আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ২০ মে ২০২৫ ০৫:২৮ পিএম
তিন মাস পর গাজায় প্রবেশ ত্রাণবাহী ট্রাক
অবশেষে দীর্ঘ তিন মাস পর গাজায় ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে। সোমবার উপত্যকাটিতে ত্রাণ নিয়ে প্রবেশ করে জাতিসংঘের ৯টি ট্রাক।
মঙ্গলবার জাতিসংঘের ত্রাণবিষয়ক প্রধান টম ফ্লেচারের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা। অনাহারে জর্জরিত গাজা উপত্যকায় ত্রাণ প্রবেশ করতে দেওয়ার এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে জাতিসংঘ। তবে, যে পরিমাণ ত্রাণ প্রবেশ করেছে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই নগণ্য বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
টম বলেন, গাজায় প্রচুর পরিমাণে সহায়তা প্রয়োজন। মার্চ মাসে ইসরায়েল যখন সাময়িক যুদ্ধবিরতি শেষ করেছিল, তখন প্রতিদিন প্রায় ৬০০ ট্রাক গাজায় প্রবেশ করত।
তিনি জানান, জাতিসংঘের আরও চারটি ট্রাক গাজায় প্রবেশের অনুমতি পেয়েছে। সেগুলো মঙ্গলবার প্রবেশ করতে পারে। স্থল পরিস্থিতি বিশৃঙ্খল হওয়ায় এসব জরুরি সহায়তা সামগ্রী লুট বা চুরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, কারণ সম্পদ দিন দিন কমে আসছে।
সোমবার ২২টি দাতা দেশও এক যৌথ বিবৃতিতে ইসরায়েলকে গাজায় অবিলম্বে পূর্ণমাত্রায় ত্রাণ প্রবেশ অনুমোদনের আহ্বান জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা সীমিত সহায়তা পুনরায় শুরু হওয়ার কিছু ইঙ্গিত পেয়েছি। কিন্তু যুদ্ধবিধ্বস্ত এই অঞ্চলের জন্য তা যথেষ্ট নয়। জরুরি প্রয়োজনীয় সহায়তা অবশ্যই তাদের কাছে পৌঁছাতে হবে।
যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী দেশগুলো হলো অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, আইসল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, জাপান, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, লুক্সেমবার্গ, নেদারল্যান্ডস, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে, পর্তুগাল, স্লোভেনিয়া, স্পেন, সুইডেন ও যুক্তরাজ্য।
এদিকে, ইসরায়েলের এক্সটেনসিভ গ্রাউন্ড অপারেশন বা বর্ধিত স্থল অভিযানে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে প্রাণ হারিয়েছে দেড় শতাধিক ফিলিস্তিনি।
ভোরের আকাশ/এসএইচ