জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স চতুর্থ বর্ষের সংশোধিত রুটিন প্রকাশ
আগামী ৮ ও ১৩ জুলাইয়ের পরীক্ষা দুটি অপরিবর্তিত থাকলেও অন্য পরীক্ষাগুলোর তারিখ বদলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩ সালের অনার্স চতুর্থ বর্ষ পরীক্ষার সংশোধিত সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। নতুন সূচি অনুযায়ী এ পরীক্ষা শেষ হবে ১২ আগস্ট। পরীক্ষা প্রতিদিন বেলা দুইটায় পরীক্ষা শুরু হবে। প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় অনুযায়ী শেষ হবে পরীক্ষা।
বুধবার (১৪ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এ পরীক্ষার এ সংশোধিত সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। পরীক্ষার প্রথম দিনে (৮ জুলাই) বিএ, বিএসএস, বিবিএ, বিএসসিতে ভিন্ন ভিন্ন ৩১টি কোর্সের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
তবে পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তনের কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রয়োজনে যেকোনো সময়ই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তন করতে পারবেন। সময়সূচি অনুযায়ী সব তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত ট্রেজারি থেকে প্রশ্নপত্রের ট্রাংক উত্তোলন বা গ্রহণ করা যাবে না। তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ব্যবহারিক পরীক্ষা শুরু হবে।
ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি যথাসময়ে জানানো হবে। পরীক্ষার্থীদের নিজ নিজ কলেজে যোগাযোগ করে ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষার তারিখ ও সময় জেনে নিতে হবে।
পরীক্ষাসংক্রান্ত সব তথ্য ও নির্দেশনা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট- এ পাওয়া যাবে।
অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষার রুটিন দেখুন এখানে -
https://www.nu.ac.bd/uploads/notices/notice_4363_pub_date_14052025.pdf
ভোরের আকাশ/এসআই
সংশ্লিষ্ট
ঈদুল আজহার ছুটির প্রভাব সামাল দিতে মে মাসের দুটি শনিবার (১৭ ও ২৪ মে) প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।সোমবার (১২ মে) মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক আদেশে জানানো হয়, আগামী ১১ ও ১২ জুন সরকারি ছুটি থাকায় অফিস কার্যক্রম ও শিক্ষার্থীদের পাঠদান সুনিশ্চিত করতে ওই দুই শনিবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে।এর আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে একইভাবে মে মাসের দুই শনিবার মাধ্যমিক পর্যায়ের সব সরকারি ও বেসরকারি স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় খোলা রাখার নির্দেশনা দেয়।নতুন এই নির্দেশনার ফলে শিক্ষার্থীদের সাপ্তাহিক ছুটির দিনে পাঠদান কার্যক্রম চালু থাকবে, যা সামগ্রিক শিক্ষাপঞ্জি ঠিক রাখতে সহায়ক হবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ভোরের আকাশ/হ.র
আবাসন ভাতা, প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট অনুমোদনসহ তিন দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে লংমার্চে লাঠিচার্জ, টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকসহ শতাধিক আহত হয়েছেন। অন্তত ৩০ জন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়ে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।বুধবার (১৪ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মৎস্য ভবন পার হয়ে কাকরাইল মসজিদের ক্রসিং মোড়ে এলেই শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের এই লংমার্চে পুলিশ হামলা চালায়। এর প্রতিবাদে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা যমুনা অভিমুখে কাকরাইল মসজিদের ক্রসিং মোডের সামনে বসে পড়েছেন।সরেজমিন দেখা যায়, বেলা সাড়ে ১১টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক হাজারের বেশি শিক্ষার্থী প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে রওনা হন। পদযাত্রা প্রথমে গুলিস্তান মাজার গেটে বাধার সম্মুখীন হয়। মৎস্য ভবনে ফের পুলিশের বাধা অতিক্রম করে যমুনা অভিমুখে এগিয়ে যেতে থাকেন জবি শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের পদযাত্রা কাকরাইল মসজিদ ক্রসিং মোড়ে আসতেই অতর্কিত টিয়ারগ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড, গরম পানি নিক্ষেপ করতে শুরু করে পুলিশ।এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। টিয়ারগ্যাস, লাঠিচার্জে আহত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দিন, ইংলিশ বিভাগের শিক্ষক নাসিরউদ্দিন, ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিলাল হোসাইন, সহকারী প্রক্টর নাইম সিদ্দিকি, সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসেন লিমন, ঢাকা ট্রিবিউনের জবি প্রতিনিধি সোহানুর রহমান, দৈনিক সংবাদের জবি প্রতিনিধি মেহেদী হাসান।আহতদের মধ্যে ওমর ফারুক, সাকিব, আরিফ আসলাম, বিন মোহাম্মদ ইমন, রেদোয়ান, আসিফ, রহমান, শফিক, মুজাহিদ, নাহিদ হাসান, রায়হান, জিহাদ, আবু বক্কর, নিউটন ইসলাম, ফারুক হোসেন, রাসেল, মাহিদ, রফিক, জিসানুলসহ ৩০ জন ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন আছেন।আহত শিক্ষক সমিতির সেক্রেটারি ড. মো. রইছ উদ্দিন বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার বিচার ও দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা এখানে অবস্থান করব। রমনা জোনের ডিসি মাসুদ বলেন, যমুনার সামনে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক বলেন, আমার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ হামলা চালিয়েছে। আমার সহকারী প্রক্টরের ওপর পুলিশ আঘাত করেছে। শিক্ষার্থীদের ন্যায্য আন্দোলনে পুলিশ অমানবিক আচরণ করেছে। এর বিচার না হওয়া পর্যন্ত এখান থেকে যাওয়া হবে না।এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি প্রতিনিধি দল ইউজিসিতে যান; কিন্তু ইউজিসি থেকে আশানুরূপ কোনো ঘোষণা না আসায় ‘লংমার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচির ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। ওই দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ‘জুলাই ঐক্য’ সংগঠনের পক্ষ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হয়।আন্দোলনকারীদের তিন দফা দাবি হলো- আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০% শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করতে হবে; জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করেই অনুমোদন করতে হবে; জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
আগামী ৮ ও ১৩ জুলাইয়ের পরীক্ষা দুটি অপরিবর্তিত থাকলেও অন্য পরীক্ষাগুলোর তারিখ বদলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩ সালের অনার্স চতুর্থ বর্ষ পরীক্ষার সংশোধিত সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। নতুন সূচি অনুযায়ী এ পরীক্ষা শেষ হবে ১২ আগস্ট। পরীক্ষা প্রতিদিন বেলা দুইটায় পরীক্ষা শুরু হবে। প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় অনুযায়ী শেষ হবে পরীক্ষা।বুধবার (১৪ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এ পরীক্ষার এ সংশোধিত সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। পরীক্ষার প্রথম দিনে (৮ জুলাই) বিএ, বিএসএস, বিবিএ, বিএসসিতে ভিন্ন ভিন্ন ৩১টি কোর্সের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।তবে পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তনের কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রয়োজনে যেকোনো সময়ই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তন করতে পারবেন। সময়সূচি অনুযায়ী সব তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত ট্রেজারি থেকে প্রশ্নপত্রের ট্রাংক উত্তোলন বা গ্রহণ করা যাবে না। তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ব্যবহারিক পরীক্ষা শুরু হবে।ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি যথাসময়ে জানানো হবে। পরীক্ষার্থীদের নিজ নিজ কলেজে যোগাযোগ করে ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষার তারিখ ও সময় জেনে নিতে হবে।পরীক্ষাসংক্রান্ত সব তথ্য ও নির্দেশনা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট- এ পাওয়া যাবে।অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষার রুটিন দেখুন এখানে -https://www.nu.ac.bd/uploads/notices/notice_4363_pub_date_14052025.pdf ভোরের আকাশ/এসআই
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ডি-লিট ডিগ্রি প্রদান করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)।বুধবার (১৪ মে) দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মাঠে আয়োজিত ৫ম সমাবর্তন থেকে তাকে এ সম্মাননা ডিগ্রি প্রদান করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে চবি উপাচার্য ড. ইয়াহ্ইয়া আখতার অধ্যাপক ইউনূসের হাতে ডি লিট ডিগ্রির সনদ তুলে দেন।সমাবর্তন বক্তা হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, শিক্ষা শুধু চাকরির জন্য নয়, এটি জীবন বদলের জন্য। আমি আশা করি, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শুধু নিজের নয়, সমাজ ও দেশের পরিবর্তনের জন্য কাজ করবেন।উপাচার্য তার বক্তব্যে বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শুধু উচ্চশিক্ষার কেন্দ্র নয়, এটি একটি জাতিগঠনের কারখানা। আমরা গর্বিত যে, এ প্রতিষ্ঠান থেকে এত সংখ্যক শিক্ষার্থী ডিগ্রি অর্জন করছেন। বিশেষত, ড. ইউনূসের মতো একজন গুণী ব্যক্তিকে আজ ডি.লিট ডিগ্রি প্রদান করতে পেরে আমরা সম্মানিত বোধ করছি।অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার, বাংলাদেশ মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন, উপ-উপাচার্য (অ্যাকাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন ও শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা।সমাবর্তনে অংশ নিয়েছেন ২০১১ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ৯টি অনুষদের ২২ হাজার ৫৮৬ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ৪২ জনকে পিএইচডি ও ৩৩ জনকে এমফিল ডিগ্রি প্রদান করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ