আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ১০ মে ২০২৫ ১১:২৩ পিএম
সুদানে আরএসএফের হামলায় নিহত অন্তত ৩৩, উত্তেজনা চরমে
সুদানে চলমান গৃহযুদ্ধে নতুন করে সহিংসতা বেড়েছে। আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)-এর পৃথক হামলায় গত দুই দিনে কমপক্ষে ৩৩ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
শনিবার উত্তর কোরদোফানের রাজধানী এল-ওবেইদ শহরের একটি কারাগারে ড্রোন হামলায় নিহত হন অন্তত ১৯ জন এবং আহত হন আরও ৪৫ জন। স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, কারাগারটি ছিল সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন এবং এটিই ছিল হামলার লক্ষ্য।
এর আগের দিন শুক্রবার সন্ধ্যায় দারফুরের এল-ফাশের এলাকার আবু শৌক শরণার্থী শিবিরে আরেকটি বিমান হামলায় প্রাণ হারান একই পরিবারের অন্তত ১৪ জন। স্বেচ্ছাসেবীরা জানান, শিবিরটি ছিল আরএসএফের নিয়ন্ত্রণের বাইরে এবং সেখানে এর আগেও হামলা চালানো হয়েছে।
আরএসএফ পোর্ট সুদানে ড্রোন হামলা চালিয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ধ্বংস করেছে, যার মধ্যে রয়েছে জাতীয় পাওয়ার গ্রিড এবং দেশটির শেষ কার্যকর বেসামরিক বিমানবন্দরটি।
জবাবে সেনাবাহিনী শনিবার দারফুরের নিয়ালা ও এল-জেনিনা শহরে আরএসএফের ঘাঁটি লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে। সামরিক সূত্রের দাবি, এতে বেশ কয়েকটি অস্ত্র গুদাম ও সামরিক সরঞ্জাম ধ্বংস হয়েছে।
আরএসএফ জানিয়েছে, তারা পশ্চিম কোরদোফানের কৌশলগত শহর আল-নাহুদ দখল করেছে, যা সেনাবাহিনীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহ রুট।
২০২৩ সাল থেকে সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং আরএসএফ নেতা মোহাম্মদ হামদান দাগালোর মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব থেকে এই সংঘাত শুরু হয়। এতে দেশটি কার্যত দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে—উত্তর ও পূর্ব অংশ সেনাবাহিনীর দখলে, আর পশ্চিম ও দক্ষিণাঞ্চলের বড় অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে আরএসএফ।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, এই যুদ্ধ ইতিমধ্যে হাজার হাজার মানুষের প্রাণ কেড়েছে এবং বাস্তুচ্যুত করেছে অন্তত ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষকে। সংস্থাটি একে বিশ্বের অন্যতম ভয়াবহ মানবিক সংকট বলছে।
ভোরের আকাশ//হ.র