× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

প্রিয়নবী (সা.)-এর শৈশবের সাক্ষী ছিলেন যে নারী সাহাবি

ধর্ম ডেস্ক

প্রকাশ : ১২ আগস্ট ২০২৫ ০২:২৮ পিএম

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

প্রিয়নবী (সা.)-এর দুধ বোন ছিলেন হজরত আশ-শায়মা বিনতে আল হারিস আস-সাদিয়া (রা.)। তার আসল নাম হুযাফা। ডাকনাম আশ-শায়মা। দেহে অতিরিক্ত তিল থাকার কারণে তাকে এই নাম দেওয়া হয়েছে।

তিনি বনু সাদ গোত্রের হালিমা সাদিয়া (রা.)-এর কন্যা ছিলেন। শিশু মুহাম্মদের (সা.) লালন-পালনে মা হালিমাকে সহযোগিতা করেছিলেন আশ-শায়মা। হজরত হালিমা শিশু মুহাম্মদ (সা.)-কে দুই বছর পর্যন্ত দুধ পান করান। এরপর মক্কায় নিয়ে যান। সেখানে কিছুদিন থাকার পর পরিবারের সম্মতিতে আবারো শিশু মুহাম্মদকে নিজের গোত্রে নিয়ে আসেন।

এ সময়টাতে হাঁটতে শিখছিলেন মুহাম্মদ (সা.)। দুধ ভাইদের সঙ্গে খেলাধুলা করতেন, অন্য বেদুঈন শিশুদের মতো মাঝেমাঝে পশু চরাতে যেতেন চারণভূমিতে। বাড়ির বাইরে কোথাও গেলে আশ-শায়মা তাকে দেখাশুনা করতেন। রোদের তাপ বেশি হলে বা কখনো অনেকে দূরে গেলে কোলে তুলে নিতেন তাকে। মাঝে মাঝে কোল থেকে নামিয়ে হাত ধরে চলতেন। খানিক পথ হাঁটার পরে আবারো কোলে তুলে নিতেন তাকে। কখনো কখনো শিশু মুহাম্মদকে নিয়ে গাছের ছায়ায় বসতেন। শ্লোক গেয়ে বলতেন, হে আমাদের পরোয়ারদিগার! আমার ভাই মুহাম্মাদকে বাঁচিয়ে রাখুন।

শিশু মুহাম্মদ (সা.)-এর মাঝে যে কল্যাণ বিদ্যমান ছিল, তা আশ শায়মা ও তাদের পরিবারের সবাই প্রত্যক্ষ করেছিলেন একেবারে কাছ থেকে। তাই তার প্রতি ভালোবাসা গড়ে উঠেছিল সবার। মা হালিমা সবসময় মুহাম্মদকে নজরে নজরে রাখতেন। দূরে কোথাও যেতে দিতেন না। আশ-শায়মা কখনো তাকে নিয়ে দূরে কোথাও গেলে সতর্ক করে দিতেন, মুহাম্মদকে চোখের আড়াল করতে নিষেধ করতেন। এতেও তিনি নিশ্চিন্ত হতেন না। কাজের ফাঁকে ফাঁকে গিয়ে দেখে আসতেন।

একদিন দুপুরের প্রচণ্ড গরমে ক্লান্ত হয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন মা হালিমা। একটু পরে টের পেলেন আশ-শায়মা ও শিশু মুহাম্মদ কেউ নেই আশে-পাশে। প্রচণ্ড রোদে তারা কোথায় গেলো তা ভেবে শঙ্কিত হয়ে পড়লেন। খুঁজতে বেরিয়ে দেখলেন বাড়ির অদূরে একটা গাছের নিচে শিশু মুহাম্মদকে নিয়ে খেলছেন আশ-শায়মা।

মা হালিমা তাকে ধমক দিয়ে বললেন, এই দুপুর রোদে তাকে নিয়ে খেলছো কেন? শায়মা বললেন, মা আমার ভাইয়ের গায়ে কোনো রোদ লাগেনি। আমি তাকে নিয়ে বের হওয়ার পর দেখেছি, সে যেদিক দিয়ে গেছে সেখানে তার মাথার ওপর মেঘ তাকে ছায়া দিয়েছে। তার গায়ে একটুও রোদ লাগেনি। একথা শুনে শিশু মুহাম্মদের দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে ছিলেন মা হালিমা।

সময় গড়িয়ে চললো, শৈশব, কৈশোর, যৌবন পেরিয়ে পরিণত বয়সে নবুয়ত পেলেন মুহাম্মদ (সা.)। মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করলেন। এরমধ্যে অনেক যুদ্ধ সংঘাত সংঘটিত হয়েছিল। হাওয়াযিন নামক যুদ্ধে বনু সাদের অনেক নারী-পুরুষ মুসলিমদের হাতে বন্দী হলো। বন্দীদের মধ্যে আশ-শায়মাও ছিলেন।

বন্দীদের মদিনায় নিয়ে যাওয়ার পর মুহাম্মদ (সা.) দুধ বোন আশ-শায়মার পরিচয় পেলেন। পরিচয় পাওয়ার পর তিনি দুধ বোনের সম্মানে চাদর বিছিয়ে দিলেন। তাকে বসিয়ে কুশলাদি জিজ্ঞেস করলেন। তারপর বললেন, তুমি চাইলে আদর-যত্ন ও সম্মানের সঙ্গে আমার কাছে থেকে যেতে পারো। আবার ইচ্ছা করলে নিজের গোত্রের কাছে ফিরে যেতে পারো। আশ-শায়মা ইসলাম গ্রহণ করে নিজের গোত্রে ফিরে গেলেন।

তিনি ফিরে যাওয়ার সময় রাসুল (সা.) তার সঙ্গে একটি একজন দাস-দাসী, অনেক ছাগল-ভেড়া ও বকরী উপঢৌকন দিলেন। আশ-শায়মার জীবন সম্পর্কে আর কোনো তথ্য জানা যায় না। তিনি কখন, কোথায় ইন্তেকাল করেছেন তাও অজ্ঞাত।

(আসহাবে রাসুলের জীবনকথা, ৬/১২২)

ভোরের আকাশ/তা.কা

  • শেয়ার করুন-
পবিত্র কোরআনের শ্রেষ্ঠত্ব ও অনন্য বৈশিষ্ট্য

পবিত্র কোরআনের শ্রেষ্ঠত্ব ও অনন্য বৈশিষ্ট্য

পবিত্র কোরআনের শ্রেষ্ঠত্ব ও অনন্য বৈশিষ্ট্য

পবিত্র কোরআনের শ্রেষ্ঠত্ব ও অনন্য বৈশিষ্ট্য

মিসওয়াক করে নামাজ পড়ার ফজিলত

মিসওয়াক করে নামাজ পড়ার ফজিলত

প্রতিদিন মৃত্যুকে স্মরণ করলে যে উপকার

প্রতিদিন মৃত্যুকে স্মরণ করলে যে উপকার

প্রতিদিন মৃত্যুকে স্মরণ করলে যে উপকার

প্রতিদিন মৃত্যুকে স্মরণ করলে যে উপকার

 কন্যাশিশুদের দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা

কন্যাশিশুদের দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা

 গাজার পথে ফ্লোটিলার নতুন ত্রাণবাহী নৌবহর

গাজার পথে ফ্লোটিলার নতুন ত্রাণবাহী নৌবহর

 পবিত্র কোরআনের শ্রেষ্ঠত্ব ও অনন্য বৈশিষ্ট্য

পবিত্র কোরআনের শ্রেষ্ঠত্ব ও অনন্য বৈশিষ্ট্য

 ঢাকার দুই সিটি : মশায় নাগরিক দুর্দশা চরমে

ঢাকার দুই সিটি : মশায় নাগরিক দুর্দশা চরমে

 বাড়ছে অ্যানথ্রাক্স আতঙ্ক, রংপুর-গাইবান্ধায় অনুসন্ধান দল

বাড়ছে অ্যানথ্রাক্স আতঙ্ক, রংপুর-গাইবান্ধায় অনুসন্ধান দল

 টানা ১২ দিনের ছুটি শেষে খুলেছে নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

টানা ১২ দিনের ছুটি শেষে খুলেছে নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

 যাদের অর্থ-অস্ত্রে গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরায়েল!

যাদের অর্থ-অস্ত্রে গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরায়েল!

 ঢাকায় বাড়বে গরমের অনুভূতি, হতে পারে বজ্রসহ বৃষ্টিও

ঢাকায় বাড়বে গরমের অনুভূতি, হতে পারে বজ্রসহ বৃষ্টিও

 ভারতীয় আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তই কাল হলে বাংলাদেশের

ভারতীয় আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তই কাল হলে বাংলাদেশের

 শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তাকে আজ ফের জেরা করবেন স্টেট ডিফেন্স

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তাকে আজ ফের জেরা করবেন স্টেট ডিফেন্স

 মাদ্রাসার ছাত্রদের জন্য নতুন ক্রিকেট টুর্নামেন্টের পরিকল্পনা বিসিবির

মাদ্রাসার ছাত্রদের জন্য নতুন ক্রিকেট টুর্নামেন্টের পরিকল্পনা বিসিবির

 তুর্কি ড্রামা ‘কুরলুস উসমান’ দেখে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন স্কটল্যান্ডের নারী

তুর্কি ড্রামা ‘কুরলুস উসমান’ দেখে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন স্কটল্যান্ডের নারী

 মিয়ানমারে বৌদ্ধ উৎসবস্থলে সামরিক বোমা হামলা, নিহত অন্তত ৪০

মিয়ানমারে বৌদ্ধ উৎসবস্থলে সামরিক বোমা হামলা, নিহত অন্তত ৪০

 বদলি ও পদায়নে নতুন নীতিমালা কার্যকর করল শিক্ষা মন্ত্রণালয়

বদলি ও পদায়নে নতুন নীতিমালা কার্যকর করল শিক্ষা মন্ত্রণালয়

সংশ্লিষ্ট

পবিত্র কোরআনের শ্রেষ্ঠত্ব ও অনন্য বৈশিষ্ট্য

পবিত্র কোরআনের শ্রেষ্ঠত্ব ও অনন্য বৈশিষ্ট্য

দুই বছরে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ২৫০ ইমাম নিহত, ৮৩৫ মসজিদ ধ্বংস

দুই বছরে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ২৫০ ইমাম নিহত, ৮৩৫ মসজিদ ধ্বংস

আল্লাহর রহমত লাভের তিন অনন্য আমল

আল্লাহর রহমত লাভের তিন অনন্য আমল

রমজানের সম্ভাব্য তারিখ জানালেন আমিরাতের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা

রমজানের সম্ভাব্য তারিখ জানালেন আমিরাতের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা