ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে গবেষণা দিবস উদযাপন
দেশের অন্যতম প্রধান বিশ্ববিদ্যালয় ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি প্রথমবারের মতো গবেষণা দিবস ‘রিসার্চ ডে ২০২৫’ উদযাপন করেছে। শনিবার (২৪ মে) রাজধানীর আফতাবনগরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অধিবেশনে স্বাগত বক্তব্য দেন ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. শামস রহমান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য শেলী এ. মুবদি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির বোর্ড অফ ট্রাস্টিজের চেয়ারপার্সন এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন।
গবেষণা দিবসের আয়োজনের অন্যতম ছিল দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্যানেল আলোচনা। প্রথমটি ছিল ‘বাংলাদেশকে একটি উদ্ভাবনী জাতিতে রূপান্তরের জন্য গবেষণার গুরুত্ব’, যেখানে গবেষণার মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হয়। দ্বিতীয় আলোচনার বিষয় ছিল ‘একাডেমিয়া-ইন্ডাস্ট্রি যৌথ গবেষণা: সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ’, যেখানে শিল্প ও শিক্ষাক্ষেত্রের অংশীদারত্বকে কেন্দ্র করে এ খাতের সম্ভবনা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বিশিষ্ট গবেষক অধ্যাপক হাসিনা খান, অধ্যাপক ড. রাশিদুল হক, ড. এ. কে. এম. মাসুদ এবং শিল্প খাত থেকে হুমায়রা আজম, ফিরোজ মোহাম্মদ ও শিহাব আহমেদ।
দিবসের অন্যতম আকর্ষণ ছিল ‘থ্রি-মিনিট প্রেজেন্টেশন’ সেশন, যেখানে বিভিন্ন বিভাগ থেকে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা তাদের চলমান গবেষণা উপস্থাপন করেন। দিন শেষে আয়োজন করা হয় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের। এখানে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর মোজাম্মেল হক আজাদ খানকে ‘লাইফ টাইম এচিভমেন্ট’ সম্মাননাসহ ৭২ জন শিক্ষার্থী ও শিক্ষককে গবেষণায় বিশেষ অবদানের জন্য সম্মাননা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা এবং ধন্যবাদজ্ঞাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আশিক মোসাদ্দিক।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
দেশের অন্যতম প্রধান বিশ্ববিদ্যালয় ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি প্রথমবারের মতো গবেষণা দিবস ‘রিসার্চ ডে ২০২৫’ উদযাপন করেছে। শনিবার (২৪ মে) রাজধানীর আফতাবনগরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অধিবেশনে স্বাগত বক্তব্য দেন ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. শামস রহমান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য শেলী এ. মুবদি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির বোর্ড অফ ট্রাস্টিজের চেয়ারপার্সন এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন।গবেষণা দিবসের আয়োজনের অন্যতম ছিল দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্যানেল আলোচনা। প্রথমটি ছিল ‘বাংলাদেশকে একটি উদ্ভাবনী জাতিতে রূপান্তরের জন্য গবেষণার গুরুত্ব’, যেখানে গবেষণার মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হয়। দ্বিতীয় আলোচনার বিষয় ছিল ‘একাডেমিয়া-ইন্ডাস্ট্রি যৌথ গবেষণা: সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ’, যেখানে শিল্প ও শিক্ষাক্ষেত্রের অংশীদারত্বকে কেন্দ্র করে এ খাতের সম্ভবনা নিয়ে আলোচনা করা হয়।আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বিশিষ্ট গবেষক অধ্যাপক হাসিনা খান, অধ্যাপক ড. রাশিদুল হক, ড. এ. কে. এম. মাসুদ এবং শিল্প খাত থেকে হুমায়রা আজম, ফিরোজ মোহাম্মদ ও শিহাব আহমেদ।দিবসের অন্যতম আকর্ষণ ছিল ‘থ্রি-মিনিট প্রেজেন্টেশন’ সেশন, যেখানে বিভিন্ন বিভাগ থেকে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা তাদের চলমান গবেষণা উপস্থাপন করেন। দিন শেষে আয়োজন করা হয় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের। এখানে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর মোজাম্মেল হক আজাদ খানকে ‘লাইফ টাইম এচিভমেন্ট’ সম্মাননাসহ ৭২ জন শিক্ষার্থী ও শিক্ষককে গবেষণায় বিশেষ অবদানের জন্য সম্মাননা দেওয়া হয়।অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা এবং ধন্যবাদজ্ঞাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আশিক মোসাদ্দিক।ভোরের আকাশ/এসএইচ
আসন্ন ঈদ-উল-আজহার দীর্ঘ ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করতে শনিবার (২৪ মে) সাপ্তাহিক ছুটি সত্ত্বেও দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে। সরকারের নির্বাহী আদেশ অনুযায়ী, এই দিনটিতে দেশের স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয় ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাভাবিক পাঠদান ও দাপ্তরিক কার্যক্রম চলবে।জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা আদেশে বলা হয়, ঈদ উপলক্ষে ১১ ও ১২ জুন (বুধবার ও বৃহস্পতিবার) সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এই ছুটির ভারসাম্য রক্ষায় ১৭ মে’র মতো ২৪ মে শনিবারও কর্মদিবস হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।নির্দেশনা জারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সংস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে—শিক্ষা মন্ত্রণালয়,প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি), শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, এনটিআরসিএ, এনসিটিবি ও বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড ।জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের প্রধান কার্যালয়সহ আঞ্চলিক কেন্দ্রগুলোতে যথারীতি কার্যক্রম চলবে। এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেন স্বাক্ষরিত আদেশ ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও বিভাগীয় প্রধানদের কাছে পৌঁছে গেছে।এদিকে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এক পৃথক প্রজ্ঞাপনে জানায়, শনিবার দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা থাকবে এবং স্বাভাবিক পাঠদান চলবে।এ সিদ্ধান্তে কিছুটা ক্ষোভ থাকলেও, শিক্ষা কর্মকর্তারা বলছেন, ঈদের ছুটি দীর্ঘ হওয়ায় শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এই পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ। ভোরের আকাশ/হ.র
দেশের এমপিওভুক্ত সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে নারী কোটা বাতিল করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এসব প্রতিষ্ঠানে এতদিন মোট শিক্ষক পদের মধ্যে শহরাঞ্চলে ৪০ শতাংশ এবং মফস্বল অঞ্চলে ২০ শতাংশ পদে নারী প্রার্থী নিয়োগ বাধ্যতামূলক ছিল।বৃহস্পতিবার (২২ মে) প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে নারী কোটা বাতিল ঘোষণা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ।১৫ মে সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রারম্ভিক স্তরে শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ সুপারিশের ক্ষেত্রে নারী কোটা থাকবে না। তবে এমপিও নীতিমালায় বেসরকারি স্কুলের শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের সহকারী শিক্ষক ও বেসরকারি কলেজের শরীর চর্চা শিক্ষক পদে নিয়োগের যোগ্যতা ও শর্ত অপরিবর্তিত থাকবে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে। ফলে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ সুপারিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ-এনটিআরসিএ নারী কোটায় নির্ধারিত এ পদগুলোতে পুরুষ প্রার্থীদের সুপারিশ করত না। এবার সে বাধ্যবাধকতা তুলে দেওয়া হল।বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে নারী কোটা বাতিলের এ আদেশ প্রজ্ঞাপন জারির দিন থেকে কার্যকর হবে বলেও জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ।সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সবশেষ প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী- সব কোটা বাতিল করে শুধুমাত্র ৭ শতাংশ কোটা রাখা হবে। এনটিআরসিএ’র মাধ্যমে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রেও ৭ শতাংশ কোটা প্রযোজ্য হবে। ভোরের আকাশ/এসআই
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের রাজস্ব ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় গবেষণা প্রকল্পের অনুকূলে বরাদ্দকৃত অর্থের তৃতীয় পর্যায়ের চেক হস্তান্তর করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার (২২ মে) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের সম্মেলন কক্ষে গবেষণা ও উদ্ভাবনী কেন্দ্র আয়োজিত অনুষ্ঠানে ৪০টি গবেষণা প্রকল্পের অনুকূলে ২ কোটি ৫ লাখ ৪৯ হাজার টাকার চেক বিতরণ করা হয়।প্রধান অতিথি হিসেবে গবেষকদের হাতে চেক তুলে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম।ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবছর গবেষণার পরিমাণ ও গুণগত মান বৃদ্ধি পাচ্ছে। গবেষণার বরাদ্দও ক্রমাগত বাড়ছে, যা একটি ইতিবাচক অগ্রগতি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ডিসিপ্লিনেই এখন গবেষণার পর্যাপ্ত সুযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের গবেষকদের অনেক গবেষণা আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন। এসব গবেষণার শোকেসিং হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল হবে।অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হারুনর রশীদ খান বলেন, উন্নত বিশ্বে শিক্ষা ও গবেষণায় বরাদ্দ অনেক বেশি। আমাদের সীমিত সম্পদের মাঝেও গবেষকরা যে মানসম্পন্ন গবেষণা করছেন, তা প্রশংসনীয়। দেশের খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে কৃষি গবেষণার ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. নূরুন্নবী, গবেষণা ও উদ্ভাবনী কেন্দ্রের পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কাজী দিদারুল ইসলাম, বরাদ্দপ্রাপ্ত গবেষকদের মধ্য থেকে গণিত ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. সরদার ফিরোজ আহম্মেদ ও সমাজবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের প্রভাষক নিশানা আফরিন নিশু প্রমুখ।অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন গবেষণা ও উদ্ভাবনী কেন্দ্রের রিসার্চ অফিসার সাজ্জাদ হোসেন তুহিন। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্কুলের ডিন, ডিসিপ্লিন প্রধান, শিক্ষক ও অনুদানপ্রাপ্ত গবেষকরা উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/এসআই