৪৫তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৬ হাজার ৫৫৮ জন
৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ৬ হাজার ৫৫৮ জন প্রার্থী। বুধবার (১৮ জুন) সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) ওয়েবসাইটে এই ফল প্রকাশ করা হয়।
এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা, ২০১৪ অনুযায়ী ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় সাময়িকভাবে এই প্রার্থীরা উত্তীর্ণ হয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, উত্তীর্ণদের তালিকা রেজিস্ট্রেশন নম্বর অনুযায়ী প্রকাশ করা হয়েছে, মেধাক্রম অনুসারে নয়। ফলাফল কমিশনের ওয়েবসাইট (www.bpsc.gov.bd) এবং পিএসসির নোটিশ বোর্ডে পাওয়া যাচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেছেন কমিশনের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) মাসুমা আফরীন।
লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের জন্য পরবর্তী ধাপ হলো মৌখিক পরীক্ষা (ভাইভা)। কমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছে, শিগগিরই ভাইভার সময়সূচি প্রকাশ করা হবে। নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী প্রার্থীদের প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর ৪৫তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। এতে মোট ২,৩০৯ জন ক্যাডার নিয়োগের কথা জানানো হয়।
পরবর্তী বছরের ১৯ মে অনুষ্ঠিত হয় প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। এতে অংশ নেন ২ লাখ ৬৮ হাজার ১১৯ জন। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ১২ হাজার ৭৮৯ জন, যাঁরা পরে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।
ভোরের আকাশ/হ.র
সংশ্লিষ্ট
গোপালগঞ্জে কারফিউ জারির কারণে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) অনুষ্ঠিতব্য এইচএসসি, আলিম ও সমমানের সকল পাবলিক পরীক্ষা কেবল ওই জেলার জন্য স্থগিত করা হয়েছে। তবে দেশের অন্যান্য জেলার শিক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষা পূর্বনির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে।ঢাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গোপালগঞ্জ জেলা বোর্ডের আওতায় থাকায় সেখানে আগামীকাল সকালে অনুষ্ঠেয় এইচএসসির ভূগোল (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। বিকেলবেলায় যেসব বিষয়ের পরীক্ষা রয়েছে, সেগুলোর কোনোটিই গোপালগঞ্জে নির্ধারিত নেই।সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, স্থগিত হওয়া পরীক্ষার নতুন তারিখ পরে জানানো হবে।এদিকে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গোপালগঞ্জে আগামীকাল অনুষ্ঠিতব্য বোর্ডের অধীন সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং, ডিপ্লোমা-ইন-ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি, ডিপ্লোমা ইন টেক্সটাইল, এইচএসসি (ভোকেশনাল) ও এইচএসসি (বিএমটি)।পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রকৌশলী মো. আবুল কালাম আজাদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্থগিত পরীক্ষা পরবর্তীতে পুনঃনির্ধারিত তারিখে নেওয়া হবে এবং তা বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হবে। তবে দেশের অন্যান্য জেলার পরীক্ষাগুলো যথারীতি চলবে।বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মিঞা মো. নুরুল হক এক বিবৃতিতে বলেন, “গোপালগঞ্জ ব্যতীত দেশের অন্যান্য সব জেলায় আলিম পরীক্ষা নির্ধারিত সময় অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে।”উল্লেখ্য, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-র সমাবেশকে ঘিরে বুধবার গোপালগঞ্জে সহিংসতা, সংঘর্ষ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আজ বুধবার রাত ৮টা থেকে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত জেলাজুড়ে কারফিউ জারি করেছে প্রশাসন।ভোরের আকাশ//হ.র
সরকারি ও বেসরকারি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরি এবং হালনাগাদ করার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ওয়েবসাইট হালনাগাদ করে এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (EMIS) মডিউলে আপলোড করতে হবে।সোমবার (১৪ জুলাই) অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আজাদ খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন আঞ্চলিক কার্যালয় এবং সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে যাদের নিজস্ব ওয়েবসাইট নেই অথবা থাকলেও হালনাগাদ করা নেই, তাদের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী জাতীয় তথ্য বাতায়ন (www.bangladesh.gov.bd) অধীন সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সরকারি আর্থিক ব্যয় সংকোচনের স্বার্থে স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানের আলাদাভাবে ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে।এতে আরো বলা হয়, প্রতিষ্ঠানগুলোর ওয়েবসাইটে প্রতিষ্ঠান পরিচিতি, প্রতিষ্ঠানের পাঠদানের অনুমতি ও স্বীকৃতি, শ্রেণি ও লিঙ্গভিত্তিক শিক্ষার্থীর তথ্য, শ্রেণিভিত্তিক অনুমোদিত শাখার তথ্য, পাঠদান সংক্রান্ত তথ্য (শিক্ষক, শিক্ষিকার নামসহ পূর্ণাঙ্গ রুটিন, পাঠ্যসূচি, বিবিধ নোটিশ ইত্যাদি), এমপিও, প্রতিষ্ঠানের ফোন/মোবাইল নম্বরসহ যোগাযোগের ঠিকানা, তথ্য সেবা কেন্দ্রের ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর, অভিযোগ নিষ্পত্তি কর্মকর্তার ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর, প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ সব শিক্ষক-কর্মচারীর তথ্য, ব্যবস্থাপনা কমিটির তথ্য হালনাগাদ রাখতে হবে।আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ওয়েবসাইট হালনাগাদ করে অধিদপ্তরের অ্যাডুকেশন ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের মডিউলে আপলোড করতে হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
প্রতি বছরের মতো ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলেও প্রশংসনীয় সাফল্যের ধারা বজায় রেখেছে রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মাইলস্টোন কলেজ। এবছর মাইলস্টোন কলেজ থেকে বাংলা মাধ্যম ও ইংরেজি ভার্সনে মোট ১৮৬৬ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে এবং পাস করে ১৮১৪ জন। পাসের হার ৯৭.২১%। পাসকৃতদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৬৩ জন শিক্ষার্থী।বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১৫৮৬ জন শিক্ষার্থী এবং পাস করে ১৫৫২ জন। পাসের হার ৯৮%। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ অর্জন করে ৬৫৫ জন। অন্যদিকে, ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ২২৮ জন শিক্ষার্থী এবং পাস করে ২১০ জন।এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে প্রশংসনীয় সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখার ব্যাপারে মাইলস্টোন কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জিয়াউল আলম বলেন, ‘এটি একটি গৌরবময় অর্জন যা সমন্বিত প্রচেষ্টার ফলে সম্ভব হয়েছে। এ অসাধারণ প্রাপ্তি আমাদের পরীক্ষার্থীদের মেধা, শ্রম ও নিয়মিত অধ্যবসায়ের অনন্য স্বীকৃতি।’ অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জিয়াউল আলম আরও বলেন, ‘গঠনমূলক একাডেমিক কার্যক্রম, পাঠোন্নতির নিয়মিত পর্যবেক্ষণ, শিক্ষক শিক্ষিকাদের আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং অভিভাবকদের সচেতনতার ফলেই মাইলস্টোন কলেজ ধারাবাহিকভাবে সেরা ফলাফল অর্জন করতে পারছে।’ প্রত্যাশিত ফলাফলের জন্য অধ্যক্ষ আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান, মাইলস্টোন কলেজ প্রশাসনকে যাদের উপযুক্ত কর্মপরিকল্পনা, যথাযথ দিকনির্দেশনা ছিলো অত্যন্ত প্রশংসনীয় এবং সময়ানুগ। ভোরের আকাশ/জাআ
বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবীর বলেছেন,২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় খাতা মূল্যায়নে এবার ওভার মার্কিং কিংবা আন্ডার মার্কিং করা হয়নি। ফলে ফলাফলে প্রকৃত পাসের হার প্রতিফলিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন।বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ফলাফলের পরিসংখ্যান তুলে ধরার সময় তিনি এ কথা বলেন।এহসানুল কবীর বলেন, পূর্বের বছরগুলোতে সাবজেক্ট ম্যাপিং ও অতিরিক্ত নম্বর দেওয়ার মাধ্যমে পাসের হার অনেক বেশি দেখানো হতো। তবে এবার সেই প্রক্রিয়া থেকে সরে এসে বাস্তব মূল্যায়নের ভিত্তিতে ফল তৈরি করা হয়েছে।চলতি বছরের ফলাফলে দেখা যায়, এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় মোট পাস করেছেন ১৩ লাখ ৩ হাজার ৪২৬ জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৩৯ হাজার ৩২ জন। গড় পাসের হার ৬৮.৪৫ শতাংশ।বোর্ডভিত্তিক পাসের হার:রাজশাহী বোর্ড: ৭৭.৬৩% (শীর্ষ স্থান)যশোর বোর্ড: ৭৩.৬৯%কারিগরি শিক্ষা বোর্ড: ৭৩.৬৩%চট্টগ্রাম বোর্ড: ৭২.০৭%সিলেট বোর্ড: ৬৮.৫৭%মাদ্রাসা বোর্ড: ৬৮.০৯%ঢাকা বোর্ড: ৬৭.৫১%দিনাজপুর বোর্ড: ৬৭.০৩%কুমিল্লা বোর্ড: ৬৩.৬০%ময়মনসিংহ বোর্ড: ৫৮.২২%বরিশাল বোর্ড: ৫৬.৩৮% (সর্বনিম্ন)ড. এহসানুল কবীর আরও জানান, ফলাফল তৈরির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের প্রকৃত দক্ষতা ও জ্ঞান মূল্যায়নই অগ্রাধিকার পেয়েছে। এজন্যই এবারের পাসের হার আগের তুলনায় কম হলেও এটি বেশি বাস্তবসম্মত।ভোরের আকাশ/জাআ