ফাইল ছবি
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আগামী মাসেই ৩০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। একইসঙ্গে এই রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলারে নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
বুধবার (২১ মে) পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা জানান তিনি।
গভর্নর বলেন, ২৬ শতাংশ সুদ নিয়ে ক্ষুদ্র ঋণ টিকে থাকতে পারবে না। এজেন্ট ব্যাংকের শাখা থেকে অর্ধেক সুদে ঋণ পাচ্ছেন গ্রাহক, কাজেই ধীরে ধীরে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে চড়া সুদের ক্ষুদ্র ঋণ বাজার থেকে ছিটকে পড়বে।
রিজার্ভ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগামী মাসে রিজার্ভ হবে ২৭-৩০ বিলিয়ন ডলার। এই রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলারে নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। যার জন্য সময়ের প্রয়োজন।
এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবশেষ তথ্যানুযায়ী, চলতি মাসের ১৯ তারিখ পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ২৫ হাজার ৪৪৪ দশমিক ৪৩ মিলিয়ন ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ এখন ২০ হাজার ৭ দশমিক ৫৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশের ৬টি পণ্য আমদানি বন্ধ রাখার মাঝে এবার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে মাছ রপ্তানি বন্ধ রেখেছেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা। তবে মাছ রপ্তানী বন্ধের সাথে ভারতের নিষেধাজ্ঞার কোন সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন রপ্তানিকারকরা। এক্সপোর্ট পারমিট (ইএসপি) জটিলতার কারণে বুধবার সকাল থেকে এ রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রেখেছেন মৎস্য রপ্তানিকারকরা।বন্দরের মৎস্য রপ্তানিকারক এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক মিয়া আজ বুধবার (২১ মে) সকালে মাছ রপ্তানি বন্ধ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমাদের এক্সপোর্ট পারমিট (ইএসপি) জটিলতার কারণে আজকে আমরা এ পথে আগরতলায় মাছ রপ্তানি করতে পারিনি। তবে আশা করছি সমস্যা সমাধান হলে আগামীকাল সকাল থেকে আবারও মাছ রপ্তানি স্বাভাবিক হবে।এদিকে হঠাৎ করে ভারত সরকার বাংলাদেশ থেকে স্থলপথে ছয়টি পণ্যের আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় আখাউড়া বন্দরের রপ্তানি বাণিজ্যে স্থবিরতা নেমে এসেছে। এ নিষেধাজ্ঞার ফলে হিমায়িত মাছসহ প্লাস্টিক সামগ্রী, পিভিসি পণ্য, চিপস, বিস্কুট, ফলের স্বাদযুক্ত জুস ও তুলা রপ্তানি ব্যাহত হচ্ছে। প্রতিদিন গড়ে এক লক্ষ ডলারের ৩৫ থেকে ৪০ মেঃ টন মাছ ভারতে রপ্তানি করা হয়।এদিকে ভারত সরকার হঠাৎ করে বাংলাদেশ থেকে স্থলপথে ৬টি পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতমুখী রপ্তানি বাণিজ্যে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশন সূত্রে জানা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বন্দর দিয়ে ভারতে ৪২৭ কোটি ৮৮ লাখ ৭২ হাজার ৪৩০ টাকার পণ্য রপ্তানি হয়। আর চলতি অর্থবছরে গেল এপ্রিল পর্যন্ত রপ্তানি হয় ৪৫৩ কোটি ১ লাখ ৯৬ হাজার ৭৯৩ টাকার পণ্য। রপ্তানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে- রড, সিমেন্ট, হিমায়িত মাছ, প্লাস্টিক, ভোজ্য তেল, তুলা, প্রক্রিয়াজাত খাবার, শুঁটকি মেলামাইন সামগ্রী।স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা জানান, হিমায়িত মাছের পর সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয় প্লাস্টিক পণ্য, পিভিসি সামগ্রী, চিপস, বিস্কুট, ফলের স্বাদযুক্ত জুস ও তুলা। প্রতিদিন প্রায় ৪০-৪৫ লাখ টাকা মূল্যের এসব পণ্য রপ্তানি হয় ভারতে। ফলে এ পণ্যগুলো আমদানি নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ায় রপ্তানি বাণিজ্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।মূলত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে ভারতের সঙ্গে চলা কূটনৈতিক টানাপোড়েনের কারণেই দেশটির সরকার আমদানির সুযোগ সীমিত করেছেন বলে ধারণা ব্যবসায়ীদের, যা দ্রুত আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করার দাবি তাদের।স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান জানান, আজ সকাল থেকে মাছের কোনো গাড়ি বন্দরে আসেনি। সিমেন্ট ও ভোজ্য তেল নিয়ে ১১টি গাড়ি বন্দরে প্রবেশ করেছে, যা আগরতলায় রপ্তানি হবে। উল্লেখ্য, দেশের অন্যতম বৃহৎ ও শতভাগ রপ্তানিমুখী আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন বরফায়িত মাছ, সিমেন্ট, ভোজ্য তেল, প্লাস্টিক, বর্জ্য তুলা ও খাদ্য সামগ্রীসহ বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি হয় ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায়। সেখান থেকে রপ্তানিকৃত পণ্য সরবরাহ করা হয় দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে। ভোরের আকাশ/এসআই
বাজারে আসছে বহুল কাঙ্ক্ষিত নতুন নোট। যদিও অন্তর্বর্তী সরকারের ৯ মাসে বাজারে ছাড়া হয়নি নতুন কোনো নোট। অবশেষে আগামী ২৫ অথবা ২৬ মে পাওয়া যেতে পারে নতুন ২০ ও ৫০ টাকা।তবে হাজার টাকার নোটের জন্য অপেক্ষা করতে হবে ১ জুন পর্যন্ত। আর সব মিলিয়ে প্রথম ধাপে ছাড়া হচ্ছে মোট এক হাজার কোটি টাকাএ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, আগামী ২৫ অথবা ২৬ মে ছাড়া হতে পারে ২০ ও ৫০ টাকার নোট। এর সপ্তাহ খানেকের মধ্যে, পয়লা জুন বাজারে আসতে পারে নতুন ডিজাইনের ১ হাজার টাকা। যাতে যুক্ত করা হয়েছে মোট ৮টি নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য।সব মিলিয়ে প্রথম ধাপে বাজারে ছাড়া হবে ১ হাজার কোটি টাকা। আর নকশায় প্রাধান্য পাচ্ছে জুলাই অভ্যুত্থান ও বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য।দুইটি সরকারি ও ৭টি ব্যাংক নোটসহ বাজারে চালু আছে ৯টি কাগুজে মুদ্রা। যার সবগুলোই শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সংবলিত। জুলাই অভ্যুত্থানের পর এসব নোট পরিবর্তনের দাবি ওঠে বিভিন্ন মহল থেকে। নতুন সরকার দায়িত্ব নিয়ে সেই কার্যক্রম শুরু করলেও, সময় লেগে যায় নানা কারণে। অবশ্য আরিফ হোসেন খান জানান, ধাপে ধাপে আনা হবে বাকি মুদ্রাগুলো।বর্তমানে বাজারে থাকা মুদ্রার পরিমাণ প্রায় ১ লাখ ৫২ হাজার কোটি টাকা। তবে, ছাপানো অবস্থায় আছে আরও দ্বিগুণের ওপরে।ভোরের আকাশ/জাআ
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আগামী মাসেই ৩০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। একইসঙ্গে এই রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলারে নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে বলেও জানান তিনি। বুধবার (২১ মে) পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা জানান তিনি।গভর্নর বলেন, ২৬ শতাংশ সুদ নিয়ে ক্ষুদ্র ঋণ টিকে থাকতে পারবে না। এজেন্ট ব্যাংকের শাখা থেকে অর্ধেক সুদে ঋণ পাচ্ছেন গ্রাহক, কাজেই ধীরে ধীরে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে চড়া সুদের ক্ষুদ্র ঋণ বাজার থেকে ছিটকে পড়বে।রিজার্ভ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগামী মাসে রিজার্ভ হবে ২৭-৩০ বিলিয়ন ডলার। এই রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলারে নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। যার জন্য সময়ের প্রয়োজন।এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবশেষ তথ্যানুযায়ী, চলতি মাসের ১৯ তারিখ পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ২৫ হাজার ৪৪৪ দশমিক ৪৩ মিলিয়ন ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ এখন ২০ হাজার ৭ দশমিক ৫৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।ভোরের আকাশ/এসএইচ
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ভেঙে দুই ভাগ করা নিয়ে কর্মকর্তাদের মাঝে যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল সেটি দূর হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, এনবিআরকে যে দুই বিভাগে ভাগ করা হয়েছে, তা-ই থাকবে।মঙ্গলবার সচিবালয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর ও কাস্টমস ক্যাডার কর্মকর্তাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। তিনি এর বেশি মন্তব্য করতে চাননি।বৈঠকে জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান, অর্থসচিব মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার এবং অর্থ বিভাগ ও এনবিআরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।জ্বালানি উপদেষ্টা ও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টার কাছে জানতে চাইলে তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান অবশ্য বলেন, অর্থ উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টারা কর্মকর্তাদের বক্তব্য শুনেছেন। এ নিয়ে কিছু কাজ করা হবে।এদিকে গতকাল বিকেলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আলোচনায় রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সংস্কারবিষয়ক পরামর্শক কমিটি বিসিএস (কর) ক্যাডার ও বিসিএস (শুল্ক ও আবগারি) ক্যাডার কর্মকর্তাদের প্রতিনিধিরা তাদের বক্তব্য ও মতামত তুলে ধরেন। জারিকৃত অধ্যাদেশ বিষয়ে কর্মকর্তাদের বিভিন্ন উদ্বেগ, পরামর্শ ও মতামত গুরুত্বসহকারে শোনা হয়। উত্থাপিত বিষয়গুলো যথাযথভাবে বিবেচনা করা হবে বলে অর্থ উপদেষ্টা আশ্বাস দেন।সম্প্রতি অধ্যাদেশ জারি করে এনবিআর ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগকে (ইআরডি) দুই ভাগে বিভক্ত করে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা নামে দুটি বিভাগ বানানো হয়েছে। এর প্রতিবাদে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে কর্মকর্তা কর্মচারীরা টানা চার কর্মদিবস কলমবিরতি কর্মসূচি পালন করেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ