ছবি: সংগৃহীত
ইসরায়েলের হস্তক্ষেপ ও ধরপাকড়ের পরও ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার’ ত্রাণবাহী ৩০টি নৌযান। বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার রাতে গাজা থেকে ১২৯ কিলোমিটার দূরে ভূমধ্যসাগরে থাকা অবস্থায় ফ্লোটিলায় বাধা দেয় ইসরায়েলি বাহিনী। তাদের অন্তত আটটি নৌকা থামিয়ে দেওয়া হয়। সেগুলো হলো দেইর ইয়াসিন, হিউগা, স্পেক্টার, আদারা, আলমা, সিরিয়াস, আরোরা ও গ্রান্ডি ব্লু। তবে প্রতিবেদনে ১৩টি নৌযান থামিয়ে দেওয়ার তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। নৌযানগুলো থেকে বেশ কয়েকজন অধিকারকর্মীকে আটক করেন ইসরায়েলি সেনারা। তাদের মধ্যে সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও রয়েছেন।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘হামাস-সুমুদ ফ্লোটিলার কয়েকটি নৌযান নিরাপদভাবে থামিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেগুলোর আরোহীদের ইসরায়েলের একটি বন্দরে নেওয়া হচ্ছে। গ্রেটা ও তার বন্ধুরা নিরাপদ ও সুস্থ আছেন।’
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা সমুদ্রপথে গাজায় ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার একটি বৈশ্বিক প্রচেষ্টা। এই নৌবহরে রয়েছে ৪০টির বেশি বেসামরিক নৌযান। এই বহরে প্রায় ৪৪টি দেশের ৫০০ মানুষের মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স, বেলজিয়ামসহ ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচিত প্রতিনিধি, আইনজীবী, অধিকারকর্মী, চিকিৎসক ও সাংবাদিক।
এর আগে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এতে বিগত প্রায় দুই বছরে সেখানে ৬৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হত্যাযজ্ঞের পাশাপাশি গাজা অবরোধ করে উপত্যকাটিতে তীব্র খাদ্যসংকট সৃষ্টি করা হয়েছে। এতে অনাহার- অর্ধাহারে থাকতে হচ্ছে গাজার বাসিন্দাদের।
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার প্রথম বহর ৩১ আগস্ট স্পেনের বার্সেলোনা থেকে যাত্রা শুরু করে। এরপর ১৩ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর তিউনিসিয়া ও ইতালির সিসিলি দ্বীপ থেকে আরও নৌযান এই বহরে যুক্ত হয়। এ ছাড়া গ্রিসের সাইরাস দ্বীপ থেকে পরবর্তী সময়ে আরও কিছু নৌযান ত্রাণ নিয়ে বহরে যুক্ত হয়। বর্তমানে বহরটিতে ৪০টির বেশি নৌযান রয়েছে।
এই নৌবহরের ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বলে শুরু থেকেই দাবি করে আসছে ইসরায়েল। তবে এর পক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি তারা। যাত্রাপথে কোনো বাধা না পেলে নৌবহরটির স্থানীয় সময় আজ সকালে পৌঁছানোর কথা ছিল গাজায়।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
চলতি বছর যৌথভাবে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেয়েছেন জন ক্লার্ক, মিশেল দেভরেট ও জন এম মার্টিনিস। তারা ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষক।মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বিকেলে পৌনে ৪টার দিকে তাদের নাম ঘোষণা করে নোবেল কমিটি।এর আগে ২২৬ জন পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেয়েছেন। সে হিসাবে তিনি ২২৭তম ব্যক্তি হিসেবে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার জিতে নিলেন।একমাত্র ব্যক্তি হিসেবে জন বারডিন দুইবার পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। দুবারই যৌথভাবে এই পুরস্কার পান তিনি।গতকাল সোমবার চিকিৎসায় নোবেল প্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হয়। এ বছর চিকিৎসায় যৌথভাবে নোবেল পেয়েছেন ম্যারি ই. ব্রুনকো, ফ্রেড রামসডেল ও শিমন সাকাগুচি।ভোরের আকাশ/এসএইচ
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) সোশ্যাল মিডিয়া টিমের সদস্য সানাম জাভেদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার (৬ অক্টোবর) পেশাওয়ার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম সামাটিভি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গাড়ি থামিয়ে সানাম জাভেদকে জোরপূর্বক নামিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়।পিটিআই নেতাদের বর্ণনা অনুযায়ী, পেশাওয়ারের এক ব্যস্ত সড়কে দুটি গাড়ি এসে সানাম জাভেদের গাড়ির পথরোধ করে।পিটিআই নেতা শেখ ওয়াকাস আকরাম সামাজিক যোগযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, সানাম জাভেদকে জোর করে গাড়ি থেকে টেনে নামানো হয় এবং তার ইচ্ছার বিরুদ্ধেই অন্য গাড়িগুলোর একটিতে তুলে নেওয়া হয়।তিনি আরও লিখেছেন, ঘটনাটি প্রকাশ্য সড়কে, মানুষের চোখের সামনেই ঘটে এবং এতে তার সহযাত্রীরা হতবাক হয়ে পড়েন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এ সময় ফিলিস্তিনির গাজায় যুদ্ধবিরতি ও মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতির অগ্রগতি নিয়ে কথা বলেন দুই নেতা।সোমবার (৬ অক্টোবর) দুই দেশের প্রধানের মধ্যে এই ফোনালাপ হয়।ফোনালাপের বিষয়টি নিশ্চিত করে এক বিবৃতিতে ক্রেমলিন জানায়, গাজার যুদ্ধপরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনার বিষয়েও পুতিন ও নেতানিয়াহুর কথা হয়েছে।বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, আঞ্চলিক পরিস্থিতি নিয়েও টেলিফোনে কথা বলেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ঘিরে উদ্ভুত পরিস্থিতি ও সিরিয়ার স্থিতিশীলতার মতো বিষয় রয়েছে।পুতিন এর আগে গাজা নিয়ে ট্রাম্পের পরিকল্পনার প্রশংসা করেছেন। আশা প্রকাশ করেছেন, এ পরিকল্পনা সফলভাবে বাস্তবায়িত হবে।একই সঙ্গে রাশিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান মধ্যপ্রাচ্যে টেকসই শান্তি আনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের প্রতি মস্কোর সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন।সূত্র: আলজাজিরা, টাইমস অব ইসরায়েলভোরের আকাশ/মো.আ.
একটি মাত্র ভিসা নিয়েই এবার ভ্রমণ করা যাবে আরব বিশ্বের ৬টি দেশ। উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদ বা জিসিসি চলতি বছরের শেষ প্রান্তিকে, অর্থাৎ অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যেই চালু করতে যাচ্ছে অভিন্ন ও একক পর্যটন ভিসা— ‘জিসিসি গ্র্যান্ড ট্যুরিস্ট ভিসা’। শুরুতে এটি পরীক্ষামূলকভাবে কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)।ইউএই-এর অর্থ ও পর্যটনমন্ত্রী এবং আমিরাত পর্যটন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ বিন তৌক আল মারি এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এই অভিন্ন ভিসাটি মূলত ইউরোপীয় ইউনিয়নের শেনজেন ভিসা ব্যবস্থার আদলে তৈরি করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে পর্যটকেরা এক ভিসায় জিসিসিভুক্ত ৬টি দেশ—সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, কুয়েত, কাতার, বাহরাইন ও ওমানে সহজেই ভ্রমণ করতে পারবেন।তিনি আরও জানান, জিসিসি দেশগুলোর মধ্যে আঞ্চলিক সমন্বয় জোরদার ও পর্যটনশিল্পের উন্নয়নের কৌশলগত অংশ হিসেবেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তার ভাষায়, ‘এই ভিসা শুধু ভ্রমণ সহজ করবে না, বরং উপসাগরীয় অঞ্চলকে একক পর্যটন গন্তব্য হিসেবে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে।’আমিরাতের সরকারি বার্তা সংস্থা ওয়াম–কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তৌক আল মারি বলেন, পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শেষে দ্বিতীয় ধাপে এটি পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা হবে। তবে ঠিক কোন তারিখ থেকে ভিসাটি কার্যকর হবে, সে বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত ঘোষণা আসেনি।এর আগে গত ১৬ জুন খালিজ টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, জিসিসি গ্র্যান্ড ট্যুরিস্ট ভিসার আনুষ্ঠানিক অনুমোদন ইতিমধ্যে দেওয়া হয়েছে এবং খুব শিগগিরই এটি চালু হবে।তবে কত দিনের জন্য এই ভিসা দেওয়া হবে বা এর খরচ কত হবে, তা এখনো প্রকাশ করা হয়নি।বিশ্লেষক ও পর্যটনশিল্প সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, জিসিসি গ্র্যান্ড ট্যুরিস্ট ভিসা চালু হলে উপসাগরীয় অঞ্চলের পর্যটন ও সামগ্রিক অর্থনীতিতে বড় পরিবর্তন আসবে। এতে বিদেশি পর্যটকদের সংখ্যা বাড়বে, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং জিসিসি দেশগুলোর মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) বৃদ্ধিতেও সহায়তা করবে।ভোরের আকাশ/মো.আ.