ছবি: ভোরের আকাশ
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র কেন্দ্রীয় কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতা আসলে এলাকায় উন্নয়ন হবে। বিশেষ করে বলে যেতে চাই রাঙ্গাবালী উপজেলা একটি দুর্গম দ্বীপ এলাকা। চার দিকে নদী বেষ্টিত যোগাযোগের অবস্থা খারাপ। আপনারা দোয়া করেন বিএনপি ক্ষমতা আসলে এলাকার রাস্তা ঘাটের পরিবর্তন হয়ে যাবে। জাহাজমারা পর্যটন এলাকার ব্যাপক উন্নয়নের দরকার। ইনশাআল্লাহ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে অবশ্যই মানুষ বিএনপিকে ভোট দিবে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বুধবার (৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার দুর্গম দ্বীপ এলাকা মেীডুবী ইউনিয়নের স্থানীয় বাজারে আয়োজিত এক জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন- রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বিএনপি যে দায়িত্বশীল দল সেটির পরিচয় দিয়েছে। আমরা এখন ক্ষমতায় নেই তার পরেও মানুষ বিএনপি'র কাছে যায়। তারা মনে করে এ দলের কাছে। গেলে যেকোনো সম্যসার সমাধান করতে পারবো।
তিনি আরও বলেন, ৫ই আগস্টের পরে আমরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। তাদের নিরপত্তা দিয়েছি, যাতে দেশে কোনো বিশৃঙ্গলা তৈরি না হয়। সভায় উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এতে আসন্ন নির্বাচনে দলের সম্ভাবনা, সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি এবং মাঠপর্যায়ে কর্মীদের ভূমিকা নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন তিনি।
এ ছাড়া সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, রাঙ্গাবালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আ. রহমান ফরাজি, কলাপাড়া পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুসা তাওহিদ নান্নু মুন্সি, মৌডুবী ইউনিয়ন সভাপতি মো. শাহাবুদ্দিন আহমেদ মৃধা, মৌডুবী ইউনিয়ন সিনিয়র সভাপতি কে এম বেল্লাল হোসাইন, মৌডুবী ইউনিয়ন সাধারন সম্পাদক মো. কামরুল হাসান, রাঙ্গাবালী উপজেলা বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ হাওলাদার, রাঙ্গাবালী উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাসুদ পারভেজ খোকন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিল মাহমুদ, ছাত্রদলের আহ্বায়ক সোহানুর রহমান সোহাগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী বৃন্দ।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
জীবননগরে আমন ও রবি শস্যের ভরা মৌসুমে রাসায়নিক সারের তীব্র সংকট দেখা গেছে। এতে বিপাকে পড়েছে চাষিরা। ড্রাগন, মাল্টা, পেয়ারা সহ বিভিন্ন ফলের চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাছাড়া মাঠে শীতকালীন সবজি, পেঁপে, কলা, আখ, ধান সহ নানা শস্যের চাষ রয়েছে। এসব ফসল চাষে যে পরিমাণ রাসায়নিক সারের প্রয়োজন সে তুলনায় সার পাচ্ছে না বলে কৃষকেরা অভিযোগ করেছেন।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জীবননগরে ইউরিয়া ও এমওপি সারের তেমন ঘাটতি না থাকলেও টিএসপি ও ডিএপি সারের তীব্র সংকট রয়েছে। চাষিরা ডিলারদের কাছে সার নিতে গিয়ে বারবার খালি হাতে ফিরে আসছে। অনেক জায়গায় সার কিনতে কৃষকের লম্বা লাইন দিতে দেখা গেছে।চাষিরা অভিযোগ করে বলেছেন, ডিলারদের কাছে সার থাকে না অথচ বেশি টাকা দিলে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে সার পাওয়া যায়। শামিম হোসাইন নামের এক চাষি বলেন, বৃষ্টির পরে জমিগুলো জো হচ্ছে। এখন সার প্রয়োগের উপযুক্ত সময়। কিন্তু কোথাও সার পাওয়া যাচ্ছে না। ডিলারের কাছে যখনই যাই তারা বলে সার নেই। আমি পেয়ারা, আখ, শীতকাল সবজি ও আমন ধান চাষ করেছি। এখন আমার ৩/৪ বস্তা সার দরকার। কিন্তু সার পাচ্ছি না।আরেক কৃষক আসকার আলী জানান, টিএসপি সার কেনার জন্য গতকাল ভোর থেকে ডিলারের দোকানের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে মাত্র ২৫ কেজি সার পেয়েছি। আমার ৭ বিঘা জমিতে চাষ। কতোটুকু সারে কিছুই হবে না।ডিলারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, টিএসপি সারের চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম। এই পরিমাণ সার দিয়ে কৃষকের এতো বেশি চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। বরাদ্দের সার আসলেই সেটা ২/১ দিনের মধ্যেই শেষ হয়ে যাচ্ছে।কিছু অসাধু খুচরা ব্যবসায়ীরা সাধারণ মানুষদের কৃষক সাজিয়ে ডিলারের নিকট থেকে সার তুলে সেগুলো দোকানে বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।জীবননগর কৃষি কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন বলেন, জীবননগর উপজেলায় সারের তেমন সংকট নেই। আমাদের জমিতে যতটুকু প্রয়োজন তার ছাড়া ৫/৬ গুণ বেশি সার প্রয়োগ করে সারের সংকট তৈরি করছি। যে জমিগুলোতে ২০ কেজি টিএসপি সার প্রয়োগের দরকার সেখানে আমরা ১০০ কেজি টিএসপি সার প্রয়োগ করছি। অতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশক প্রয়োগের ফলে আমাদের জমির স্বাস্থ্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। জমির উর্বরতা শক্তি কমে আসছে। এমন হতে থাকলে আগামী ২০/২৫ বছর পর এসব জমি গুলো প্যারালাইজড হয়ে যেতে পারে।রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে কৃষি জমিতে বেশি বেশি করে জৈব সার ব্যবহার করতে হবে। তাহলে মাটির স্বাস্থ্য ভালো থাকবে ও সারের সংকট তৈরি হবে না।ভোরের আকাশ/জাআ
টাঙ্গাইল-তোরাপগঞ্জ সড়কে ধলেশ্বরী নদীর ওপর চারাবাড়িঘাট নামকস্থানে নির্মিত ব্রিজের অ্যাপ্রোচ (সংযোগ সড়ক) ধ্বসে পাঁচটি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) দিবাগত গভীর রাতে ব্রিজের পশ্চিম পাশের অ্যাপ্রোচ (সংযোগ সড়ক) ধ্বসে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।স্থানীয়রা জানায়, ব্রিজের অ্যাপ্রোচ (সংযোগ সড়ক) ধ্বসে যাওয়ায় সদর উপজেলার চরাঞ্চলের কাতুলী, হুগড়া, কাকুয়া, মাহমুদ নগর ও নাগরপুরের ভাড়রা ইউনিয়নে যাতায়াতের জন্য টাঙ্গাইল-তোরাপগঞ্জ সড়কে ধলেশ্বরী নদীর ওপর চারাবাড়িঘাটে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) বিগত ২০০৬ সালে ১৭০ দশমিক ৬৪২ মিটার দৈর্ঘ্যের ব্রিজটি নির্মাণ করে। নির্মাণের পর থেকে কয়েকবার পূর্ব ও পশ্চিম তীরের অ্যাপ্রোচ রোড (সংযোগ সড়ক) ধসে যায়।এরআগে শেষবার গত বছরের ১০ জুলাই ব্রিজের পশ্চিম পাশের অ্যাপ্রোচ ধ্বসে পড়ায় পাঁচ ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ ভোগান্তির শিকার হয়।তারা জানায়, মঙ্গলবার গভীর রাতে ব্রিজটির অ্যাপ্রোচে আবার ধ্বস নামে। গুরুত্বপূর্ণ এ ব্রিজ দিয়ে চরাঞ্চলের পাঁচটি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করে। এছাড়া মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন অফিস আদালতে যাতায়াতেরও ব্যাঘাত ঘটছে। এদিকে এই ব্রিজের উপর দিয়ে চরাঞ্চলের কৃষিপণ্য, তাঁত শিল্পের কাঁচামাল ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য আনা-নেওয়া করতে প্রতিদিন শতাধিক ট্রাক, অটোভ্যান, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা, সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলাচল করে থাকে। অ্যাপ্রোচ ধ্বসের ফলে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।সিএনজি চালিত অটো রিকশার চালক আব্দুল হাই ও খোরশেদ আলম জানান, তিনি বুধবার(৮ অক্টোবর) ভোরে যাত্রী নিয়ে এসে দেখতে পান ব্রিজের পশ্চিপাশের অ্যাপ্রোচ ধ্বসে গেছে। পরে যাত্রী নামিয়ে দিয়ে তিনি ধ্বসে পড়ার ভাঙনের দৃশ্য দেখছেন। দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থা না নিলে তারা আর গাড়ি চালাতে পারবেন না।কাতুলী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সুমন দেওয়ান জানান, নদীর পানির চাপ বেড়ে ব্রিজের পশ্চিম পাশের অ্যাপ্রোচসহ স্থানীয় কয়েকটি বাড়িতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে ব্রিজ ভেঙে চরাঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করবে।সদর উপজেলার এলজিইডি কর্মকর্তা জাকির হোসেন জানান, তিনি সরেজমিনে ধ্বসেপড়া স্থান পরিদর্শন করেছেন। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে জরুরিভাবে অ্যাপ্রোচটি মেরাততের ব্যবস্থা করা হবে। টাঙ্গাইল এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ কামরুজ্জামান জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সদর উপজেলা পরিষদের সঙ্গে কথা বলে যৌথ উদ্যোগ নিয়ে অতিদ্রুত অ্যাপ্রোচ মেরামতের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।ভোরের আকাশ/জাআ
"আমি কন্যাশিশু স্বপ্নগড়ি, সাহসে লড়ি, দেশের কল্যানে কাজ করি-" এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে টাঙ্গাইলের গোপালপুরে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস ২৫ উদযাপন করা হয়েছে।বুধবার (৮ অক্টোবর) বুধবার বর্ণাঢ্য র্যালির পর আলোচনা সভা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।উপজেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয় কর্তৃক আয়োজিত সভায় নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তুহিন হোসেন সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাহমুদা খাতুন উপজেলা কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান, গোপালপুর প্রেসক্লাব সম্পাদক অটল শরিয়ত উল্লাহ উপজেলা মহিলাদল সভাপতি নাজমা পারভীন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি বিলকিস সুলতানা সাইফুল প্রমুখ।শিক্ষার্থী ফারিয়া জাহান মুনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/জাআ
নাটোরের সিংড়ায় ৩ লাখ টাকা মূল্যের দুটি স্রোতিজাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।বুধবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে সিংড়া উপজেলার শেরকোল ইউনিয়নের সিধাখালী বিলে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা মূল্যের দুটি স্রোতিজাল জব্দ করে তা পুড়িয়ে ধ্বংস করেছে উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর।সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শাহাদত হোসেন বলেন, স্রোতিজাল দেশীয় মাছের জন্য মারাত্মক হুমকির কারণ। এগুলোর ব্যবহার প্রজনন প্রক্রিয়া ব্যাহত করে। অবৈধভাবে মাছ ধরার বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।ভোরের আকাশ/জাআ