ছবি: সংগৃহীত
দিন দিন বাড়ছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা AI-এর দাপট। কিন্তু এ বার বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে একটি এআইচালিত মন্ত্রী বানিয়ে দিলো আলবেনিয়া। বিশ্বজুড়ে এটিই প্রথম কোনো মন্ত্রিসভার সদস্য, যার কোনো শারীরিক অস্তিত্ব নেই।
আলবেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী এদি রমা তার মন্ত্রিসভায় এই ডিজিটাল মন্ত্রীর নাম ঘোষণা করেছেন। সরকারি ক্রয় বা টেন্ডার প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি কমাতেই তাকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী।
নতুন এই এআই মন্ত্রীর নাম রাখা হয়েছে দিয়েল্লা। আলবেনীয় ভাষার শব্দ ‘দিয়েল্লা’-এর বাংলা অর্থ সূর্য। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রীসভার বৈঠকে সভার সদস্যদের সঙ্গে দিয়েল্লার পরিচয় করিয়ে দেন আলবেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী এদি রামা বলেন, এখন থেকে আলবেনিয়ার বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে কোনো বেসরকারি সংস্থা কাজ করলে সেটির দরপত্র থেকে শুরু করে সরকারি ক্রয় ও ব্যয়ের ওপর নজরদারি করবেন দিয়েল্লা। এটিই হবে তার প্রধান কাজ এবং দায়িত্ব। এখন থেকে আলবেনিয়ার দুর্নীতি দমন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বশীল থাকবেন দিয়েল্লা।
দক্ষিণপূর্ব ইউরোপের ২৮ লাখ মানুষ অধ্যুষিত দেশ আলবেনিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে ইউরোপীয় দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্যপদের জন্য চেষ্টা করছে। কিন্তু ইইউ সদস্যপদ প্রাপ্তির পথে পথে সবচেয়ে বড় বাধা দুর্নীতি। এই সমস্যাটিকে কিছুতেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না দেশটি।
গত মে মাসের নির্বাচনে জিতে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করেছেন বামপন্থি এদি রামা। বৃহস্পতিবার এক সাক্ষাৎকারে বিবিসিকে তিনি জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে তার প্রধান এবং একমাত্র লক্ষ্য দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ। কারণ আগামী ২০২৭ সালের মধ্যে ইইউর সদস্যপদ লাভের লক্ষ্য নিয়েছে দেশটির সরকার।
তিনি বলেন, ‘দিয়েল্লার একামাত্র চাহিদা হলো চার্জ পূর্ণ থাকার মতো বিদ্যুৎ। এটা ছাড়া তার আর কোনো চাহিদা নেই, ফলে সে নিজে কখনও দুর্নীতিতে জড়াবে না। দিয়েল্লার নজরদারিতে প্রতিটি দরপত্র শতভাগ স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত হবে। সরকারি ক্রয় কিংবা ব্যয় সংক্রান্ত তথ্যে কোনো গোঁজামিল থাকলে দিয়েল্লা তা সঙ্গে সঙ্গে শনাক্ত করতে পারবে। আমার বিশ্বাস সে তার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে।’
তবে তার এই ধারণার সঙ্গে একমত নন আলবেনিয়ার বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টির আইনপ্রণেতারা। আলবেনিয়ার পার্লামেন্টের বিরোধী দলীয় নেতা গাজমেন্দ বারধি এক ফেসবুক পোস্টে বলেছেন, ‘গত ১৫ বছর ধরে আমরা এদি রামা’র অনেক ভাঁড়ামোপূর্ণ কাজকর্ম দেখেছি। এসবের মধ্যে সর্বশেষটি হলো এই এআই মন্ত্রী।’
আলবেনীয় গণমাধ্যম এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, প্রশাসনিক ক্ষমতা পরিচালনায় আলবেনিয়া সরকারের চিন্তাভাবনা ও প্রয়োগের ক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটেছে। যেহেতু প্রযুক্তিকে কেবল একটি হাতিয়ার হিসেবে নয়, বরং শাসন ব্যবস্থার সক্রিয় অংশগ্রহণকারী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।
ভোরের আকাশ/মো.আ.
সংশ্লিষ্ট
গাজা অভিমুখী ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে অপহৃত হয়েছেন বাংলাদেশি আলোকচিত্রী, লেখক ও দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল আলম।বুধবার (৮ অক্টোবর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক ভিডিওবার্তায় এ কথা জানান শহিদুল আলম নিজেই।পোস্টে তিনি বলেন, ‘আমি শহীদুল আলম, বাংলাদেশের একজন আলোকচিত্রী এবং লেখক। আপনি যদি এই ভিডিওটি দেখে থাকেন, তাহলে এতক্ষণে আমাদের সমুদ্রে আটক করা হয়েছে। আমাকে ইসরায়েলের দখলদার বাহিনী অপহরণ করেছে। তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য পশ্চিমা শক্তির সক্রিয় সহযোগিতা এবং সহায়তায় গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে। আমি আমার সকল কমরেড এবং বন্ধুদের কাছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।এর আগে মঙ্গলবার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি জানিয়েছিলেন, বুধবার ভোর নাগাদ ‘রেড জোন’ তথা বিপজ্জনক অঞ্চলে পৌঁছে যেতে পারেন।পোস্টে রেড জোন বলতে শহিদুল আলম বুঝিয়েছেন, যেখানে ইসরায়েলি সেনারা সম্প্রতি সুমুদ ফ্লোটিলা নৌবহরকে আটকে অধিকারকর্মীদের আটক করেছেন।শহিদুল আলম সেই পোস্টে লেখেন, ‘আমরা নির্ধারিত সময়ের চেয়ে কিছুটা পিছিয়ে আছি। কারণ ‘থাউজেন্ড ম্যাডলিনস’ নৌবহরে থাকা ছোট ও ধীরগতির নৌযানগুলো যেন পেছনে পড়ে না যায়, তা নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। এসব জাহাজও এফএফসির (ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন) অংশ। তবে আমরা সুমুদ ফ্লোটিলা নৌবহরের চেয়ে অনেক দ্রুত এগিয়েছি। ওই নৌবহর প্রচণ্ড বাতাস ও ঝড়ের কারণে সাময়িকভাবে থেমে গিয়েছিল।’শহিদুল আলম লিখেন, ‘ধীরগতির নৌযানগুলো (থাউজেন্ড ম্যাডলিনস) এখন আমাদের সমকাতারে এসেছে। আমরা এখন ‘রেড জোন’ থেকে প্রায় ৭০ নটিক্যাল মাইল দূরে আছি। এটি সেই অঞ্চল যেখানে আগে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী অবৈধভাবে ফ্লোটিলার নৌযানগুলোকে আটক করেছিল।’ভোরের আকাশ/মো.আ.
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যামূলক আগ্রাসন তৃতীয় বছরে গড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত ৬৭ হাজার ২০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর বড় অংশই নারী, শিশু ও বৃদ্ধ। এই হত্যাযজ্ঞে বিশ্বজুড়ে ক্ষোভ বাড়লেও ইসরায়েলকে এখনো অস্ত্র সরবরাহ করে চলেছে একাধিক দেশ ও প্রতিরক্ষা শিল্পপ্রতিষ্ঠান। ফলে গণহত্যার অভিযোগ সত্ত্বেও টিকে আছে তেল আবিবের যুদ্ধযন্ত্র।২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ইসরায়েলের অস্ত্র আমদানির বড় অংশই এসেছে যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি থেকে। ইতালি ও যুক্তরাজ্যও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। এর বাইরে ইউরোপ ও এশিয়ার বেশ কিছু সরবরাহকারী এবং ইসরায়েলের নিজস্ব প্রতিরক্ষা শিল্প এই অস্ত্র সরবরাহ নেটওয়ার্ককে সচল রেখেছে। তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এক পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনে দেখিয়েছে, কীভাবে দেশ ও কোম্পানিগুলো এখনো ইসরায়েলকে অস্ত্র জোগাচ্ছে।যুক্তরাষ্ট্রওয়াশিংটন ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় অস্ত্র সরবরাহকারী ও রাজনৈতিক মিত্র। গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একাধিকবার ভেটো দিয়েছে তারা। স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (সিপ্রি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ইসরায়েলের মোট অস্ত্র আমদানির প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ এসেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে।বর্তমানে ইসরায়েলে যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক সামরিক সহায়তা ৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২৮ পর্যন্ত চলবে। এর বড় অংশই মার্কিন সামরিক সরঞ্জামে খরচ করতে হয়। তবে এর বাইরে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি মজুত থেকে বিশাল অস্ত্রসহায়তা পাঠিয়েছে। সংঘাতের প্রথম বছরেই অন্তত ৬ বিলিয়ন ডলারের গোলাবারুদ পাঠানো হয়েছে। বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করছেন, অনুমোদিত চুক্তিসহ এই পরিমাণ ২২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে পারে।এর মধ্যে আছে—অ্যাটাক হেলিকপ্টার, শহর এলাকায় যুদ্ধ পরিচালনা উপযোগী যানের জন্য ১ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি, স্পেয়ার পার্টস ও ডেস্ট্রয়ারের জন্য ৭৫০ মিলিয়ন ডলারসহ কয়েকটি বড় সরবরাহ। ২০২৫ সালের শুরুর দিকেই কংগ্রেস নতুন দুটি চুক্তি অনুমোদন করেছে—একটি ৮ বিলিয়ন ডলারের (বোমা, ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলাবারুদ), আরেকটি ৭ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারের (বোমা, গাইডেন্স কিট, হেলফায়ার মিসাইল)। এগুলোর সরবরাহ ২০২৫ থেকে ২০২৮ সালের মধ্যে হবে।ইসরায়েল ইতিমধ্যেই হাজার হাজার এজিএম–১১৪ হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র, স্মল ডায়ামিটার বোমা (জিবিইউ ৩৯ /বি), এমকে–৮২ ও এমকে-৮৪ বোমা, জেডিএএম গাইডেন্স কিট, বিএলইউ-১০৯ বাংকার-বাস্টার বোমা, ফিউজ ও আর্টিলারি শেল পেয়েছে। মাঠ পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাটারপিলার ডি–৯ বুলডোজার ব্যবহার হচ্ছে ঘরবাড়ি ধ্বংস ও ধ্বংসস্তূপ সরাতে। ইটান আর্মার্ড ভেহিকলের জন্য মার্কিন ইঞ্জিনও সরবরাহ করা হয়েছে।এই সব সরবরাহে সক্রিয় মার্কিন প্রতিরক্ষা জায়ান্টগুলো—বোয়িং, লকহিড মার্টিন, রেথিয়ন, নর্থথ্রপ গ্রুম্যান, হানিওয়েল, কলিন্স এয়ারোস্পেস, জিই অ্যাভিয়েশন, প্র্যাট অ্যান্ড হুইটনি, মুগ ও এল ৩ হ্যারিস। তারা ইসরায়েলকে ফাইটার জেট, গোলাবারুদ, বিমান প্রযুক্তি ও সহায়কব্যবস্থা সরবরাহ করছে।যুক্তরাজ্যভিত্তিক বিএই সিস্টেমসও যুক্তরাষ্ট্রে কার্যক্রম চালায় এবং ইসরায়েলকে ইলেকট্রনিক যুদ্ধব্যবস্থা ও ‘ফ্রেন্ড অর ফো’ শনাক্তকরণ প্রযুক্তি দিচ্ছে। মার্কিন সেনাবাহিনীর শিল্প ঘাঁটি পাইনে ব্লাফ আর্সেনাল উৎপাদন করছে হোয়াইট ফসফরাস মিউনিশনস, যা জনবহুল এলাকায় ব্যবহারের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে নিন্দিত হয়েছে।জার্মানিসিপ্রির তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ইসরায়েলের অস্ত্র আমদানির প্রায় এক-তৃতীয়াংশ এসেছে জার্মানি থেকে। ইউরোপের অন্যান্য দেশের বিপরীতে, বার্লিন ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি এবং ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র হয়ে আছে।২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৫ সালের মে’র মধ্যভাগ পর্যন্ত জার্মানি ৪৮৫ মিলিয়ন ইউরোর অস্ত্র রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে। যদিও ২০২৪ সালে সরবরাহ কিছুটা কমেছে, তবে সামগ্রিকভাবে ইসরায়েলের অন্যতম প্রধান সরবরাহকারী হয়ে উঠেছে জার্মানি।প্রধান সরবরাহের মধ্যে আছে নৌবাহিনীর ফ্রিগেট, টর্পেডো এবং রাইনমেটালের তৈরি ১২০ মিমি নির্ভুল ট্যাংক গোলা। জার্মান সংবাদমাধ্যম ডার স্পাইজেলের তথ্যে বলা হয়েছে, এগুলো গাজায় স্থল অভিযানে ব্যাপকভাবে ব্যবহার হচ্ছে। ২০২৪ সালে রাইনমেটালের বিক্রি ৫৮ শতাংশ বেড়েছে।এ ছাড়া, আ্যাটলাস ইলেকট্রনিক ইসরায়েলের ডলফিন-ক্লাস সাবমেরিন রক্ষণাবেক্ষণে কাজ করছে ইসরায়েলি কোম্পানি Vsense Technologies-এর সঙ্গে। অন্যদিকে বেসামরিক খাতও জড়িত। জার্মানির মার্সিডিজ-বেঞ্জ তৈরি করছে ভারী ট্রাক, যা ইসরায়েলের মেরকাভা ট্যাংক বহন করতে ব্যবহৃত হচ্ছে।ইতালিসিপ্রির তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ইসরায়েলের মোট অস্ত্র আমদানির ১ শতাংশ এসেছে ইতালি থেকে। এর মধ্যে ৫৯ শতাংশ হালকা হেলিকপ্টার এবং ৪১ শতাংশ জার্মান ফ্রিগেটের জন্য নৌ কামান। ইতালি এফ-৩৫ প্রোগ্রামেও অংশ নিচ্ছে এবং উপাদান তৈরি করছে। আলত্রেকোনোমিয়ার এক তদন্তে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে ইতালি ৫ দশমিক ২ মিলিয়ন ইউরোর অস্ত্র রপ্তানি করেছে ইসরায়েলে।যুক্তরাজ্যযুক্তরাজ্য সম্প্রতি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিলেও ইসরায়েলে অস্ত্র রপ্তানি চালিয়ে যাচ্ছে। ২০২৫ সালের আগস্টে ব্রিটেন থেকে ইসরায়েলে ১ লাখ ১০ হাজার গুলি পাঠানে হয়েছে বলে জানিয়েছে চ্যানেল ৪। ২০২৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্য সরকার ইসরায়েলের জন্য দেওয়া প্রায় ৩৫০টি অস্ত্র রপ্তানি লাইসেন্সের মধ্যে ৩০টি স্থগিত করে। কারণ ছিল, এগুলো গাজায় ব্যবহারের ‘স্পষ্ট ঝুঁকি।’ তবে বাকি অনেক লাইসেন্স বহাল ছিল, যার মধ্যে আছে নৌ প্ল্যাটফর্ম, প্রশিক্ষণ বিমান ও দ্বৈত ব্যবহারযোগ্য যন্ত্রাংশ।এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান তৈরির প্রোগ্রামে যুক্তরাজ্যের ভূমিকা বড়। প্রতিটি জেটের প্রায় ১৫ শতাংশ যন্ত্রাংশ উৎপাদন করে তারা, যা বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলের মাধ্যমে ইসরায়েল ব্যবহার করছে। যুক্তরাজ্যের মুগ কোম্পানি ইসরায়েলের এম-৩৪৬ প্রশিক্ষণ বিমানের জন্য ফ্লাইট কন্ট্রোল সিস্টেম সরবরাহ করছে।ক্যাম্পেইন অ্যাগেইনস্ট আর্মস ট্রেডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি কোম্পানিগুলো অনেক সময় যুক্তরাজ্যে তৈরি উপাদান অন্য অস্ত্রের সঙ্গে মিশিয়ে পুনরায় রপ্তানি করছে।অন্যান্য সরবরাহকারীযুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ইতালি ও যুক্তরাজ্যের বাইরে ইসরায়েল পাচ্ছে ইউরোপ ও এশিয়ার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা। ফ্রান্সের সাফরান বিমান ইঞ্জিনের যন্ত্রাংশ দিচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়ার হুনিড টেকনোলজিস সরবরাহ করছে ওয়্যারিং হারনেস ও ককপিট সিস্টেম।সব মিলিয়ে এই যুদ্ধ কেবল ইসরায়েল ও গাজার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এর পেছনে দাঁড়িয়ে আছে বিশ্বজুড়ে বিস্তৃত এক অস্ত্র নেটওয়ার্ক। ফিলিস্তিনিদের মৃত্যু বাড়লেও এই নেটওয়ার্ক আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
চলতি বছর যৌথভাবে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেয়েছেন জন ক্লার্ক, মিশেল দেভরেট ও জন এম মার্টিনিস। তারা ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষক।মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বিকেলে পৌনে ৪টার দিকে তাদের নাম ঘোষণা করে নোবেল কমিটি।এর আগে ২২৬ জন পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেয়েছেন। সে হিসাবে তিনি ২২৭তম ব্যক্তি হিসেবে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার জিতে নিলেন।একমাত্র ব্যক্তি হিসেবে জন বারডিন দুইবার পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। দুবারই যৌথভাবে এই পুরস্কার পান তিনি।গতকাল সোমবার চিকিৎসায় নোবেল প্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হয়। এ বছর চিকিৎসায় যৌথভাবে নোবেল পেয়েছেন ম্যারি ই. ব্রুনকো, ফ্রেড রামসডেল ও শিমন সাকাগুচি।ভোরের আকাশ/এসএইচ
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) সোশ্যাল মিডিয়া টিমের সদস্য সানাম জাভেদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার (৬ অক্টোবর) পেশাওয়ার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম সামাটিভি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গাড়ি থামিয়ে সানাম জাভেদকে জোরপূর্বক নামিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়।পিটিআই নেতাদের বর্ণনা অনুযায়ী, পেশাওয়ারের এক ব্যস্ত সড়কে দুটি গাড়ি এসে সানাম জাভেদের গাড়ির পথরোধ করে।পিটিআই নেতা শেখ ওয়াকাস আকরাম সামাজিক যোগযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, সানাম জাভেদকে জোর করে গাড়ি থেকে টেনে নামানো হয় এবং তার ইচ্ছার বিরুদ্ধেই অন্য গাড়িগুলোর একটিতে তুলে নেওয়া হয়।তিনি আরও লিখেছেন, ঘটনাটি প্রকাশ্য সড়কে, মানুষের চোখের সামনেই ঘটে এবং এতে তার সহযাত্রীরা হতবাক হয়ে পড়েন।ভোরের আকাশ/এসএইচ