই বার্তা দিয়েছে যে ওয়াশিংটন নিরঙ্কুশভাবে তেলআবিবের পাশে আছে।
ভূরাজনৈতিকভাবে এই অবস্থান ইসরায়েলের ভাবমূর্তি যেমন উজ্জ্বল করেছে, তেমনি দেশের অভ্যন্তরেও এর প্রভাব পড়বে।  আগামী বছর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের আগে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর জন্য এটি এক বড় রাজনৈতিক লাভ এনে দিতে পারে। নেতানিয়াহুর দাবি, ইরানে পরিচালিত সামরিক অভিযানের সব লক্ষ্য ইতিমধ্যে পূরণ হয়েছে।

ইরানের প্রতিরোধ : যুক্তরাষ্ট্রের ইরানে চালানো বিমান হামলা তেহরানকে এক জটিল পরিস্থিতিতে ফেলে দেয়।  প্রতিশোধ নেওয়া জরুরি হয়ে পড়ে; কিন্তু প্রতিপক্ষ ছিল বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ।  একদিকে মুখ রক্ষা, অন্যদিকে উত্তেজনা থেকে সরে আসার পথ দুইয়ের ভারসাম্য রক্ষা করতে হতো ইরানকে।  দেশটি সে পথেই হেঁটেছে।

ইরান আন্তর্জাতিকভাবে এমন এক ভাবমূর্তি গড়ে তুলেছে, যেন বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে গেছে, মাথা নিচু করেনি।  ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি টেলিভিশনে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, তার দেশের বিরুদ্ধে চালানো যুদ্ধ মূল লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছে।  গত সোমবার তিনি বলেন, ‘আমি বলছি না যে তারা কোনো ক্ষতি করতে পারেনি।  হ্যাঁ, কিছু ক্ষতি হয়েছে, কিন্তু তারা আমাদের সব ধরনের সক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার বা অন্য যেকোনো উদ্দেশ্য থাকতে পারে, তা অর্জন করতে পারেনি।’ 
গোয়েন্দা প্রতিবেদন উপেক্ষা : মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এ বছরের শুরুতে বলেছিল, তাদের মূল্যায়ন অনুযায়ী ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে না।  আর মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদনগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত একটি সূত্র গত সপ্তাহে রয়টার্সকে জানিয়েছে, সেই মূল্যায়ন এখনো পরিবর্তন হয়নি।  কিন্তু তা সত্ত্বেও ইরানে হামলা করল যুক্তরাষ্ট্র।  এর মানে বন্ধু ইসরায়েলের পাশে থাকল যুক্তরাষ্ট্র।

ইরানের পরিমিত প্রতিক্রিয়া: ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি ঘোষণার ঠিক কয়েক ঘণ্টা আগে ইরান কাতারে একটি মার্কিন বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল।  এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।  গত রোববার যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে ৩০ হাজার পাউন্ড ওজনের বাংকার-বিধ্বংসী বোমা হামলা চালায়। জবাবে ইরান ওই মার্কিন বিমানঘাঁটিতে হামলা চালায়।  মার্কিন বিমানঘাঁটিতে ইরানের হামলার বিষয়ে অবগত কয়েকটি সূত্র জানায়, ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনা যাতে না বৃদ্ধি পায়, সে হিসাব করে গত সোমবার রাতে ইরান মার্কিন বিমানঘাঁটিতে হামলা চালায়।  এটি ছিল একটি পরিমিত পদক্ষেপ।  ইসরায়েল ও ইরানকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানান ট্রাম্প।  আর হোয়াইট হাউসের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, যতক্ষণ না ইরান নতুন করে হামলা চালায়, ততক্ষণ পর্যন্ত যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছিল ইসরায়েল।

ওই কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ইরান ইঙ্গিত দিয়েছে, তারা আর কোনো হামলা চালাবে না।  ট্রাম্প সরাসরি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলেছেন। আর মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ও মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ইরানের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যোগাযোগ করেছেন বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
হোয়াইট হাউসের ওই কর্মকর্তা বলেন, ইরান নিজেদের ‘দুর্বল অবস্থার’ কারণে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছিল।  কয়েক দিন ধরে ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় ব্যাপক হামলা হয়েছে। দেশটির শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও পরমাণুবিজ্ঞানীদের হত্যা করা হয়েছে।  ট্রাম্প সম্প্রতি প্রকাশ্যে ইরানের সরকার পরিবর্তনের ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন।  ওয়াশিংটনের জনস হপকিন্স স্কুল ফর অ্যাডভান্সড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের মধ্যপ্রাচ্য বিশেষজ্ঞ লরা ব্লুমেনফেল্ড বলেন, ট্রাম্প এখন ‘বিশ্বশান্তি’ ঘোষণা করেছেন। সুতরাং নেতানিয়াহুর জন্য এর বিরুদ্ধে যাওয়া কঠিন।

ট্রাম্পের বড় জুয়া : দীর্ঘদিন ধরে বড় কোনো বিদেশি যুদ্ধে সামরিকভাবে হস্তক্ষেপ না করার অঙ্গীকার করে আসছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু সেই অঙ্গীকার ভুলে তিনি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে বোমা হামলার নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।  নিজের প্রেসিডেন্ট মেয়াদের সবচেয়ে বড় এবং সম্ভবত সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি হিসেবে ট্রাম্প বাজি ধরেছিলেন।  তিনি ইরানের প্রধান পারমাণবিক স্থাপনা ফর্দো ধ্বংস করতে পারবেন এবং এর জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নাম মাত্র প্রতিশোধ নেবে ইরান। যদি ট্রাম্প ইসরায়েল-ইরান সংঘাত প্রশমিত করতে পারেন, তাহলে তিনি কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাটদের সমালোচনার ঝড় কিছুটা শান্ত করতে পারবেন।  এ ছাড়া নিজের দল রিপাবলিকানদের যুদ্ধবিরোধী অংশকেও সন্তুষ্ট রাখতে পারবেন, যারা তার ইরানে বোমা হামলার সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ।  এ ধরনের পদক্ষেপ ট্রাম্পের নির্বাচনী অঙ্গীকারের পরিপন্থী।  অন্যদিকে সংঘাত বন্ধ করতে পারলে ট্রাম্প তার নীতিগত অগ্রাধিকারগুলোর দিকেও মনোযোগ দিতে পারবেন।  এসব অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো এবং বাণিজ্য অংশীদারদের বিরুদ্ধে শুল্ক যুদ্ধের মতো বিষয়।  তবে ট্রাম্প ও তার সহকারীরা ইরান এবং এ-সংক্রান্ত দীর্ঘমেয়াদি প্রশ্নগুলো উপেক্ষা করতে পারবেন না।

রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট উভয় প্রশাসনের পক্ষে মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক মধ্যস্থতাকারী ডেনিস রস বলেন, ইরানিরা যুদ্ধবিরতির প্রয়োজন অনুভব করছে।  আর ইসরায়েল তাদের সামরিক লক্ষ্যের বেশির ভাগই পূরণ করে ফেলেছে।  কিন্তু এখনো বাধা রয়ে গেছে।  ইরান প্রচণ্ড দুর্বল হয়ে পড়েছে।  কিন্তু তাদের পারমাণবিক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ভবিষ্যৎ কী? তাদের উচ্চমাত্রায় সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম মজুতের কী হবে? এগুলো নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন হবে আর সেগুলো সহজে সমাধানযোগ্য নয়।
লেখক : সাংবাদিক ও শিক্ষক

ভোরের আকাশ/জাআ

  • শেয়ার করুন-
 ৬ জুলাই পবিত্র আশুরা পালিত হবে

৬ জুলাই পবিত্র আশুরা পালিত হবে

 আগস্টে মালয়েশিয়া সফরে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা

আগস্টে মালয়েশিয়া সফরে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা

 তিন জাতীয় নির্বাচনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্ত ও সুপারিশ কমিটি গঠন

তিন জাতীয় নির্বাচনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্ত ও সুপারিশ কমিটি গঠন

 পাথরঘাটায় ডেঙ্গুতে মায়ের মৃত্যু, ছেলের অবস্থাও আশঙ্কাজনক

পাথরঘাটায় ডেঙ্গুতে মায়ের মৃত্যু, ছেলের অবস্থাও আশঙ্কাজনক

 ডেঙ্গুর প্রভাবে অস্থির আমতলী, বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা

ডেঙ্গুর প্রভাবে অস্থির আমতলী, বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা

 মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস পালিত

মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস পালিত

 গাইবান্ধায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ  ও  তাঁতীলীগ নেতা গ্রেপ্তার

গাইবান্ধায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও  তাঁতীলীগ নেতা গ্রেপ্তার

 বরিশাল বিএম কলেজের শিক্ষার্থীদের শাটডাউনের ডাক

বরিশাল বিএম কলেজের শিক্ষার্থীদের শাটডাউনের ডাক

 সাতকানিয়া পৌরসভার ৫১ কোটি ৮১ লাখ টাকা বাজেট ঘোষণা

সাতকানিয়া পৌরসভার ৫১ কোটি ৮১ লাখ টাকা বাজেট ঘোষণা

 পাথরঘাটায় বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপন

পাথরঘাটায় বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপন

 এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ছাত্রদলের  কলম ফাইল ও পানি বিতরণ

এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ছাত্রদলের কলম ফাইল ও পানি বিতরণ

 রেস্তোরাঁ ও মিষ্টি বেকারি গ্রেডিং সেবা ডিজিটাইজেশন কর্মশালা

রেস্তোরাঁ ও মিষ্টি বেকারি গ্রেডিং সেবা ডিজিটাইজেশন কর্মশালা

 মানিকগঞ্জে বেসরকারি দুই হাসপাতালে অভিযান

মানিকগঞ্জে বেসরকারি দুই হাসপাতালে অভিযান

 ইরানের ‘ফ্রেন্ডলি’ প্রতিশোধ এবং তিন পক্ষের বিজয়!

ইরানের ‘ফ্রেন্ডলি’ প্রতিশোধ এবং তিন পক্ষের বিজয়!

 বরিশালে মাদকদ্রব্য অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস পালন

বরিশালে মাদকদ্রব্য অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস পালন

 নতুন তিন দিবসের ঘোষণা দিলো সরকার, প্রজ্ঞাপন জারি

নতুন তিন দিবসের ঘোষণা দিলো সরকার, প্রজ্ঞাপন জারি

 শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের নামে থাকা ৮০৮ প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন

শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের নামে থাকা ৮০৮ প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন

 টঙ্গী বিআরটি উড়ালসড়কের ফাঁকে পড়ে গুরুতর আহত এক

টঙ্গী বিআরটি উড়ালসড়কের ফাঁকে পড়ে গুরুতর আহত এক

 এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের পানি কলম ও মাক্স বিতরণ করলো টঙ্গী ছাত্রদল

এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের পানি কলম ও মাক্স বিতরণ করলো টঙ্গী ছাত্রদল

সংশ্লিষ্ট

ইরানের ‘ফ্রেন্ডলি’ প্রতিশোধ এবং তিন পক্ষের বিজয়!

ইরানের ‘ফ্রেন্ডলি’ প্রতিশোধ এবং তিন পক্ষের বিজয়!

লন্ডন বৈঠকে দায় বাড়ল বিএনপি’র

লন্ডন বৈঠকে দায় বাড়ল বিএনপি’র

মহান মুক্তিযুদ্ধ শুধুই আমাদের

মহান মুক্তিযুদ্ধ শুধুই আমাদের

আন্দোলনে সৃষ্ট দুর্ভোগের শেষ কোথায়?

আন্দোলনে সৃষ্ট দুর্ভোগের শেষ কোথায়?