ফাইল ছবি
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আন্দোলনকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে আজ রোববার কোনো বৈঠক হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, কর্মকর্তারা শাটডাউন কর্মসূচি পালন করতে চাইলে করুক।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চলমান অচলাবস্থা নিরসনের উপায় খুঁজতে রোববার (২৯ জুন) বিকেল ৪টায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আজ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এনবিআরের কর্মকর্তাদের আন্দোলনের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হবে।
আন্দোলনকারী এনবিআর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক না করার বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। আগামী ১ জুলাই তাদের সঙ্গে যে বৈঠক হওয়ার কথা, তা–ও হবে কি না, সে সিদ্ধান্ত পরে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা।
এদিকে আজ বেলা দুইটার দিকে এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, আজ বিকেল চারটায় অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করার কথা এনবিআরের আন্দোলনকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। এ জন্য আয়কর, কাস্টমস ও ভ্যাট ক্যাডারের ২০ সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধি দলের সদস্য চূড়ান্ত করা হয়েছে। এতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সভাপতি হাছান মুহম্মদ তারেক রিকাবদার।
সব পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে রাজস্ব খাতে যৌক্তিক সংস্কারে টানা কয়েক দিন ধরে আন্দোলন করছেন এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। গতকাল শনিবারের মতো আজ রোববারও কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি পালন করছেন তারা। এনবিআর সংস্কার পরিষদের ব্যানারে এই আন্দোলন চলছে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আন্দোলনকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে আজ রোববার কোনো বৈঠক হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, কর্মকর্তারা শাটডাউন কর্মসূচি পালন করতে চাইলে করুক।জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চলমান অচলাবস্থা নিরসনের উপায় খুঁজতে রোববার (২৯ জুন) বিকেল ৪টায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আজ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এনবিআরের কর্মকর্তাদের আন্দোলনের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হবে।আন্দোলনকারী এনবিআর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক না করার বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। আগামী ১ জুলাই তাদের সঙ্গে যে বৈঠক হওয়ার কথা, তা–ও হবে কি না, সে সিদ্ধান্ত পরে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা।এদিকে আজ বেলা দুইটার দিকে এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, আজ বিকেল চারটায় অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করার কথা এনবিআরের আন্দোলনকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। এ জন্য আয়কর, কাস্টমস ও ভ্যাট ক্যাডারের ২০ সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধি দলের সদস্য চূড়ান্ত করা হয়েছে। এতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সভাপতি হাছান মুহম্মদ তারেক রিকাবদার।সব পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে রাজস্ব খাতে যৌক্তিক সংস্কারে টানা কয়েক দিন ধরে আন্দোলন করছেন এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। গতকাল শনিবারের মতো আজ রোববারও কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি পালন করছেন তারা। এনবিআর সংস্কার পরিষদের ব্যানারে এই আন্দোলন চলছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত বর্তমানে চরম সংকটের মুখোমুখি বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকিন আহমেদ। তিনি জানান, খেলাপি ঋণের লাগামহীন বৃদ্ধির ফলে আর্থিক খাতে স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়েছে এবং বিনিয়োগ প্রবাহ ব্যাহত হচ্ছে।গতকাল শনিবার রাজধানীর ডিসিসিআই অডিটরিয়ামে আয়োজিত ‘বর্তমান ব্যাংকিং খাতের চ্যালেঞ্জ : ঋণগ্রহীতাদের দৃষ্টিকোণ’ শীর্ষক সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তাসকিন আহমেদ জানান, চলতি বছরের জুন পর্যন্ত দেশে মোট খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা, যা মোট বিতরণ করা ঋণের ২৪ শতাংশেরও বেশি। এই বিপুল পরিমাণ খেলাপি ঋণের ফলে নতুন করে ঋণ পাওয়ার পথ রুদ্ধ হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে এসএমই খাতসহ উৎপাদনমুখী উদ্যোক্তারা মারাত্মক বিপাকে পড়ছেন। একইসঙ্গে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৫৭ শতাংশে নেমে এসেছে, যা উদ্বেগজনক।ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, বর্তমানে মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের ওপরে অবস্থান করায় নীতিগত সুদহার বাড়াতে হচ্ছে, ফলে তারল্য সংকুচিত হচ্ছে এবং মূলধনের খরচ বেড়ে যাচ্ছে। এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ওপর।তাসকিন আহমেদ বলেন, ব্যাংকিং খাতের সংস্কার শুধু ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, বরং ঋণগ্রহীতাদের অবস্থান বিবেচনায় নিয়েই করতে হবে। না হলে বিনিয়োগ, উদ্ভাবন ও প্রতিযোগিতা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে।ডিসিসিআই সভাপতি এ সংকট উত্তরণে একাধিক প্রস্তাবনা দেন। এর মধ্যে রয়েছে : ঋণগ্রহীতাদের পুনর্বাসনমূলক উদ্যোগ গ্রহণ; উৎপাদনমুখী খাত যেমন- এসএমই, কৃষি ও সবুজ শিল্পে সহজ শর্তে ঋণ সুবিধা দেওয়া; সেক্টরভিত্তিক প্রণোদনা ও গ্যারান্টি স্কিম চালু; ঋণের শর্ত শিথিল করে দীর্ঘ মেয়াদে পরিশোধের সুযোগ সৃষ্টি; ঋণ শ্রেণিকরণ সময়সীমা ছয় মাস বাড়ানো এবং ইচ্ছাকৃত ও অনিচ্ছাকৃত খেলাপি আলাদা করে চিহ্নিত করা।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক (মুদ্রানীতি বিভাগ) ড. মো. এজাজুল ইসলাম। মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রিভারস্টোন ক্যাপিটাল লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী এবং ডিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মো. আশরাফ আহমেদ।ভোরের আকাশ/এসএইচ
দীর্ঘদিনের সংকট কাটিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে স্বস্তি ফেরায় গতি ফিরতে শুরু করেছে দেশের আমদানি কার্যক্রমে। বাড়ছে আমদানি ঋণপত্র বা এলসি খোলা ও নিষ্পত্তির পরিমাণ। ধীরে ধীরে কর্মচাঞ্চল্য ফিরছে অর্থনীতিতে।হালনাগাদ তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা গেছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম দশ মাসে ভোগ্যপণ্য ও শিল্পের কাঁচামালের এলসি খোলায় প্রবৃদ্ধি এসেছে। তবে মূলধনি যন্ত্রপাতির আমদানি এখনো নিম্নমুখী। দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ ফিরলে মূলধনি যন্ত্রপাতির আমদানিও বাড়বে বলে মনে করছেন অর্থনীতি বিশ্লেষকরা। কারণ, তখন নতুন দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আসবে। নতুন নতুন শিল্প-কারখানা প্রতিষ্ঠিত হলেই বাড়বে মূলধনি যন্ত্রপাতির আমদানি। স্বস্তিদায়ক রিজার্ভ থাকায় রাজনৈতিক সরকার আসলেই বিনিয়োগে বেশ গতি আসবে বলে আশা অর্থনীতিবিদদের।জানা গেছে, রেমিট্যান্স প্রবাহ ও রপ্তানি আয় বাড়ার পাশাপাশি উন্নয়ন সহযোগীদের বাজেট সহায়তা বাড়ার কারণে বেড়েছে দেশের রিজার্ভ। এর সুফল পাওয়া যাচ্ছে আমদানির ক্ষেত্রে।বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভোগ্যপণ্যের এলসি খোলা গত বছরের তুলনায় ৩ দশমিক ৫ শতাংশ এবং নিষ্পত্তি ১ দশমিক ৯৮ শতাংশ বেড়েছে। শিল্পের কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রেও এলসি খোলা বেড়েছে ২ দশমিক ৭১ শতাংশ এবং নিষ্পত্তি বেড়েছে ১০ দশমিক ৭৩ শতাংশ।তথ্যমতে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল সময়ে ভোগ্যপণ্যের জন্য এলসি খোলা হয়েছিল ৫৭৪ কোটি ৪২ লাখ ডলারের, যা চলতি অর্থবছরের একই সময়ে দাঁড়িয়েছে ৫৯১ কোটি ৬৯ লাখ ডলারে। অর্থাৎ এলসি খোলা বেড়েছে ১৭ কোটি ২৭ লাখ ডলার। একই সময় ভোগ্যপণ্যের এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে ৫৬৯ কোটি ৫ লাখ ডলারের, যা আগের বছরের একই সময়ের ৫৫৮ কোটি ৬১ লাখ ডলারের তুলনায় ১০ কোটি ৪৪ লাখ ডলার বেশি।প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, চলতি অর্থবছরে শিল্পের কাঁচামালের আমদানিতে এলসি খোলা হয়েছে ২ হাজার ২২ কোটি ৭১ লাখ ডলারের, যা গত অর্থবছরে ছিল ১ হাজার ৯৬৮ কোটি ৫৯ লাখ ডলার। অর্থাৎ ৫৪ কোটি ১২ লাখ ডলারের প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এছাড়া এলসি নিষ্পত্তির অংক বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ১০ কোটি ৪ লাখ ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ১৯৪ কোটি ৫৭ লাখ ডলার বেশি।ব্যবসায়ীদের মতে, বৈধ চ্যানেলে প্রবাসী আয় বাড়ায় ডলার সরবরাহ কিছুটা স্থিতিশীল হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে আমদানি কার্যক্রমে। তারা বলছেন, এলসি খোলায় গতি ফেরায় বাজারে নিত্যপণ্যের সরবরাহ বেড়েছে এবং দামও কিছুটা সহনশীল পর্যায়ে এসেছে। বিপরীত চিত্র রয়েছে মূলধনি যন্ত্রপাতির ক্ষেত্রে। এ খাতে এলসি খোলা কমেছে ২৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ এবং নিষ্পত্তি কমেছে ২৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম দশ মাসে যেখানে এলসি খোলা হয়েছিল ১৯৫ কোটি ২৯ লাখ ডলারের, সেখানে চলতি অর্থবছরে তা কমে দাঁড়িয়েছে ১৪১ কোটি ১৭ লাখ ডলারে। একই সময় এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে ১৭০ কোটি ২৮ লাখ ডলারের, যা আগের বছরের ২২৯ কোটি ৩৮ লাখ ডলারের তুলনায় ৫৯ কোটি ১ লাখ ডলার কম।বিশ্লেষকদের মতে, ভোগ্যপণ্য ও কাঁচামাল আমদানিতে এলসি বাড়া অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে ইতিবাচক ইঙ্গিত। তবে মূলধনি যন্ত্রপাতির এলসি কমার প্রবণতা বিনিয়োগ স্থবিরতার লক্ষণ, যা অর্থনীতির দীর্ঘমেয়াদি গতিশীলতা নিয়ে চিন্তার বিষয় হয়ে উঠতে পারে।এদিকে দেশে দীর্ঘ সময় পর আবারও ৩০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। গত সপ্তাহের শেষ দিনে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩০ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলারে। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্ধারিত হিসাবপদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী এই রিজার্ভের পরিমাণ ২৫ বিলিয়ন ডলারের ঘরে। সরকার পরিবর্তনের পর প্রবাসী আয় বেড়ে যাওয়াকে এই রিজার্ভ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।বর্তমান সরকার গঠনের পর বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রবণতা বেড়েছে, যা বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে স্বস্তি ফেরাতে সাহায্য করেছে। ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে আর রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করতে হয়নি- যা বিগত ১০ মাস ধরে বজায় রয়েছে। এছাড়া বাজেট সহায়তা, ব্যাংক ও রাজস্ব খাত সংস্কার এবং বহুপাক্ষিক ঋণের অর্থ ছাড়ের ফলে রিজার্ভে বড় অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা যোগ হয়েছে। চলতি সময় পর্যন্ত এসব উৎস থেকে ৫০০ কোটির বেশি ডলার দেশে এসেছে বলে জানা গেছে।বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা বিবেচনায় আইএমএফ শিগগিরই আরও ৯০ কোটি ডলার ঋণ ছাড় করবে। পাশাপাশি বিশ্বব্যাংক, এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক (এআইআইবি), জাপান এবং ওপেক ফান্ড থেকেও প্রায় ১৫০ কোটি ডলারের মতো ঋণ দেশে আসবে। এসব অর্থ জুন মাসের মধ্যেই রিজার্ভ হিসেবে যোগ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।এতে চলতি মাস শেষে দেশের মোট রিজার্ভ ৩২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। প্রবাসী আয়ের দিক থেকেও ইতিবাচক ধারা বজায় রয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার। আর চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শুরু থেকেই গত সপ্তাহ পর্যন্ত ২৯ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার বেশি। এছাড়া রপ্তানি খাতেও ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে, যদিও আমদানি ব্যয় ৫ শতাংশের মতো বেড়েছে। এই পার্থক্য রিজার্ভে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
পতন কেটে ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ফেরার ইঙ্গিত দিচ্ছে দেশের শেয়ারবাজার। গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া ৫ কার্যদিবসের মধ্যে ৪ কার্যদিবসেই শেয়ারবাজার ঊর্ধ্বমুখী ছিল। এতে সপ্তাহজুড়ে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখেছে অধিক সংখ্যাক প্রতিষ্ঠান। ফলে বেড়েছে মূল্যসূচক। একই সঙ্গে বেড়েছে বাজার মূলধন। পাশাপাশি লেনদেনের গতিও বেড়েছে।এর মাধ্যমে টানা তিন সপ্তাহ শেয়ারবাজারে মূল্যসূচক বাড়ল। তবে এর আগে ৮ সপ্তাহ পতনের মধ্যে ছিল শেয়ারবাজার। গত সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন বেড়েছে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে প্রায় দুই শতাংশ। দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখেছে প্রায় তিনশ প্রতিষ্ঠান। দৈনিক গড় লেনদেন বেড়ে সাড়ে তিনশ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।এর আগে গত ঈদুল ফিতর বা রোজার ঈদের পর থেকে শেয়ারবাজারে টানা ৮ সপ্তাহ দরপতন হয়। টানা ৮ সপ্তাহের পতনে ডিএসইর বাজার মূলধন কমে ২৬ হাজার ৮৮২ কোটি টাকা। এছাড়া প্রধান মূল্যসূচক কমে ৫৮২ পয়েন্ট। টানা ৮ সপ্তাহ পতনের পর ঈদুল আজহার ছুটি শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহে শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মেলে। ওই সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বাড়ে ৩ হাজার ৬০৭ কোটি টাকা। ঈদের পর প্রথম সপ্তাহে বাজার মূলধন বাড়ে ১৫২ কোটি টাকা।এমন পরিস্থিতিতে গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ডিএসইতে বড় দরপতন হয়। তবে চার কার্যদিবস টানা ঊর্ধ্বমুখী থাকে বাজার। এতে সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ২৬৮টির স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ৩৬টির। এছাড়া ৮৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। সব মিলয়ে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৬১ হাজার ৫৬৫ কোটি টাকা। যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৬ লাখ ৫০ হাজার ৭৪৩ কোটি টাকা।অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ১০ হাজার ৮২২ কোটি টাকা বা এক দশমিক ৬৬ শতাংশ। বাজার মূলধন বাড়ার পাশাপাশি গত সপ্তাহে প্রধান মূল্যসূচকও বেড়েছে। ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স গত সপ্তাহে বেড়েছে ৭৮ দশমিক ৪২ পয়েন্ট বা এক দশমিক ৬৫ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচক বাড়ে ৪৫ দশমিক ৩২ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৯৬ শতাংশ। তার আগের সপ্তাহে বাড়ে ৭১ দশমিক ১৭ পয়েন্ট বা এক দশমিক ৫৩ শতাংশ।এতে তিন সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক বাড়লো ১৯৪ পয়েন্ট। অপর দুই সূচকের মধ্যে ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ সূচক গত সপ্তাহজুড়ে বাড়ে ২১ দশমিক ৪০ পয়েন্ট বা ২ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ৮ দশমিক ৮০ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৮৬ শতাংশ।তার আগের সপ্তাহে বাড়ে ১৭ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট বা এক দশমিক ৭৩ শতাংশ। বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক গত সপ্তাহজুড়ে বেড়েছে ৩৭ দশমিক ৯০ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ১৩ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ১৯ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট বা এক দশমিক ১৩ শতাংশ। তার আগের সপ্তাহে বাড়ে ৩২ দশমিক ৭৪ পয়েন্ট বা এক দশমিক ৮৯ শতাংশ। সবকয়টি মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের গতিও বেড়েছে। সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩৬২ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৩২৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ৩৭ কোটি ১৯ লাখ টাকা বা ১১ দশমিক ৪৩ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে লাভেলো আইসক্রিমের শেয়ার। কোম্পানিটির শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩৩ কোটি ৮৯ লাখ টাকা, যা মোট লেনদেনের ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ১৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। প্রতিদিন গড়ে ১২ কোটি ৮২ লাখ টাকা লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস।এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় ছিল- সি পার্ল বিচ রিসোর্ট, বিচ হ্যাচারি, ফাইন ফুডস, অগ্নি সিস্টেম, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো এবং মিডল্যান্ড ব্যাংক।ভোরের আকাশ/এসএইচ