ভোরের আকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ জুন ২০২৫ ১০:২৫ এএম
নির্বাচনের বরাদ্দ থাকছে বাজেটে
আগামী অর্থবছরের বাজেটে নির্বাচন আয়োজনের খরচ মেটানোর জন্য প্রায় ২ হাজার ১শ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনে এই অর্থ ব্যয় করবে নির্বাচন কমিশন। জানা গেছে, আগামী অর্থবছরে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পাশাপাশি সিটি করপোরেশন, উপজেলা-জেলা পরিষদ, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ, উপ-নির্বাচনসহ অন্তত আড়াই হাজার নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রয়োজন হবে। এজন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে ৫ হাজার ৯২১ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছিল নির্বাচন কমিশন।
বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচনের দাবি করে আসছে। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) অবশ্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চাচ্ছে। তবে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান হবে বলে অঙ্গীকার করেছেন। জানা গেছে, আগামী অর্থবছরের মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে ধরে নিয়ে, তার ব্যয় নির্বাহের জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে ২ হাজার ৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ওই অর্থবছরের বাজেটে বরাদ্দ রাখা হয়েছিল ২ হাজার ৪০৬ কোটি টাকা। ওই বছরের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ওই নির্বাচনের ব্যয় সংকুলান করতে সংশোধিত বাজেটে বরাদ্দ বাড়িয়ে ৪ হাজার ৭৬৯ কোটি টাকা দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়। নির্বাচন খাতে বরাদ্দ দেওয়া টাকা নির্বাচন পরিচালনার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মোতায়েন করা বিভিন্ন বাহিনীর খরচ হিসেবে ব্যয় করা হয়। এর আগে, ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বাজেটে এখাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা, পরে সংশোধিত বাজেটে বরাদ্দ আরও বাড়ানো হয়।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল বাজেটে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অনুকূলে মোট ১ হাজার ২৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। এর মধ্যে বিভিন্ন নির্বাচনের জন্য বরাদ্দের পরিমাণ প্রায় ২শ কোটি টাকা। আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে নির্বাচন খাতে বরাদ্দসহ নির্বাচন কমিশনের অনুকূলে মোট বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা। গত অর্থবছর এখাতে বরাদ্দ দেওয়া হয় ২ হাজার ৪০৬ কোটি টাকা।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগামী অর্থবছরে নির্বাচন খাতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন ও স্থানীয় সরকারের অন্যান্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ৫ হাজার ৯২২ কোটি টাকার চাহিদা দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন পরিচালনা ও আইনশৃঙ্খলা খাতে প্রায় ২ হাজার ৮শ কোটি টাকা বরাদ্দ চায়। এছাড়া, স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্য ২ হাজার ৭৯৪ কোটি টাকা বরাদ্দ চায় কমিশন। এর বাইরে ভোটার তালিকা ও জাতীয় পরিচয়পত্র খাতে ৬৯ কোটি টাকার চাহিদা ছিল।
ভোরের আকাশ/আজাসা