ভোরের আকাশ ডেস্ক
প্রকাশ : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৯:৪৪ পিএম
সংগৃহীত ছবি
উদ্ভাবন সুরক্ষা, পেটেন্ট ফাইলিং ও শিল্প একাডেমিয়া সংযোগে নতুন দিগন্তের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (রাইজ) ও জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেডের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওএ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসিই ভবনের অষ্টম তলায় রাইজের উদ্যোগে ‘ইন্টিলেকচুয়াল প্রপার্টি ম্যানজমেন্ট অব বুয়েট’ প্রকল্পের আওতায় এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবু বোরহান মোহাম্মদ বদরুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জিপিএইচ গ্রুপের চেয়ারম্যান ও জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বুয়েটের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল হাসিব চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবু বোরহান মোহাম্মদ বদরুজ্জামান উদ্ভাবন ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, এই চুক্তির মাধ্যমে বুয়েটের গবেষণা ফল বাস্তব জীবনে প্রভাব ফেলতে সক্ষম হবে।
তিনি আরো উল্লেখ করেন, জিপিএইচ ইস্পাতের সঙ্গে এই সহযোগিতা বুয়েটের একাডেমিক উৎকর্ষকে জাতীয় উন্নয়ন লক্ষ্য ও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার প্রতিফলন।
বুয়েটের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল হাসিব চৌধুরী উদ্ভাবন ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব ও জাতীয় উন্নয়নে এই প্রকল্পের প্রভাব তুলে ধরেন।
মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এই অংশীদারির মাধ্যমে উদ্ভাবন ও গবেষণাকে বাস্তব শিল্প সমাধানে রূপান্তর করা সম্ভব হবে।
রাইজের পরিচালক এবং অনুষ্ঠানের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম উল্লেখ করেন, এই প্রকল্প বুয়েটের সব ডিন, ১৮টি বিভাগ ও ৮টি ইনস্টিটিউটকে যুক্ত করবে, যেখানে প্রায় ৭ হাজার শিক্ষার্থী ও ৫০০ শিক্ষক সরাসরি উপকৃত হবেন। পেটেন্ট ফাইলিং সহায়তা, আইনি পরামর্শ, কর্মশালা, ইনোভেশন কোর্ট এবং উদ্যোক্তা উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
সমঝোতা স্মারকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাক্ষর করেন বুয়েট রাইজের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম ও জিপিএইচ গ্রুপের চেয়ারম্যান ও জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। এই সহযোগিতা বিশ্ববিদ্যালয়-শিল্প খাত অংশীদারিকে শক্তিশালী করবে, দেশীয় উদ্ভাবনকে সুরক্ষিত করবে এবং শিল্পায়নের জন্য নতুন পথ উন্মোচন করবে। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রমকে সুরক্ষিত করা, পেটেন্ট ফাইলিং, উদ্যোক্তা উন্নয়ন, শিল্প-একাডেমিয়া সংযোগ এবং উদ্ভাবনের বাণিজ্যিকীকরণের মাধ্যমে দেশের প্রযুক্তি ও শিল্পখাতকে এগিয়ে নেওয়া।
এ সময় বুয়েটের অনুষদের ডিনবৃন্দ, বিভাগীয় প্রধান, ছাত্র কল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক, রেজিস্ট্রার, ইনস্টিটিউট ও পরিদপ্তরের পরিচালক, শিক্ষার্থী ও শিক্ষক, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, গণপূর্ত অধিদপ্তর, হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এইচবিআরআই), বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বিডব্লিউডিবি) এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার্স কর্পস-এর শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ