অর্থনীতি ডেস্ক
প্রকাশ : ১০ আগস্ট ২০২৫ ১২:১২ এএম
নির্বাচন ঘোষণায় ব্যবসায়ী সমাজে আশার আলো, দাবি কার্যকর পদক্ষেপের
জাতীয় নির্বাচন তফসিল ঘোষণার পর দেশের ব্যবসায়ী মহলে আশাবাদ ফিরেছে। তবে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও আইনশৃঙ্খলার চ্যালেঞ্জ এখনও সমাধান দাবি করছে। উদ্যোক্তারা বলছেন, বিনিয়োগ পরিকল্পনা চূড়ান্ত করার আগে ব্যবসার জন্য সহায়ক ও স্থিতিশীল পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা ছিল ব্যবসার পরিবেশ উন্নয়ন, জ্বালানি নিরাপত্তা ও আর্থিক খাত সংস্কারে বড় অগ্রগতি ঘটানোর। কিন্তু একবছরের ব্যবধানে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন না হওয়ায় তারা আশাব্যঞ্জক ফল দেখতে পাননি। বরং বিদ্যুৎ-জ্বালানি সঙ্কট, ব্যাংক খাতের অনিশ্চয়তা এবং উচ্চ সুদের হার বিনিয়োগ কমিয়ে দিয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগেও আগ্রহ কম থাকার ফলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থবির রয়েছে।
তবে ৫ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার নির্বাচন সম্পর্কিত বক্তব্যে কিছুটা আশার সঞ্চার হয়েছে ব্যবসায়ী মহলে। আনোয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান মানোয়ার হোসেন বলেন, “নির্বাচনের তারিখ ঘনিয়ে আসায় দেশে সস্তির হাওয়া বইছে। আমরা বিশ্বাসের জায়গা খুঁজে পাচ্ছি, আশার আলো দেখছি।” তিনি যোগ করেন, “যোগ্য জনশক্তি ছাড়া টেকসই বিনিয়োগ সম্ভব নয়। বিশ্ববাজারে টিকে থাকতে হলে কিছু সুরক্ষামূলক নীতি অনুসরণ করতে হবে।”
বিকেএমইএ নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান আশা প্রকাশ করেন, নির্বাচনের রোডম্যাপের মাধ্যমে বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও আশাবাদী হবেন। তিনি বলেন, “দীর্ঘমেয়াদে সরকারের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করলে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়বে।”
ডিসিসিআই সভাপতি তাসকিন আহমেদ বলেন, “বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ব্যাংক খাত পুনর্গঠন জরুরি। এসব সমস্যার জন্য স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে ব্যবসার পরিবেশে হস্তক্ষেপ না করার প্রতি আহ্বান জানাই।”
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ডিসেম্বর মাসে তফসিল ঘোষণা করা হবে। ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে এলে বাংলাদেশ আবারও বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যাবে।
ভোরের আকাশ//হ.র