সংগৃহীত ছবি
সারাদেশের ১২ হাজার তরুণকে বিনামূল্যে দক্ষতা প্রশিক্ষণ দেবে পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)। ‘শিল্প খাতের প্রতিযোগিতাশীলতা ও উদ্ভাবন বিষয়ক দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি (এসআইসিআইপি)-পিকেএসএফ’ প্রকল্পের আওতায় পরিচালিত হবে এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম।
সোমবার (২৮ জুলাই) রাজধানীর পিকেএসএফ ভবনে প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ও অংশীদার প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সরকার, আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
তিন বছর মেয়াদি এই প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণার্থীদের থাকা-খাওয়ার সম্পূর্ণ ব্যয় বহন করবে প্রকল্প কর্তৃপক্ষ। প্রশিক্ষণ শেষে চাকরি অথবা আত্মকর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে পিকেএসএফ থেকে পরামর্শ ও সহায়তাও দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে ৩০ শতাংশ আসন নারী এবং অবশিষ্ট ৭০ শতাংশে প্রান্তিক ও নিম্নআয়ের তরুণদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি অর্থসচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, প্রশিক্ষণ সফলভাবে সম্পন্ন হলে সরকার পিকেএসএফকে আরও বড় পরিসরে সহায়তা করবে। তিনি দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলায় পিকেএসএফ ও অংশীদারদের সক্রিয় অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।
বিশেষ অতিথি অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ওয়ালিদ হোসেন বলেন, পিকেএসএফ দক্ষতা উন্নয়নে একটি নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান। তিনি প্রশিক্ষকদের মানোন্নয়নে বিদেশে উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থার কথাও জানান।
পিকেএসএফ চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান বলেন, বর্তমান জনমিতিক সুবিধা ধরে রাখতে হলে দক্ষতা উন্নয়ন অপরিহার্য। ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের জানান, প্রতি বছর বিশ লাখের বেশি তরুণ শ্রমবাজারে প্রবেশ করছেন, যা বড় চ্যালেঞ্জ হলেও সঠিক প্রশিক্ষণে তা সম্ভাবনায় রূপ নিতে পারে।
অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জসীম উদ্দিন জানান, আরও ৮ হাজার ৫০০ তরুণের প্রশিক্ষণের প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়েছে, যেখানে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও তৃতীয় লিঙ্গের তরুণরা অগ্রাধিকার পাবে। এছাড়া দুই হাজার এতিম ও দুস্থ তরুণের জন্য আলাদা প্রশিক্ষণ পরিকল্পনায় রয়েছে।
প্রকল্প উপস্থাপনায় জানানো হয়, পূর্ববর্তী এসইআইপি প্রকল্পে পিকেএসএফ ৩৮ হাজার ৬৩৩ জনকে দক্ষতা প্রশিক্ষণ দিয়েছে।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
সারাদেশের ১২ হাজার তরুণকে বিনামূল্যে দক্ষতা প্রশিক্ষণ দেবে পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)। ‘শিল্প খাতের প্রতিযোগিতাশীলতা ও উদ্ভাবন বিষয়ক দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি (এসআইসিআইপি)-পিকেএসএফ’ প্রকল্পের আওতায় পরিচালিত হবে এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম।সোমবার (২৮ জুলাই) রাজধানীর পিকেএসএফ ভবনে প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ও অংশীদার প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সরকার, আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।তিন বছর মেয়াদি এই প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণার্থীদের থাকা-খাওয়ার সম্পূর্ণ ব্যয় বহন করবে প্রকল্প কর্তৃপক্ষ। প্রশিক্ষণ শেষে চাকরি অথবা আত্মকর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে পিকেএসএফ থেকে পরামর্শ ও সহায়তাও দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে ৩০ শতাংশ আসন নারী এবং অবশিষ্ট ৭০ শতাংশে প্রান্তিক ও নিম্নআয়ের তরুণদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি অর্থসচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, প্রশিক্ষণ সফলভাবে সম্পন্ন হলে সরকার পিকেএসএফকে আরও বড় পরিসরে সহায়তা করবে। তিনি দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলায় পিকেএসএফ ও অংশীদারদের সক্রিয় অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।বিশেষ অতিথি অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ওয়ালিদ হোসেন বলেন, পিকেএসএফ দক্ষতা উন্নয়নে একটি নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান। তিনি প্রশিক্ষকদের মানোন্নয়নে বিদেশে উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থার কথাও জানান।পিকেএসএফ চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান বলেন, বর্তমান জনমিতিক সুবিধা ধরে রাখতে হলে দক্ষতা উন্নয়ন অপরিহার্য। ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের জানান, প্রতি বছর বিশ লাখের বেশি তরুণ শ্রমবাজারে প্রবেশ করছেন, যা বড় চ্যালেঞ্জ হলেও সঠিক প্রশিক্ষণে তা সম্ভাবনায় রূপ নিতে পারে।অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জসীম উদ্দিন জানান, আরও ৮ হাজার ৫০০ তরুণের প্রশিক্ষণের প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়েছে, যেখানে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও তৃতীয় লিঙ্গের তরুণরা অগ্রাধিকার পাবে। এছাড়া দুই হাজার এতিম ও দুস্থ তরুণের জন্য আলাদা প্রশিক্ষণ পরিকল্পনায় রয়েছে।প্রকল্প উপস্থাপনায় জানানো হয়, পূর্ববর্তী এসইআইপি প্রকল্পে পিকেএসএফ ৩৮ হাজার ৬৩৩ জনকে দক্ষতা প্রশিক্ষণ দিয়েছে।ভোরের আকাশ/জাআ
চলতি জুলাই মাসের প্রথম ২৬ দিনেই প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ১৯৩ কোটি মার্কিন ডলার (১.৯৩ বিলিয়ন), যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৩ হাজার ৫৮৩ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে)।বাংলাদেশ ব্যাংকের রোববার প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মাসের বাকি দিনগুলোতেও এই গতি বজায় থাকলে, জুলাইয়ের শেষ নাগাদ রেমিট্যান্স ২৩০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, হুন্ডি প্রতিরোধে সরকারের কঠোর অবস্থান, প্রণোদনা ও ব্যাংকিং ব্যবস্থার উন্নতির কারণে প্রবাসী আয়ে এই ইতিবাচক ধারা বজায় রয়েছে। ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে বৈধভাবে পাঠানো এই রেমিট্যান্স দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভেও স্বস্তি ফিরিয়েছে।এর আগে গত জুন মাসে প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন ২৮২ কোটি মার্কিন ডলার, যা গত বছরের জুন মাসের তুলনায় প্রায় ১১ শতাংশ বেশি।বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সদ্যসমাপ্ত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে সর্বোচ্চ ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা আগের অর্থবছর ২০২৩-২৪ সালের ২৩ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় প্রায় ২৭ শতাংশ বেশি।রেমিট্যান্সে এই রেকর্ড প্রবাহ দেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে সহায়ক হয়েছে বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা। এতে ডলারের সরবরাহ বাড়ার পাশাপাশি বৈদেশিক লেনদেনেও স্বস্তি ফিরে এসেছে।ভোরের আকাশ//হ.র
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান বোয়িং থেকে ২৫টি উড়োজাহাজ কেনা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান।রোববার (২৭ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সচিবের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।বাণিজ্য সচিব বলেন, বোয়িংয়ের ব্যবসাটা কিন্তু সে দেশের সরকার করে না, করে বোয়িং কোম্পানি। আমরা বোয়িং থেকে ২৫টি উড়োজাহাজ কেনার জন্য অর্ডার দিয়েছি। যেমন ভারত দিয়েছে ১০০টি, ভিয়েতনাম দিয়েছে ১০০টি, ইন্দোনেশিয়া দিয়েছে ১০০টি।যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি বাড়ানোর এই উদ্যোগ এমন সময়ে নেওয়া হয়েছে, যখন বাংলাদেশ শুল্ক কমানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতোমধ্যে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন, যা ভিয়েতনাম (২০ শতাংশ) ও ইন্দোনেশিয়ার (১৯ শতাংশ) চেয়ে বেশি।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি-এর চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমানের সাথে প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী, জোন ও শাখাপ্রধানদের মতবিনিময় সভা বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়।অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ম্যানেজিং ডাইরেক্টর (চলতি দায়িত্ব) মো. ওমর ফারুক খান। অনুষ্ঠানে ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. আলতাফ হুসাইন, ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. মাহবুব আলম, মাহমুদুর রহমান, মো. রফিকুল ইসলাম, কে.এম. মুনিরুল আলম আল-মামুন, ড. এম কামাল উদ্দীন জসীম এবং মোঃ মাকসুদুর রহমানসহ প্রধান কার্যালয়ের উইং ও ডিভিশন প্রধান, ঊর্ধ্বতন নির্বাহীবৃন্দ, ১৬টি জোনের জোনপ্রধান, ৪০০টি শাখার ব্যবস্থাপকগণ এবং ২৭১টি উপশাখার ইনচার্জগণ অংশ নেন।প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান বলেন, ইসলামী ব্যাংকের সুনাম পুনরুদ্ধারে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। আমানত সংগ্রহ, নতুন সম্পদ বৃদ্ধি, ওভারডিউ বিনিয়োগ রিকোভারির জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে বাস্তবায়নের জন্য কাজ করতে হবে।তিনি বলেন, অল্প সময়ে অনেক বেশি কাজ করতে হবে। তিনি ব্যাংকের চলমান জরুরি বিষয়গুলোকে চিহ্নিত করে সমাধান করার লক্ষ্যে সকলকে নিরলস পরিশ্রম করার জন্য নির্দেশনা দেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ