ভোরের আকাশ ডেস্ক
প্রকাশ : ২৮ এপ্রিল ২০২৫ ০৪:২৬ পিএম
যেসব অঙ্গীকার পূরণের ওয়াদা করেছেন আল্লাহ
ওয়াদা একটি আরবী শব্দ। যার আভিধানিক অর্থ হচ্ছে অঙ্গীকার, চুক্তি, প্রতিশ্রুতি বা প্রতিজ্ঞা করা ইত্যাদি। মানুষ যেমন মানুষের সঙ্গে ওয়াদা করে, তেমনি আল্লাহ তায়ালাও মানুষের সঙ্গে ওয়াদা করেছেন। আল্লাহ তায়ালা কোরআনের অসংখ্য স্থানে বলেছেন যে তিনি আদৌ অঙ্গীকার ভঙ্গ করেন না। যা অঙ্গীকার করেন, তা অবশ্যই বাস্তবায়ন করেন।
সেগুলো হলো-
বান্দাকে স্মরণের ওয়াদা : আল্লাহ তায়ালার আরেকটি অঙ্গীকার হলো, ‘তোমরা আমাকে স্মরণ করো, আমিও তোমাদের স্মরণে রাখব এবং আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো, অকৃতজ্ঞ হয়ো না’ (সুরা বাকারা : ১৫২)। আয়াতের সারমর্ম হচ্ছে- তোমরা যদি আমাকে আমার হুকুমের আনুগত্যের মাধ্যমে স্মরণ করো, তা হলে আমিও তোমাদের সওয়াব ও মাগফিরাত দানের মাধ্যমে স্মরণ করব। মূলত আল্লাহকে স্মরণ করার অর্থ হচ্ছে সব কাজেই আল্লাহর নির্দেশের কথা স্মরণ করা। যে ব্যক্তি আল্লাহর নির্দেশের আনুগত্য করে না, সে আল্লাহর জিকিরই করে না। তাই যে আল্লাহকে সর্বদা স্মরণে রাখবে আল্লাহও তাকে স্মরণে রাখবেন।
দোয়া কবুলের ওয়াদা : আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের একটি অঙ্গীকার হলো, ‘তোমরা আমাকে ডাকো (আমার কাছে দোয়া করো), আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব (দোয়া কবুল করব)।’ (সুরা : গাফের, আয়াত : ৬০) শেষ নবী (সা.)-এর উম্মতের বিশেষ মর্যাদার কারণে দোয়া কবুল করার ওয়াদা করা হয়েছে। আগের যুগে শুধু নবী-রাসুলদেরই বলা হতো দোয়া করুন, আমি কবুল করব। কিন্তু এ উম্মতের বেলায় এ আদেশ ব্যাপক করে দেওয়া হয়েছে। এটি এই উম্মতের বিশেষ সম্মাননা।
নেয়ামত বৃদ্ধির ওয়াদা : আল্লাহ তায়ালার আরেকটি অঙ্গীকার হলো, ‘ওই সময়ের কথা স্মরণ করো, তোমাদের পালনকর্তা ঘোষণা করলেন, যদি তোমরা নেয়ামতের কৃতজ্ঞতা স্বীকার করো, তবে তোমাদের নেয়ামত আরও বাড়িয়ে দেব’ (সুরা ইবরাহিম : ৭)। এখানে আল্লাহ তায়ালা বলছেন, যদি আমার নেয়ামত আমার অবাধ্যতায় ও অবৈধ কাজে ব্যয় না করো এবং নিজেদের পদক্ষেপ আমার মর্জির অনুগামী করার চেষ্টা করো, তা হলে আমি এসব নেয়ামত আরও বাড়িয়ে দেব। এ বাড়ানো নেয়ামতের পরিমাণেও হতে পারে এবং স্থায়িত্বেও হতে পারে।
ক্ষমা করার ওয়াদা : আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে ঘোষিত আরেকটি অঙ্গীকার হলো, ‘আল্লাহ এমন নন যে তারা ক্ষমা চাইবে অথচ আল্লাহ তাদের শাস্তি দেবেন’ (সুরা আনফাল : ৩৩)। এ আয়াতে আল্লাহর শান্তি আসার পথে একটি অন্তরায়ের কথা বলা হয়েছে, তা হলো ক্ষমা প্রার্থনাকারী এক দল লোকের উপস্থিতি। আল্লাহ তায়ালা অঙ্গীকার করেছেন, যদি কোনো এলাকায় মুত্তাকি, পরহেজগার ও ক্ষমা প্রার্থনাকারী এক দল লোক থাকেন, আল্লাহ তায়ালা সেখানে শাস্তি দেবেন না। যাবতীয় বিপদ-মুসিবত থেকে অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা রক্ষা করবেন, যদি তাঁর কাছে নিজের ভুলের জন্য তওবা করে ক্ষমা চাওয়া হয়। আল্লাহ তায়ালা বোঝার ও আমল করার তওফিক দান করুন।
ভোরের আকাশ ডেস্ক
ভোরের আকাশ ডেস্ক
প্রকাশ : ১ দিন আগে
আপডেট : ১ দিন আগে
যেসব অঙ্গীকার পূরণের ওয়াদা করেছেন আল্লাহ
ওয়াদা একটি আরবী শব্দ। যার আভিধানিক অর্থ হচ্ছে অঙ্গীকার, চুক্তি, প্রতিশ্রুতি বা প্রতিজ্ঞা করা ইত্যাদি। মানুষ যেমন মানুষের সঙ্গে ওয়াদা করে, তেমনি আল্লাহ তায়ালাও মানুষের সঙ্গে ওয়াদা করেছেন। আল্লাহ তায়ালা কোরআনের অসংখ্য স্থানে বলেছেন যে তিনি আদৌ অঙ্গীকার ভঙ্গ করেন না। যা অঙ্গীকার করেন, তা অবশ্যই বাস্তবায়ন করেন।
সেগুলো হলো-
বান্দাকে স্মরণের ওয়াদা : আল্লাহ তায়ালার আরেকটি অঙ্গীকার হলো, ‘তোমরা আমাকে স্মরণ করো, আমিও তোমাদের স্মরণে রাখব এবং আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো, অকৃতজ্ঞ হয়ো না’ (সুরা বাকারা : ১৫২)। আয়াতের সারমর্ম হচ্ছে- তোমরা যদি আমাকে আমার হুকুমের আনুগত্যের মাধ্যমে স্মরণ করো, তা হলে আমিও তোমাদের সওয়াব ও মাগফিরাত দানের মাধ্যমে স্মরণ করব। মূলত আল্লাহকে স্মরণ করার অর্থ হচ্ছে সব কাজেই আল্লাহর নির্দেশের কথা স্মরণ করা। যে ব্যক্তি আল্লাহর নির্দেশের আনুগত্য করে না, সে আল্লাহর জিকিরই করে না। তাই যে আল্লাহকে সর্বদা স্মরণে রাখবে আল্লাহও তাকে স্মরণে রাখবেন।
দোয়া কবুলের ওয়াদা : আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের একটি অঙ্গীকার হলো, ‘তোমরা আমাকে ডাকো (আমার কাছে দোয়া করো), আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব (দোয়া কবুল করব)।’ (সুরা : গাফের, আয়াত : ৬০) শেষ নবী (সা.)-এর উম্মতের বিশেষ মর্যাদার কারণে দোয়া কবুল করার ওয়াদা করা হয়েছে। আগের যুগে শুধু নবী-রাসুলদেরই বলা হতো দোয়া করুন, আমি কবুল করব। কিন্তু এ উম্মতের বেলায় এ আদেশ ব্যাপক করে দেওয়া হয়েছে। এটি এই উম্মতের বিশেষ সম্মাননা।
নেয়ামত বৃদ্ধির ওয়াদা : আল্লাহ তায়ালার আরেকটি অঙ্গীকার হলো, ‘ওই সময়ের কথা স্মরণ করো, তোমাদের পালনকর্তা ঘোষণা করলেন, যদি তোমরা নেয়ামতের কৃতজ্ঞতা স্বীকার করো, তবে তোমাদের নেয়ামত আরও বাড়িয়ে দেব’ (সুরা ইবরাহিম : ৭)। এখানে আল্লাহ তায়ালা বলছেন, যদি আমার নেয়ামত আমার অবাধ্যতায় ও অবৈধ কাজে ব্যয় না করো এবং নিজেদের পদক্ষেপ আমার মর্জির অনুগামী করার চেষ্টা করো, তা হলে আমি এসব নেয়ামত আরও বাড়িয়ে দেব। এ বাড়ানো নেয়ামতের পরিমাণেও হতে পারে এবং স্থায়িত্বেও হতে পারে।
ক্ষমা করার ওয়াদা : আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে ঘোষিত আরেকটি অঙ্গীকার হলো, ‘আল্লাহ এমন নন যে তারা ক্ষমা চাইবে অথচ আল্লাহ তাদের শাস্তি দেবেন’ (সুরা আনফাল : ৩৩)। এ আয়াতে আল্লাহর শান্তি আসার পথে একটি অন্তরায়ের কথা বলা হয়েছে, তা হলো ক্ষমা প্রার্থনাকারী এক দল লোকের উপস্থিতি। আল্লাহ তায়ালা অঙ্গীকার করেছেন, যদি কোনো এলাকায় মুত্তাকি, পরহেজগার ও ক্ষমা প্রার্থনাকারী এক দল লোক থাকেন, আল্লাহ তায়ালা সেখানে শাস্তি দেবেন না। যাবতীয় বিপদ-মুসিবত থেকে অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা রক্ষা করবেন, যদি তাঁর কাছে নিজের ভুলের জন্য তওবা করে ক্ষমা চাওয়া হয়। আল্লাহ তায়ালা বোঝার ও আমল করার তওফিক দান করুন।
ভোরের আকাশ ডেস্ক