ইরানে গোপনে অস্ত্র বোঝাই বিমান পাঠিয়েছে চীন
ইরানের রাজধানী তেহরানে ট্রান্সপন্ডার বন্ধ করে বেইজিংয়ের একটি কার্গো বিমান নেমেছে। তাতে চীনা অস্ত্র রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রাডারে সেই বিমানের অস্তিত্ব ধরা না পড়ে সেই জন্য ট্রান্সপন্ডার বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে দাবি করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া ডটকম।
সোমবার (১৬ জুন) বেশ গুরুত্ব দিয়েই ওই বিমান অবতরণের খবর প্রকাশ করে সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ওই বিমানটি আকাশে থাকতেই ট্রান্সপন্ডার বন্ধ করে দিয়েছিল, যাতে রাডারে সেই বিমানের অস্তিত্ব ধরা না পড়ে। সেই থেকেই ডানা মেলেছে নানা গুঞ্জন। গোপনে ইরানকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র সরবরাহ করছে চীন। এভাবেই ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে সরাসরি জড়িয়ে পড়েছে চীন।
ইন্ডিয়া ডটকমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের সঙ্গে চীনের সামরিক ও কৌশলগত সম্পর্ক রয়েছে। তাই ওই বিমানে সামরিক অস্ত্র বা নিষিদ্ধ কোনো পণ্য থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও এমন খবরের সত্যতা যাচাই করা যায়নি।
তবে আগেই ইরানকে হুমকি দিয়ে রেখেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাই এমন পরিস্থিতিতে চীন যদি সত্যিই ইরানকে সহায়তা করে থাকে, তাহলে তা হবে যুক্তরাষ্ট্রকে সরাসরি চ্যালেঞ্জের সামিল। ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের এই লড়াইয়ে ইতোমধ্যে তেহরানের পাশে দাঁড়িয়ে বার্তা দিয়েছে বেইজিং। পুরোপুরি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণের কথাও চীন জানিয়ে রেখেছে।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ইরানে প্রবেশের চেষ্টাকালে পাকিস্তান-ইরান সীমান্তে ৩৩ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (এফআইএ) এবং ফ্রন্টিয়ার কর্পস (এফসি)।বুধবার তাফরানের কাছে যৌথ অভিযান চালিয়ে এই ৩৩ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়।একটি সূত্র জানিয়েছে, বেলুচিস্তান প্রদেশের চাগাই বিভাগের মাসকিল এলাকা দিয়ে বাংলাদেশিরা ইরানে প্রবেশের চেস্টা করেন। নির্জন ওই এলাকাটি দিয়ে পাকিস্তান থেকে অনেকেই ইরানে যান।যেসব বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে তারা গত জুন এবং চলতি জুলাইয়ে বৈধ উপায়ে পাকিস্তানে প্রবেশ করেন। কিন্তু কোনো বৈধ কাগজ ও ছাড়পত্র ছাড়া তারা ইরানে যাওয়ার চেষ্টা করেন।পাক সংবাদমাধ্যম সামা টিভি জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত বাংলাদেশিরা দলবদ্ধ হয়ে ইরানের ঢোকার চেষ্টা করেন। তখন তাদের থামান নিরাপত্তারক্ষীরা। ইরানে যাওয়ার কাগজপত্র চাইলে তারা সেগুলো দিতে ব্যর্থ হন।এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন, ৩৩ জনের সবাইকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং পরবর্তী তদন্তের জন্য কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কাছে তুলে দেওয়া হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এই বাংলাদেশিরা কোনো মানবপাচার চক্রের সদস্য হতে পারেন। যারা সীমান্ত এলাকায় কার্যক্রম চালান।ভোরের আকাশ/জাআ
শব্দের চেয়ে পাঁচ গুণ বা তারও বেশি গতিসম্পন্ন হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তিতে নতুন মাইলফলক স্থাপন করল তুরস্ক।মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) ইস্তাম্বুলে আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা শিল্প মেলার (IDEF) উদ্বোধনী দিনে ক্ষেপণাস্ত্রটি সামনে আনা হয়।তুর্কি টুডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাইফুন ব্লক-৪ ক্ষেপণাস্ত্রটির দৈর্ঘ্য ৬.৫ মিটার, ওজন দুই হাজার ৩০০ কেজি এবং এর পাল্লা ৮০০ কিলোমিটার। এটির দৈর্ঘ্য ৬.৫ মিটার এবং পাল্লা ৮০০ কিলোমিটার। ক্ষেপণাস্ত্রটি উচ্চগতি এবং উন্নত চালচলনের জন্য বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে।রকেটসান এক বিবৃতিতে বলেছে, এটি তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্পের জন্য আরেকটি রেকর্ড। এই নতুন ক্ষেপণাস্ত্রটির বহুমুখী ওয়ারহেড আছে। বহু দূর থেকে অসংখ্য কৌশলগত লক্ষ্যবস্তু- যেমন বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, কমান্ড ও নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র, বৃহৎ সামরিক ছাউনি এবং গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনা ধ্বংস করতে সক্ষম হবে।ক্ষেপণাস্ত্রটি সামনে আনার পর প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান বলেছেন, আজ আমরা কেবল তুর্কি প্রতিরক্ষা শিল্পের উন্নয়নই প্রত্যক্ষ করছি না, বরং স্বাধীনতার দিকে একটি জাতির অগ্রযাত্রাও প্রত্যক্ষ করছি। আমরা একটি দেশের নিজস্ব আকাশের নিচে, নিজস্ব ডানায় উপরে ওঠার গল্প দেখতে পাচ্ছি।এরদোয়ান আরও বলেন, তুরস্ক ‘নিষেধাজ্ঞা, দ্বৈত মান এবং কূটনৈতিক চাপ কাটিয়ে’ একটি বৈশ্বিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে এবং প্রতিরক্ষা শিল্পের মাধ্যমে বিশ্ব বাজারে একটি ছাপ রেখেছে।ভোরের আকাশ/জাআ
পাকিস্তানে টানা বৃষ্টিপাত ও আকস্মিক বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি ও বন্যাজনিত ঘটনায় দেশটিতে আরও ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন অন্তত ছয়জন।বুধবার (২৩ জুলাই) এক হালনাগাদ প্রতিবেদনে পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ) জানায়, গত ২৬ জুন থেকে শুরু হওয়া ভারী মৌসুমি বৃষ্টিতে এখন পর্যন্ত মোট ২৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নারী এবং শিশুও রয়েছে।এনডিএমএর তথ্য অনুযায়ী, এ সময়ের মধ্যে আহত হয়েছেন মোট ৫৯৮ জন। ভারী বর্ষণে এখন পর্যন্ত ৮০৪টির বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।সংস্থাটির আগের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাঞ্জাব প্রদেশ। সেখানে ১৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন ৪৭০ জন। আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৬৮টি বাড়ি, সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়েছে ২৪টি।এছাড়া, খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে ৪০ জনের মৃত্যু ও ৬৯ জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সেখানে ১৪২টি বাড়ি আংশিক এবং ৭৮টি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়েছে।সিন্ধু প্রদেশে নিহত হয়েছেন ২২ জন এবং আহত হয়েছেন ৪০ জন। অন্তত ৫৪টি বাড়ি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এবং ৩৩টি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়েছে।বেলুচিস্তানে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৬ জন এবং আহত হয়েছেন চারজন। ওই প্রদেশে বৃষ্টিতে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়েছে আটটি বাড়ি এবং আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও ৫৬টি।এনডিএমএ জানিয়েছে, বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে এবং জরুরি সহায়তা কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/জাআ
চলতি বছরের ২৪ জুলাই থেকে চীনা নাগরিকদের জন্য পর্যটন ভিসা প্রদান পুনরায় শুরু করবে ভারত।বুধবার চীনে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস এ কথা জানিয়েছে।পাঁচ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো উভয় দেশ তাদের তিক্ত সম্পর্ক মেরামতের দিকে এগিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিলেন।২০২০ সালে বিতর্কিত হিমালয় সীমান্তে সামরিক সংঘর্ষের পর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও তীব্র হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় ভারত চীনা বিনিয়োগের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করে, শত শত জনপ্রিয় চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করে এবং যাত্রীদের রুট বন্ধ করে দেয়।কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে চীন প্রায় একই সময়ে ভারতীয় নাগরিক এবং অন্যান্য বিদেশিদের ভিসা স্থগিত করে, কিন্তু ২০২২ সালে শিক্ষার্থী এবং ব্যবসায়িক ভ্রমণকারীদের জন্য ভিসা প্রদান পুনরায় শুরু করার সময় এই বিধিনিষেধ তুলে নেয়।ভারতীয় নাগরিকদের জন্য পর্যটন ভিসা এই বছরের মার্চ পর্যন্ত সীমাবদ্ধ ছিল। উভয় দেশ সরাসরি বিমান পরিষেবা পুনরায় চালু করতে সম্মত হয়েছিল।সম্পর্ক ধীরে ধীরে উন্নত হয়েছে, গত বছর বেশ কয়েকটি উচ্চ-স্তরের বৈঠক হয়েছে। গত অক্টোবরে রাশিয়ায় চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে আলোচনাও হয়েছে।চীনা নাগরিকদের জন্য পর্যটন ভিসা প্রদান পুনরায় শুরুর পর চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গুও জিয়াকুন বুধবার (২৩ জুলাই) বলেছেন, বেইজিং এই ইতিবাচক পদক্ষেপটি লক্ষ্য করেছে।তিনি বলেন, 'চীন ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ ও পরামর্শ বজায় রাখতে এবং দুই দেশের মধ্যে ব্যক্তিগত আদান-প্রদানের স্তর ক্রমাগত উন্নত করতে প্রস্তুত।'ভারত ও চীনের ৩৮০০ কিলোমিটার সীমান্ত আছে। ১৯৫০ সাল থেকে সীমান্ত নিয়ে বিতর্ক - পরবর্তীতে ১৯৬২ সালে দুই দেশ একটি সংক্ষিপ্ত, কিন্তু নৃশংস সীমান্ত যুদ্ধে জড়ায়।চলতি মাসে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছেন, উভয় দেশকে তাদের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য সীমান্ত বিরোধ নিরসন করতে হবে, সৈন্য প্রত্যাহার করতে হবে।ভোরের আকাশ/জাআ