টেলর সুইফটকে ছাড়িয়ে বিশ্বসঙ্গীতে শীর্ষে অরিজিৎ সিং
ভারতীয় সংগীতশিল্পী অরিজিৎ সিং গড়লেন ইতিহাস। বিশ্বখ্যাত সংগীত স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম স্পটিফাইয়ে সর্বাধিক অনুসারীর সংখ্যা নিয়ে তিনিই এখন বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় শিল্পী। ২০২৫ সালের ১ জুলাই পর্যন্ত তার অনুসারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫১ মিলিয়ন, যা তাঁকে টেলর সুইফট, এড শিরান, বিলি আইলিশ এবং কে-পপ ব্যান্ড বিটিএসের চেয়ে এগিয়ে দিয়েছে।
স্পটিফাইয়ের শীর্ষ শিল্পীদের তালিকায় বর্তমানে রয়েছে:
অরিজিৎ সিং: ১৫১ মিলিয়ন
টেলর সুইফট: ১৩৯ মিলিয়ন
এড শিরান: ১২১ মিলিয়ন
বিলি আইলিশ: ১১৪ মিলিয়ন
দ্য উইকেন্ড: ১০৭.২ মিলিয়ন
আরিয়ানা গ্রান্দে: ১০৫.৮ মিলিয়ন
এমিনেম: ১০১.৭ মিলিয়ন
বিটিএস: প্রায় ৮০ মিলিয়ন
২০১৯ সালে ভারতে স্পটিফাই চালুর মাত্র ছয় বছরে অরিজিৎ সিং এশিয়া থেকে উঠে এসে আন্তর্জাতিক সঙ্গীত জগতে নিজের অবস্থান সুদৃঢ় করলেন। তিনি শুধু গায়ক নন, সফল সুরকার ও সংগীত প্রযোজক হিসেবেও ব্যাপক পরিচিত।
গত বছর, ২০২৪ সালে, তার গাওয়া বেশ কিছু গান শ্রোতাদের হৃদয় জয় করেছে। বিশেষ করে ‘তুম হি হো’, ‘কেশরিয়া’, ‘তুম কেয়া মিলে’, ‘ধুন’ (সাইয়ারা সিনেমা) ও ‘জানে তু’ (ছাবা সিনেমা) গানগুলো বছরের সর্বাধিক স্ট্রিমিং তালিকায় শীর্ষে ছিল।
২০২৩ সালের আগস্ট মাসেও অল্প সময়ের জন্য অরিজিৎ টেলর সুইফটকে ছাড়িয়ে যান। তবে ২০২৪ সাল থেকে স্থায়ীভাবে শীর্ষে থাকেন এবং ২০২৫ সালের জুলাইয়ে তার অবস্থান আরও দৃঢ় হয়েছে।
অরিজিৎ সিংয়ের এই সাফল্য ভারতীয় সংগীতের গৌরব হয়ে থাকবে বিশ্ব দরবারে।
ভোরের আকাশ//হ.র
সংশ্লিষ্ট
জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও সংগীতশিল্পী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা সম্প্রতি এক পডকাস্টে তার ব্যক্তিগত জীবনের কঠিন এক অধ্যায় নিয়ে মুখ খুলেছেন। ১১ বছর দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘটেছিল ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে, যখন তিনি ও তার স্বামী তাহসান খান আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।২০০৬ সালের ৩ আগস্ট তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের একটি কন্যাসন্তান, আইরা তেহরীম খান। বিচ্ছেদের সময় মিথিলা জানান, এই সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া ছিল তার জন্য সবচেয়ে কঠিন বিষয়। তখন তিনি তরুণী এবং এক বছরের একমাত্র সন্তানের মা। "আমি ভেবেছিলাম, হয়তো সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে, বিচ্ছেদ পর্যন্ত গড়াবে না," বলেন মিথিলা।তিনি আরও জানান, "বিচ্ছেদ বা সম্পর্ক ভেঙে যাওয়া কখনোই সহজ নয়। তখন আমি মানসিকভাবে এত দৃঢ় ছিলাম না বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে। আমার এক বছরের সন্তান ছিল, তাই নিজের জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন ছিল।"মিথিলা বলেন, "২৩ বছর বয়স থেকে আমি আমার জীবনকে একভাবে ভেবে এসেছিলাম। হঠাৎ জীবনটা পুরো বদলে গেল। শ্বশুরবাড়ির মানুষদের সঙ্গে থেকে আমি ভবিষ্যৎ দেখতাম, কিন্তু বুঝলাম সেটা আমার জায়গা নয়।"তিনি নিজেও চাকরি করতেন, তবে ব্যক্তিগত জীবনে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ছিল সীমিত। "আমার কোনো গাড়ি ছিল না, অথচ আমি গাড়িতে চলাফেরার অভ্যস্ত ছিলাম, আমার সন্তানও তাই ছিল। তখন বুঝলাম জীবনে নিজের জায়গা থাকা কত জরুরি," মিথিলা বলেন।এই অভিজ্ঞতা থেকে তিনি মনে করেন, নারীর অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অপরিহার্য। "মেয়েদের নিজেদের জায়গা বলতে কিছু থাকে না—কখনো শ্বশুরবাড়ি, কখনো বাবার বাড়ি। এখন আমার নিজের জায়গা আছে। মেয়েদের সবার আগে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা দরকার। তা না হলে জীবনের বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে," যোগ করেন তিনি।২০১৫ সালে তারা আলাদা থাকতে শুরু করেন, এবং মিথিলা দীর্ঘ সময় চেষ্টা করেন সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার। তবে অবশেষে ২০১৭ সালে তারা বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন।তাহসান ও মিথিলা একসঙ্গে অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় নাটক যেমন ‘আমার গল্পে তুমি’, ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস’, ‘ল্যান্ডফোনের দিনগুলোতে প্রেম’, ‘মধুরেন সমাপয়েত’, যেগুলো দর্শকের ভালোবাসা পেয়েছে। তারা একসঙ্গে গানও গেয়েছেন।মিথিলার এই খোলামেলা কথাগুলো অনেকের কাছে এক অনুপ্রেরণা হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করছেন ভক্তরা।ভোরের আকাশ//হ.র
ভারতীয় সংগীতশিল্পী অরিজিৎ সিং গড়লেন ইতিহাস। বিশ্বখ্যাত সংগীত স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম স্পটিফাইয়ে সর্বাধিক অনুসারীর সংখ্যা নিয়ে তিনিই এখন বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় শিল্পী। ২০২৫ সালের ১ জুলাই পর্যন্ত তার অনুসারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫১ মিলিয়ন, যা তাঁকে টেলর সুইফট, এড শিরান, বিলি আইলিশ এবং কে-পপ ব্যান্ড বিটিএসের চেয়ে এগিয়ে দিয়েছে।স্পটিফাইয়ের শীর্ষ শিল্পীদের তালিকায় বর্তমানে রয়েছে:অরিজিৎ সিং: ১৫১ মিলিয়নটেলর সুইফট: ১৩৯ মিলিয়নএড শিরান: ১২১ মিলিয়নবিলি আইলিশ: ১১৪ মিলিয়নদ্য উইকেন্ড: ১০৭.২ মিলিয়নআরিয়ানা গ্রান্দে: ১০৫.৮ মিলিয়নএমিনেম: ১০১.৭ মিলিয়নবিটিএস: প্রায় ৮০ মিলিয়ন২০১৯ সালে ভারতে স্পটিফাই চালুর মাত্র ছয় বছরে অরিজিৎ সিং এশিয়া থেকে উঠে এসে আন্তর্জাতিক সঙ্গীত জগতে নিজের অবস্থান সুদৃঢ় করলেন। তিনি শুধু গায়ক নন, সফল সুরকার ও সংগীত প্রযোজক হিসেবেও ব্যাপক পরিচিত।গত বছর, ২০২৪ সালে, তার গাওয়া বেশ কিছু গান শ্রোতাদের হৃদয় জয় করেছে। বিশেষ করে ‘তুম হি হো’, ‘কেশরিয়া’, ‘তুম কেয়া মিলে’, ‘ধুন’ (সাইয়ারা সিনেমা) ও ‘জানে তু’ (ছাবা সিনেমা) গানগুলো বছরের সর্বাধিক স্ট্রিমিং তালিকায় শীর্ষে ছিল।২০২৩ সালের আগস্ট মাসেও অল্প সময়ের জন্য অরিজিৎ টেলর সুইফটকে ছাড়িয়ে যান। তবে ২০২৪ সাল থেকে স্থায়ীভাবে শীর্ষে থাকেন এবং ২০২৫ সালের জুলাইয়ে তার অবস্থান আরও দৃঢ় হয়েছে।অরিজিৎ সিংয়ের এই সাফল্য ভারতীয় সংগীতের গৌরব হয়ে থাকবে বিশ্ব দরবারে।ভোরের আকাশ//হ.র
সন্তান দত্তক নিতে ইচ্ছে প্রকাশ করলেন নন্দিত অভিনেত্রী জয়া আহসান। নিজেই এই তথ্য জানালেন তিনি।বর্তমানে ‘ডিয়ার মা’ সিনেমার প্রচার নিয়ে কলকাতায় ব্যস্ত তিনি। সেখানে সিনেমার প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জয়া জানান, বাস্তবে তিনিও মা হতে চান। তবে সন্তানধারণ করে নয় বরং দত্তক নিয়ে।জয়া বলেন, আমি সন্তান দত্তক নেওয়ায় বিশ্বাসী। আমি নিজে চেষ্টাও করেছিলাম। ইচ্ছে ছিল যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকা থেকে কোনও শিশুকে দত্তক নেব।জয়া ও তার বোন মিলে সন্তান দত্তক নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু এখনও কিছু জটিলতার কারণে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়নি।জয়া আহসানের কথায়, আসলে নানা রকমের জটিলতা রয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকা থেকে শিশু দত্তক নিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তার জন্য নানা রকমের পদ্ধতি রয়েছে।দম্পতিদেরও সন্তান দত্তক নেওয়ার পরামর্শএ দিয়েছেন জয়া আহসান। এ বিষয়ে তিনি বলেন, যাদের একটি করে সন্তান থাকে, তারা দ্বিতীয় বা তৃতীয় সন্তান হিসাবে বাইরে থেকে দত্তক নিতেই পারেন। তা হলে সেই শিশুগুলো একটি পরিবার পেয়ে যাবে।ইতোমধ্যেই ‘ডিয়ার মা’ সিনেমার ঝলক প্রকাশ্যে এসেছে। এতে জয়ার সঙ্গে তার দত্তকসন্তানের রসায়ন তুলে ধরা হয়েছে। অভিনেত্রী জানান, তিনি নিজেও একজন সংবেদনশীল মানুষ এবং সন্তান দত্তক নিতে চান। তাই এই চরিত্রের সঙ্গে নিজেকে মেলাতে সুবিধা হয়েছে।উল্লেখ্য, ‘ডিয়ার মা’ সিনেমায় জয়া ছাড়াও অভিনয় করেছেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, চন্দন রায় সান্যাল, সায়ন মুন্সীসহ আরও অনেকে।ভোরের আকাশ/আজাসা
ভারতীয় অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন এবার ইতিহাস গড়তে যাচ্ছেন হলিউডে। ২০২৬ সালের ‘হলিউড ওয়াক অফ ফেম’–এর তালিকায় ‘মোশন পিকচার’ বিভাগে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই তালিকায় স্থান পেয়ে দীপিকা成为 প্রথম ভারতীয় অভিনেত্রী, যিনি এই সম্মানজনক স্বীকৃতির জন্য মনোনীত হলেন।এই তথ্য নিশ্চিত করেছে হলিউড চেম্বার অফ কমার্স, যারা প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে বিনোদন জগতের অনন্য অবদান রাখা ব্যক্তিদের নাম ঘোষণা করে।দীপিকার এই স্বীকৃতির পেছনে রয়েছে একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া। হলিউড ওয়াক অফ ফেমের নিয়ম অনুযায়ী, যে কেউ তার প্রিয় তারকাকে এই তালিকার জন্য মনোনীত করতে পারেন— তা হতে পারে কোনো অনুরাগী, অথবা তারকার নিজস্ব প্রতিনিধি দলও। তবে মনোনয়নের পর তারকাকে অবশ্যই এই মনোনয়ন অনুমোদন করতে হয়। সম্মতি না থাকলে মনোনয়ন গ্রহণ করা হয় না।এছাড়া, তারকার নাম ওয়াক অফ ফেমে স্থায়ীভাবে বসাতে নির্দিষ্ট পরিমাণ খরচ হয়, যার একটি বড় অংশ ব্যয় হয় তারকা স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণে। আনুমানিক ব্যয় ধরা হয় প্রায় ৭৩ লাখ রুপি। এ ছাড়া মনোনয়ন প্রক্রিয়ার জন্যও খরচ হয় প্রায় ২৩,৫০০ রুপি। দীপিকার মনোনয়ন সংক্রান্ত ব্যয় কে বহন করেছেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়।বিশ্বের বহু নামকরা তারকা যেমন এমিলি ব্লান্ট, মাইলি সাইরাস বা গর্ডন রামসে, এই তালিকায় নাম লেখানোর স্বপ্ন দেখেন। সেখানে দীপিকার নাম উঠে আসা নিঃসন্দেহে একটি বড় অর্জন, যা নিয়ে দীপিকার ভক্তরা দারুণ উচ্ছ্বসিত।বলিউড থেকে হলিউড পর্যন্ত দীপিকার দীর্ঘ পথচলায় এটি একটি নতুন মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।ভোরের আকাশ//হ.র