দেশে ফিরেছেন ২০৫০০ হাজি, মৃত বেড়ে ২৯
হজ শেষে দেশে আসা হাজির সংখ্যা ২০ হাজার ৫০০ জন। এর মধ্যে সরকারি মাধ্যমে আসা হাজির সংখ্যা ২ হাজার ৯২৪ জন। বেসরকারি মাধ্যমে আসা হাজির সংখ্যা ১৭ হাজার ৫৭৬ জন। শনিবার (১৪ জুন) হজ বুলেটিন থেকে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
বুলেটিনের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ফেরা হাজিদের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পরিবহন করেছে ৬ হাজার ২০৭ জন। এছাড়া সৌদি এয়ারলাইন্স পরিবহন করেছে ৭ হাজার ৮৭৩ জন এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স পরিবহন করেছে ৬ হাজার ৪২০ জন। এখন পর্যন্ত মোট ফিরতি ফ্লাইট সংখ্যা ৫২টি। এরমধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পরিচালিত ফ্লাইট সংখ্যা ১৬টি। আর সৌদি এয়ারলাইন্স ফ্লাইট পরিচালনা করেছে ২০টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স ফ্লাইট পরিচালনা করেছে ১৬টি।
এদিকে বাংলাদেশ থেকে হজ করতে গিয়ে সৌদিতে এখন পর্যন্ত মারা ২৯ জন। গত শুক্রবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ছিল ২৭। শনিবার (১৪ জুন) আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে পুরুষ ২৫ এবং নারী ৪ জন।
প্রসঙ্গত, এবছর হজ অনুষ্ঠিত হয় ৫ জুন। হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাত্রার প্রথম ফ্লাইট ছিল ২৯ এপ্রিল আর হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাত্রার শেষ ফ্লাইট ছিল ৩১ মে। ১০ জুলাই পর্যন্ত চলবে ফিরতি হজের ফ্লাইট। বাংলাদেশ থেকে এ বছর ৮৭ হাজার ১৫৭ জন হজ পালন করেছেন।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
হজ শেষে দেশে আসা হাজির সংখ্যা ২০ হাজার ৫০০ জন। এর মধ্যে সরকারি মাধ্যমে আসা হাজির সংখ্যা ২ হাজার ৯২৪ জন। বেসরকারি মাধ্যমে আসা হাজির সংখ্যা ১৭ হাজার ৫৭৬ জন। শনিবার (১৪ জুন) হজ বুলেটিন থেকে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।বুলেটিনের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ফেরা হাজিদের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পরিবহন করেছে ৬ হাজার ২০৭ জন। এছাড়া সৌদি এয়ারলাইন্স পরিবহন করেছে ৭ হাজার ৮৭৩ জন এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স পরিবহন করেছে ৬ হাজার ৪২০ জন। এখন পর্যন্ত মোট ফিরতি ফ্লাইট সংখ্যা ৫২টি। এরমধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পরিচালিত ফ্লাইট সংখ্যা ১৬টি। আর সৌদি এয়ারলাইন্স ফ্লাইট পরিচালনা করেছে ২০টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স ফ্লাইট পরিচালনা করেছে ১৬টি।এদিকে বাংলাদেশ থেকে হজ করতে গিয়ে সৌদিতে এখন পর্যন্ত মারা ২৯ জন। গত শুক্রবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ছিল ২৭। শনিবার (১৪ জুন) আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে পুরুষ ২৫ এবং নারী ৪ জন।প্রসঙ্গত, এবছর হজ অনুষ্ঠিত হয় ৫ জুন। হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাত্রার প্রথম ফ্লাইট ছিল ২৯ এপ্রিল আর হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাত্রার শেষ ফ্লাইট ছিল ৩১ মে। ১০ জুলাই পর্যন্ত চলবে ফিরতি হজের ফ্লাইট। বাংলাদেশ থেকে এ বছর ৮৭ হাজার ১৫৭ জন হজ পালন করেছেন।ভোরের আকাশ/জাআ
পবিত্র হজ পালন করতে গিয়ে সৌদি আরবে রোকেয়া বেগম (৬২) নামে আরেকজন বাংলাদেশি হাজির মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে হজপালনে গিয়ে এখন পর্যন্ত ২৯ বাংলাদেশি মৃত্যুবরণ করেছেন। তাদের মধ্যে ২৫ জন পুরুষ ও ৪ জন নারী।রোববার (১৫ জুন) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ ব্যবস্থাপনা পোর্টালের মৃত্যু সংবাদে এসব তথ্য জানা গেছে। এর আগে, শনিবার (১৪ জুন) মক্কায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে রোকেয়া বেগমের মৃত্যু হয়। তার বাড়ি বড়গুনা জেলার সদর উপজেলায়। চলতি বছর বাংলাদেশি হাজিদের মধ্যে মক্কায় ১৯ জনের, মদিনায় ৯ ও আরাফায় ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ ব্যবস্থাপনা পোর্টাল সূত্রে জানা যায়, এ বছর হজে গিয়ে গত ২৯ এপ্রিল প্রথম মারা যান রাজবাড়ীর পাংশার মো. খলিলুর রহমান (৭০)। এরপর ২ মে মারা যান কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের মো. ফরিদুজ্জামান (৫৭), ৫ মে মারা যান পঞ্চগড় সদরের আল হামিদা বানু (৫৮), ৭ মে মারা যান ঢাকার মোহাম্মদপুরের মো. শাহজাহান কবির (৬০) এবং ৯ মে মারা যান জামালপুরের বকশিগঞ্জের হাফেজ উদ্দিন (৭৩), ১০ মে মারা যান নীলফামারী সদরের বয়েজ উদ্দিন (৭২), ১৪ মে মারা যান চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের মো. অহিদুর রহমান (৭২), ১৭ মে মারা যান গাজীপুর সদরের মো. জয়নাল হোসেন (৬১), ১৯ মে মারা যান চাঁদপুরের মতলবের আ. হান্নান মোল্লা (৬৩) ও ২৪ মে রংপুরের পীরগঞ্জের মো. সাহেব উদ্দিন।এ ছাড়া ২৫ মে মারা গেছেন চাঁদপুরের কচুয়ার বশির হোসাইন (৭৪), ২৭ মে মারা যান চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের শাহাদাত হোসেন, ২৯ মে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার মো. মোস্তাফিজুর রহমান(৫৩), একই দিন মাদারীপুর সদরের মোজলেম হাওলাদার (৬৩), গাজীপুরের টঙ্গীর পূর্ব থানার আবুল কালাম আজাদ (৬২), গত ১ জুন মারা যান, গাজীপুরের পুবাইলের মো. মফিজ উদ্দিন দেওয়ান (৬০) ও নীলফামারীর সৈয়দপুরের মো. জাহিদুল ইসলাম (৫৯), ৫ জুন মারা যান ঢাকার কেরানীগঞ্জের মনোয়ারা বেগম মুনিয়া, ৬ জুন খুলনার বটিয়াঘাটা এলাকার শেখ মো. ইমারুল ইসলাম, ৭ জুন নোয়াখালীর সোনাইমুড়ির মো. মুজিব উল্যা, ৯ জুন মারা যান গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের এ টি এম খায়রুল বাসার মন্ডল, ১০ জুন সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার গোলাম মোস্তফা, ১২ জুন লালমনিরহাট পাটগ্রামের আমির হামজা, ময়মনসিংহের কোতয়ালি এলাকার মো. মনিরুজ্জামান (৬৬), নোয়াখালীর চাটখিল এলাকার খাতিজা বেগম (৪১) ও ঢাকার আদাবর এলাকার এ এস এম হায়দারুজ্জামান (৬০)।ভোরের আকাশ/জাআ
ওমরাহ ভিসা প্রক্রিয়া, হোটেল বুকিং ও যাতায়াত সংক্রান্ত নীতিমালায় গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। ১৪৪৭ হিজরি ওমরাহ মৌসুম থেকে এই নতুন বিধিনিষেধ কার্যকর হতে যাচ্ছে। নতুন নিয়ম না মানলে সংশ্লিষ্ট ওমরাহ এজেন্সি বা কোম্পানির লাইসেন্স স্থায়ীভাবে বাতিল হওয়ার পাশাপাশি আরোপ হতে পারে মোটা অঙ্কের জরিমানা।মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, ভিসা ইস্যুর পূর্বেই অনুমোদিত হোটেল ও যাতায়াতের ব্যবস্থা মন্ত্রণালয়ের ইলেকট্রনিক পোর্টালের মাধ্যমে বাধ্যতামূলকভাবে বুক করতে হবে। হাজিদের চলাচল ও আবাসন-সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য নির্ভুলভাবে সিস্টেমে রেকর্ড করতে হবে এবং তা বাস্তবের সঙ্গে মিল থাকতে হবে।হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হাজিদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হোটেল পরিদর্শন করা হবে। একইসঙ্গে শহরের মধ্যে যাত্রীদের যাতায়াতও নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকবে।এই নতুন ব্যবস্থার ফলে ভিসা পেতে খরচ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে। কেননা এখন থেকে শুধু অনুমোদিত হোটেলেই বুকিং ও অবস্থান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তদুপরি, যেসব কোম্পানির অনুমোদিত হোটেলের সঙ্গে চুক্তি রয়েছে, কেবল তারাই ওমরাহ ভিসা ইস্যু করতে পারবে। এতে ছোট এজেন্সিগুলোর ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।মন্ত্রণালয় কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছে, নির্দেশনা লঙ্ঘন করলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা হতে পারে। সেই সঙ্গে গুণতে হতে পারে বিপুল অঙ্কের আর্থিক জরিমানা এবং ভবিষ্যতে ওমরাহ ভিসা ইস্যুর অনুমতিও বাতিল হতে পারে।ভোরের আকাশ।।হ.র
চলতি বছর গ্রীষ্মের প্রখর রোদ আর তীব্র তাপমাত্রার মধ্যেও সৌদি আরব ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রায় ১৭ লাখ হজযাত্রী নিরাপদে হজ পালন করেছেন।সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এবার হজে গরমজনিত কারণে কারও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। এমনকি গরমের কারণে অসুস্থ হওয়ার সংখ্যাও গত বছরের তুলনায় প্রায় ৯০ শতাংশ কম।গালফ নিউজ-এর প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। শুক্রবার সৌদি হজ মন্ত্রণালয় এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানায়, এই সাফল্যের পেছনে ভূমিকা রেখেছে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, চিকিৎসক, নার্সসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি সংস্থা।বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এবার হজযাত্রীদের সুবিধার্থে ছায়াযুক্ত জায়গার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে, স্থাপন করা হয়েছে উন্নত কুলিং সিস্টেম এবং বাড়ানো হয়েছে অবকাঠামোগত সুবিধা। একই সঙ্গে হজযাত্রীদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়, যার ফলেই এবারের হজ অনেকটাই স্বস্তিদায়ক হয়েছে।সৌদি ভিশন ২০৩০ অনুযায়ী, স্বাস্থ্যসেবা খাতকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলাই অন্যতম লক্ষ্য। এ বছর হজ ব্যবস্থাপনায় সেই লক্ষ্যের বাস্তব প্রতিফলন দেখা গেছে বলে দাবি করেছে মন্ত্রণালয়। তারা জানায়, “আমরা চাই প্রত্যেক হজযাত্রী যেন নিরাপদে ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে হজ সম্পন্ন করতে পারেন।”উল্লেখ্য, মরু আবহাওয়ার দেশ সৌদি আরবে জুন মাসে তাপমাত্রা প্রায়ই ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায়। এমন তীব্র গরমে ২০২৪ সালের হজে প্রাণ হারিয়েছিলেন প্রায় ১,৩০০ হজযাত্রী, অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন আরও হাজার হাজার মানুষ।তবে এবারের হজ শুরু হয় ৪ জুন এবং শেষ হয় ৬ জুন, যেখানে সৌদি পরিসংখ্যান সংস্থা গাস্তাত জানায়, মোট ১৬ লাখ ৭৩ হাজার ২৩০ জন মুসল্লি হজ করেছেন। এর মধ্যে ১ লাখ ৬৬ হাজার ৬৫০ জন ছিলেন সৌদি নাগরিক, বাকিরা বিদেশি।ভোরের আকাশ।।হ.র