× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

পাল্টা শুল্কেও ভূ-রাজনীতি

নিখিল মানখিন

প্রকাশ : ০৩ আগস্ট ২০২৫ ০৯:২৪ এএম

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

ভূ-রাজনীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নানা কৌশল প্রয়োগ করে চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তিনি সফলতার মুখ দেখতে পাচ্ছেন না। অনেক দেশকে যুদ্ধের হুমকি দিতেও  দ্বিধা করছেন না। বিভিন্ন দেশের রপ্তানি পণ্যে পাল্টা শুল্কারোপ চূড়ান্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই পাল্টা শুল্কারোপেও ভূ-রাজনীতির ছাপ দেখতে পাচ্ছেন অর্থনীতিবিদ ও কূটনীতিকরা। তারা বলছেন, নিজেদের সিদ্ধান্ত ও স্বার্থবিরোধী দেশগুলোর বিরুদ্ধে তুলনামূলকভাবে বেশি শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। অনেক দেশের বিরুদ্ধে মার্কিন পদক্ষেপ বাণিজ্য সম্পর্কিত নয়, বরং এটি রাজনৈতিক।

গত ২ এপ্রিলকে ‘লিবারেশন ডে’ নামে অভিহিত করে বিভিন্ন দেশের ওপর ‘প্রতিশোধমূলক’ শুল্ক ঘোষণা করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি নিজেকের ‘শুল্ক দানব’ হিসেবে মন্তব্য করেছিলেন। এরপর থেকে নিজেই নিজের সিদ্ধান্ত বেশ কয়েকবার পাল্টিয়েছেন তিনি। সর্বশেষ ৩১ জুলাই ৯০টিরও বেশি দেশের ওপর নতুন শুল্কহার ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

সর্বনিম্ন ১০ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ৪১ শতাংশ পর্যন্ত পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছেন তিনি। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো- কয়েকটি দেশের জন্য শুল্কের হার গত কয়েক মাসে একাধিকার পরিবর্তনও করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। যেমন- চীনের ওপর কয়েক দফায় শুল্ক বাড়ানো হয়, পরে তা আবার কমানোও হয়। তাদের আলোচনা চলছে এবং আগামী ১২ আগস্ট পর্যন্ত যা চলবে বলেও জানানো হয়েছে। কানাডার ওপর শুল্ক বেশ কয়েকবার বাড়া-কমার পর অবশেষে তা বাড়িয়ে ঘোষণা করা হয়েছে।

চূড়ান্ত ঘোষণার মাত্র একদিন আগে ব্রাজিলের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক বসান ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের তালিকায় আবার তাদের নামের পাশে ১০ শতাংশ শুল্ক লেখা আছে। ফলে মূলত দেশটির শুল্কহার অনেক বেশি হারে বাড়তে যাচ্ছে। বাংলাদেশের ওপর আরোপিত শুল্ক গত কয়েক মাসে অন্তত দুই বার পাল্টানো হয়েছে।

মার্কিন শুল্ক ও ভূ-রাজনীতি : অর্থনীতিবিদ ও কূটনীতিকরা বলছেন, কেউ পাল্টা ব্যবস্থা নিলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরও বাড়বে বলেও হুঁশিয়ারি দেন ডুনাল্ড ট্রাম্প। অনেক দেশের বিরুদ্ধে মার্কিন পদক্ষেপ বাণিজ্য সম্পর্কিত নয়, বরং এটি রাজনৈতিক। এখানে ব্রিকসের তিন প্রতিষ্ঠাতা- রাশিয়া, চীন ও ব্রাজিল মার্কিনবিরোধী হিসেবে পরিচিত। যাদের মধ্যে শুধু ভারতই একমাত্র দেশ, যেটি মার্কিনবিরোধী নয়। কিন্তু সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত সম্পর্কের টানাপোড়েন ও স্নায়ুযুদ্ধ চলছে।

জুলাইয়ের শুরুতে ট্রাম্প মিথ্যা দাবি করেছিলেন যে ব্রাজিলের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি ছিল, যখন তাদের প্রকৃতপক্ষে বহু মিলিয়ন ডলারের উদ্বৃত্ত ছিল। ট্রাম্প তার মিত্র, সাবেক ব্রাজিলিয়ান প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর বিচারের প্রতিশোধ হিসেবে এই শুল্ক আরোপ করেছেন, যিনি গত নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর একটি কথিত অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার অভিযোগের মুখোমুখি। তার সমর্থকরা সরকারি ভবনগুলোয় হামলা চালিয়েছিলেন এবং মামলায় বর্তমান রাষ্ট্রপতি লুলা দা সিলভাকে ‘হত্যা’ করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগও রয়েছে। বলসোনারো অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে ট্রাম্প বিষয়টিকে হয়রানিমূলক বলেই মনে করছেন। হোয়াইট হাউস ব্রাজিলে ‘মার্কিন কোম্পানিগুলোর ক্ষতি করার পদক্ষেপ’ এবং ‘মার্কিন নাগরিকদের বাক-স্বাধীনতার অধিকার’ নিয়ে উদ্বেগও উল্লেখ করেছে।

একসময় ধারণা করা হতো ঘনিষ্ঠ বন্ধু। সেই নরেন্দ্র মোদিকেই যেন এবার টার্গেট বানালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্কসহ নানা অভিযোগে নয়াদিল্লির ওপর বর্ধিত শুল্কারোপ করেছে ওয়াশিংটন। দিয়েছে শাস্তিমূলক পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও। এর আগে, পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাত বন্ধের কৃতিত্ব নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে বাগযুদ্ধে জড়িয়েছিল মোদি প্রশাসন। প্রশ্ন উঠতেই পারে, দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম ঘনিষ্ঠ মিত্র ভারতের সঙ্গে কি তলানিতে ঠেকেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক?

ভারত কিংবা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি- যতবারই এ দুটো নাম উচ্চারণ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ততবারই ‘ভালো বন্ধু’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তবে, কতটা ঘনিষ্ঠ মোদি-ট্রাম্পের সম্পর্ক? এই প্রশ্নের জবাবটা মিলছে সাম্প্রতিক বাস্তবতায়। বন্ধু দাবি করলেও ভারতের বিরুদ্ধে একের পর এক কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছেন ট্রাম্প। তাতে প্রশ্ন উঠছে, আসলেই কি নয়াদিল্লিকে বন্ধু ভাবেন তিনি? নাকি এরইমধ্যে ফাটল ধরেছে দুই মিত্রের সম্পর্কে? পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার জেরে শুরু হওয়া ভারত-পাকিস্তান সংঘাত থেমেছিল ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে। মার্কিন প্রেসিডেন্টই প্রথম দিয়েছিলেন যুদ্ধবিরতির ঘোষণা। বরাবরই এই সংঘাত বন্ধের কৃতিত্ব নিজের বলে দাবি করে আসছেন ট্রাম্প। ইসলামাবাদ তা স্বীকার করলেও ট্রাম্পকে কৃতিত্ব দিতে রাজি নয় নয়াদিল্লি। তাদের দাবি, তৃতীয় কোনো দেশের হস্তক্ষেপ ছাড়াই থেমেছে প্রতিবেশি দুই দেশের লড়াই।

ভারত-পাকিস্তান সংঘাত বন্ধের ইস্যুতে দুরত্ব তো বেড়েছেই, নরেন্দ্র মোদির দেশের ওপর আরও অনেক কারণেই নাখোশ মার্কিন প্রেসিডেন্ট। রাশিয়া-ইরানের সঙ্গে থাকা বাণিজ্য সম্পর্ক যার মধ্যে অন্যতম। ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্কারোপের সময়ও সেই ক্ষোভ লুকাননি তিনি। মস্কোর সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্কের কারণে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ইরানের সঙ্গে ব্যবসা করায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন ছয় ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।

অর্থনৈতিক জোট ব্রিকস নিয়েও বেশ কয়েকবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। রীতিমতো চীন-রাশিয়া-ভারত নেতৃত্বাধীন জোটটিকে হুমকি মনে করে ওয়াশিংটন। আর এই ব্রিকসের অন্যতম উদ্যোক্তা হিসেবে ভারতকে বিবেচনা করা হয়। পাশাপাশি ভারতের বিরুদ্ধে মার্কিন পণ্যে মাত্রাতিরিক্ত শুল্কারোপের অভিযোগও তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র। বলা হচ্ছে, এসব কারণেই তলানিতে ঠেকেছে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সম্পর্ক। এমন ভূ-রাজনীতির ভাবনা থেকেই পাকিস্তান ও বাংলাদেশকে কাছে টেনে এবং মিয়ানমারে ঘাঁটি গড়ে তোলে ভারত-চীন-রাশিয়াকে চাপে রাখার কৌশল নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ভারত ও চীনা পণ্যে শুল্কারোপেও তা প্রতিফলিত হয়েছে।

কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের টানাপোড়েন এখনও পুরোপুরি কাটেনি। দু’দেশের স্নায়ুযুদ্ধ প্রকাশ্য রূপ নেয়। সম্পৃক্ত হয়ে পড়েন দেশের জনগণও। কানাডাকে ৫১তম রাজ্য বানানোর ইঙ্গিত দিয়ে ফের বিতর্ক উসকে দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত ফেব্রুয়ারিতে প্রথমবার উক্তি করার পর কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম রাজ্য বানানোর প্রসঙ্গে আবারও মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প।

ওয়াশিংটনে রিপাবলিকান গভর্নরদের এক সভায় তিনি বলেন, ‘কানাডা যদি যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হয়, তবে দেশটি তার জাতীয় সংগীত ‘ও কানাডা’ রাখতে পারবে।’ যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য হয়ে যাওয়া কানাডার জন্য সুফল বয়ে আনবে বলে মন্তব্য করেন ট্রাম্প। কানাডার সঙ্গে চলমান শুল্ক যুদ্ধ নিয়েও কটাক্ষ করেন তিনি।

এভাবে ৩০ থেকে ৪১ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপিত কাজাখস্তান, মলদোভা, তিউনিসিয়া, আলজেরিয়া, বসনিয়া এবং হার্জেগোভিনা, লিবিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইরাক, সার্বিয়া। লাওস, মিয়ানমার-সিরিয়া-এসব দেশের সঙ্গে নানা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে টানাপোড়েন রয়েছে।

বিভিন্ন দেশে মার্কিন শুল্কারোপ : গত শুক্রবার বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হোয়াইট হাউসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে ট্রাম্পের নতুন শুল্কহার এ রকম-

১০ শতাংশ শুল্ক : ব্রাজিল, ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ, যুক্তরাজ্য এবং নির্বাহী আদেশে তালিকাভুক্ত নয় এমন অন্যান্য সব দেশ।

১৫ শতাংশ শুল্ক : আফগানিস্তান, অ্যাঙ্গোলা, বলিভিয়া, বতসোয়ানা, ক্যামেরুন, চাদ, কোস্টারিকা, আইভরি কোস্ট, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গো, ইকুয়েডর, নিরক্ষীয় গিনি, ফিজি, ঘানা, গায়ানা, আইসল্যান্ড, ইসরায়েল, জাপান, জর্ডান, লেসোথো, লিচেনস্টাইন, মাদাগাস্কার, মালাউই, মরিশাস, মোজাম্বিক, নামিবিয়া, নাউরু, নিউজিল্যান্ড, নাইজেরিয়া, উত্তর ম্যাসেডোনিয়া, নরওয়ে, পাপুয়া নিউ গিনি, দক্ষিণ কোরিয়া, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, তুরস্ক, উগান্ডা, ভানুয়াতু, ভেনিজুয়েলা, জাম্বিয়া, জিম্বাবুয়ে। ১৮ শতাংশ-নিকারাগুয়া।

১৯ শতাংশ শুল্ক : কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপাইন।

২০ শতাংশ শুল্ক : বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, তাইওয়ান, ভিয়েতনাম।

২৫ শতাংশ শুল্ক : ব্রুনাই, ভারত, কাজাখস্তান, মলদোভা, তিউনিসিয়া।

৩০ থেকে ৪১ শতাংশ শুল্ক : আলজেরিয়া, বসনিয়া এবং হার্জেগোভিনা, লিবিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা।  ৩৫ শতাংশ-ইরাক, সার্বিয়া। ৩৯ শতাংশ- সুইজারল্যান্ড। ৪০ শতাংশ-লাওস, মিয়ানমার। ৪১ শতাংশ-সিরিয়া। এর বাইরে কিছু উল্লেখযোগ্য ব্যতিক্রম রয়েছে। ৩৫ শতাংশ শুল্কের মুখোমুখি হচ্ছে কানাডা। মেক্সিকোর ফেন্টানাইল ও গাড়ির ওপর ২৫ শতাংশ এবং ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়াম ও তামার ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে- যা ৯০ দিনের মধ্যে শুরু হবে।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে আসা পণ্য শূন্য থেকে প্রায় ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের মুখোমুখি হচ্ছে। এই হার ৭ আগস্ট থেকে কার্যকর করা শুরু হবে। ব্রাজিল প্রথমে ভেবেছিল যে তারা তুলনামূলকভাবে কম, ১০ শতাংশ মার্কিন শুল্কের আওতায় পড়েছে। তবে আসলে তাদের শুল্কহার অনেক বেড়েছে। গত বুধবারই ট্রাম্প ল্যাটিন আমেরিকার বৃহত্তম এই অর্থনীতির ওপর শুল্ক ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়েছেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরিদুল আলম বলেন, বিশ্ব রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্র এমন এক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, যেখানে কেবল সামরিক শক্তি ব্যবহারই তার রাজনৈতিক কর্তৃত্ব অক্ষুণ্ন রাখতে পারে। এখানে সত্যিকার অর্থে শান্তি প্রতিষ্ঠা, পারস্পরিক সহাবস্থান এবং শক্তির ভারসাম্য সৃষ্টি করার মতো রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব চীন ও রাশিয়ার মতো দেশকেও উগ্রপন্থার দিকে ঠেলে দিয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ ড. দেলোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার বাস্তবতায় ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ভিন্ন মাত্রা রয়েছে সত্য, কিন্তু এই দুই রাষ্ট্র এ অঞ্চলকে পর্যবেক্ষণের ক্ষেত্রে একই আঙ্গিকে দেখবে, এমনটি প্রত্যাশা করা যায় না।

সচেষ্ট থেকেছি যেন কোনো ভূ-রাজনৈতিক ফাঁদে না পড়ি : নিরাপত্তা উপদেষ্টা আমেরিকায় শুল্ক আলোচনা প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান বলেছেন, আমাদের তরফ থেকে চেয়েছি, আমরা যেন কোনো ভূ-রাজনৈতিক ফাঁদে পড়ে না যাই। সেই কারণে আমরা সব সময় সচেষ্ট থেকেছি, যাতে শুল্ক আলোচনার পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টা আমরা রক্ষা করতে পারি।

ভোরের আকাশ/এসএইচ

  • শেয়ার করুন-
ট্রাম্পের জন্মদিনে হোয়াইট হাউসে ইউএফসি লড়াই: ইতিহাসের নতুন অধ্যায়

ট্রাম্পের জন্মদিনে হোয়াইট হাউসে ইউএফসি লড়াই: ইতিহাসের নতুন অধ্যায়

গাজায় অভিযান বন্ধে ট্রাম্পের আহ্বানে সাড়া নেতানিয়াহুর

গাজায় অভিযান বন্ধে ট্রাম্পের আহ্বানে সাড়া নেতানিয়াহুর

ইসরায়েলকে গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের

ইসরায়েলকে গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের

ইসরায়েলকে গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের

ইসরায়েলকে গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের

শান্তিতে নোবেল না পাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অপমানজনক হবে: ডোনাল্ড ট্রাম্প

শান্তিতে নোবেল না পাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অপমানজনক হবে: ডোনাল্ড ট্রাম্প

 কন্যাশিশুদের দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা

কন্যাশিশুদের দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা

 গাজার পথে ফ্লোটিলার নতুন ত্রাণবাহী নৌবহর

গাজার পথে ফ্লোটিলার নতুন ত্রাণবাহী নৌবহর

 পবিত্র কোরআনের শ্রেষ্ঠত্ব ও অনন্য বৈশিষ্ট্য

পবিত্র কোরআনের শ্রেষ্ঠত্ব ও অনন্য বৈশিষ্ট্য

 ঢাকার দুই সিটি : মশায় নাগরিক দুর্দশা চরমে

ঢাকার দুই সিটি : মশায় নাগরিক দুর্দশা চরমে

 বাড়ছে অ্যানথ্রাক্স আতঙ্ক, রংপুর-গাইবান্ধায় অনুসন্ধান দল

বাড়ছে অ্যানথ্রাক্স আতঙ্ক, রংপুর-গাইবান্ধায় অনুসন্ধান দল

 টানা ১২ দিনের ছুটি শেষে খুলেছে নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

টানা ১২ দিনের ছুটি শেষে খুলেছে নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

 যাদের অর্থ-অস্ত্রে গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরায়েল!

যাদের অর্থ-অস্ত্রে গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরায়েল!

 ঢাকায় বাড়বে গরমের অনুভূতি, হতে পারে বজ্রসহ বৃষ্টিও

ঢাকায় বাড়বে গরমের অনুভূতি, হতে পারে বজ্রসহ বৃষ্টিও

 ভারতীয় আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তই কাল হলে বাংলাদেশের

ভারতীয় আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তই কাল হলে বাংলাদেশের

 শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তাকে আজ ফের জেরা করবেন স্টেট ডিফেন্স

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তাকে আজ ফের জেরা করবেন স্টেট ডিফেন্স

 মাদ্রাসার ছাত্রদের জন্য নতুন ক্রিকেট টুর্নামেন্টের পরিকল্পনা বিসিবির

মাদ্রাসার ছাত্রদের জন্য নতুন ক্রিকেট টুর্নামেন্টের পরিকল্পনা বিসিবির

 তুর্কি ড্রামা ‘কুরলুস উসমান’ দেখে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন স্কটল্যান্ডের নারী

তুর্কি ড্রামা ‘কুরলুস উসমান’ দেখে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন স্কটল্যান্ডের নারী

 মিয়ানমারে বৌদ্ধ উৎসবস্থলে সামরিক বোমা হামলা, নিহত অন্তত ৪০

মিয়ানমারে বৌদ্ধ উৎসবস্থলে সামরিক বোমা হামলা, নিহত অন্তত ৪০

 বদলি ও পদায়নে নতুন নীতিমালা কার্যকর করল শিক্ষা মন্ত্রণালয়

বদলি ও পদায়নে নতুন নীতিমালা কার্যকর করল শিক্ষা মন্ত্রণালয়

সংশ্লিষ্ট

পে স্কেল নিয়ে এখনই সিদ্ধান্ত নয়: অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন

পে স্কেল নিয়ে এখনই সিদ্ধান্ত নয়: অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন

এক দিনের ব্যবধানে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড

এক দিনের ব্যবধানে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড

অর্থনীতি স্বস্তিতে থাকলেও অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে: অর্থ উপদেষ্টা

অর্থনীতি স্বস্তিতে থাকলেও অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে: অর্থ উপদেষ্টা

পে-স্কেল নিয়ে যে বার্তা দিলেন অর্থ উপদেষ্টা

পে-স্কেল নিয়ে যে বার্তা দিলেন অর্থ উপদেষ্টা