ঢাকায় সাউথ এশিয়া ট্রেড ফেয়ার
ভোরের আকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৮:২১ পিএম
সংগৃহীত ছবি
সার্কভুক্ত দেশের অংশগ্রহণে বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানী ঢাকায় শুরু হচ্ছে চারদিনব্যাপী ‘সাউথ এশিয়া ট্রেড ফেয়ার –২০২৫’। ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় এই মেলার উদ্বোধন করবেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সেখ বশিরউদ্দীন। সার্ক চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এসসিসিআই) এবং দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ মেলায় দক্ষিণ এশিয়ার শতাধিক প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে। মেলায় প্রদর্শিত হবে তৈরি পোশাক ও বস্ত্র, জেমস ও জুয়েলারি, কসমেটিকস, চামড়াজাত পণ্য, হোম অ্যাপ্লায়েন্স ও কিচেনওয়্যার, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য এবং ইলেকট্রনিক্সসহ বৈচিত্র্যময় পণ্য। মেলার পাশাপাশি থাকছে বিজনেস নেটওয়ার্কিং, বিটুবি সেশন এবং বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক আলোচনা। প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে এবং এটি চলবে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এফবিসিসিআই’র মতিঝিল কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে মেলার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন সার্ক চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির মহাসচিব জনাব জুলফিকার আলী ভাট।
তিনি বলেন, এই মেলাটি বিটুবি ম্যাচ-মেকিং সেশন, বিজনেস নেটওয়ার্কিং সেশন প্রভৃতি কর্মসূচি সার্কভুক্ত দেশসমূহের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের মধ্যে আস্থা বৃদ্ধি এবং ব্যবসা-বাণিজ্য সংক্রান্ত জ্ঞান আদান-প্রদানের সুযোগ তৈরি করবে। যা আঞ্চলিক বাণিজ্যের প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
জুলফিকার আলী বলেন, আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্প্রসারণের যথেষ্ট সুযোগ থাকলেও ভূরাজনৈতিক কারণে দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহ এক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে। এই মেলার মাধ্যমে দেশসমূহের মধ্যে যোগাযোগ আরো বৃদ্ধি পাবে, যেটা খুবই জরুরি। আমদের পারস্পরিক বোঝাপড়া- সুযোগ-সুবিধার মধ্যে দিয়ে আঞ্চলিকভাবে আমরা অর্থনৈতিকভাবে আরো শক্তিশালী হব।
গতবছর পাকিস্তানে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছিল, প্রতিবছর কোন একটি সার্কভূক্ত সদস্য দেশে এটি অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর বাংলাদেশে এটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এবারের মেলায় বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলংকা ও আফগানিস্তানের শতাধিক প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে, দেশগুলোর ব্যবাসায়ী নেতারা এতে অংশ নিবেন। আশাকরি বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ এতে উৎসাহের সঙ্গে অংশ নিবেন।
অনুষ্ঠানে সার্ক চেম্বার গঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরেন এফবিসিসিআই এর মহাসচির মোঃ আলমগীর বলেন, ১৯৮৫ সালে দেশগুলোর মধ্যে সৌহর্দ বাড়ানোর জন্য সার্ক গঠিত হয়েছিলো। কালচারাল প্রোগ্রাম থেকে শুরু করে বিভিন্ন ইভেন্ট হত। এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক আস্থা, আঞ্চলিক বাণিজ্য বৃদ্ধি, সরাসারি একদেশের সঙ্গে অন্য দেশের জনগনের মধ্যে সুসম্পর্ক উন্নয়নে জন্য প্রতিবছর সদস্য দেশ বাণিজ্য মেলার আয়োজন করে। এই মেলার মাধ্যমে বস্ত্র, ওষুধ, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য ও কৃষি, ইলেকট্রনিক্সসহ বিভিন্ন খাতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহের সক্ষমতা এবং বাণিজ্য সম্ভাবনার প্রতিফলন ঘটবে। পাশাপাশি সার্কভুক্ত দেশগুলোর ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠবে।
এফবিসিসিআই এর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সেক্রেটারি জাফর ইকবল এনডিসি বলেন, এই মেলার ফলে সরাসারি বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তানের মধ্যে ব্যবসায়ী অংশদারিত্ব বাড়বে। জনগন টু জনগণের কানেকশন বাড়বে। আমাদের কয়েকটি ইভেনে প্রোগ্রাম সাজানো হয়েছে। আশা করি, এর মাধ্যমে দেশের ব্যবসায়ীদের অনেক সুযোগ তৈরি হবে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ