বাজারে আসছে নতুন নোট
বাজারে আসছে বহুল কাঙ্ক্ষিত নতুন নোট। যদিও অন্তর্বর্তী সরকারের ৯ মাসে বাজারে ছাড়া হয়নি নতুন কোনো নোট। অবশেষে আগামী ২৫ অথবা ২৬ মে পাওয়া যেতে পারে নতুন ২০ ও ৫০ টাকা।
তবে হাজার টাকার নোটের জন্য অপেক্ষা করতে হবে ১ জুন পর্যন্ত। আর সব মিলিয়ে প্রথম ধাপে ছাড়া হচ্ছে মোট এক হাজার কোটি টাকা
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, আগামী ২৫ অথবা ২৬ মে ছাড়া হতে পারে ২০ ও ৫০ টাকার নোট। এর সপ্তাহ খানেকের মধ্যে, পয়লা জুন বাজারে আসতে পারে নতুন ডিজাইনের ১ হাজার টাকা। যাতে যুক্ত করা হয়েছে মোট ৮টি নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য।
সব মিলিয়ে প্রথম ধাপে বাজারে ছাড়া হবে ১ হাজার কোটি টাকা। আর নকশায় প্রাধান্য পাচ্ছে জুলাই অভ্যুত্থান ও বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য।
দুইটি সরকারি ও ৭টি ব্যাংক নোটসহ বাজারে চালু আছে ৯টি কাগুজে মুদ্রা। যার সবগুলোই শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সংবলিত। জুলাই অভ্যুত্থানের পর এসব নোট পরিবর্তনের দাবি ওঠে বিভিন্ন মহল থেকে। নতুন সরকার দায়িত্ব নিয়ে সেই কার্যক্রম শুরু করলেও, সময় লেগে যায় নানা কারণে। অবশ্য আরিফ হোসেন খান জানান, ধাপে ধাপে আনা হবে বাকি মুদ্রাগুলো।
বর্তমানে বাজারে থাকা মুদ্রার পরিমাণ প্রায় ১ লাখ ৫২ হাজার কোটি টাকা। তবে, ছাপানো অবস্থায় আছে আরও দ্বিগুণের ওপরে।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
দেশের বাজারে সোনার দাম আবার বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ২ হাজার ৮২৩ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ৬৯ হাজার ৯২১ টাকা।বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) বুধবার (২১ মে) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠকে করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।বাজুসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন করে দাম সমন্বয় করা হয়েছে। স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২২ মে) থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।এর আগে গত ১৮ মে দেশের বাজারে আর এক দফা সোনার দাম বাড়ানো হয়। চার দিনের মাথায় এখন আবার দাম বাড়ানোর কারণ হিসেবে বাজুস বলছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে সোনার দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৮২৩ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ৬৯ হাজার ৯২১ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৬৯৫ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ ৬২ হাজার ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৩০৯ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ৩৯ হাজার ২৩ টাকা। সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম এক হাজার ৯৭১ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ১৪ হাজার ৯৪৯ টাকা।এর আগে গত ১৮ মে সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম এক হাজার ৩৬৪ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয় এক লাখ ৬৭ হাজার ৯৮ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ৩০৬ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ ৫৯ হাজার ৫০৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়।এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ১০৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম এক লাখ ৩৬ হাজার ৭১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়। সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৯৪৬ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয় এক লাখ ১২ হাজার ৯৭৮ টাকা। আজ বুধবার পর্যন্ত এই দামে সোনা বিক্রি হয়েছে।সোনার দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ৮১১ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৬৮৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ২৯৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম এক হাজার ৭২৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ভোরের আকাশ/এসআই
কাস্টমস কর্মকর্তাদের লাগাতার কর্মবিরতির কারণে বেনাপোল কাস্টমস হাউজে আমদানিকৃত পণ্য শুল্কায়নের কাজসহ বন্দর থেকে খালাস প্রক্রিয়া বন্ধ হয়েছে। শুল্কায়নের কাজ বন্ধ থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে বেনাপোল কাস্টমস হাউস। কর্মবিরতিতে বন্দর থেকে পন্য খালাস নিতে না পারায় প্রতিদিন বন্দরের ভাড়া গুনতে হচ্ছে আমদানিকারকদের। আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা। তবে যাত্রী চলাচল ও বন্দরে ভারতীয় ট্রাক থেকে পণ্য আনলোড স্বাভাবিক আছে।জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) জারিকৃত অধ্যাদেশ বাতিল ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যানকে অপসারণসহ চার দফা দাবিতে অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ। বুধবার (২১ মে) বিকাল ৩ টা থেকে কাস্টমস সদস্যরা নতুন করে কলমবিরতী পালন করায় বন্ধ হয়ে যায় পণ্য খালাস ও আমদানিসহ রফতানি বাণিজ্য।এর আগে বুধবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের জাতীয় রাজস্ব ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এর পর থেকে বেনাপোল বন্দরে কাস্টমস কলম বিরতী পালন করে।এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের নেতারা জানান, চার দফা দাবি আদায়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। এর পাশাপাশি এদিন স্ব স্ব দফতরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন এনবিআরের কর্মীরা।আগামী ২৪ মে এবং ২৫ মে কাস্টমস হাউস এবং এলসি স্টেশনগুলো ব্যতীত ট্যাক্স, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দফতরে পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতি চলবে। এ দুইদিন কাস্টমস হাউস এবং এলসি স্টেশনগুলোতে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে। তবে রফতানি ও আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা কর্মবিরতির আওতামুক্ত থাকবে বলে জানা গেছে।টানা এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে দিনে ৩ থেকে ৪ ঘন্টা কলম বিরতীতে স্থবির হয়ে পড়েছে বাণিজ্য। রাজস্ব আয়ে চরম ভাবে সংকটের মুখে পড়েছে সরকার। দ্রুত সমাধানে বাণিজ্যিক পরিস্থিতি স্বাভাবিকের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা।ভোরের আকাশ/এসআই
স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশের ৬টি পণ্য আমদানি বন্ধ রাখার মাঝে এবার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে মাছ রপ্তানি বন্ধ রেখেছেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা। তবে মাছ রপ্তানী বন্ধের সাথে ভারতের নিষেধাজ্ঞার কোন সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন রপ্তানিকারকরা। এক্সপোর্ট পারমিট (ইএসপি) জটিলতার কারণে বুধবার সকাল থেকে এ রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রেখেছেন মৎস্য রপ্তানিকারকরা।বন্দরের মৎস্য রপ্তানিকারক এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক মিয়া আজ বুধবার (২১ মে) সকালে মাছ রপ্তানি বন্ধ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমাদের এক্সপোর্ট পারমিট (ইএসপি) জটিলতার কারণে আজকে আমরা এ পথে আগরতলায় মাছ রপ্তানি করতে পারিনি। তবে আশা করছি সমস্যা সমাধান হলে আগামীকাল সকাল থেকে আবারও মাছ রপ্তানি স্বাভাবিক হবে।এদিকে হঠাৎ করে ভারত সরকার বাংলাদেশ থেকে স্থলপথে ছয়টি পণ্যের আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় আখাউড়া বন্দরের রপ্তানি বাণিজ্যে স্থবিরতা নেমে এসেছে। এ নিষেধাজ্ঞার ফলে হিমায়িত মাছসহ প্লাস্টিক সামগ্রী, পিভিসি পণ্য, চিপস, বিস্কুট, ফলের স্বাদযুক্ত জুস ও তুলা রপ্তানি ব্যাহত হচ্ছে। প্রতিদিন গড়ে এক লক্ষ ডলারের ৩৫ থেকে ৪০ মেঃ টন মাছ ভারতে রপ্তানি করা হয়।এদিকে ভারত সরকার হঠাৎ করে বাংলাদেশ থেকে স্থলপথে ৬টি পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতমুখী রপ্তানি বাণিজ্যে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশন সূত্রে জানা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বন্দর দিয়ে ভারতে ৪২৭ কোটি ৮৮ লাখ ৭২ হাজার ৪৩০ টাকার পণ্য রপ্তানি হয়। আর চলতি অর্থবছরে গেল এপ্রিল পর্যন্ত রপ্তানি হয় ৪৫৩ কোটি ১ লাখ ৯৬ হাজার ৭৯৩ টাকার পণ্য। রপ্তানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে- রড, সিমেন্ট, হিমায়িত মাছ, প্লাস্টিক, ভোজ্য তেল, তুলা, প্রক্রিয়াজাত খাবার, শুঁটকি মেলামাইন সামগ্রী।স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা জানান, হিমায়িত মাছের পর সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয় প্লাস্টিক পণ্য, পিভিসি সামগ্রী, চিপস, বিস্কুট, ফলের স্বাদযুক্ত জুস ও তুলা। প্রতিদিন প্রায় ৪০-৪৫ লাখ টাকা মূল্যের এসব পণ্য রপ্তানি হয় ভারতে। ফলে এ পণ্যগুলো আমদানি নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ায় রপ্তানি বাণিজ্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।মূলত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে ভারতের সঙ্গে চলা কূটনৈতিক টানাপোড়েনের কারণেই দেশটির সরকার আমদানির সুযোগ সীমিত করেছেন বলে ধারণা ব্যবসায়ীদের, যা দ্রুত আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করার দাবি তাদের।স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান জানান, আজ সকাল থেকে মাছের কোনো গাড়ি বন্দরে আসেনি। সিমেন্ট ও ভোজ্য তেল নিয়ে ১১টি গাড়ি বন্দরে প্রবেশ করেছে, যা আগরতলায় রপ্তানি হবে। উল্লেখ্য, দেশের অন্যতম বৃহৎ ও শতভাগ রপ্তানিমুখী আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন বরফায়িত মাছ, সিমেন্ট, ভোজ্য তেল, প্লাস্টিক, বর্জ্য তুলা ও খাদ্য সামগ্রীসহ বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি হয় ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায়। সেখান থেকে রপ্তানিকৃত পণ্য সরবরাহ করা হয় দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে। ভোরের আকাশ/এসআই
বাজারে আসছে বহুল কাঙ্ক্ষিত নতুন নোট। যদিও অন্তর্বর্তী সরকারের ৯ মাসে বাজারে ছাড়া হয়নি নতুন কোনো নোট। অবশেষে আগামী ২৫ অথবা ২৬ মে পাওয়া যেতে পারে নতুন ২০ ও ৫০ টাকা।তবে হাজার টাকার নোটের জন্য অপেক্ষা করতে হবে ১ জুন পর্যন্ত। আর সব মিলিয়ে প্রথম ধাপে ছাড়া হচ্ছে মোট এক হাজার কোটি টাকাএ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, আগামী ২৫ অথবা ২৬ মে ছাড়া হতে পারে ২০ ও ৫০ টাকার নোট। এর সপ্তাহ খানেকের মধ্যে, পয়লা জুন বাজারে আসতে পারে নতুন ডিজাইনের ১ হাজার টাকা। যাতে যুক্ত করা হয়েছে মোট ৮টি নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য।সব মিলিয়ে প্রথম ধাপে বাজারে ছাড়া হবে ১ হাজার কোটি টাকা। আর নকশায় প্রাধান্য পাচ্ছে জুলাই অভ্যুত্থান ও বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য।দুইটি সরকারি ও ৭টি ব্যাংক নোটসহ বাজারে চালু আছে ৯টি কাগুজে মুদ্রা। যার সবগুলোই শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সংবলিত। জুলাই অভ্যুত্থানের পর এসব নোট পরিবর্তনের দাবি ওঠে বিভিন্ন মহল থেকে। নতুন সরকার দায়িত্ব নিয়ে সেই কার্যক্রম শুরু করলেও, সময় লেগে যায় নানা কারণে। অবশ্য আরিফ হোসেন খান জানান, ধাপে ধাপে আনা হবে বাকি মুদ্রাগুলো।বর্তমানে বাজারে থাকা মুদ্রার পরিমাণ প্রায় ১ লাখ ৫২ হাজার কোটি টাকা। তবে, ছাপানো অবস্থায় আছে আরও দ্বিগুণের ওপরে।ভোরের আকাশ/জাআ