আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ১০ জুন ২০২৫ ০৫:৪৯ এএম
ইসরাইলকে ‘সন্ত্রাসী রাষ্ট্র’ বলল তুরস্ক
গাজার উদ্দেশ্যে যাত্রা করা মানবিক সহায়তাবাহী জাহাজ ম্যাডলিনকে আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকে জব্দ করায় ইসরাইলকে ‘সন্ত্রাসী রাষ্ট্র’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে তুরস্ক।
সোমবার ভোরে ১২ জন মানবাধিকার কর্মী, যাদের মধ্যে দুইজন তুর্কি নাগরিকও ছিলেন, সেই জাহাজটিকে আটক করে ইসরাইলি নৌবাহিনী।
মিডল ইস্ট আই–এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, তুরস্ক এই ঘটনাকে আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করেছে। আঙ্কারার ভাষ্য অনুযায়ী, ইসরাইল সামুদ্রিক নিরাপত্তা ও নৌ-পরিবহনের স্বাধীনতাকে হুমকির মুখে ফেলছে।
তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়,
“নেতানিয়াহু সরকারের এই জঘন্য হামলা প্রমাণ করে যে ইসরাইল একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র। এটি আন্তর্জাতিক জলসীমায় নৌপরিবহনের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তার ওপর সরাসরি আঘাত।”
ইসরাইলি কর্মকর্তাদের দাবি, গাজা উপত্যকায় চলমান অবরোধ ভেঙে সহায়তা পৌঁছে দিতে চাওয়া জাহাজটির ওপর নিয়ন্ত্রণ নেয় তাদের বাহিনী এবং জাহাজে থাকা সুইডিশ জলবায়ুকর্মী গ্রেটা থুনবার্গসহ অন্যান্য ক্রুদের আটক করা হয়।
উল্লেখ্য, গাজাগামী তুর্কি ত্রাণ জাহাজ ইসরাইলি বাধার মুখে পড়ার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। ২০১০ সালে একই ধরনের একটি মানবিক ত্রাণবাহী বহরে (ফ্লোটিলা) ইসরাইলি হামলায় ১০ জন তুর্কি নাগরিক নিহত হয়। ওই ঘটনা তুরস্ক-ইসরাইল কূটনৈতিক সম্পর্কে দীর্ঘস্থায়ী সংকট সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরাইল ২০১৩ সালে ক্ষমা চেয়ে ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি হয়।
তুরস্কের অভিযোগ, ইসরাইল এই ধরনের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে মানবিক সহায়তা প্রদানে বাধা সৃষ্টি করছে এবং আন্তর্জাতিক নীতিমালাকে অবজ্ঞা করছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, গাজা পরিস্থিতি ঘিরে ইতিমধ্যেই উত্তেজনাপূর্ণ ভূরাজনৈতিক পরিবেশে এই ঘটনাটি নতুন করে তুরস্ক-ইসরাইল সম্পর্কে উত্তাপ যোগ করতে পারে।
ভোরের আকাশ।।হ.র