আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ২৭ জুন ২০২৫ ১১:১৬ পিএম
গাজা নিয়ে নতুন পরিকল্পনা ট্রাম্প-নেতানিয়াহুর
গাজায় চলমান যুদ্ধ অবসানে নতুন উদ্যোগে একত্রে কাজ করছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। একইসঙ্গে বিতর্কিত আব্রাহাম অ্যাকর্ডস সম্প্রসারণের দিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েলভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইসরায়েল হায়োম।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দীর্ঘ ২০ মাস ধরে চলা গাজা সংঘাতের অবসান টানতে নেতানিয়াহুর ওপর চাপ দিচ্ছেন ট্রাম্প। যুদ্ধ সমাপ্তির শর্ত হিসেবে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠন হামাসকে গাজা উপত্যকা থেকে বিতাড়িত করার বিষয়টিও আলোচনায় রয়েছে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, হামাসকে গাজা থেকে সরিয়ে চারটি আরব রাষ্ট্রকে অঞ্চলটির প্রশাসনিক দায়িত্ব দেওয়ার প্রস্তাব এসেছে আলোচনায়। এর মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিশরের নাম প্রকাশ করা হয়েছে, বাকি দুটি দেশের পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে।
একইসঙ্গে গাজার পুনর্গঠন এবং যুদ্ধাক্রান্ত বাসিন্দাদের জন্য আশ্রয়দাতা দেশগুলোর প্রস্তুতির কথাও বলা হয়েছে। যেসব ফিলিস্তিনি গাজা ত্যাগ করতে ইচ্ছুক, তাদের অভিবাসনের সুযোগ দিতে একাধিক দেশ সম্মত হতে পারে বলেও জানায় সংবাদমাধ্যমটি।
এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র পশ্চিম তীরের নির্দিষ্ট অংশে ইসরায়েলের সার্বভৌমত্ব স্বীকার করে নিতে পারে। এর বিনিময়ে ইসরায়েলকে ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে প্রকাশ্য অবস্থান নিতে বলা হচ্ছে।
দাবি করা হয়েছে, এতে করে সৌদি আরব ও সিরিয়া ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে পারে।
তবে বিষয়টির রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়েও আলোচনা রয়েছে। নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে চলমান দুর্নীতি মামলার অবসান ঘটাতে যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে একটি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। ট্রাম্পের সাম্প্রতিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া মন্তব্যকেও অনেকে “জনমত গঠন” কৌশল হিসেবে দেখছেন।
গাজা যুদ্ধ থামাতে মিশরের কায়রোতে চলমান মধ্যস্থতাকারী আলোচনা এখনো কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি পায়নি। হামাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইসরায়েল আলোচনায় প্রতিনিধি না পাঠালে, তারাও সিনিয়র প্রতিনিধি পাঠাবে না।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) ধারণা করছে, গাজায় হামাসের হাতে এখনো ৫০ জন জিম্মি রয়েছে, যাদের মধ্যে অন্তত ২০ জন জীবিত থাকতে পারে।
ভোরের আকাশ/হ.র