দুর্নীতির মামলায় নেতানিয়াহুর সাক্ষ্যগ্রহণ বাতিল করল ইসরায়েলি আদালত
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে দায়ের করা দুর্নীতির মামলায় নির্ধারিত সাক্ষ্যগ্রহণ বাতিল করেছে জেরুজালেম জেলা আদালত। নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ, জালিয়াতি এবং আস্থাভঙ্গের অভিযোগ রয়েছে, যা প্রমাণিত হলে তাকে কারাদণ্ড দেয়া হতে পারে।রোববার (২৯ জুন) ইসরায়েলি দৈনিক ইদিওথ আহারনোথের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা আনাদোলু এ তথ্য জানিয়েছে। আদালতের রুদ্ধদ্বার শুনানির পর নেতানিয়াহুর অনুরোধে সাক্ষ্যগ্রহণ আপাতত স্থগিত করা হয়। আদালত জানায়, “নেতানিয়াহুর পক্ষ থেকে পূর্বের তুলনায় নতুন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও পরিবর্তন এসেছে, তাই আমরা আংশিকভাবে তার আবেদন মঞ্জুর করছি।”শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা প্রধান শ্লোমি বিন্ডার এবং গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের পরিচালক ডেভিড বারনিয়া। নেতানিয়াহু তার ট্রায়ালের শুনানি দুই সপ্তাহ পিছানোর আবেদন করলেও, অ্যাটর্নি জেনারেল গালি বাহারাভ-মিয়ারা তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন কারণ পর্যাপ্ত কারণ উল্লেখ ছিল না।এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার নেতানিয়াহুর বিচার বাতিলের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি এই বিচারকে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে “ডাইনি শিকার” হিসেবে উল্লেখ করেছেন।নেতানিয়াহু বর্তমানে তিনটি মামলায় অভিযুক্ত—কেস ১০০০, ২০০০ এবং ৪০০০—যেগুলো ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে জমা দেওয়া হয় এবং ২০২০ সালের মে থেকে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। তিনি ইসরায়েলের ইতিহাসে প্রথম বর্তমান প্রধানমন্ত্রী, যিনি ফৌজদারি মামলায় আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।তবে শুধু দুর্নীতির অভিযোগ নয়, মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং যুদ্ধাপরাধের অভিযোগেও নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ২০২৪ সালের নভেম্বরে গাজায় গণহত্যার অভিযোগে নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা অঞ্চল থেকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকে অন্তত ৫৬,৫০০ জন নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। এই পরিস্থিতিতে নেতানিয়াহুর বিচার রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে রয়েছে।ভোরের আকাশ//হ.র