ফাইল ছবি
নতুন করে আরও চারটি তৈরি পোশাক ও বস্ত্র কারখানা পরিবেশবান্ধব সনদ পেয়েছে। এতে দেশে পরিবেশবান্ধব কারখানার সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৪৮টি। পরিবেশবান্ধব সনদ পাওয়া নতুন কারখানাগুলো হচ্ছে মানিকগঞ্জের অ্যাডভান্স অ্যাটায়ার, নরসিংদীর আমানত শাহ ফেব্রিকস (ওভেন কম্পোজিট), গাজীপুরের কটন ফিলড বিডি (প্রোডাকশন বিল্ডিং), ঢাকার উত্তরখানের কেএম অ্যাপারেল নিট।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) থেকে এই পরিবেশবান্ধব সনদ পেয়েছে চারটি কারখানা। এ সনদ পাওয়ার জন্য কিছু শর্ত পরিপালন করতে হয়। মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে কোনো কারখানা ৮০-এর বেশি পেলে ‘লিড প্লাটিনাম’, ৬০-৭৯ পেলে ‘লিড গোল্ড’, ৫০-৫৯ নম্বর পেলে ‘লিড সিলভার’ ও ৪০-৪৯ নম্বর পেলে ‘লিড সার্টিফায়েড’ সনদ দেওয়া হয়।
নতুন সনদ পাওয়া চারটির কারখানার মধ্যে তিনটি লিড প্লাটিনাম পেয়েছে। সেগুলো হচ্ছে অ্যাডভান্স অ্যাটায়ার, আমানত শাহ ফেব্রিকস ও কটন ফিলড বিডি। অন্যদিকে কেএম অ্যাপারেল নিট লিড গোল্ড সনদ পেয়েছে। বাংলাদেশের যে ২৪৮টি কারখানা এখন পর্যন্ত পরিবেশবান্ধব কারখানার স্বীকৃতি পেয়েছে, তার মধ্যে ১০৫টি কারখানা প্লাটিনাম সনদ, ১২৯টি গোল্ড সনদ পেয়েছে। অর্থাৎ বাংলাদেশের কারখানাগুলো সর্বোচ্চ মানের পরিবেশবান্ধব কারখানার শর্ত পূরণ করতে পারছে। বাকি ১৪টি কারখানার মধ্যে সিলভার সনদপ্রাপ্ত কারখানা ১০টি এবং সার্টিফায়েড সনদপ্রাপ্ত কারখানা ৪টি।
তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল ভোরের আকাশকে বলেন, বিশ্বের শীর্ষ ১০০টি পরিবেশবান্ধব কারখানার মধ্যে ৬৮টি কারখানাই এখন বাংলাদেশের।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
নতুন করে আরও চারটি তৈরি পোশাক ও বস্ত্র কারখানা পরিবেশবান্ধব সনদ পেয়েছে। এতে দেশে পরিবেশবান্ধব কারখানার সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৪৮টি। পরিবেশবান্ধব সনদ পাওয়া নতুন কারখানাগুলো হচ্ছে মানিকগঞ্জের অ্যাডভান্স অ্যাটায়ার, নরসিংদীর আমানত শাহ ফেব্রিকস (ওভেন কম্পোজিট), গাজীপুরের কটন ফিলড বিডি (প্রোডাকশন বিল্ডিং), ঢাকার উত্তরখানের কেএম অ্যাপারেল নিট।যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) থেকে এই পরিবেশবান্ধব সনদ পেয়েছে চারটি কারখানা। এ সনদ পাওয়ার জন্য কিছু শর্ত পরিপালন করতে হয়। মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে কোনো কারখানা ৮০-এর বেশি পেলে ‘লিড প্লাটিনাম’, ৬০-৭৯ পেলে ‘লিড গোল্ড’, ৫০-৫৯ নম্বর পেলে ‘লিড সিলভার’ ও ৪০-৪৯ নম্বর পেলে ‘লিড সার্টিফায়েড’ সনদ দেওয়া হয়।নতুন সনদ পাওয়া চারটির কারখানার মধ্যে তিনটি লিড প্লাটিনাম পেয়েছে। সেগুলো হচ্ছে অ্যাডভান্স অ্যাটায়ার, আমানত শাহ ফেব্রিকস ও কটন ফিলড বিডি। অন্যদিকে কেএম অ্যাপারেল নিট লিড গোল্ড সনদ পেয়েছে। বাংলাদেশের যে ২৪৮টি কারখানা এখন পর্যন্ত পরিবেশবান্ধব কারখানার স্বীকৃতি পেয়েছে, তার মধ্যে ১০৫টি কারখানা প্লাটিনাম সনদ, ১২৯টি গোল্ড সনদ পেয়েছে। অর্থাৎ বাংলাদেশের কারখানাগুলো সর্বোচ্চ মানের পরিবেশবান্ধব কারখানার শর্ত পূরণ করতে পারছে। বাকি ১৪টি কারখানার মধ্যে সিলভার সনদপ্রাপ্ত কারখানা ১০টি এবং সার্টিফায়েড সনদপ্রাপ্ত কারখানা ৪টি।তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল ভোরের আকাশকে বলেন, বিশ্বের শীর্ষ ১০০টি পরিবেশবান্ধব কারখানার মধ্যে ৬৮টি কারখানাই এখন বাংলাদেশের।ভোরের আকাশ/এসএইচ
অনুমিতভাবেই বড় হচ্ছে দেশের মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ। বেড়িয়ে আসছে দেশের আর্থিক খাতের প্রকৃত চিত্র। চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে ৪ লাখ ২০ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। এটি বিতরণ করা মোট ঋণের ২৪ শতাংশের বেশি।বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আর্থিক খাতে বেপরোয়া লুটপাটের ক্ষতচিহ্ন হচ্ছে এই বিপুল খেলাপি ঋণ। বিগত দিনে নানা কৌশলে এগুলো লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে এগুলো প্রকাশ পাচ্ছে। আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ মোট বিতরণকৃত ঋণের এক তৃতীয়াংশে পৌঁছাতে পারে বলে আশঙ্কা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের।তথ্য বলছে, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের সময় খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২২ হাজার ৪৮১ কোটি টাকা। বিগত সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে প্রায় ১৯ গুণ বেড়েছে খেলাপি ঋণের পরিমাণ। গতকাল রোববার মার্চভিত্তিক খেলাপি ঋণের তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। স্বাভাবিকভাবে এই তথ্য মে মাসে প্রকাশ করার রেওয়াজ থাকলেও বেশ কয়েকটি ব্যাংকের খেলাপির হিসাব পেতে দেরি হওয়ায় প্রতিবেদন প্রকাশে দেরি হয়েছে বলে জানা গেছে।এর আগে ডিসেম্বরভিত্তিক যে তথ্য প্রকাশিত হয়েছিল তাতে মোট খেলাপির পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা। এই হিসেবে তিন মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৭৪ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা, শতাংশীয় হিসেবে যা ২২ শতাংশের কাছাকাছি। এ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে মোট নতুন খেলাপি হলো প্রায় ২ লাখ ৯ হাজার কোটি টাকা।এদিকে বিগত সরকারের সময় নেওয়া অনেক বড় বড় ঋণই দিন দিন খেলাপি হয়ে পড়ছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত খেলাপি ঋণের পরিমাণ বাড়বে বলে ধারণা বাংলাদেশ ব্যাংকের। তখনই মূলত আর্থিক খাতের প্রকৃত চিত্র প্রকাশ পাবে। এরপর থেকেই ধীরে ধীরে খেলাপি ঋণ কমে আসবে বলে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ঋণের নামে ব্যাংক লুট হয়েছে ও লুটের টাকা পাচার হয়েছে। এগুলো এখন খেলাপি হয়ে পড়ছে। এসব ঋণের অনেকগুলোরই জামানত না থাকায় কিংবা অপর্যাপ্ত জামানত থাকায় এগুলো সরাসরি কু-ঋণে পরিণত হচ্ছে। এতেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে খেলাপি ঋণ। আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়তে থাকবে। কারণ, বিগত সরকারের একবারে শেষ সময়েও যে ঋণ নেওয়া হয়েছে সেগুলোর খেলাপি হওয়ার মেয়াদ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই পূর্ণ হয়ে যাবে। ওই সময় আর্থিক খাতের আসল চিত্র পাওয়া যাবে।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মার্চ শেষে মোট বিতরণকৃত ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৪১ হাজার ৯৯২ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ২০ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা, যা বিতরণ করা মোট ঋণের ২৪ দশমিক ১৩ শতাংশ।এদিকে ২০২৪ সালের মার্চ শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৮২ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা, যা তৎকালীন বিতরণকৃত ঋণের ১১ দশমিক ১১ শতাংশ। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৪০ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে।সাবেক সরকারের আমলে ব্যাংক থেকে প্রভাবশালীদের বড় অঙ্কের ঋণ দিতে নানা সুবিধা দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি খেলাপি ঋণ কাগজে-কলমে কম দেখাতে নেওয়া হয়েছিল একের পর এক নীতি। সরকার পরিবর্তনের পর সেই নীতি থেকে সরে এসেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যে কারণে খেলাপি ঋণ বাড়ছে বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা। বাংলাদেশ ব্যাংক পূর্বের নীতি থেকে সরে আসায় ইসলামী ব্যাংকে খেলাপি ঋণ সবচেয়ে বেশি বেড়েছে।একইভাবে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের খেলাপি ঋণও বেশ বেড়েছে। পাশাপাশি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের মালিকানাধীন বেক্সিমকো গ্রুপ, বসুন্ধরা গ্রুপ, এস আলমসহ আরও কিছু বড় ব্যবসায়ী গোষ্ঠী ঋণখেলাপি হয়ে পড়েছে। এতেও বেড়েছে খেলাপি ঋণ।পাঁচ ব্যাংকের খেলাপি বেড়েছে ৮৫ হাজার কোটি টাকা : সমস্যাগ্রস্ত পাঁচটি ইসলামী ব্যাংক এতদিন নিয়মিত দেখিয়ে আসছিল এমন প্রায় ৮৫ হাজার কোটি টাকার খেলাপি ঋণের তথ্য উদ্ঘাটিত হয়েছে। সবমিলিয়ে পাঁচটি ব্যাংকের মোট খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১ লাখ ৪৭ হাজার কোটি টাকা। মোট ঋণের যা প্রায় ৭৭ শতাংশ। বিপুল অঙ্কের খেলাপি ঋণের কারণে ব্যাংকগুলোর প্রভিশন বা নিরাপত্তা সঞ্চিতির ঘাটতি দেখা দিয়েছে ৭৪ হাজার ৫০১ কোটি টাকা।ভোরের আকাশ/এসএইচ
চলতি জুন মাসের প্রথম ১৪ দিনে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ১১৪ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। বর্তমান বাজারমূল্য (প্রতি ডলার ১২৩ টাকা ধরে) অনুযায়ী এর পরিমাণ প্রায় ১৪ হাজার ১৩৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৮ কোটি ২১ লাখ ডলার।রোববার (১৫ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, “গত বছরের জুন মাসের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৬৪ কোটি ৪০ লাখ ডলার। সেই তুলনায় চলতি বছরে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছে প্রায় ৩০ দশমিক ১০ শতাংশ।”বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, শুধুমাত্র ১৪ জুন (শনিবার) একদিনেই দেশে ৮ কোটি ৫০ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এছাড়া চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত (জুলাই-জুন) দেশে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ৮৬৫ কোটি ৬০ লাখ ডলার। দেশের ইতিহাসে এটি এক অর্থবছরে প্রাপ্ত সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রবাহ।তুলনামূলকভাবে গত অর্থবছরের একই সময়ে দেশে এসেছিল ২ হাজার ৩০১ কোটি ৮০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। সেই হিসেবে রেমিট্যান্স প্রবাহে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৪ দশমিক ৫০ শতাংশ।বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, সার্বিকভাবে রেমিট্যান্স প্রবাহ ইতিবাচক থাকলেও মাসওয়ারি ভিত্তিতে ভিন্নতা দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে জুন মাসে কিছুটা কমতি থাকলেও গোটা অর্থবছরে এটি রেকর্ড পরিমাণ পৌঁছেছে।ভোরের আকাশ//হ.র
বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের প্রকৃত চিত্র ক্রমেই প্রকাশ পাচ্ছে। চলতি বছরের মার্চ প্রান্তিকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ২০ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা, যা দেশের মোট বিতরণ করা ঋণের ২৪ দশমিক ১৩ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।রোববার (১৫ জুন) প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা। সে হিসেবে তিন মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৭৪ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা।খেলাপি ঋণ বেড়ে যাওয়ার পেছনে কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরদারি ও কঠোর নিয়মনীতি বাস্তবায়নের ফলে এতদিন যেসব অনাদায়ী ঋণ কাগজে-কলমে ‘নিয়মিত’ বা ‘ভালো’ হিসেবে দেখানো হতো, সেগুলো এখন মন্দ ঋণ হিসেবে তালিকাভুক্ত হচ্ছে। এর ফলে রাজনৈতিক প্রভাব এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সময় বিতরণ করা বিতর্কিত ঋণগুলোর প্রকৃত অবস্থা এখন সামনে আসছে।বিশ্লেষকদের মতে, খেলাপি ঋণের প্রকৃত চিত্র উন্মোচনের ফলে ব্যাংক খাতের ঝুঁকি সম্পর্কে একটি বাস্তব ধারণা তৈরি হয়েছে। তবে একই সঙ্গে এটি দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় দীর্ঘদিনের দুর্বলতা ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের প্রতিফলন হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে।বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরের মার্চ শেষে দেশের ব্যাংক খাতে মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৪১ হাজার ৯৯২ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণ ৪ লাখ ২০ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা।তুলনামূলকভাবে, গত বছরের একই সময়ে অর্থাৎ ২০২৪ সালের মার্চ প্রান্তিকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৮২ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ১১ দশমিক ১১ শতাংশ। সে অনুযায়ী এক বছরে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৪০ কোটি টাকা।আইএমএফের শর্ত পূরণে বাংলাদেশ সরকারকে ২০২৬ সালের মধ্যে বেসরকারি ব্যাংকে খেলাপি ঋণ ৫ শতাংশ এবং রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে ১০ শতাংশের নিচে নামাতে হবে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি থেকে দেখা যাচ্ছে, সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, মার্চ শেষে রাষ্ট্রীয় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মোট ঋণের পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ১৯ হাজার ৭০৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৪৫ শতাংশ অর্থাৎ এক লাখ ৪৬ হাজার ৪০৬ কোটি টাকা খেলাপি। অন্যদিকে, বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার ২০ দশমিক ১৬ শতাংশ, যা টাকায় দুই লাখ ৬৪ হাজার ১৯৫ কোটি। বিশেষায়িত ব্যাংকে খেলাপি ঋণের হার ১৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ এবং বিদেশি ব্যাংকে ৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ।উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার সময় দেশের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল মাত্র ২২ হাজার ৪৮১ কোটি টাকা। পরবর্তীতে এ পরিমাণ বেড়েই চলেছে। অর্থনীতিবিদরা দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছেন, রাজনৈতিক প্রভাব ও অনিয়ন্ত্রিত ঋণ অনুমোদনের কারণে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার হয়েছে, যা খেলাপি ঋণের চাপকে আরও বাড়িয়েছে।ভোরের আকাশ//হ.র