ঈদের ছুটিতেও খোলা সব কাস্টম হাউস
আসন্ন ঈদুল আজহার ছুটিতেও দেশের সব কাস্টম হাউস ও শুল্ক স্টেশন খোলা থাকবে। আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্ন রাখার স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
মঙ্গলবার এনবিআরের দ্বিতীয় সচিব মুকিতুল হাসানের স্বাক্ষরিত এক আদেশে বলা হয়েছে, ঈদুল আজহা উপলক্ষে ৫ থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত সরকার ঘোষিত ছুটির মধ্যে ঈদের দিন ছাড়া অন্যান্য সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে সীমিত পরিসরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালু রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য সচল রাখার লক্ষ্যে কাস্টম হাউস ও শুল্ক স্টেশনগুলোতে প্রয়োজনীয় জনবল উপস্থিত রেখে সীমিত পরিসরে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। চট্টগ্রাম, বেনাপোল, পেট্রাপোল, হিলি, ভোমরা, সোনা মসজিদসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ কাস্টম হাউস ও স্থলবন্দরে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
এদিকে ঈদুল আজহা বাংলাদেশে ৬ অথবা ৭ জুন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যে অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার ঈদ উপলক্ষে ১০ দিনের ছুটি ঘোষণা করেছে। এই ছুটি শুরু হবে ৫ জুন থেকে এবং শেষ হবে ১৪ জুন। এনবিআরের এ উদ্যোগের ফলে ঈদের দীর্ঘ ছুটিতেও আমদানি-রপ্তানিতে কোনো ধরনের স্থবিরতা দেখা দেবে না বলে আশা করা হচ্ছে। ব্যবসায়ী মহলও এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আগামী মাসেই ৩০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। একইসঙ্গে এই রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলারে নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে বলেও জানান তিনি। বুধবার (২১ মে) পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা জানান তিনি।গভর্নর বলেন, ২৬ শতাংশ সুদ নিয়ে ক্ষুদ্র ঋণ টিকে থাকতে পারবে না। এজেন্ট ব্যাংকের শাখা থেকে অর্ধেক সুদে ঋণ পাচ্ছেন গ্রাহক, কাজেই ধীরে ধীরে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে চড়া সুদের ক্ষুদ্র ঋণ বাজার থেকে ছিটকে পড়বে।রিজার্ভ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগামী মাসে রিজার্ভ হবে ২৭-৩০ বিলিয়ন ডলার। এই রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলারে নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। যার জন্য সময়ের প্রয়োজন।এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবশেষ তথ্যানুযায়ী, চলতি মাসের ১৯ তারিখ পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ২৫ হাজার ৪৪৪ দশমিক ৪৩ মিলিয়ন ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ এখন ২০ হাজার ৭ দশমিক ৫৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।ভোরের আকাশ/এসএইচ
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ভেঙে দুই ভাগ করা নিয়ে কর্মকর্তাদের মাঝে যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল সেটি দূর হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, এনবিআরকে যে দুই বিভাগে ভাগ করা হয়েছে, তা-ই থাকবে।মঙ্গলবার সচিবালয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর ও কাস্টমস ক্যাডার কর্মকর্তাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। তিনি এর বেশি মন্তব্য করতে চাননি।বৈঠকে জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান, অর্থসচিব মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার এবং অর্থ বিভাগ ও এনবিআরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।জ্বালানি উপদেষ্টা ও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টার কাছে জানতে চাইলে তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান অবশ্য বলেন, অর্থ উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টারা কর্মকর্তাদের বক্তব্য শুনেছেন। এ নিয়ে কিছু কাজ করা হবে।এদিকে গতকাল বিকেলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আলোচনায় রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সংস্কারবিষয়ক পরামর্শক কমিটি বিসিএস (কর) ক্যাডার ও বিসিএস (শুল্ক ও আবগারি) ক্যাডার কর্মকর্তাদের প্রতিনিধিরা তাদের বক্তব্য ও মতামত তুলে ধরেন। জারিকৃত অধ্যাদেশ বিষয়ে কর্মকর্তাদের বিভিন্ন উদ্বেগ, পরামর্শ ও মতামত গুরুত্বসহকারে শোনা হয়। উত্থাপিত বিষয়গুলো যথাযথভাবে বিবেচনা করা হবে বলে অর্থ উপদেষ্টা আশ্বাস দেন।সম্প্রতি অধ্যাদেশ জারি করে এনবিআর ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগকে (ইআরডি) দুই ভাগে বিভক্ত করে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা নামে দুটি বিভাগ বানানো হয়েছে। এর প্রতিবাদে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে কর্মকর্তা কর্মচারীরা টানা চার কর্মদিবস কলমবিরতি কর্মসূচি পালন করেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
আসন্ন ঈদুল আজহার ছুটিতেও দেশের সব কাস্টম হাউস ও শুল্ক স্টেশন খোলা থাকবে। আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্ন রাখার স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।মঙ্গলবার এনবিআরের দ্বিতীয় সচিব মুকিতুল হাসানের স্বাক্ষরিত এক আদেশে বলা হয়েছে, ঈদুল আজহা উপলক্ষে ৫ থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত সরকার ঘোষিত ছুটির মধ্যে ঈদের দিন ছাড়া অন্যান্য সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে সীমিত পরিসরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালু রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।এতে আরও বলা হয়, আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য সচল রাখার লক্ষ্যে কাস্টম হাউস ও শুল্ক স্টেশনগুলোতে প্রয়োজনীয় জনবল উপস্থিত রেখে সীমিত পরিসরে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। চট্টগ্রাম, বেনাপোল, পেট্রাপোল, হিলি, ভোমরা, সোনা মসজিদসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ কাস্টম হাউস ও স্থলবন্দরে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।এদিকে ঈদুল আজহা বাংলাদেশে ৬ অথবা ৭ জুন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যে অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার ঈদ উপলক্ষে ১০ দিনের ছুটি ঘোষণা করেছে। এই ছুটি শুরু হবে ৫ জুন থেকে এবং শেষ হবে ১৪ জুন। এনবিআরের এ উদ্যোগের ফলে ঈদের দীর্ঘ ছুটিতেও আমদানি-রপ্তানিতে কোনো ধরনের স্থবিরতা দেখা দেবে না বলে আশা করা হচ্ছে। ব্যবসায়ী মহলও এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের একটি কারখানায় চাঁদাবাজি ও কর্মকর্তাদের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)। একই সঙ্গে সরকার জানিয়েছে, অর্থনৈতিক অঞ্চল ও শিল্প কারখানায় কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হবে।মঙ্গলবার (২০ মে) পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বেজা জানায়, সোমবার মিরসরাইয়ের জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ও উদ্বেগজনক ঘটনা ঘটে। একদল স্থানীয় সন্ত্রাসী, যারা একটি রাজনৈতিক দলের পরিচয় ব্যবহার করেছিল, তারা একটি কারখানায় জোরপূর্বক প্রবেশ করে চাঁদা দাবি করে এবং পরে কর্মকর্তাদের মারধর করে।ঘটনার পরপরই ভুক্তভোগী কারখানা কর্তৃপক্ষ থানায় মামলা করে। মামলা দায়েরের পর পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে এবং অন্য আসামিদের ধরতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।বেজার পক্ষ থেকে জানানো হয়, শিল্পপ্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। অপরাধ সংঘটনের সঙ্গে সঙ্গে অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, যা সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নেরই প্রমাণ।সরকারের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ বজায় রাখতে পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করা হচ্ছে। শিল্পাঞ্চল ও অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।এ বিষয়ে বেজা ও বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেন, “সন্ত্রাসীদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় নেই। তারা সমাজ ও অর্থনীতির শত্রু। দেশের সব রাজনৈতিক দলকে এ বিষয়ে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে।”তিনি আরও বলেন, “আমরা বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করতে চাই—এ ধরনের অপরাধ দমন এবং ভবিষ্যতে প্রতিরোধে সরকার সর্বোচ্চ আন্তরিক ও প্রস্তুত।”ভোরের আকাশ//হ.র