সংগৃহীত ছবি
গত বছর ২০২৪ সালে বিশ্বজুড়ে ৩৮৩ জন ত্রাণকর্মী নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে প্রায় অর্ধেকের মৃত্যু ঘটেছে গাজা উপত্যকায়।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) জাতিসংঘের মানবিক কার্যক্রম বিষয়ক কার্যালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
এর আগে, ২০২৩ সালে বিশ্বে ২৯৩ জন ত্রাণকর্মী (এইড ওয়ার্কার) প্রাণ হারিয়েছিলেন, ২০২৪ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৮৩ জনে। এরমধ্যে ১৮০ জনেরও বেশি ত্রাণকর্মী নিহত হয়েছেন গাজায়।
জাতিসংঘের মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা বিষয়ক কার্যালয় ওসিএইচএ’র ডেটাবেসের তথ্যমতে, ২০২৫ সালের প্রথম সাত মাসে ২৪৫টি বড় হামলার ঘটনা ঘটে, যেখানে প্রাণ হারান ২৬৫ জন ত্রাণকর্মী।
এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ হামলাটি ঘটে ২৩ মার্চ, যখন গাজার দক্ষিণাঞ্চলের শহর রাফাহতে ভোরবেলা এলোপাতাড়ি গুলি চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। সেই হামলায় গাড়িতে থাকা স্বাস্থ্যকর্মী ও জরুরি পরিষেবা কর্মীরা নিহত হন।
ওসিএইচএ’র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ২১টি দেশে ত্রাণকর্মীদের ওপর সহিংসতা আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে এবং সবচেয়ে বেশি ক্ষেত্রে সহিংসতার ঘটনায় জড়িত ছিল সরকারপক্ষের নানা অংশ।
জাতিসংঘের মানবিক কার্যক্রম বিষয়ক কার্যালয়ের প্রধান টম ফ্লেচার বলেন, এই রেকর্ড সংখ্যক হত্যা নাগরিকদের মননকে সচেতন করে তোলার হাতিয়ার হোক। এই মাত্রায় আঘাত- জবাবদিহিতা না থাকার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মহলের তৎপরতাহীনতা ও দায়সারা মনোভাবকেই তুলে ধরে।
তিনি বলেন, মানবিক কমিউনিটি হিসেবে আমাদের দাবি, যাদের হাতে ক্ষমতা আছে, তারা যাতে মানবতার পক্ষে কাজ করেন এবং নাগরিক ও ত্রাণকর্মীদের পাশে দাঁড়ান। দোষীদের জবাবদিহিতার সম্মুখীন করতে হবে।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
চলতি বছর যৌথভাবে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেয়েছেন জন ক্লার্ক, মিশেল দেভরেট ও জন এম মার্টিনিস। তারা ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষক।মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বিকেলে পৌনে ৪টার দিকে তাদের নাম ঘোষণা করে নোবেল কমিটি।এর আগে ২২৬ জন পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেয়েছেন। সে হিসাবে তিনি ২২৭তম ব্যক্তি হিসেবে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার জিতে নিলেন।একমাত্র ব্যক্তি হিসেবে জন বারডিন দুইবার পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। দুবারই যৌথভাবে এই পুরস্কার পান তিনি।গতকাল সোমবার চিকিৎসায় নোবেল প্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হয়। এ বছর চিকিৎসায় যৌথভাবে নোবেল পেয়েছেন ম্যারি ই. ব্রুনকো, ফ্রেড রামসডেল ও শিমন সাকাগুচি।ভোরের আকাশ/এসএইচ
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) সোশ্যাল মিডিয়া টিমের সদস্য সানাম জাভেদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার (৬ অক্টোবর) পেশাওয়ার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম সামাটিভি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গাড়ি থামিয়ে সানাম জাভেদকে জোরপূর্বক নামিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়।পিটিআই নেতাদের বর্ণনা অনুযায়ী, পেশাওয়ারের এক ব্যস্ত সড়কে দুটি গাড়ি এসে সানাম জাভেদের গাড়ির পথরোধ করে।পিটিআই নেতা শেখ ওয়াকাস আকরাম সামাজিক যোগযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, সানাম জাভেদকে জোর করে গাড়ি থেকে টেনে নামানো হয় এবং তার ইচ্ছার বিরুদ্ধেই অন্য গাড়িগুলোর একটিতে তুলে নেওয়া হয়।তিনি আরও লিখেছেন, ঘটনাটি প্রকাশ্য সড়কে, মানুষের চোখের সামনেই ঘটে এবং এতে তার সহযাত্রীরা হতবাক হয়ে পড়েন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এ সময় ফিলিস্তিনির গাজায় যুদ্ধবিরতি ও মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতির অগ্রগতি নিয়ে কথা বলেন দুই নেতা।সোমবার (৬ অক্টোবর) দুই দেশের প্রধানের মধ্যে এই ফোনালাপ হয়।ফোনালাপের বিষয়টি নিশ্চিত করে এক বিবৃতিতে ক্রেমলিন জানায়, গাজার যুদ্ধপরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনার বিষয়েও পুতিন ও নেতানিয়াহুর কথা হয়েছে।বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, আঞ্চলিক পরিস্থিতি নিয়েও টেলিফোনে কথা বলেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ঘিরে উদ্ভুত পরিস্থিতি ও সিরিয়ার স্থিতিশীলতার মতো বিষয় রয়েছে।পুতিন এর আগে গাজা নিয়ে ট্রাম্পের পরিকল্পনার প্রশংসা করেছেন। আশা প্রকাশ করেছেন, এ পরিকল্পনা সফলভাবে বাস্তবায়িত হবে।একই সঙ্গে রাশিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান মধ্যপ্রাচ্যে টেকসই শান্তি আনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের প্রতি মস্কোর সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন।সূত্র: আলজাজিরা, টাইমস অব ইসরায়েলভোরের আকাশ/মো.আ.
একটি মাত্র ভিসা নিয়েই এবার ভ্রমণ করা যাবে আরব বিশ্বের ৬টি দেশ। উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদ বা জিসিসি চলতি বছরের শেষ প্রান্তিকে, অর্থাৎ অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যেই চালু করতে যাচ্ছে অভিন্ন ও একক পর্যটন ভিসা— ‘জিসিসি গ্র্যান্ড ট্যুরিস্ট ভিসা’। শুরুতে এটি পরীক্ষামূলকভাবে কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)।ইউএই-এর অর্থ ও পর্যটনমন্ত্রী এবং আমিরাত পর্যটন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ বিন তৌক আল মারি এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এই অভিন্ন ভিসাটি মূলত ইউরোপীয় ইউনিয়নের শেনজেন ভিসা ব্যবস্থার আদলে তৈরি করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে পর্যটকেরা এক ভিসায় জিসিসিভুক্ত ৬টি দেশ—সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, কুয়েত, কাতার, বাহরাইন ও ওমানে সহজেই ভ্রমণ করতে পারবেন।তিনি আরও জানান, জিসিসি দেশগুলোর মধ্যে আঞ্চলিক সমন্বয় জোরদার ও পর্যটনশিল্পের উন্নয়নের কৌশলগত অংশ হিসেবেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তার ভাষায়, ‘এই ভিসা শুধু ভ্রমণ সহজ করবে না, বরং উপসাগরীয় অঞ্চলকে একক পর্যটন গন্তব্য হিসেবে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে।’আমিরাতের সরকারি বার্তা সংস্থা ওয়াম–কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তৌক আল মারি বলেন, পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শেষে দ্বিতীয় ধাপে এটি পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা হবে। তবে ঠিক কোন তারিখ থেকে ভিসাটি কার্যকর হবে, সে বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত ঘোষণা আসেনি।এর আগে গত ১৬ জুন খালিজ টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, জিসিসি গ্র্যান্ড ট্যুরিস্ট ভিসার আনুষ্ঠানিক অনুমোদন ইতিমধ্যে দেওয়া হয়েছে এবং খুব শিগগিরই এটি চালু হবে।তবে কত দিনের জন্য এই ভিসা দেওয়া হবে বা এর খরচ কত হবে, তা এখনো প্রকাশ করা হয়নি।বিশ্লেষক ও পর্যটনশিল্প সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, জিসিসি গ্র্যান্ড ট্যুরিস্ট ভিসা চালু হলে উপসাগরীয় অঞ্চলের পর্যটন ও সামগ্রিক অর্থনীতিতে বড় পরিবর্তন আসবে। এতে বিদেশি পর্যটকদের সংখ্যা বাড়বে, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং জিসিসি দেশগুলোর মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) বৃদ্ধিতেও সহায়তা করবে।ভোরের আকাশ/মো.আ.