ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের সশস্ত্র শাখা ইজ্জেদিন আল-কাসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবায়দাকে হত্যা করেছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলছেন, শনিবার গাজায় পরিচালিত বিমান হামলায় আবু উবায়দা নিহত হয়েছেন।প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এক্সে পোস্টে জানিয়েছেন, “হামাসের সন্ত্রাস মুখপাত্র আবু উবায়দা গাজায় নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনীকে সফল অভিযানের জন্য অভিনন্দন।”এর আগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, শনিবারের হামলায় আবু উবায়দাকে লক্ষ্য করা হয়েছিল। তবে তিনি সরাসরি মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেননি। নেতানিয়াহু বলেন, “আমরা অপরাধী ও হত্যাকারী সংগঠন হামাসের মুখপাত্রকে আঘাত করেছি। আশা করি, সে আর আমাদের মাঝে নেই। তবে হামাস থেকে স্পষ্ট প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি।”আবু উবায়দা দীর্ঘদিন ধরে সামরিক পোশাক ও লাল কেফিয়েহ পরে ভিডিও বার্তায় হাজির হতেন। ইসরায়েল ২৩ মাস ধরে চলা গাজার সংঘাতের মধ্যে হামাসের শীর্ষ নেতৃত্বকে লক্ষ্য করে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলার পর তেলআবিব হামাসকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংসের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।ইসরায়েল ইতিমধ্যে হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়া, সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফ এবং হামলার পরিকল্পনাকারী হিসেবে অভিযুক্ত ইয়াহইয়া সিনওয়ারসহ একাধিক কমান্ডারকে হত্যা করেছে। এতে হামাস মারাত্মকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে।হামাস শাসিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় এ পর্যন্ত অন্তত ৬৩ হাজার ৪৫৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক। একই সময়, ২০২৩ সালের অক্টোবরের হামলায় ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে নিহত হয়েছে ১,২১৯ জন, যার অধিকাংশই বেসামরিক। জিম্মি করা ২৫১ জনের মধ্যে এখনও ৪৭ জন গাজায় আটক রয়েছেন।ভোরের আকাশ//হ.র
০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১২:৫৬ এএম
গাজায় প্রাণহানি ছাড়াল ৫৯ হাজার ৬৭০
শুক্রবার দিনভর ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর গোলাবর্ষণে ফিলিস্তিনের গাজায় কমপক্ষে আরও ৮৯ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৪৬৭ জন। এতে সোমবারের পর ইসরায়েলি হামলায় গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫৯ হাজার ৬৭৬ জনে। এদের পাশাপাশি আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ৪৩ হাজার ৯৬৫ জন ফিলিস্তিনি। শুক্রবার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যার পর এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যার পাশাপাশি ২৫১ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় তারা। হামাসের হামলার জবাব দিতে এবং জিম্মিদের মুক্ত করতে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে টানা অভিযান চালানোর পর যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যস্থতাকারী অন্যান্য দেশগুলোর চাপে বাধ্য হয়ে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ইসরায়েল। কিন্তু বিরতির দু’মাস শেষ হওয়ার আগেই গত ১৮ মার্চ থেকে ফের গাজায় অভিযান শুরু করে আইডিএফ। দ্বিতীয় দফার এ অভিযানে গত আড়াই মাসে গাজায় নিহত হয়েছেন ৮ হাজার ৫২৭ জন এবং আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৩১ হাজার ৯৩৪ জন ফিলিস্তিনি।জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে আহ্বান জানিয়েছে।তবে নেতানিয়াহু স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, হামাসকে পুরোপুরি দুর্বল ও অকার্যকর করা এবং জিম্মিদের মুক্ত করা এই অভিযানের লক্ষ্য এবং লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে গাজায়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
২৬ জুলাই ২০২৫ ০৮:২৪ এএম
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত আরও ১০৯
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকাজুড়ে ইসরায়েলি বাহিনীর একের পর এক হামলায় আরও কমপক্ষে ১০৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।গাজার চিকিৎসা সূত্রগুলোর বরাত দিয়ে মঙ্গলবার (১ জুলাই) কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।নিহতদের মধ্যে ছিলেন ১৬ জন ক্ষুধার্ত ত্রাণ প্রত্যাশী, যারা ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত বিতর্কিত সংস্থা গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) পরিচালিত ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে সমবেত হয়েছিলেন। সেখানে ইসরায়েলি সেনারা ভিড় করা মানুষজনের ওপর গুলি চালালে তারা নিহত হন।এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, ইসরায়েল ৬০ দিনের একটি যুদ্ধবিরতির জন্য ‘প্রয়োজনীয় শর্ত’ মেনে নিতে সম্মত হয়েছে।নিজের সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, যুক্তরাষ্ট্র সব পক্ষের সঙ্গে মিলে গাজা যুদ্ধ বন্ধে কাজ করবে এবং হামাসকেও এই প্রস্তাব গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।জিএইচএফ গত মে মাসের শেষ দিকে সীমিত ত্রাণ বিতরণের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তাদের কেন্দ্র গুলোতে প্রায় ৬০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।গতকাল গাজা সিটির উত্তরে, যেখানে ইসরায়েল সম্প্রতি জোরপূর্বক নির্বাসন নির্দেশ জারি করেছে, সেই এলাকাতেও হামলা চালানো হয়েছে। ওই এলাকা ইতোমধ্যেই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজার অন্তত ৮২ শতাংশ এলাকা বর্তমানে ইসরায়েলি সেনা নিয়ন্ত্রিত বা জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির হুমকির মধ্যে রয়েছে এবং মানুষের আর কোথাও যাওয়ার উপায় নেই।ভোরের আকাশ/এসএইচ
০২ জুলাই ২০২৫ ০২:৪৮ পিএম
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ১০৮
মুসলিমদের দ্বিতীয় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা চলছে, কিন্তু এর মধ্যে একদিনের জন্যও গাজায় অভিযানে বিরতি দেয়নি আগ্রাসনকারী ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। রোববার দিনভর ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর গোলাবর্ষণে ফিলিস্তিনের গাজার উপত্যকায় নিহত হয়েছেন ১০৮ জন এবং আহত হয়েছেন আরও ৩৯৩ জন।মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৮টি মরদেহ হাসপাতালে আনা হয়েছে এবং এসময় আহত হয়েছেন আরও ৩৯৩ জন। এ নিয়ে গত অক্টোবর ২০২৩ সাল থেকে গাজা উপত্যকায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৫৪ হাজার ৮৮০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক লাখ ২৬ হাজার ২২৭ জনে।বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “অনেক মরদেহ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে ও রাস্তায় পড়ে আছে। যাদের কাছে উদ্ধারকর্মীরা পৌঁছাতে পারছে না।গত ১৮ মার্চ ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আবারও গাজায় আক্রমণ শুরু করে। এতে শুধু এই সময়েই ৪ হাজার ৬০৩ জন নিহত হন। আহত হন ১৪ হাজার ১৮৬ জন। এ হামলা জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তিকে ভেঙে দিয়েছে।এর আগে গত নভেম্বরে, গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তার তৎকালীন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োয়াভ গালান্তের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ( আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।এছাড়াও, গাজায় এই যুদ্ধের কারণে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) গণহত্যার অভিযোগে মামলাও চলছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ