সৌদি আরবে চার ওমরাহ প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স স্থগিত, বহু প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
ওমরাহ যাত্রীদের সঙ্গে প্রতিশ্রুত সেবা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হওয়ায় সৌদি আরবে চারটি ওমরাহ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়াও অনিয়মের অভিযোগে একাধিক কোম্পানিকে আর্থিক জরিমানা করেছে দেশটির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়।
শুক্রবার (৪ জুলাই) গালফ নিউজ–এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের হঠাৎ পরিচালিত একাধিক মাঠপর্যায়ের পরিদর্শনে দেখা যায়, কয়েকটি ওমরাহ কোম্পানি তাদের অনুমোদিত কর্মসূচি অনুযায়ী যাত্রীদের মানসম্মত আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। এর ফলে হাজিদের নিরাপত্তা, স্বাচ্ছন্দ্য ও মর্যাদা বিঘ্নিত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “এসব অনিয়ম সেবাদাতাদের সাথে চুক্তির লঙ্ঘন এবং আমাদের নির্ধারিত মানদণ্ডের পরিপন্থী। হাজিদের আরাম, নিরাপত্তা ও সম্মান নিশ্চিত করাই আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।”
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, কোম্পানিগুলোর অনিয়মের মাত্রা ও পূর্বের কার্যক্রম বিশ্লেষণ করে শাস্তির পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে। যদিও স্থগিত হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম এবং আর্থিক জরিমানার নির্দিষ্ট অঙ্ক প্রকাশ করা হয়নি।
সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০ অনুযায়ী ধর্মীয় পর্যটন খাতে স্বচ্ছতা, মান নিয়ন্ত্রণ এবং সেবার মান উন্নয়নের অংশ হিসেবে এমন পরিদর্শন ও তদারকি ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
ভোরের আকাশ//হ.র
সংশ্লিষ্ট
পবিত্র হজ পালন শেষে এখন পর্যন্ত সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন ৬৫ হাজার ৫৭৩ জন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫ হাজার ৭ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ফিরেছেন ৬০ হাজার ৫৬৬ জন।শনিবার (৫ জুলাই) হজ সম্পর্কিত সর্বশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।এয়ারলাইনস, সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ হজ অফিস ঢাকা ও সৌদি আরবের সূত্রে হজ বুলেটিনের আইটি হেল্প ডেস্ক জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ১৮০টি ফিরতি হজ ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসে ৩০ হাজার ৪৪৩ জন, সৌদি এয়ারলাইনসে ২৬ হাজার ৩৫৪ ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইনসের মাধ্যমে দেশে ফিরেছেন ৮ হাজার ৭৭৬ জন।এদিকে, হজ পালন করতে গিয়ে এ বছর এখন পর্যন্ত ৪২ বাংলাদেশি মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ৩১ জন পুরুষ ও ১১ জন নারী। এর মধ্যে ২৬ জন মক্কায়, ১২ জন মদিনায়, ৩ জন জেদ্দায় এবং একজন আরাফায় মারা গেছেন।প্রসঙ্গত, গত ২৮ এপ্রিল রাজধানীর আশকোনা হজ ক্যাম্পে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০২৫ সালের হজ ফ্লাইটের উদ্বোধন করেন অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন। এরপর একই দিন রাত ২টা ২০ মিনিটে চার শতাধিক যাত্রী নিয়ে হজযাত্রীদের বহনকারী প্রথম বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জেদ্দার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।ভোরের আকাশ/জাআ
ওমরাহ যাত্রীদের সঙ্গে প্রতিশ্রুত সেবা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হওয়ায় সৌদি আরবে চারটি ওমরাহ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়াও অনিয়মের অভিযোগে একাধিক কোম্পানিকে আর্থিক জরিমানা করেছে দেশটির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়।শুক্রবার (৪ জুলাই) গালফ নিউজ–এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।প্রতিবেদনে বলা হয়, হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের হঠাৎ পরিচালিত একাধিক মাঠপর্যায়ের পরিদর্শনে দেখা যায়, কয়েকটি ওমরাহ কোম্পানি তাদের অনুমোদিত কর্মসূচি অনুযায়ী যাত্রীদের মানসম্মত আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। এর ফলে হাজিদের নিরাপত্তা, স্বাচ্ছন্দ্য ও মর্যাদা বিঘ্নিত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “এসব অনিয়ম সেবাদাতাদের সাথে চুক্তির লঙ্ঘন এবং আমাদের নির্ধারিত মানদণ্ডের পরিপন্থী। হাজিদের আরাম, নিরাপত্তা ও সম্মান নিশ্চিত করাই আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।”বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, কোম্পানিগুলোর অনিয়মের মাত্রা ও পূর্বের কার্যক্রম বিশ্লেষণ করে শাস্তির পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে। যদিও স্থগিত হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম এবং আর্থিক জরিমানার নির্দিষ্ট অঙ্ক প্রকাশ করা হয়নি।সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০ অনুযায়ী ধর্মীয় পর্যটন খাতে স্বচ্ছতা, মান নিয়ন্ত্রণ এবং সেবার মান উন্নয়নের অংশ হিসেবে এমন পরিদর্শন ও তদারকি ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।ভোরের আকাশ//হ.র
মুসলমানদের কাছে পবিত্র মুহাররম মাসের ১০ তারিখ, অর্থাৎ আশুরা, বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ একটি দিন। এই দিনে রোজা রাখা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নত। শুধু ১০ তারিখ নয়, রাসুল (সা.) আশুরার রোজার সঙ্গে আরও একটি দিন—৯ অথবা ১১ মুহাররম—রোজা রাখার ব্যাপারে উৎসাহ দিয়েছেন।দুটি দিন রোজার পেছনে কারণ কী?হাদিসের বর্ণনায় উঠে এসেছে, ইহুদি ও খ্রিস্টানরাও আশুরার দিনটিকে মর্যাদার সঙ্গে পালন করত। তাই তাদের সঙ্গে সাদৃশ্য এড়াতে রাসুল (সা.) ৯ ও ১০ মুহাররম একসঙ্গে রোজা রাখার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। যদিও তিনি পরবর্তী বছর এ সুযোগ পাননি, কারণ তার আগেই ইন্তেকাল করেন।সহীহ মুসলিমে বর্ণিত আছে—‘আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) আশুরার দিন রোজা রাখেন এবং সাহাবাদেরও রোজা রাখতে বলেন। তখন লোকেরা বলেন, “হে আল্লাহর রাসুল! এই দিনটি তো ইহুদি ও খ্রিস্টানদের কাছেও গুরুত্বপূর্ণ।” উত্তরে তিনি বলেন, “আগামী বছর, ইনশাআল্লাহ, আমরা ৯ তারিখেও রোজা রাখব।” কিন্তু তার আগেই রাসুল (সা.) ইন্তেকাল করেন।’রোজা রাখার পদ্ধতি কী হবে?আলেমদের মতে, আশুরার রোজা পালন করতে কয়েকটি পন্থা অনুসরণ করা যায়:শুধু ১০ মুহাররম রোজা রাখা—ন্যূনতম সুন্নত পালন।৯ ও ১০ মুহাররম একসঙ্গে রোজা রাখা—এটি সর্বোত্তম ও রাসুল (সা.)-এর অনুসৃত পন্থা।১০ ও ১১ মুহাররম রোজা রাখা—যাদের পক্ষে ৯ তারিখে রোজা রাখা সম্ভব নয়, তারা এই পন্থাও অবলম্বন করতে পারেন।ইমাম শাফেয়ী, ইমাম আহমাদ ও অন্যান্য প্রখ্যাত আলেমগণ উভয় দিন রোজাকে মুস্তাহাব (উত্তম) বলে গণ্য করেছেন।মুহাররম মাসে রোজার ফজিলতরাসুল (সা.) বলেছেন, ‘রমজানের পর আল্লাহর কাছে সর্বোত্তম রোজা হলো মুহাররম মাসে রোজা।’ (সহীহ মুসলিম)এই হাদিস থেকে স্পষ্ট, মুহাররমের যেকোনো দিন রোজা রাখা সাওয়াবের কাজ। তবে আশুরার দিনে রোজার রয়েছে বিশেষ ফজিলত ও গুরুত্ব।উপসংহার:আশুরার রোজা শুধু একটি আধ্যাত্মিক অনুশীলন নয়, বরং এটি ইতিহাস, ঐতিহ্য ও রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। তাই মুসলমানদের উচিত এ দিনটির যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে ৯ ও ১০ অথবা ১০ ও ১১ মুহাররম রোজা রেখে এই ফজিলতপূর্ণ আমল পালন করা।ভোরের আকাশ//হ.র
ইসলামে নামাজের সময় কাতারবদ্ধ হওয়ার ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নামাজে সামনের কাতারগুলো ফাঁকা না রেখে একেকটি কাতার পরিপূর্ণ করা জরুরি। এ বিষয়ে বিভিন্ন হাদিস শরিফে নির্দেশনা এবং সতর্কতা পাওয়া যায়, যা মুসল্লিদের জন্য বড় শিক্ষা হিসেবে বিবেচিত।হাদিসে সামনের কাতার পূরণের গুরুত্ব:সহিহ মুসলিমে বর্ণিত একটি হাদিসে, জাবের ইবনে সামুরা (রাঃ) থেকে বলা হয়, একবার রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাদের কাছে এসে বললেন, “তোমরা কি সেইভাবে কাতারবদ্ধ হবে না, যেভাবে ফেরেশতাগণ তাদের রবের সামনে কাতারবদ্ধ হন?” আমরা জিজ্ঞেস করলে তিনি জানালেন, “ফেরেশতারা প্রথম কাতারগুলো পূর্ণ করে, তারপর কাতারে মিলে দাঁড়ায়।” (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৪৩০)আরেকটি হাদিসে আবু সাঈদ খুদরি (রাঃ) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁর সাহাবীদের মাঝে কেউ পেছনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন এবং বললেন, “তোমরা সামনে এগিয়ে আসো, আমার অনুসরণ করো। তোমাদের পেছনেররা যেন তোমাদের অনুসরণ করে। এক শ্রেণির লোক থাকবে, যারা সবসময় নামাজে পেছনে থাকবে। আল্লাহও তাদের রহমত থেকে পেছনে রাখবেন।” (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৪৩৮)কাতারে অপূর্ণতা ও সওয়াব:সুনানে আবু দাউদে এসেছে, আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, “তোমরা সামনের কাতার পূর্ণ করো, তারপর পরের কাতার। কাতারে যদি কোথাও ঘাটতি থাকে, তা শেষের কাতারে থাকবে।” (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ৬৭১)প্রথম কাতারে নামাজ পড়ার সওয়াব আলাদা উল্লেখযোগ্য। সহিহ বুখারীতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, “যদি মানুষ জানতো আজানের ও প্রথম কাতারে নামাজ পড়ার কত বড় ফযীলত আছে, এবং এটি পাওয়ার জন্য লটারির মতো কোনো মাধ্যম ছাড়া উপায় না থাকতো, তাহলে তারা লটারির মাধ্যমে হলেও এই সওয়াব অর্জন করত।” (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬১৫)উপসংহার:নামাজে সামনের কাতার খালি না রেখে পূর্ণ করা শুধু নিয়ম নয়, বরং এটি আল্লাহর রহমত অর্জনের অন্যতম পথ। যারা নিয়মতান্ত্রিকভাবে এই বিষয়টি অবজ্ঞা করেন, তারা আল্লাহর রহমত থেকে পেছনে থাকতে পারেন। তাই মুসল্লিদের জন্য জোরালো আহ্বান, নামাজে সতর্কতা অবলম্বন করে কাতারগুলো একেক করে পূর্ণ করে দাঁড়ানোর।ভোরের আকাশ//হ.র