ইসলামী ব্যাংক সিকিউরিটিজের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত
ইসলামী ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেড (আইবিএসএল)-এর পরিচালনা পরিষদ এর এক সভা বুধবার (৭ মে) অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আইবিএসএল-এর চেয়ারম্যান মোঃ আবদুস সালাম, এফসিএ, এফসিএস এতে সভাপতিত্ব করেন।
উক্ত সভায় আইবিএসএল-এর চেয়ারম্যান মোঃ আবদুস সালাম, এফসিএ, এফসিএস এতে সভাপতিত্ব করেন। সভায় কোম্পানির পরিচালক মোঃ আবদুল জলিল, মোঃ ওমর ফারুক খান, মোহাম্মদ আলী এবং আইবিএসএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মশিউর রহমান, এফসিএ, সিআইপিএ সহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভায় প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক সফলতাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
ভোরের আকাশ/এসআই
সংশ্লিষ্ট
আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ১১ ও ১২ জুন বুধ ও বৃহস্পতিবার নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। একই সঙ্গে দাপ্তরিক কাজের স্বার্থে ১৭ মে শনিবার ও ২৪ মে শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অফিস খোলা রাখতে বলা হয়েছে। ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে (এনবিএফআই) এই নির্দেশনা মানতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।বৃহস্পতিবার (৮ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ এ বিষয়ে নির্দেশনা নিয়েছে।ফাইন্যান্স কোম্পানি আইন, ২০২৩ এর ৪১ (২) (ঘ) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।পবিত্র হজ উপলক্ষ্যে সরকারি ছুটি ও সাপ্তাহিক বন্ধ মিলিয়ে টানা ছুটি পড়ে যাওয়ায় গ্রাহকদের আর্থিক সেবা নিশ্চিত করতে আগামী ১৭ মে (শুক্রবার) ও ২৪ মে (শুক্রবার) তারিখে দেশের সব তফসিলি ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ খোলা থাকবে।নির্দেশনায় বলা হয়েছে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলোর সব ব্যবসা কেন্দ্র, শাখা ও বুথ আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ১১ ও ১২ জুন যথাক্রমে বুধবার ও বৃহস্পতিবার বন্ধ থাকবে এবং দাপ্তরিক কাজের স্বার্থে ১৭ মে ও ২৪ মে শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে খোলা থাকবে। ভোরের আকাশ/এসআই
ইসলামী ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেড (আইবিএসএল)-এর পরিচালনা পরিষদ এর এক সভা বুধবার (৭ মে) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আইবিএসএল-এর চেয়ারম্যান মোঃ আবদুস সালাম, এফসিএ, এফসিএস এতে সভাপতিত্ব করেন।উক্ত সভায় আইবিএসএল-এর চেয়ারম্যান মোঃ আবদুস সালাম, এফসিএ, এফসিএস এতে সভাপতিত্ব করেন। সভায় কোম্পানির পরিচালক মোঃ আবদুল জলিল, মোঃ ওমর ফারুক খান, মোহাম্মদ আলী এবং আইবিএসএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মশিউর রহমান, এফসিএ, সিআইপিএ সহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভায় প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক সফলতাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করা হয়। ভোরের আকাশ/এসআই
আইএমএফের শর্তে এখন পর্যন্ত নত হয়নি ঢাকা। সামনেও নত না হওয়ার বিষয়ে বেশ দৃঢ়তা দেখাচ্ছেন সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির ১৩০ কোটি ডলার পাবে কি না- সেটি নির্ভর করছে আইএমএফ তাদের শর্ত থেকে কতটা সরে আসে সেটির ওপর। এজন্য আগামী ১২ মে পর্যন্ত সময় পাওয়া যাচ্ছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে আবারও বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। এই বৈঠকে দুই পক্ষ নিজেদের মধ্যে মতপার্থক্য কমিয়ে আনার চেষ্টা করবে বলে দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে। আন্তর্জাতিক এই ঋণদাতা সংস্থাটির আগ্রহেই ৫ ও ৬ মে দুই দফা ভার্চুয়াল বৈঠকে বসেছেন অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তারা। কোন সমাধান না আসা এই দুই বৈঠকের আগে গত ২১ থেকে ২৬ এপ্রিলের মধ্যে ওয়াশিংটনে দুই দফা বৈঠক হয়েছিল।বৈঠকগুলোতে অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ডালারের বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করার জন্য সংস্থাটি চাপ দিচ্ছে। অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের সর্বোচ্চ বিনিময় হার ও ডলার কেনা-বেচার মধ্যকার পার্থক্যসীমা বেঁধে দিতে পারবে না। চাহিদা ও সরবরাহের অনুপাতে ডলারের দাম বাজারে স্বাধীনভাবে ওঠানামা করবে। এই শর্তে বাংলাদেশ কোনও ভাবেই রাজি নয়। কারণ এভাবে ডলারের দাম বাজারে ছেড়ে দিয়ে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার অভিজ্ঞতা ভালো নয়।আইএমএফের শর্ত মেনে ডলারের দর বাজারে ছেড়ে দেওয়ার পর ২৭০ রুপিতে এক ডলার কিনতে হয়েছে। শ্রীলঙ্কায় এটি ৩শ রুপি পার হয়েছিল। বাংলাদেশও যখন পরীক্ষামূলকভাবে ডলার বাজারভিত্তিক করে তখন হঠাৎ করে ডলারের বিনিময় হার আশির ঘর থেকে একশ বিশের ঘর পার হয়ে যায়। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ডলারের সর্বোচ্চ বিনিময় হার বেধে দিয়েছে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা ভোরের আকাশের সঙ্গে আলাপকালে বলেছেন, বাংলাদেশও যদি ডলার বাজারভিত্তিক করে তাহলে আমরা জানিনা ঠিক কোন জায়গায় গিয়ে ডলারের দাম ঠেকবে। ডলারের এই দর বৃদ্ধির চাপ আমাদের জনগণ সামাল দিতে পারবে না। এমনিতেই গত কয়েকবছর ধরে মূল্যস্ফীতির চাপে দেশের সাধারণ মানুষ পিষ্ট। এমন পরিস্থিতিতে ডলারের দাম বেড়ে গেলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের আরও বাইরে চলে যাবে। তাই বাংলাদেশ কোনভাবেই এই ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্তে যাবে না বলে সবগুলো বৈঠকেই আইএমএফকে জানিয়ে দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয় ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক।এর প্রেক্ষিতে ডলারের বাজার নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশকে একটি রিজার্ভ ফান্ড তৈরির পরামর্শ দেয় আইএমএফ। এটিতে রাজি হলেও এজন্য পর্যাপ্ত সময় চায় ঢাকা। কারণ বৈদেশিক দায় শোধ করার পাশাপাশি পর্যাপ্ত রিজার্ভ সংরক্ষণ করেই এই নতুন ফান্ড তৈরি করতে হবে। এতে বেশ কয়েক বছর সময় লাগতে পারে। ডলারের বিনিময় হার বাজারমুখী করা ছাড়াও বিভিন্ন খাতে সরকারের ভর্তুকি কমানোর জন্য শর্ত দিয়ে আসছিল আইএমএফ। এই মুহূর্তে শর্ত দুটির কোনটিই বাস্তবায়ন করতে পারবে না বলে আইএমএফকে ৫ ও ৬ তারিখের ভার্চুয়াল বৈঠকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ।বৈঠকে অংশ নেওয়া এক কর্মকর্তা ভোরের আকাশ’কে বলেন, আমাদের যা বলার স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছি। এখন মূলত ঋণের কিস্তি নির্ভর করছে সংস্থাটির বোর্ড সভার ওপর। আমরা এখনও ঋণের কিস্তির বিষয়ে আশাবাদি। তারা হয়তো বাংলাদেশের পরিস্থিতি বুঝতে পারবে, বলেন ওই কর্মকর্তা।এদিকে আইএমএফের ঋণ প্রাপ্তিতে জটিলতার পেছনে ভূরাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক কোনও কারণ আছে কি না- সেটি নিয়েও গুঞ্জন রয়েছে। আলোচনা রয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কিছু এগ্রেগেটর প্রতিষ্ঠান, যারা বিভিন্ন মাধ্যমে প্রবাসীদের ডলার সংগ্রহ করে বাংলাদেশে পাঠায়, তারা এখানে প্রভাব বিস্তার কারার চেষ্টা করে থাকতে পারে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের এক বক্তব্যেও এর ইঙ্গিত মিলেছে।গত ফেব্রুয়ারিতে মুদ্রানীতি ঘোষণা উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তাঁকে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রকেন্দ্রিক এগ্রেগেটর প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশের মুদ্রা বাজারে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে কি না? ওই প্রশ্নের উত্তরে আহসান এইচ মনসুর দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছিলেন, ‘যে যাই চেষ্টা করুক, আমরা কারো কাছে নত হবো না। আমাদের কাছে অনেকে অনেক ধরনের প্রস্তাব নিয় আসে। আমরা এগুলো স্পষ্টভাবে না করে দিয়েছি।’ এদিকে গুঞ্জন রয়েছে ভূরাজনৈতিক কারণেরও।এ প্রসঙ্গে অর্থনীতি বিশ্লেষক মো. মাজেদুল হক বলেন, বর্তমানে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে চীনের বাণিজ্য যুদ্ধ চলছে। এই পরিস্থিতিতে চায়নার নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বাংলাদেশকে একশ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার ঘোষণা রয়েছে। এ বিষয়টি হয়তো ট্রাম্প প্রশাসনকে ক্ষুব্ধ করতে পারে। আর এ কারণে আইএমএফ হয়তো বাংলাদেশের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বিব্রত হতে পারে। কারণ, বর্তমানে ট্রাম্প প্রশাসনের বিষয়ে আইএমএফ সচেতনভাবে পদক্ষেপ নিচ্ছে। কারণ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আইএমএফকে সরাসরি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কাজ করতে বলছেন। এতদিন সংস্থাটি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ও ফেডারেল রিজার্ভের সঙ্গে যোগাযোগ করে কার্যক্রম পরিচালনা করতো। এই কারণগুলো বাংলাদেশের ঋণের কিস্তি প্রাপ্তিতে ভূমিকা রাখতে পারে বলে ধারনা ওই অর্থনীতি বিশ্লেষকের।জানা গেছে, রিজার্ভ কমে যাওয়ায় বৈদেশিক দেনার চাপ সামাল দিতে ২০২২ সালে আইএমএফের দারস্থ হয় বাংলাদেশ। ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ অনুমোদন করে আইএমএফের পরিচালনা পর্ষদ। ২০২৬ সাল পর্যন্ত সাত কিস্তিতে এই ঋণ দেওয়ার কথা। যথাসময়ে প্রথম তিন কিস্তির ২৩১ কোটি ডলার ঋণ পায় বাংলাদেশ। সর্বশেষ কিস্তি পায় ২০২৪ সালের জুনে। চতুর্থ কিস্তি পাওয়ার কথা ছিল ডিসেম্বরে। কিন্তু নানা শর্তে সেই ঋণ আটকে যায়।পরে আইএমএফের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, বাংলাদেশ শর্ত পূরণ করলে চলতি বছরের মার্চে ঋণের চতুর্থ কিস্তি পাবে। কিন্তু আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ায় ঘোষণা আসে, চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি একত্রে চলতি বছরের জুনে দেওয়া হবে। এ নিয়ে আলোচনার জন্য গতমাসে বাংলাদেশে আসে আইএমএফ মিশন। ওই সময়ে অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ায়, বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের বসন্তকালীন বৈঠকের অবসরে আবারও আলোচনা হওয়ার ঘোষণা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়ে সংস্থাটির প্রতিনিধি দল। ২১ থেকে ২৬ এপ্রিল ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের বৈঠকের অবসরে আইএমএফ কর্মকর্তাদের সঙ্গে দুই দফায় আলোচনার টেবিলে বসেন অর্থ উপদেষ্টা ও গভর্নরসহ উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল। ওই আলোচনায় দুই পক্ষ ঐকমত্যে পৌঁছাতে না পারায় বাংলাদেশে ফিরে পৃথক বক্তব্যে অর্থ উপদেষ্ট ও গভর্নর বলেছেন, শর্ত মেনে আইএমএফের ঋণ নিতেই হবে এমন অবস্থানে নেই বাংলাদেশের অর্থনীতি।এদিকে আইএমএফের ঋণের শেষ দুই কিস্তি না পেলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশ্লেষকরা। বৈদেশিক মুদ্রার সংকট, রিজার্ভের চাপ এবং আমদানি-রপ্তানির ভারসাম্যহীনতার প্রেক্ষাপটে আইএমএফ থেকে ঋণ পাওয়া বাংলাদেশের জন্য কৌশলগত ও অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ।অর্থনীতিবিদদের মতে, সংস্থাটি ঋণ দিতে অস্বীকৃতি জানালে বাংলাদেশের ঋণমান (ক্রেডিট রেটিং) কমে যেতে পারে। এতে আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং লেনদেন ব্যাহত হতে পারে। আমদানি-রপ্তানি ঋণপত্রের (এলসি) খরচ বৃদ্ধি পাবে এবং বৈদেশিক বাণিজ্যে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)সহ অন্যান্য দাতা সংস্থা থেকে ঋণ প্রাপ্তি কঠিন হতে পারে। তবে ভিন্ন মতও আছে। অনেক অর্থনীতিবিদ মনে করেন, আইএমএফের ঋণ স্বল্পমেয়াদে সহায়তা করলেও এর শর্ত যেমন বিভিন্ন খাতে সরকারি ভর্তুকি কমানো, সুদের হার বাড়ানোর মতো বিষয়গুলো সাধারণ মানুষকে দীর্ঘমেয়াদে কষ্টে ফেলতে পারে। তারা সতর্কবার্তা দিয়ে যাচ্ছেন, ইন্দোনেশিয়া ও আর্জেন্টিনার মতো দেশ আইএমএফের ঋণ নেওয়ার পর সংকটে পড়েছিল, যা বাংলাদেশকে বিবেচনায় নেওয়া উচিত।ভোরের আকাশ/এসএইচ
আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে সিগারেটে বিদ্যমান ৪টি মূল্যস্তরকে ৩টি করার দাবি জানিয়েছে অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স- আত্মা। নিম্ন ও মধ্যম স্তরকে একত্রিত করে এই সংস্কার করা হলে তরুণ ও দরিদ্র জনগোষ্ঠী ধূমপানে নিরুৎসাহিত হবে এবং একইসাথে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে বলে আত্মার সভায় জানানো হয়। বুধবার (৭ মে) রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে সভাটি আয়োজন করা হয়।সভায় নিম্ন স্তর এবং মধ্যম স্তরকে একত্রিত করে প্রতি ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য ৯০ টাকা নির্ধারণ করা; উচ্চ স্তরে প্রতি ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য ১৪০ টাকায় অপরিবর্তিত রাখা; এবং প্রিমিয়াম স্তরে প্রতি ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য ১৯০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়। একইসঙ্গে ৬৭ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক, ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) এবং ১ শতাংশ স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ বহাল রাখার দাবি জানানো হয়।এছাড়াও, ফিল্টারবিহীন ২৫ শলাকা বিড়ির খুচরা মূল্য ২৫ টাকা এবং ফিল্টারযুক্ত ২০ শলাকা বিড়ির খুচরা মূল্য ২০ টাকা নির্ধারণ করে ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ; প্রতি ১০ গ্রাম জর্দার খুচরা মূল্য ৫৫ টাকা এবং ১০ গ্রাম গুলের খুচরা মূল্য ৩০ টাকা নির্ধারণ করে ৬০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপসহ সব তামাকপণ্যের খুচরা মূল্যের ওপর ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) এবং ১ শতাংশ স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ বহাল রাখার প্রস্তাব করা হয়।আত্মা’র সভায় জানানো হয়, এই প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা হলে ধূমপান হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি ২০ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আয় অর্জিত হবে। একইসঙ্গে দীর্ঘমেয়াদে প্রায় নয় লাখ তরুণসহ মোট সতেরো লাখের অধিক মানুষের অকাল মৃত্যু রোধ করা সম্ভব হবে। তবে তামাক কোম্পানিগুলো অপপ্রচার অব্যাহত রেখেছে। সরকারের উচিত হবে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও রাজস্ব আয় বাড়াতে তামাকবিরোধীদের প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা।সভায় ৪৯ জন সদস্যের উপস্থিতিতে সংগঠনের কার্যক্রম এবং করণীয় বিষয়ে আলোকপাত করেন আত্মা’র কো-কনভেনর মিজান চৌধুরী এবং প্রজ্ঞা’র হাসান শাহরিয়ার। বিশেষ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন দৈনিক জনকন্ঠের সিটি এডিটর কাওসার রহমান, আত্মা’র কনভেনর মতুর্জা হায়দার লিটন, কো-কনভেনর নাদিরা কিরণ এবং সদস্যসচিব এবিএম জুবায়ের প্রমুখ।ভোরের আকাশ/এসএইচ